Joy Sree Radha Govindo

Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Joy Sree Radha Govindo, Religious Center, Habiganj Sadar, Sylhet.

14/04/2024

শুভ নববর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
#রাধামাধব #রাধেরাধে #হরেকৃষ্ণ

13/04/2024

শুভ নববর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
#রাধামাধব #রাধেরাধে #হরেকৃষ্ণ

12/04/2024

#হরেকৃষ্ণ #রাধামাধব #রাধেরাধে

31/03/2024

#হরেকৃষ্ণ

24/03/2024

21/03/2024

HARE KRISHNA

01/01/2024
11/08/2023

অষ্ট চিরঞ্জীবী —

‘চিরঞ্জীবী’ শব্দকে ভাঙলে দুটো অংশ পাওয়া যায়। ‘চির’ ও ‘জীবী’। ‘চির’ মানে অনাদিকাল এবং ‘জীবী’র অর্থ, যারা বাস করছেন। চিরঞ্জীবী শব্দটির অর্থ, ‘যারা অনেকদিন ধরে বেঁচে আছেন এবং থাকবেন’ হলেও পুরাণমতে চিরঞ্জীবীগণ পুরোপুরি অমর নন। এদের জীবনকাল এক কল্পকাল।

সৃষ্টির দেবতা ব্রহ্মা জগত সৃষ্টি করেন। অনেকদিন পর্যন্ত জগতের উৎকর্ষ-অপকর্ষ সাধিত হয়। তারপর প্রলয় এসে সব ধ্বংস করে দেয়। তখন আবার নতুন করে সৃষ্টির কাজে হাত দেন ব্রহ্মা। মহাবিশ্বের একবার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কালকে এক কল্পকাল ধরা হয়। পুরাণে যে অষ্ট চিরঞ্জীবীর কথা বলা হয়েছে, একমাত্র দৈত্যরাজ বলি ব্যতীত বাকিদের আয়ু এই কল্পকাল অবধি। চিরঞ্জীবীদের নিয়ে শ্লোকটি হল —

অশ্বথামা বালিরব্যস্যো হনুমানশ্চ বিভীষণঃ।
কৃপঃ পরশুরামশ্চ সপ্তয়তে চিরঞ্জীভিনঃ॥
সপ্তিতান সংস্মরন্যিত্যম মার্কণ্ডয়েমথ্যাষ্টমম।
জীবদেবশততম সোপি সর্বব্যধিভাবির্জিত॥

বাংলা অর্থ—
অশ্বত্থামা, বলি, ব্যাস, হনুমান, বিভীষণ, কৃপা, পরশুরাম - এই সাতজন নিত্য চিরঞ্জীবী। মার্কণ্ডেয় শিবের বরে চিরঞ্জীবী হয়েছেন। এরা প্রত্যেকেই শত বছরের অধিককাল বাঁচবেন এবং সর্বপ্রকার জরা-ব্যাধি থেকে মুক্ত।

১. অশ্বত্থামা —
অশ্বত্থামার জন্য অমরত্ব ছিল অভিশাপ, মহাভারতের একজন মহান যোদ্ধা অশ্বত্থামা। গুরু দ্রোণের পুত্র অশ্বত্থামা জন্মেছিলেন কপালে একটি মণি নিয়ে, যেটি ছিল তার পূর্বজন্মের পুণ্যের ফসল। অশ্বত্থামা দুর্যোধনের পরম বন্ধু ছিলেন। মহাভারতের যুদ্ধে তিনি তাই কৌরবদের হয়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। যুদ্ধে কৌরবরা পরাজিত ও নিহত হয়। দুর্যোধনের উরুভঙ্গ হয়। ভীম গদা দিয়ে তার উরু ভেঙে দেন। পরাজিত দুর্যোধনের কাছে অশ্বত্থামা প্রতিজ্ঞা করেন, পাণ্ডবদের শেষ বংশধরকেও যেকোনো প্রকারে মেরে ফেলবেন। পাণ্ডবপুত্রদের হত্যা করার পরে তিনি তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুনের পুত্র অভিমন্যুর গর্ভবতী স্ত্রী উত্তরার গর্ভের সন্তানকে হত্যা করতে তার গর্ভে ব্রহ্মাস্ত্র নিক্ষেপ করেন। এমন দুষ্কর্মের জন্য শ্রীকৃষ্ণ সুদর্শন চক্র দিয়ে তার কপালের মণি কেটে নেন এবং তাকে মহাপ্রলয়ের আগে পর্যন্ত নিকৃষ্ট জীবনের অভিশাপ দেন। চিরঞ্জীবীদের মধ্যে একমাত্র অশ্বত্থামাই অভিশাপগ্রস্ত হয়ে অমরত্ব লাভ করেছেন।

২. বলি —
দৈত্যরাজ বলি মহাপ্রলয়ের পরেও জীবিত থাকবেন। দৈত্যরাজ বলি দৈত্যরাজ হিরণ্যকশিপুর প্রপৌত্র। হিরণ্যকশিপুর পুত্র বিষ্ণুভক্ত প্রহ্লাদ এবং প্রহ্লাদের পুত্র বিরোচন। বিরোচনের পুত্র বলি। হিরণ্যকশিপুকে বিষ্ণু নৃসিংহ অবতার নিয়ে বধ করেছিলেন। হিরণ্যকশিপুর মৃত্যুর পরে তার পুত্র প্রহ্লাদকে সিংহাসনে বসিয়ে বিষ্ণু তাকে আশীর্বাদ করেন যে প্রহ্লাদের পরবর্তী চব্বিশ অধস্তন পুরুষকে বিষ্ণু রক্ষা করবেন। প্রহ্লাদের নাতি দৈত্যরাজ বলি রাজাসনে বসার পরে অশ্বমেধ যজ্ঞ করার সিদ্ধান্ত নেন। তখন নিয়ম ছিল, কোনো রাজা সফলভাবে এক হাজার অশ্বমেধ যজ্ঞ সম্পন্ন করলে তিনি দেবতাদের রাজা ইন্দ্র পদে অধিষ্ঠিত হবেন। তাই, কেউ অশ্বমেধ যজ্ঞের আয়োজন করলেই যেকোনো প্রকারে ইন্দ্র তাতে বাধা দিতেন। বলিকে যজ্ঞ করা থেকে বিরত করতে বিষ্ণু আবার একটি অবতার ধরেন। ব্রাহ্মণবেশে বামন অবতারে তিনি বলির যজ্ঞে গিয়ে উপস্থিত হন। ব্রাহ্মণদের উপহার দেওয়ার পালা শুরু হলে বামন বলির কাছে তিন পা রাখার মতো জমির আবদার করেন। ধার্মিক বলি খুশিমনে তা দিতে রাজি হন। তারপর বামন বিশাল আকার ধারণ করে এক পা স্বর্গে, এক পা পৃথিবীতে রেখে বলির কাছে তৃতীয় পা রাখার জায়গা চাইলে বলি নিজের মাথা পেতে দেন। বলির একাগ্রতা ও ভক্তিতে বিষ্ণু সন্তুষ্ট হয়ে বলিকে পাতালের রাজত্ব দান করেন। পাতাল থেকে বছরে একদিন পৃথিবীতে এসে নিজের প্রজাদের অবস্থা স্বচক্ষে দেখার বর দেন। সবশেষে বলিকে অমরত্ব দান করেন ভগবান বিষ্ণু এবং এই কল্পের পরের কল্পে দেবতাদের রাজা ইন্দ্র পদে তাকে অধিষ্ঠিত করার প্রতিশ্রুতি দেন। দক্ষিণ ভারতের কেরালায় বলির পৃথিবীতে আগমনের দিনটিতে ওনাম উৎসব পালন করা হয়।

৩. বেদব্যাস —
মহর্ষি বেদব্যাসের পুরো নাম কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাস। তিনি বেদকে চারভাগে ভাগ করেছিলেন বলে এর নাম হয় বেদব্যাস। ইনি মহাভারত ও শ্রীমদভগবত গীতার রচয়িতা। মহর্ষি পরাশর বেদব্যাসের পিতা এবং রামের কূলগুরু বশিষ্ঠ মুনি পিতামহ। বেদব্যাসের মা সত্যবতী, যাকে হস্তিনাপুরের রাজা শান্তনু বিয়ে করেছিলেন। বেদব্যাস পুরো ভরতবংশীয়দের কাহিনী এবং কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের কাহিনী মহাভারতে বর্ণিত করেন। গণেশ ব্যাসের মুখ থেকে শুনে শুনে মহাভারত লিখেছিলেন, তিনিই গণেশকে দিয়ে মহাভারত লিখিয়েছিলেন। গণেশ সন্তুষ্ট হয়ে তাকে দীর্ঘায়ুর বর দেন। মহর্ষি ব্যাস বুদ্ধি ও জ্ঞানের প্রতীক। ভগবান বিষ্ণুও তাকে চিরঞ্জীবের বর দিয়েছিলেন।

৪. হনুমান —
হনুমানকে বলা হয় শিবের অবতার। বানররাজ কেশরীর ঔরসে রানী অঞ্জনার গর্ভে হনুমান জন্মগ্রহণ করেছিলেন। হনুমানের জন্মে বায়ুদেবতার ভূমিকা থাকায় এবং বায়ুদেবতার বিশেষ আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় তাকে পবনপুত্রও বলা হয়। হনুমান জগতে রামভক্ত হিসেবে বিখ্যাত। লঙ্কা থেকে সীতার খোঁজ নিয়ে আসা, লেজে আগুন নিয়ে পুরো লঙ্কা জ্বালিয়ে দেওয়া, লক্ষ্মণের জন্য জড়িবুটি নিয়ে আসা, পাতালে রাবণের ভাই অহিরাবণের বন্দীত্ব থেকে রাম-লক্ষ্মণকে উদ্ধার করা ছাড়াও পুরাণ ও রামায়ণে হনুমানের অনেক ভূমিকার কথা বর্ণিত রয়েছে। হনুমান বাল-ব্রহ্মচারী। অর্থাৎ, সংসারধর্ম পালন করেননি তিনি। হনুমান তার চাঞ্চল্য ও গতির জন্য প্রসিদ্ধ। মহাভারতেও হনুমানের উপস্থিতি দেখা যায়। ভীমকে যুদ্ধকলা শেখানোর উদ্দেশ্যে তিনি হাজির হয়েছিলেন। ত্রেতাযুগে জন্মানো হনুমান একাগ্রভাবে রামভক্তির কারণে রাম ও সীতা কর্তৃক অমর হওয়ার বর প্রাপ্ত হন। যেখানেই রামনাম করা হবে বা রামভক্তি প্রকটিত হবে, হনুমান সেখানেই গিয়ে বাস করবেন।

৫. বিভীষণ —
বিভীষণও রামের বরে অমরত্ব পেয়েছিলেন
বাংলা তথা আধুনিক ভারতীয় সাহিত্যে বিভীষণকে বিশ্বাসঘাতক বলেই উল্লেখ করা হয়। কিন্তু রামায়ণে বিভীষণকে একজন ধার্মিক রাজা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিভীষণ রামশিবিরে যোগ না দিলে রাবণকে হারানো খুব কঠিন হতো রামের পক্ষে। রাবণকে বধ করার পরে শ্রীরাম বিভীষণকে লঙ্কার রাজা ঘোষিত করেন। রাজা হয়ে বিভীষণ লঙ্কার প্রজাদের মাঝে ধর্মপ্রচারে ব্রতী হন। অসুরপ্রবৃত্তি থেকে সরিয়ে এনে ধর্মে মতি করেন লঙ্কার রাক্ষসদের। রাবণ অপমান করে বের করে দেওয়ার পরে বিভীষণ রামশিবিরে যোগ দেন; বিভীষণ সপরিবারে ধর্ম প্রচার করেছিলেন। পত্নী সরমা ও কন্যা ত্রিজাতাকে সাথে নিয়ে তিনি লঙ্কার প্রজাদের প্রভূত কল্যাণ সাধন করেছিলেন। বিভীষণের ধার্মিকতা ও সততায় প্রসন্ন হয়ে রাম লঙ্কাত্যাগের পূর্বে তাকে অমরত্বের বর দান করেন। অমর হওয়ার পাশাপাশি তার কাঁধে কিছু দায়িত্বও প্রদান করেন। বিভীষণকে শ্রীরাম পৃথিবীতে অবস্থান করে সত্য, সুন্দর ও ধার্মিকতা পালন করতে তথা প্রচার করতে নির্দেশ দেন।

৬. কৃপাচার্য —
মহাভারতে যে কয়জন মহান গুরুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তন্মধ্যে কৃপ অন্যতম। তিনি গুরু দ্রোণাচার্যের শ্যালক ও অশ্বত্থামার মামা। ‘কৃপ’ অর্থ তীরের ডগা। মহাভারতে কৃপের জন্মের ব্যাপারে বলা হয়েছে, কৃপ ও তার বোন কৃপীর জন্ম হয়েছিল তীরের ডগা থেকে। পরিণত বয়সে কৃপীর সাথে দ্রোণের বিয়ে দিয়ে কৃপ কুরুবংশের গুরুর দায়িত্ব নেন। ধার্মিক হওয়া সত্ত্বেও শুধু গুরুধর্ম পালনের জন্য কৃপাচার্য কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কৌরবদের পক্ষাবলম্বন করেন। কৃপাচার্য ছিলেন অশ্বত্থামার মামা; যুদ্ধ শেষে কৌরবপক্ষীয় যে তিনজন মহারথী বেঁচেছিলেন, তাদের মধ্যে কৃপাচার্য একজন। বাকি দুজন হলেন কৃতবর্মা ও অশ্বত্থামা। কৃষ্ণ পরীক্ষিতকে বাঁচানোর পরে কৃপের হাতে তার বিদ্যাশিক্ষার ভার দেন। কৃপ পরীক্ষিতকে শিক্ষিত করেন। দ্বারকার অন্ত হওয়ার পূর্বে শ্রীকৃষ্ণ কৃপাচার্যকে অমরত্বের আশীর্বাদ দিয়ে বলেন, শুধু দ্বাপরযুগেই নয় কলিযুগেও আপনাকে গুরুধর্ম পালন করতে হবে। কল্কি অবতারকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার দায়িত্ব আপনার।

৭. পরশুরাম —
পরশুরামকে বলা হয় বিষ্ণুর দশ অবতারের ষষ্ঠ অবতার। পরশুরাম, রাম, কৃষ্ণ – এ অবতারগুলোকে বলা হয় আবেশ অবতার। কূর্ম বা নৃসিংহের মতো অবতারগুলোতে বিষ্ণু সরাসরি কোনো প্রাণী বা সত্ত্বার রূপ ধারণ করে অবতারিত হয়েছেন। কিন্তু আবেশ অবতারগুলোতে বিষ্ণু মানুষের দেহে পরমাত্মা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। পুরাণানুযায়ী, মানুষরূপে ভগবান অবতারিত হলে তাকে বলা হয় আবেশ অবতার। পরশুরাম ঋষি জমদগ্নির ঔরসে, মা রেণুকার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হলেও প্রবৃত্তিতে ছিলেন ক্ষত্রিয়। এজন্য তাকে বলা হয় ‘ব্রাহ্ম-ক্ষত্রিয়’। শিবের দেওয়া পরশুটি ব্যবহার করে পরশুরাম একুশবার পৃথিবী নিঃক্ষত্রিয় করেন; পরশুরাম শিবের কাছে শিক্ষালাভ করেন। শিব সন্তুষ্ট হয়ে তাকে একটি কুড়াল বা পরশু উপহার দিয়েছিলেন বলে তার নাম ‘রাম’ থেকে পরশুরাম হয়। ক্ষত্রিয় রাজা কার্তবীর্যার্জুন অন্যায়ভাবে তার বাবা জমদগ্নিকে হত্যা করে তাদের গরু কামধেনুকে চুরি করে নিয়ে গেলে পরশুরাম কুটিরে এসে দেখেন, তার মা বুক চাপড়ে আহাজারি করছেন। একুশবার বুক চাপড়ানোর জন্য পরশুরাম পৃথিবীকে একুশবার নিঃক্ষত্রিয় করেছিলেন। অন্যায়কারী ও আততায়ী ক্ষত্রিয়দের তিনি বধ করেন। তিনিও অমরত্ব লাভ করেছেন কলিযুগের শেষে কল্কিকে যুদ্ধকলায় পারদর্শী করার জন্য। পরশুরাম হবেন কল্কির প্রধান গুরু।

৮. মার্কণ্ডেয় —
অন্যান্য চিরঞ্জীবীগণের চেয়ে মার্কণ্ডেয় ঋষির কাহিনীটি একটু আলাদা। মার্কণ্ডেয়র পিতার নাম মৃকান্ডু ও মাতার নাম মারুদমতি। মৃকাণ্ডুর সন্তান তাই মার্কণ্ডেয়। মার্কণ্ডেয় ছিলেন ভৃগুবংশজাত। তিনি একাধারে শিব ও বিষ্ণুর পরমভক্ত ছিলেন, যা সচরাচর দেখা যায় না পুরাণে। মৃকান্ডু ঋষিপত্নীকে নিয়ে পুত্রলাভের বাঞ্ছায় একবার শিবের তপস্যা শুরু করেন। শিব এসে তাদের দুটো বরের ভেতর একটি পছন্দ করতে বলেন। প্রথমটি হলো, সন্তান হবে বিচক্ষণ ও মহাধার্মিক; কিন্তু আয়ু হবে একদম কম। দ্বিতীয়টি হলো, সন্তান হবে স্থূলবুদ্ধি তবে দীর্ঘায়ু। মৃকান্ডু ও তার পত্নী প্রথমটি বেছে নেন। যথাসময়ে তাদের সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। সন্তানের আয়ু হবে পূর্বনির্ধারিত - ষোলো বছর। এটি জানার পরে মার্কণ্ডেয় শিবের তপস্যা শুরু করেন। বালক ঋষি তপস্যায় এতই লীন হতেন যে শিবলিঙ্গ জড়িয়ে ধরে জপ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়তেন। মার্কণ্ডেয়র মৃত্যুর সময় হলে যমদূতরা এসে তার সামনে হাজির হয়। কিন্তু তার তপের প্রভাবে যমদূতেরা তার ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারে না। শেষে স্বয়ং যমরাজ মহিষে চড়ে সে স্থলে হাজির হন। তিনি তার ধর্মপাশ, যেটি কারো উপর পড়লে মৃত্যু অবধারিত - তা মার্কণ্ডেয়র উপর ফেলতে গিয়ে ভুলক্রমে শিবলিঙ্গে ফেলেন। শিব এতে প্রচণ্ড ক্ষেপে যান। ভক্তকে রক্ষার জন্য স্বয়ং এসে হাজির হন। যমের দিকে ত্রিশূল উঁচিয়ে ধরলে যম ভয় পেয়ে যান। মার্কণ্ডেয়কে দীর্ঘায়ুর বর দিয়ে তাড়াতাড়ি স্থানত্যাগ করেন যমরাজ। মহাদেবও মার্কণ্ডেয়কে আশীর্বাদ করেন। শিবের দ্বারা মার্কণ্ডেয় অমরত্ব প্রাপ্ত হন। মার্কণ্ডেয়র নামে একটি পুরাণই প্রচলিত আছে - ‘মার্কণ্ডেয়পুরাণ’ নামে।

এই অষ্ট চিরঞ্জীবী বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন দেবতার বরে অমরত্ব লাভ করলেও একটি জায়গায় তারা এক। প্রত্যেকেই কল্কি অবতারের সাথে সংযুক্ত। পুরাণ বলছে, এরা সবাই কল্কিকে শিক্ষিত, সংগঠিত ও শক্তিমান করতে ভূমিকা পালন করবেন। মহাপ্রলয়ের সাথে অমৃতপানকারী দেবতাদের যেমন অন্ত হবে, তেমনই তারাও প্রাণত্যাগ করবেন। মহাপ্রলয়ে সবকিছু, সব প্রাণ ধ্বংস হলেও থাকবেন শুধু তিনজন। যাদের পুরাণে বলা হয় ত্রিমূর্তি। মহাবিশ্ব ও অস্তিত্বের প্রাণী সৃষ্টি, স্থিতি ও ধ্বংসের সর্বোচ্চ দেবতা ভগবান শিব, ভগবান বিষ্ণু এবং ভগবান ব্রহ্মা।


(সংগৃহীত)

04/08/2023

✨❤ভগবান সুখ আর দুঃখ দিয়ে কি পরীক্ষা নেন ?🌿❤

✨❤ ভগবান সুখ দেন পরীক্ষা নেয়ার জন্য, আর দুঃখ দেন তাকে ডাকার জন্য । এখন প্রশ্ন হলো কেন এমন ?🌿❤

✨❤যখন আপনার কোনো কিছু প্রয়োজন হয়, শারীরিক কষ্ট হয়, মানসিক চিন্তা মাথায় আসে, অথবা আপনজন হারানোর ভয় হয়, আর্থিক সমস্যা দেখা দেয়, বিপদে পড়েন ইত্যাদি ধরনের কষ্ট আসলে বা আসার ভয়ে আপনি সর্বদা ভগবানের নাম করেন বা করতে থাকতেন। তখন ভাবেন ভগবান আপনাকে রক্ষা করবেন ।🌿❤

❤✨কিন্তু যখন মানুষ সুখে থাকে, আর্থিক ভাবে অনেক টাকা পয়সা থাকে, কাছের মানুষ, প্রিয়জন আপন হয়ে যায়, পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে ফেলে,ব্যবসায় উন্নতি হয়, কোনো কষ্ট থাকে না, দেখা যায় অধিকাংশ মানুষ ভগবানের নাম নেওয়া ভুলে যায়। ❤✨

❤✨তখন তাদের মনেও থাকে না,
কষ্টের দিনে কাকে ডেকে উদ্ধার হয়েছিলো বা প্রাপ্তি পেয়েছিলো সে । আর সেই ব্যক্তিই সুখ আসার সাথে সাথে যাকে ডেকে উদ্ধার হয়েছিলো তাকে ভুলে যায় ।🌿❤

✨❤ এবার ভাবুন ভগবান আমাদের দুঃখ দিয়ে পরীক্ষা নেয় , নাকি সুখ দান করে পরীক্ষা নেয় ?🌿❤

🌿❤ভগবান দুঃখ দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকেন, কেননা তখন তাকে তার ভক্তরা স্মরণ করবেন, কারন ভক্তের এখন উদ্ধার হতে হবে । ভক্তের ভালো কিসে হবে, এছাড়া ভক্তকে উদ্ধার করাই মূল লক্ষ্য । কিন্তু সুখ দিয়ে ভগবান চুপ করে বসে থাকেন আর দেখেন তার ভক্ত প্রকৃত সুখ পেয়ে তার নাম কতোটা স্মরণ করেন, তার কতোটা ভজন করেন ।✨❤

✨❤যে ব্যক্তি এই জড় জাগতিক সুখকে তুচ্ছ মনে করে ভগবানের চরণে নিজেকে উজাড় করে দেন সেই প্রকৃত সুখী হয়ে যান।🌿❤

✨❤ তাই সুখে থাকি আর দুঃখে থাকি মুখে যেনো সর্বদা থাকে রাধেকৃষ্ণা নাম। 🌿❤


✨❤👏হরে কৃষ্ণ✨❤👏🙌

01/08/2023

*❥◎⃝◎❥❛হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ ❜❥◎⃝◎❥*
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
🥀 জপ মালায় ১০৮টি গুটি থাকে,একদিকে বড়গুটি অন্য দিকে ছোটগুটি থাকে। বড়গুটি এবং ছোটগুটির সংযোগ স্থলে একটি ঘটের মতো গুটি থাকে যাকে মেরুগুটি বলা হয়।
● হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ শুরু করার পূর্বে ডানহাত দিয়ে মেরুগুটি ধরে তিনবার পঞ্চতত্ত্ব মন্ত্র বলবেন⊰───
জয় শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ|
শ্রীঅদ্বৈত গদাধর শ্রীবাশাদি গৌর ভক্তবৃন্দ||
তারপর তর্জনী অঙ্গুলী স্পর্শ না করে মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে বড় দিকের প্রথম গুটিটি ধরে হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র:⊰───
"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে"
● সুষ্পষ্ট ভাবে উচ্চারণ করতে হয়। এরপর দ্বিতীয় গুটিটা বৃদ্ধা আঙ্গুল দিয়ে ধরে জপ করতে হবে। মনে রাখবেন একটি গুটিতে যতক্ষণ পুরো হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ না হচ্ছে ততক্ষণ দ্বিতীয় গুটিতে এগোবেন না। এই ভাবে জপ করতে করতে আপনি মেরুগুটির পাশ্বে ছোট গুটির কাছে পৌঁছবেন। এখন আপনার এক মালা জপ হয়ে গেল। মনে রাখবেন মেরুগুটি টপকে গেলে হবে না । পুনরায় যখন জপ শুরু করবেন তখন পঞ্চতত্ব মন্ত্র জপ করে মালাটা ঘুরিয়ে নিয়ে ছোটগুটির দিকটি সামনে আনতে হবে এবং ছোট দিকের প্রথম গুটিটি ধরে পূর্বের মতো হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করতে করতে ছোট থেকে বড়গুটির দিকে এগোবেন ।এইভাবে আপনি প্রতিদিন দুই, চার, আট দশ অথবা ষোল এই রকম জোড় সংখ্যক মালা জপ করতে পারেন কিন্তু এক তিন পাঁচ এই রকম বিজোড় সংখ্যক মালা জপ করা যাবে না।
*━─⊱●কৃষ্ণস্ত ভগবান স্বয়ম্●⊰─━*
● চার বার ষোল মালা জপ করলে এক লক্ষ
বার হরিনাম করা হয় ।
● নিজে মালা জপ করুন
অন্যকে মালা জপ করতে অনুপ্রাণিত করুন।

┄❈❥ًً❀──●❀🌹🍒🌻
"হরে"কৃষ্ণ"হরে"কৃষ্ণ"
"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"হরে"হরে।"
"হরে"রাম"হরে"রাম"
"রাম"রাম"হরে"হরে।।"
┄❈❥ًً❀──●❀🌹🍒🌻
*🧚‍♂️𝄞⋆⃝ 🧚‍♂️𝖍𝖆𝖗𝖎𝖇𝖔𝖑🧚‍♂️𝄞⋆⃝🧚‍♂️*
*_━────⊱❉✸❉⊰─────━_*
*⚜️জয় রাধা মাধব কি জয়

27/07/2023

প্রশ্ন:-ভগবানের কাছে কাঁদলে বা পায়ে অশ্রু ফেললে কী হয়?
উত্তর :-ভগবান ভারতীয় ধর্মের মধ্যে উপাধি, ঐশ্বর্য, বীর্য, যশ, শ্রী, জ্ঞান ও বৈরাগ্য কে ভগ বলে। ঈশ্বরকে যখন এই ছয়টি গুনের অধীশ্বর রূপে আরাধনা করা হয় তখন তাকে ভগবান বলা হয়। হিন্দুধর্মে এটি দেবতা বা অবতারকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে বৈষ্ণবধর্মে কৃষ্ণের (বিষ্ণুর অবতার) জন্য এবং শৈবধর্মে শিবের জন্য।

প্রশ্ন কর্তা অবশ্যই সনাতন ধর্ম অনুসারী। যেহেতু আপনি ভগবানকে দেখতে পান না বা বুঝতে পারেন না, সেহেতু তার পায়ে অশ্রু দিবেন কি ভাবে? হ্যাঁ, তার জন্য কাঁদলে লাভ আছে কিন্তু আপনি কিসের জন্য কাঁদবেন? প্রান খুলে ভগবানকে স্বরন করুন, সৎ কর্ম করুন আর সাকাম কর্ম পরিত্যাগ করুন। ভগবান নিস্কাম কর্ম পছন্দ করেন তাই নিস্কাম কর্ম করুন। ভগবানের নিকট যা কিছু চাইবেন তা কখনোই পাবেন না কারন কোনো কিছু চাওয়ার যোগ্যতাই আমাদের নেই । আগে যোগ্যতা অর্জন করুন কারন তিনি বিশুদ্ধ ভক্ত পছন্দ করেন। হিন্দু ধর্মে ভক্তের ডাকে ভগবান আর ভগবান ভক্তকে আশীর্বাদ করেন। সুতরাং কর্মই ধর্ম অবশ্যই সৎ কর্ম, সদা সত্য কথা বলা, হিংসা ত্যাগ করা, লোভ না করা, মায়া ত্যাগ করা, প্রকৃতিকে ভালোবাসা ঈশ্বর লাভের উপায়। অন্যথায় ঈশ্বর সান্নিধ্য সম্ভাব না ।

14/07/2023

🕉️ 👉“ব্রহ্ম মুহূর্ত হলো জপ করার জন্য শ্রেষ্ঠ সময়। দিন যতো বাড়তে থাকবে, জপে ধ্যান লাগানো ততোই কঠিন হয়ে পড়ে।😭 শ্রীল প্রভুপাদ বলেছেন, আমাদের পারমার্থিক অগ্রগতির ৯৯% নির্ভর করে হরিনাম জপের

শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ।
শ্রীঅদ্বৈত্য গদাধর শ্রীবাসাদি
গৌরভক্তবৃন্দ।।🙏🙏
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।

শ্রী শ্রীমৎ সুভগ স্বামী গুরুমহারাজ"👏❤️

13/04/2023

হরে কৃষ্ণ
"আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ১৫ মে পর্যন্ত , তুলসী বৃক্ষে জলদান শুরু :-

তুলসী বৃক্ষে জলদানের কারণ:-

সৌর বৈশাখ মাসে যেহেতু সূর্যের তাপ বৃদ্ধি পায়, তাই বিষ্ণুভক্তগণকে জলদান করা হলে শ্রীহরি অতিশয় প্রিয় হন। শ্রীহরির কৃপাপূর্বক তাঁর থেকে অভিন্ন শ্রীতুলসীবৃক্ষে জলদানেরও অপ্রাকৃত এক সুযোগ প্রদান করেন।

তুলসী জলদান মাহাত্ম্য:-

তুলসী শ্রীকৃষ্ণপ্রেয়সী, তাঁর কৃপার ফলেই আমরা শ্রীকৃষ্ণের সেবার সুযোগ লাভ করতে পারি। তুলসীদেবী সম্বন্ধে বলা হয়েছে, তুলসী দর্শনেই পাপসমূহ নাশ হয়, জলদান করলে যম ভয় দূর হয়, রোপণ করলে তাঁর কৃপায় কৃষ্ণভক্তি বৃদ্ধি পায় এবং শ্রীহরির চরণে অর্পণ করা হলে কৃষ্ণপ্রেম লাভ হয়। পদ্মপুরাণের সৃষ্টিখণ্ডে (৬০.১০৫) বৈষ্ণবশ্রেষ্ঠ শ্রীমহাদেব পুত্র কার্তিককে বলেন,

সর্বেভ্যঃ পত্রপুষ্পেভ্যঃ সত্তমা তুলসী শিবা।
সর্বকামপ্রদা শুদ্ধা বৈষ্ণবী বিষ্ণুসুপ্রিয়া ॥

সমস্ত পত্র ও পুষ্পের মধ্যে তুলসী হচ্ছেন শ্রেষ্ঠা। তুলসী সর্বকামপ্রদা, মঙ্গলময়ী, শুদ্ধা, মুখ্যা, বৈষ্ণবী, বিষ্ণুর প্রেয়সী এবং সর্বলোকে পরম শুভা। ভগবান শিব বলেন,

যো মঞ্জরীদলৈরেব তুলস্যা বিষ্ণুমর্চয়েঃ।
তস্য পুণ্যফলং স্কন্দ কথিতুং নৈব শক্যতে ॥

তত্র কেশবসান্নিধ্যং যত্রাস্তি তুলসীবনম্।
তত্র ব্রহ্মা চ কমলা সর্বদেবগণৈঃ সহ ॥

(৬০.১১৭-১৮)

হে কার্তিক! যে ব্যক্তি ভক্তিসহকারে প্রতিদিন তুলসীমঞ্জরি দিয়ে শ্রীহরির আরাধনা করে, এমনকি আমিও তার পুণ্য বর্ণনা করতে অক্ষম। যেখানে শ্রীতুলসীর বন আছে, শ্রীগোবিন্দ সেখানেই বাস করেন। আর গোবিন্দের সেবার উদ্দেশ্যে লক্ষ্মী, ব্রহ্মা প্রভৃতি সমস্ত দেবতা সেখানেই বাস করেন। মূলত শ্রীকৃষ্ণই জগতে আবদ্ধ জীবগণকে তাঁর সেবা করবার সুযোগ প্রদান করার জন্য শ্রীতুলসীরূপে আবির্ভূত হয়েছেন এবং তুলসীবৃক্ষকে সর্বাপেক্ষা প্রিয় রূপে গ্রহণ করেছেন। পাতালখ-ে ঐ বিপ্রের নিকটে শ্রীযম তুলসীর মহিমা কীর্তন করেন। বৈশাখে তুলসীপত্র দ্বারা শ্রীহরির সেবা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

“যে ব্যক্তি সম্পূর্ণ বৈশাখ মাস অনন্য ভক্তিসহকারে তুলসী দ্বারা ত্রিসন্ধ্যা শ্রীকৃষ্ণের অর্চনা করেন, তার আর পুনর্জন্ম হয় না।”

তুলসীদেবীর অনন্তমহিমা অনন্ত শাস্ত্রে বিস্তৃত। কিন্তু এই মহিমা হচ্ছে অশেষ। ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণের প্রকৃতিখণ্ডে (২২.৪২-৪৪) বর্ণিত হয়েছে-

শিরোধার্যাঞ্চ সর্বেসামীপ্সিতাং বিশ্বপাবনীম্।
জীবন্মুক্তাং মুক্তিদাঞ্চ ভজে তাং হরিভক্তিদাম্ ॥

যিনি সকলের শিরোধার্যা

23/12/2022

✅আমি বললাম = সর্বদা আমি হেরে যাই ।
☑️কৃষ্ণ বললেন = আমার স্বরনে যিনি থাকেন তিনি কখন ও হেরে যান না ।
✅আমি বললাম = আমার পাশে কেউ নেই ।
☑️কৃষ্ণ বললেন = আমার স্বরনাগত যিনি তার পাশে আমি সর্বদা থাকি ।
✅আমি বললাম = আমার পাপ এর সংখ্যা অনেক ।
☑️কৃষ্ণ বললেন = জিনি নিয়মিত গীতা পড়েন তার পাপ মুছে যায় ।
✅আমি বললাম = আমি ভীষণই ক্লান্ত ।
☑️কৃষ্ণ বললেন = আমার ভক্ত কোনো দিন ক্লান্ত হয় না ।
✅আমি বললাম = আমি সবার চোখে খারাপ ।
☑️কৃষ্ণ বললেন = আমার স্বরনে যিনি থাকেন তিনি কখন ও খারাপ হন না ।
✅আমি বললাম = আমাকে সবাই ছেড়ে চলে যায় ।
☑️কৃষ্ণ বললেন = আমি কখনই আমার ভক্ত কে ছেড়ে যাই না ।
✅আমি বললাম = আমাকে সাহায্য করার মতো কেউ নেই ।
☑️কৃষ্ণ বললেন = আমার ভক্ত কে সাহায্য করা টা আমার কর্তব্য ।
✅আমি বললাম = আমি দেখতে অসুন্দর ।
☑️কৃষ্ণ বললেন = আমার সৃষ্টি কখন ও অসুন্দর হয় না ।
✅আমি বললাম = আমার আপন বলতে কেউ নেই ।
☑️কৃষ্ণ বললেন = আমার ভক্তের জন্য আমি যথেষ্ঠ ।
উদাহরণ ,
মহাভারত এর যুদ্ধের সময় আমি শুধু পঞ্চ পান্ডবদের পাশে ছিলাম কারণ তারা আমার ভক্ত ছিল । (সংগৃহীত)

🌻🥀 --হরে কৃষ্ণ ----🌿🍁
🌺🌹------ রাধে রাধে-------🥀🌻

02/12/2022

=> শ্রী কৃষ্ণ কে?
=> শ্রী কৃষ্ণ এত আকর্ষনীয় কেন?
=> শ্রী কৃষ্ণ কোথায় অবস্থান করেন?
=> শ্রী কৃষ্ণ কেন আবির্ভূত হন?

> শ্রী কৃষ্ণ কে?
- শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন পরমেশ্বর ভগবান, পরমব্রহ্ম। শ্রীকৃষ্ণই সকল সত্তার উৎস। হরে কৃষ্ণ সম্প্রদায় শ্রীকৃষ্ণই আদি, মধ্য এবং অন্ত্য। শ্রীকৃষ্ণই অজাত, অজম। সর্বকারনের পরম কারণ। শ্রীকৃষ্ণ পূর্ণ-পুর্নম।

> শ্রী কৃষ্ণ এত আকর্ষনীয় কেন?
- শ্রীকৃষ্ণ সর্ব ঐশ্বর্যে পূর্ণ। তার মধ্যে সকল ঐশ্বর্য, সকল শ্রী, সকল বীর্য, সকল জ্ঞান, সকল যশ, সকল বৈরাগ্য পূর্ণরূপে বিরাজমান।

> শ্রী কৃষ্ণ কোথায় অবস্থান করেন?
- চিন্ময় জগতের গোলক বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং বিরাজমান। গোলক বৃন্দাবনবেষ্টনকারী অন্তহীন চিৎজগতের বৈকুন্ঠধামে শ্রীকৃষ্ণ চতুর্ভুজরূপী নারায়নরূপে বিরাজমান। শ্রীকৃষ্ণ সর্বপ্রথম মহাবিষ্ণু রূপে নিজেকে বিস্তার করেন এবং এই সীমাবদ্ধ জড়ো বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করেন। হরে কৃষ্ণ সম্প্রদায় শ্রীকৃষ্ণ প্রতিটি ব্রহ্মান্ডে গর্ভোদকশায়ী বিষ্ণুরূপে প্রবেশ করেন এবং সেগুলিকে পরিচালনা করেন।

শ্রীকৃষ্ণ প্রতিটি জীবসত্তা, জড়বস্তু, সক্রিয় কিংবা নিস্ক্রিয় শরীরে ক্ষীরোদকশায়ী বিষ্ণুরূপে প্রবেশ করেন এবং তাদের প্রতিপালন করেন।
(এই ক্ষীরোদকশায়ী বিষ্ণুই হলেন পরমাত্মা)

> শ্রী কৃষ্ণ কেন আবির্ভূত আবির্ভূত হন?
- যখন এবং যেখানে ধর্মীয় অনুশাসনের অধ:পতন ঘটে এবং অধর্মের অভূত্থান ঘটে ঠিক তখনি সাধুদের পরিত্রানকরার জন্য এবং দুস্কৃতিকারীদের বিনাশ করার জন্য শ্রীকৃষ্ণ যুগে যুগে অবতীর্ণ হন।

"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে"
"হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে"

27/11/2022

🏵️ শ্রীকৃষ্ণের বিদুষী নারীবেশ 🏵️

🔹একবার শ্রীকৃষ্ণ জ্যোতিষ শাস্ত্র, মন্ত্র, যোগ, তন্ত্রাদি জানতে পারে এমন এক বিদুষী নারী বেশ ধারণ করে শ্রীরাধাজী কাছে গেলেন।

🔹 শ্রীরাধাজী আজ বিদুষী নারীকে দেখে কিছু প্রশ্ন বললেন---"হে সর্বজ্ঞ! ত্রিলোকে সবচেয়ে সুখকারী আশ্রয় বা সদন কোথায় ?"

🔹 শ্যামসুন্দর রাধার মনে আনন্দ দিতে প্রশ্নের উত্তর সেই বুঝে দিতে লাগলেন।

‌বিদুষী বললেন--- "শ্রীকৃষ্ণের ব্রজে।"

🔹শ্রীরাধা বললেন---"তুমি তো অনেক জানো। বলো আমার এই জগতের জীবনের অবলম্বন কি?"

বিদুষী বললেন ---"শ্রীকৃষ্ণ নাম।"

🔹 শ্রীরাধা বললেন--- " আমার জন্য কোন বস্তু অত্যন্ত মঙ্গলপ্রদ?"

বিদুষী রূপী কৃষ্ণ বললেন-- "শ্রীকৃষ্ণকে প্রাপ্তির ইচ্ছা।"

🔹শ্রীরাধা বললেন----" আমার জীবনের একমাত্র আস্বাদনের কি আছে?"

বিদুষী বললেন---"শ্রীকৃষ্ণের রূপ।"

➖ বিদুষি শ্রীমতির মন বুঝে উত্তর দিচ্ছেন। তা শুনে খুব খুশি শ্রীরাধা।

🔹 শ্রীরাধা ----"এই জগতের শ্রেষ্ঠ ফল কি? তা আমায় বলো।"

বিদুষী রূপী শ্যাম বললেন--- "সবকিছুতে কৃষ্ণ উপলব্ধি করা। যা সবসময় তুমি করো।"

🌹 শ্রীকৃষ্ণ একনিমিষে চতুরালী করে সব উত্তর দিল। এটা শুনে শ্রীরাধার মনে সন্দেহ হল।
"হোক না হোক এই বিদুষী নারী আমার শ্যামসুন্দর।
এমন উত্তর আমাকে তাড়াতাড়ি কোন সাধারণ বিদুষী স্ত্রী হতে পারে না।"

🌹 রাধারাণী শ্যামের চোখে ভাল করে দেখল। মন্দ মন্দ হাসতে লাগল শ্রীমতি। আবার হাসি লুকাতে লাগল রাধে।

🔸 শ্রীরাধাকে দেখতে শ্যামসুন্দরও হাসতে লাগল। বলল---"ও প্যারী!! আজ আপনার এমন নতুন কৌতুক রূপ। এই রূপ কেন। আজ নিজ মুখে নিজের মহিমা গাইতে লাগে। এ কেন নাথ?"

🔹শ্যামসুন্দর বলল---"রাধে! মহিমা তো আমি তোমার গাইছিলাম।পরন্তু কৃষ্ণ কৃষ্ণ শুনে তোমার যে প্রতিমুহূর্তে তোমার মুখটা এত আনন্দিত হচ্ছিল, শুধু এটা দেখতে আজ আমার এই বেশ ধারণ করা। সব তোমার জন্য রাধে।"

💝👏 জয় রাধারমণ 👏💝

☘️🍁☘️🍁☘️🍁☘️🍁☘️🍁☘️🍁☘️🍁☘️

26/11/2022

প্রত্যেক হিন্দু (সনাতন) নারীদের এই কাজ গুলো অবশ্যই করা উচিত।
(১) ভোর বেলা বাসি কাপড় ছাড়া।
(২) সকাল বেলা বাসি দুয়ার ধোঁয়া।
(৩) সকালে স্নান করে পূজা দেয়া।
(৪) সন্ধ্যাবেলা দুয়ারে গঙ্গাজল ছিটানো।
(৫) সন্ধ্যাবেলায় তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বালানো।
(৬) সন্ধ্যা বেলায় শঙ্খ ও ঘন্টা বাজানো।
(৭) উলুধ্বনি দেয়া।
(৮) ধোয়া শাড়ি পরে সন্ধ্যে পূজা দেওয়া।
(৯) ঠাকুর আসনের সামনে বসে কীর্তন করা।
(১০) রাতে ঘুমানোর আগে ভগবানের নাম স্মরন করা।
(১১) নিয়মিত ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠ করা বা মন্দিরে গিয়ে শ্রবণ করা।
(১২) সপ্তাহে অন্তত একদিন সন্তানকে মন্দিরে নিয়ে যাওয়া।🙏🙏

24/11/2022

ওঁ শব্দের অর্থ কী?

ওঁ শব্দের অর্থ হলো, ব্রহ্মা, বিষ্ণু,শিব।

পঞ্চতত্ত্ব কথাটির অর্থ কী?

পঞ্চতত্ত্ব কথাটির অর্থঃ পঞ্চ অর্থ পাঁচ।অর্থাৎ পাঁচ জন। তত্ত্ব অর্থ সত্যতা। সুতরাং পরম সত্যের পাঁচটি বিষয়।

পঞ্চ তত্ত্বের নাম গুলো কী কী?
চৈতন্য মহাপ্রভু, নিত্যানন্দ, অদ্বৈত আচার্য,গদাধর পন্ডিত, শ্রীবাস ঠাকুর।

শ্রীমদ্ভগবদগীতা কার মুখনিঃসৃত বানী?
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখনিঃসৃত বানী।

শ্রীমদ্ভগবদগীতা কে রচনা করেন?
মহর্ষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস।

১৬ নাম ৩২ অক্ষর কে কি মন্ত্র বলা হয়?

মহামন্ত্র বলা হয়, হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে রাম।

এই মহামন্ত্রটি আমরা কোন গ্রন্থ থেকে পেয়েছি?
কলিসন্তরন উপনিষদ থেকে।

পঞ্চতত্ত্ব মন্ত্র কে কি মন্ত্র বলা হয়?
পঞ্চ তত্ত্বের মন্ত্রকে করুণাময় মন্ত্র বলা হয়।

শ্রীমদ্ভগবদগীতার শ্লোক সংখ্যা কয়টি?

শ্রীমদ্ভগবদগীতার শ্লোক সংখ্যা সাতশটি।

শ্রীমদ্ভগবদগীতা কোন গ্রন্থের অন্তর্গত?

শ্রীমদ্ভগবদগীতা মহাভারতের ভীষ্ম পর্বের ২৫ থেকে ৪২ তম অধ্যায়ের অন্তর্গত।

সনাতন কথাটির অর্থ কী?

সনাতন কথাটির অর্থ হলো চিরন্তন, চিরস্থায়ী, নিত্য। যা অতীতে ছিল, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতে থাকবে।

যুগ কয়টি ও কি কি?
চারটি। যথাঃ সত্যযুগ, ত্রেতাযুগ, দ্বাপরযুগ ও কলিযুগ।

পঞ্চতত্ত্ব পূর্বে কে ছিলেন?

চৈতন্য মহাপ্রভু ছিলেন স্বয়ং ভগবান, নিত্যানন্দ ছিলেন বলরামের অবতার, অদ্বৈত আচার্য ছিলেন বিষ্ণু ও শিবের যৌথ অবতার, গদাধর ছিলেন রাধা ঠাকুরানীর এবং অনন্য সখীগন, শ্রীবাস ছিলেন নারদ মনি।

24/11/2022

🍂🌿কারো অনেক টাকা ছিল--কারো বা সুন্দর চেহারা।।

🍂🌿শরীরটা মাটি হয়ে যাবার পর এগুলো কেউ মনে রাখবে না।।

🌿🍂মনে রাখবেন আপনার কর্ম--আপনি কি করে গেছেন সেটা।।

🌿🍂চেহারা বা সম্পদ আজ আছে তো কাল নেই--কিন্তু কর্ম থেকে যাবে আপনার অনন্তকাল।।

🍂🌿আপনার উপার্জিত একটা টাকাও আপনি সাথে নিয়ে যেতে পারবেন না।।

🍂🌿একমাত্র সাথে যাবে মধুমাখা হরি নাম।

🌿🌿তাই দেহটা মাটি হবার আগে মধুমাখা কৃষ্ণ নামটি স্মরণ করুন।।
হরে কৃষ্ণ 🙏🙏🙏

18/11/2022

💅 বৃন্দাবন ধামের মহিমা।

🌹✍️ বিশ্বের সব তীর্থস্থান বা ধাম থেকে শ্রীধাম বৃন্দাবন বা ব্রজধাম সর্বোচ্চ স্থান বলে পরিচিত। কিন্তু তীর্থের মধ্যে বৃন্দাবনের নাম আসে না। তারপরও বৃন্দাবনকে "শ্রীধাম" বলা হয়। বৃন্দাবনের আধ্যাত্ম অর্থ ---
"বৃন্দায়া তুলস্যা বনং বৃন্দাবনং।" অর্থাৎ -- তুলসীর বিশেষ বন হবার কারণে তাকে বৃন্দাবন বলা হয়।

👉 বৃন্দাবন ব্রজের হৃদয়, যেখানে প্রিয়াজী-প্রিয়তম নিজেরা দিব্য লীলা করেন। এই দিব্য ভূমির মহিমা বড় বড় তপস্বীরাও বুঝতে পারেন না। বৃন্দাবন রসিকদের রাজধানী, যেখানে রাজা শ্যামসুন্দর আর মহারাণী শ্রীরাধিকাজী। এতে কোন সন্দেহ নেই যে বৃন্দাবনের প্রতিটি কোণ প্রেমরসে রসময়।
👉 সব ধামের উপরে ব্রজ ধাম, আর সব তীর্থের থেকে শ্রেষ্ঠ তীর্থ হলো বৃন্দাবন। এই শ্রেষ্ঠ তীর্থ বৃন্দাবনের মহিমা প্রসঙ্গে কিছু কথা।

🥰👋 ভগবান শ্রীনারায়ণ প্রয়াগ তীর্থকে সকল তীর্থের রাজা বানালেন। তাই প্রয়াগরাজকে সব তীর্থের কর দিতে হয়। কিন্তু বৃন্দাবন কখনো কর দেয় না। একবার দেবর্ষি নারদ প্রয়াগরাজকে জিজ্ঞাসা করলেন, "প্রয়াগরাজ জী, বৃন্দাবন আপনাকে কর দিতে আসে তো।"
তীর্থরাজ বললেন, "না নারদজী, বাকী সব তীর্থ এসে কর দেয়, কিন্তু ছোট বৃন্দাবন কখনো কর দেয় না। যখন কর চাইতে যাই তখন বলে, এখনো সময় হয় নাই, যখন সময় আসবে তখন দেবো। এখন বলুন কি করবো।"
দেবর্ষি বললেন, "তাহলে আপনি কেমন করে তীর্থরাজ হলেন?"
🥰👋 দেবর্ষির এই কথায় অত্যন্ত দুঃখীত হয়ে তীর্থরাজ ভগবানের কাছে এলেন। ভগবান তীর্থরাজের কাছে এসে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে বললেন, "এসো প্রয়াগরাজ, কী কারণে এলে।"
তীর্থরাজ বললেন, "প্রভুজী, আপনি আমাকে সব তীর্থের রাজা তো বানালেন, সব তীর্থ এসে আমাকে কর দেয়। কিন্তু বৃন্দাবন কখনো কর দেয় না।"
ভগবান প্রয়াগরাজকে বললেন, "আরে প্রয়াগরাজ, আমি তো তোমাকে তীর্থের রাজা বানিয়েছি। পাগল! নিজের ঘরের রাজা তো তোমাকে বানাই নি। বৃন্দাবন তো আমার প্রিয়া শ্রীকিশোরীজীর বিহার স্থল। এইটার অধিশ্বরী তিনি নিজেই। একবার অযোধ্যা যাও, দুবার দ্বারকা, তিনবার ত্রিবেণী, চারবার চিত্রকুট, নয়বার নাসিক, বারবার বদ্রীনাথ দর্শন করো। তবুও বৃন্দাবন দর্শনের সমান হয় না। বৃন্দাবন ধাম আমার শ্রীরাধার প্রাণ।

🌹 হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ 🌷 কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে 🌹
🌺 হরে রাম হরে রাম 🍀 রাম রাম হরে হরে 🌺

গ্রুপে জয়েন করে গ্রুপের পোষ্ট গুলো পড়ে ধর্ম জ্ঞান অর্জন করুন ।আপনার বন্ধুদের আমাদের গ্রুপে ইনভাইট করুন যাতে করে তারাও আপনার মত ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পায়।
(সংরক্ষিতা)

16/11/2022

👉👉 মহাভারত পড়ার সময় না থাকলেও এর মূল সূত্রগুলি আমাদের জীবনে কার্যকরী।

১🌹। যদি আপনি সময়মতো বাচ্চাদের ভুল দাবি ও জেদ নিয়ন্ত্রণ না করেন তবে শেষ পর্যন্ত আপনি অসহায় হয়ে যাবেন। :- কৌরব ❤️

২🌹। আপনি যতই শক্তিশালী হোন না কেন, অধর্মের পথে থাকলে আপনার জ্ঞান, অস্ত্র, শক্তি এবং আশীর্বাদগুলি সমস্তই নিষ্ফল হয়ে যাবে। :- কর্ণ ❤️

৩🌹। বাচ্চাদের এত উচ্চাভিলাষী করবেন না যে জ্ঞানের অপব্যবহার করে, নিজেকেই ধ্বংস করে এবং সকলের অমঙ্গল করে। :- অশ্বত্থমা❤️

৪🌹। কখনই কাউকে এমনপ্রতিশ্রুতি দেবেন না যাতে আপনাকে অন্যায়ের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হয়। :- ভীষ্ম পিতামাহ ❤️

৫🌹। সম্পত্তি, ক্ষমতা এবং অপকর্মের অপব্যবহারের ফলে আত্ম-ধ্বংস হয়। :- দুর্যোধন ❤️

৬🌹। ব্যক্তির ক্ষমতা ও অন্ধ পুত্রস্নেহ - তাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। :- ধৃতরাষ্ট্র ❤️

৭🌹। যদি ব্যক্তি জ্ঞানের দ্বারা আবদ্ধ থাকে তবে বিজয় অবশ্যই পাওয়া যায়। :- অর্জুন ❤️

৮🌹। আপনি প্রতিটি কাজে কৌশল, জালিয়াতি এবং ঠাট্টা তৈরি করে সর্বদা সফল হতে পারবেন না। :- শাকুনি ❤️

৯🌹। আপনি যদি নীতি, ধর্ম এবং কর্ম সফলভাবে অনুসরণ করেন তবে বিশ্বের কোনও শক্তি আপনাকে পরাস্ত করতে পারে না। :- যুধিষ্ঠির ❤️

👉👉 এই সূত্রগুলি থেকে শিক্ষা না নিলে আমাদের জীবনেও কুরুক্ষেত্র ঘটে যেতে পারে।🌺🌺
----স্বয়ং বিচার করুন -----

🙏❤️ জয় রাধামাধব ❤️🙏

03/11/2022

🌺 🍁 🌷 গীতা শাস্ত্রে হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র লেখা নাই, তাহলে কেন তা আমরা জপ ও কীর্তন করব???
☀গীতায় অনেক কিছু আলোচনা করা হয় নি,তাই ভগবদ্গীতা ১৬/২৪ শ্লোকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আমাদের দৈনন্দিন কর্তব্য ও অকর্তব্য নির্ধারনে শাস্ত্রকে অনুসরন করতে বলেছেন।
☀ শাস্ত্র বলতে বেদ, গীতা,পুরান,মহাভারত,রামায়ন,উপনিষদ ইত্যাদিকে বুঝায়।ভগবান কৃষ্ণ গীতা ১৬/২৪ শ্লোকে শাস্ত্রকে অনুসরন করতে বলেছেন,শুধু বেদ নয়।সে শ্লোকে বলা হয়েছে, শাস্ত্রই যর্থাথ প্রমান।
🏜কলিযুগের মুক্তি উপায় হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ ও কীর্তন।এটিই বৈদিক শাস্ত্রের সিদ্ধান্ত।
♥ " হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে। হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।।ইতি ষোড়শকং নাম্নাং কলির্কল্মষ নাশনং।নাতঃ পরতরোপায় সর্ব বেদেষু দৃশ্যতে।।"
অনুবাদঃ ষোলটি নাম সমন্বিত হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র কলির সমস্ত পাপ বিনষ্ট করে।এর থেকে শ্রেষ্ঠ পথ বেদের আর কোথাও খুজে পাওয়া যাবে না।
-কলির্সন্তরন উপনিষদ
♥ "কলে দোষ নিধে রাজন অস্তি এক মহান গুন।কীর্তনাৎ এব কৃষ্ণস্য মুক্তসঙ্গ পরং ব্রজেৎ।।"
অনুবাদঃকলি যুগ পাপের সমুদ্র।কিন্তু তার এক মহান গুন আছে।সেটি হচ্ছে,শ্রীকৃষ্ণের নামকীর্তন। যদি কেউ তা করে তাহলে অনায়াসে এই জড় জগৎ থেকে মুক্ত হয়ে শ্রীকৃষ্ণের ধামে প্রবেশ করতে পারে।
- শ্রীমদ্ভাগবত পুরান ১২/৩/৫১
♥" হরের্নাম হর্রেনাম হরের্নামৈব কেবলম।কলৌ নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব গতিরন্যথা।।"
অনুবাদঃ এই কলিযুগে হরিনাম ব্যতীত অন্য কোন গতি নেই, গতি নেই, গতি নেই।
- বৃহন্নারদীয় পুরান- ৩/৮/১২৬
♥ "হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে। হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।ইতি ষোড়শকং নাম্নাং কলির্কল্মষ নাশনং।নাতঃ পরতরোপায় সর্ব বেদেষু দৃষ্টতে।।"
অনুবাদঃ ষোলটি নাম সমন্বিত হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র কলির সমস্ত পাপ বিনষ্ট করে।এর থেকে শ্রেষ্ঠ পথ বেদের আর কোথাও দেখা যাবে না।
- ব্রহ্মান্ড পুরান
♥ " কৃতে যদধ্যায়তো বিষ্ণুং ত্রেতায়াং যজতো মখৈঃ।দ্বাপরে পরিচর্যায়াং কলৌ তদ্ধরিকীর্তানাৎ।। "
শব্দার্থঃ তদ্ধরিকীতর্নাৎ- তৎ ঠিক সেই ফল,হরি- হরি,কীতনাৎ- কীর্তনের মাধ্যমে।
অনুবাদঃযুগধর্ম ও মুক্তির পথ হিসেবে সত্যযুগে শ্রীবিষ্ণুর ধ্যান,ত্রেতাতে যজ্ঞ,দ্বাপরে অর্চন,এবং কলিযুগে হরিনাম সংকীর্তন নিধার্রিত হয়েছে।

13/10/2022

🏵ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দামোদর লীলা🏵

🏵কুবেরের দুই পুত্র নলকুবের ও মনিগ্রীব উদ্ধার🏵

🔹দেবতাদের কোষাধ্যক্ষ কুবেরের দুই পুত্র নলকুবের ও মনিগ্রীব । তাদের পিতা ধন ঐশ্বর্য মদে মত্ত ছিলো।

এক সময়ে নলকুবের ও মনিগ্রীব সর্গের অপ্সরাদের সঙ্গে নোগ্ন হয়ে একটি সরোবরে স্নানে মত্ত ছিলো ।

মহা মুনি নারদ তখন সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন।

কুবেরের দুই পুত্রের এই অভদ্র আচরণ কার্য দেখে নারদ মুনি অতি দুঃখিত হন।

নারদ মুনিকে দেখে তৎক্ষণাৎ অপ্সরারা তারা তাদের শরীরকে বস্ত্র দ্বারা আচ্ছাদিত করে নেয়। কিন্তু কুবেরের দুই পুত্র মদের নেশায় এতই মত্তছিলো যে, নারদ মুনিকে দেখেও তারা কোনো রকম লজ্জাবোধ করলো না ।

তাদের এই আচরণ দেখে নারদ মুনি ক্রুদ্ধ হয়ে অভিশাপ দিলেন । তোমরা সম্পূর্ণ অচেতন হয়ে গেছো তাই তোমাদের অভিশাপ প্রাপ্ত হবে, তোমরা কুবেরের পুত্রের পরিবর্তে তোমরা বৃক্ষ হয়ে জন্ম নেবে।

নারদ মুনির এই অভিশাপ প্রাপ্ত হওয়ার পর তাদের চেতনা হলো ,তারপর তারা দেবর্ষি নারদ মুনির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে লাগলো ।

তখন নারদ মুনি তাদের বললেন দুটি অর্জুন বৃক্ষ রূপে তোমাদের নন্দ রাজার অঙ্গনে জন্ম হবে ।

নন্দ রাজার পুত্র রূপে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দ্বাপর যুগে যখন আবির্ভাব হবেন, তখন সয়ং ভগবান তোমাদের উদ্ধার করবেন।
প্রকারান্তের দেবর্ষি নারদ মুনির অভিশাপ বরে পরিণীত হয়েছিল । কারণ এই অভিশাপ ফলে কুবেরের দুই পুত্র ভগবানের দর্শন প্রাপ্তির সৌভাগ্য হয়েছিলো এবং ভগবানের কৃপা প্রাপ্তি হয়েছিল।

🔹যথাক্রমে কুবেরের দুই পুত্র দ্বাপর যুগে তখন নন্দ মহারাজের অঙ্গনে জমলার্যুন রূপে জন্ম হয়।ভগবান কৃপাময় ভক্ত দেবর্ষি নারদ মুনির দেওয়া অভিশাপ এবং কুবেরের দুই পুত্রকে উদ্ধার করার হেতু ,ভগবান দামবদ্ধ অবস্থায় উদুখোল দিয়ে বৃক্ষ রুপি কুবেরের দুই সন্তানকে অর্থাৎ ঐ বৃক্ষ দুটি উৎপাটন করে তাদের উদ্ধার করেন।

তারপরে কুবেরের দুই পুত্র সেই অর্জুন গাছ থেকে বেরিয়ে শ্রী কৃষ্ণ ভগবানের দর্শন লাভ করে। তারা ভগবানের দামোদর রূপ দর্শন করে ধন্য হয় ।
শ্রী দামোদরের স্তুতি গুণকীর্তন করে মহা ভগবত ধাম ফিরে যান ।।
💖জয় দামোদরের জয়

12/10/2022

সনাতন ধর্মে অন্নকূট কী‼️এবং কেন‼️
কার্তিক মাসের ‘অন্নকূট’ বৈষ্ণবদের জনপ্রিয় উৎসবসমূহের অন্যতম। এইদিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে ৫৬ প্রকার ভোগ নিবেদন করতে হয়।
জানেন? এর প্রচলন কেন এবং কীভাবে?

দ্বাপর যুগ। ব্রজবাসীরা প্রতিবছর বৃষ্টির দেবতা দেবরাজ ইন্দ্রকে পূজা করতেন। কিন্তু বালক শ্রীকৃষ্ণ একবার পিতা নন্দরাজকে বলেন, ব্রজবাসীরা ইন্দ্রের থেকে অনেক বেশি কৃতজ্ঞ গাভীদের কাছে। যারা প্রতিবছর দুধ, ঘি, ননী, মাখন সরাবরাহ করে তাঁদের বেঁচে থাকার রসদ জোগায়।
অতএব, ইন্দ্রের বদলে গাভীপূজা করাই সমীচীন।

কথাটি শুনেই ক্ষুব্ধ হন ইন্দ্র। ফলস্বরূপ, বৃন্দাবনের ওপর ভারী বর্ষণ শুরু করেন। কিন্তু হরিও কী ছাড়ার পাত্র? তিনি বৃন্দাবনস্থিত গোবর্ধন পর্বত নিজ বামহাতের আঙুলে ধারণ করে তার তলায় সকল ব্রজবাসীকে আশ্রয় দেন। যে কারণে শ্রীকৃষ্ণের আরেক নামই হয়ে গেল, ‘গিরিধারী’।

মোট ৭ দিন তিনি গোবর্ধন ধারণ করেছিলেন। এ সময়টা নন্দরাজ গিরি গোবর্ধনের পূজা করতে থাকেন এবং প্রতিদিন অষ্টভোগের (প্রতি প্রহরে একটি করে ভোগ; সেই অনুযায়ী অষ্টপ্রহর অর্থাৎ একদিনে অষ্টভোগ) হিসাবে ৭×৮= মোট ৫৬ রকম ভোগ নিবেদন করেন তাঁকে। যাতে অন্নসহ ছিল নানাবিধ পদ। যদিও পাহাড় কখনোই দেবতায় রূপান্তরিত হননি। বিভিন্ন শাস্ত্রে বর্ণিত, স্বয়ং গিরিধারী কৃষ্ণই গোবর্ধনের রূপ ধারণ করে এই ভোগ গ্রহণ করেছিলেন।

এ ঘটনার উল্লেখ “মহাভারতে” রয়েছে।
বৈষ্ণবগণ বিশ্বাস করেন যে, শ্রীহরি সাতদিন গোবর্ধন ধারণ করেছিলেন। সে বিশ্বাস থেকেই প্রতিবছর কার্তিক মাসের শুক্লা প্রতিপদ তিথিতে শ্রীকৃষ্ণ পূজিত হন ভগবান গিরিধারী— এবং কোথাও কোথাও গোবর্ধনরূপে। তাঁকে ৫৬ রকম ভোগ নিবেদন করে ‘অন্নকূট’ পালন করা হয়।

হরে কৃষ্ণ।

Want your place of worship to be the top-listed Place Of Worship in Sylhet?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

শুভ নববর্ষ  ১৪৩১  বঙ্গাব্দ #রাধামাধব #রাধেরাধে #harekrishna #radharani #হরেকৃষ্ণ #harharmahadevॐ #harharmahadev #radhekr...
শুভ নববর্ষ  ১৪৩১  বঙ্গাব্দ#harharmahadevॐ #রাধামাধব #harekrishna #রাধেরাধে #radharani #harharmahadev #radhekrishna #radh...
#হরেকৃষ্ণ  #রাধামাধব #রাধেরাধে #harharmahadevॐ #radharani #harekrishna #radhekrishna #harharmahadev
#হরেকৃষ্ণ #harharmahadevॐ #radharani #harharmahadev #radheradhe #radhekrishna #harekrishna
#harekrishna #harharmahadevॐ #radharani #holi #harharmahadev #happyholi
#happyholi2024 #radharani #harekrishna #harharmahadevॐ #holi
#harekrishna
HAPPY HOLI#happy #holi #harekrishna #harharmahadev #hare_krishna_challenge #harharmahadevॐ #radheradhe #radharani
HAPPY HOLY25/03/2024#harekrishna #happy #harharmahadev #radheradhe #JoyShreeRam
#reelsviralシ  #lovers  #harekrishna  #radharani #radheradhe #krishna #krishnalove #JoyShreeRam
HAR HAR MOHADAV

Website

Address

Habiganj Sadar
Sylhet

Other Religious Centers in Sylhet (show all)
The Beauty Of Islam The Beauty Of Islam
Sylhet

ইসলামের সৌন্দর্য ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষুদ্র প্রয়াস �

Hare Krishna Hare Krishna
Bandhorghat, Shibbari
Sylhet

Amigos de la Misión Bangladesh Amigos de la Misión Bangladesh
Sylhet

Un lugar donde conocer la Misión que la Diócesis de Ibarra-Ecuador lleva a cabo en la Diócesis de Syl

Islamic quotes Islamic quotes
Sylhet, 3100

Help people to know about Islamic quotes

Practices of Islam Practices of Islam
Sylhet, 3171

Welcome To ISLAM, Welcome To Peace! Spreading The Message Of Love & Peace. Subscribe our YouTube channel � Practices Of Islam - Bangla �

Deen Daily Deen Daily
Atgram
Sylhet, 3190

It's an Islamic working page.

উহিব্বুকি ফিল্লাহ উহিব্বুকি ফিল্লাহ
Sylhet

ধর্মীয় শিক্ষামূলক পেইজ

Islamic midea Islamic midea
Sylhet

এটি একটি ইসলামিক পেজ। আপনারা এই পেজে লাইক এবং আপনাদের ফ্রেন্ডদেরকে ইনবাইট করুন।

Masjid Al-Furqan Masjid Al-Furqan
Fenchuganj
Sylhet

Islamic-Tv Islamic-Tv
Sylhet, 3100

"এটা একটা ইসলামিক ধর্মীয় পেজ লাইক দিয়?

Hafiz Muaz Ahmed Hafiz Muaz Ahmed
Shahi Eidgah Road, সিলেট
Sylhet