এসো ঈমানকে তাজা করি

Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from এসো ঈমানকে তাজা করি, Religious Bookstore, Shop # 303 ,2nd Floor , Sky view Shopping Complex,Zindabazar Point,, Sylhet.

07/02/2018

জেনে নিন কালিজিরার অপ্রচলিত ৮টি ব্যবহার
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ স. বলেছেন, “তোমরা কালোজিরা ব্যবহার করবে, কেননা এতে একমাত্র মৃত্যু ব্যতীত সর্ব রোগের মুক্তি রয়েছে”। কালিজিরাকে সব রোগের ওষুধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কালিজিরা সব ধরনের রোগের বিরুদ্ধে তুলনাহীন। আসুন জেনে নিই কালিজিরার এমন কিছু ব্যবহার, যেগুলো একেবারেই অপ্রচলিত।

১. স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে
কালিজিরা মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। প্রতিদিন নিয়ম করে আধা চা চামচ কাঁচা কালিজিরা অথবা ১ চা চামচ কালিজিরার তেল খান।

২. চুল পড়া রোধে
কালোজিরা চুলের গোড়ায় পুষ্টি পৌঁছে দিয়ে চুল পড়া রোধ করে এবং চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ও ১ চা চামচ কালিজিরার তেল একসাথে মিশিয়ে হালকা গরম করে নিন। চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট মাসাজ করুন। ১ ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

৩. ব্যথা কমাতে
যেকোনো ধরনের ব্যথা কমাতে কালিজিরার জুড়ি নেই। কালিজিরার তেল হালকা গরম করে নিয়ে ব্যথার জায়গায় মালিশ করুন, ব্যথা সেরে যাবে। বিশেষ করে বাতের ব্যথায় বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়।

৪. ফোঁড়া সারাতে
ব্যথাযুক্ত ফোঁড়া সারাতে কালিজিরা সাহায্য করে। তিলের তেলের সাথে কালিজিরা বাটা বা কালিজিরার তেল মিশিয়ে ফোঁড়াতে লাগালে ব্যথা উপশম হয় ও ফোঁড়া সেরে যায়।

৫. শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি করতে
দুই বছরের অধিক বয়সী শিশুদের কালোজিরা খাওয়ানোর অভ্যাস করলে দ্রুত শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটে। শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও অনেক কাজ করে কালোজিরা। দুই বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের কালোজিরার তেল সেবন করা উচিত নয়। তবে বাহ্যিক ভাবে ব্যবহার করা যাবে।

৬. দাঁতের ব্যথায়
দাঁত ব্যথা হলে, মাঢ়ি ফুলে গেলে বা রক্ত পড়লে কালিজিরা তা উপশম করতে পারে। পানিতে কালিজিরা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এই পানির তাপমাত্রা কমে উষ্ণ অবস্থায় এলে তা দিয়ে কুলি করুন। এতে দাঁত ব্যথা কমে যাবে, মাঢ়ির ফোলা বা রক্ত পড়া বন্ধ হবে। এছাড়া জিহ্বা, তালু ও মুখের জীবাণু ধ্বংস হবে।

৭. মাথা ব্যথায়
ঠাণ্ডাজনিত মাথাব্যথা দূর করতে কালিজিরা সাহায্য করে। একটি সুতি কাপড়ের টুকরায় খানিকটা কালিজিরা নিয়ে পুঁটুলি তৈরি করুন। এই পুঁটুলি নাকের কাছে নিয়ে শ্বাস টানতে থাকুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যথা সেরে যাবে। তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, ভেষজে রোগ নিরাময়, ভারতীয় বনৌষধি

৮. মেদ কমাতে
চায়ের সাথে কালিজিরা মিশিয়ে পান করলে তা বাড়তি মেদ ঝরে যেতে সাহায্য করে। একটি পাত্রে পানি নিয়ে চুলার ওপরে দিন। পানি ফুটে উঠলে চাপাতা ও সমপরিমাণ কালিজিরা পানিতে দিন। চায়ের রং হয়ে এলে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে সাধারণ চায়ের মতোই পান করুন

17/01/2018

ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান। ইসলামে অপূর্ণতা বলতে কোনকিছু নেই । আলোকিত মানুষ গড়ার লক্ষ্যে রাসুল সা. মানুষের জীবনঘনিষ্ঠ প্রতিটি বিষয় নিয়ে বলেছেন। এমনই ১০টি স্বভাবগত কাজ , যা রাসুল না. নিয়মিত করতেন এবং তার সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত।

এ বিষয়ে হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ১০টি কাজ স্বভাবগত-
১. মোচ বা গোঁফ কাটা;
২. (হাত ও পায়ের) নখ কাটা;
৩. অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধুয়ে পরিচ্ছন্ন রাখা;
৪. দাড়ি লম্বা করা;
৫. (নিয়মিত) মেসওয়াক করা;
৬. নাক (পানি দিয়ে) পরিস্কার করা;
৭. বগলের (নিচের) পশম উপড়ে ফেলা;
৮ . নাভির নিচের পশম কামানো;
৯. পেশাবের পর পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা এবং শৌচকর্ম করা।
১০. মুসআব ইবনে শায়ার বলেন, আমি দশম কথাটি ভুলে গেছি সম্ভবত তা হলো কুলি করা।
(নাসাঈ)

উল্লেখিত কাজগুলো মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে পাক-পবিত্র ও সুন্দর করে। যা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দৃষ্টি থেকে বাদ যায়নি।

এই ১০টি কাজগুলো সম্পর্কে হাদিসের শিক্ষা এবং পদ্ধতি হলো –

১. গোঁফ এতটুকু খাটো করা; যাতে পানি খাওয়ার সময় গোঁফে পানি না লাগে।
২. হাত ও পায়ের নখ অন্তত্ব প্রতি সপ্তাহে কাটা; কারণ হাত দিয়ে মানুষ খাওয়া-দাওয়াসহ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার অনেক কাজ করে থাকে। নখ না কাটলে নখের ভেতরে ময়লা জমে। নখের ভেতরের ময়লা মানুষের জন্য ক্ষতিকর।
৩. শরীরের যে সব জায়গায় পানি পৌঁছা সহজ নয় তা ভালোভাবে হাত দ্বারা ঘঁষে-মেঝে পানি পৌছানো আবশ্যক। কারণ শরীরে কোনো অঙ্গে পানি না পৌছলে ফরজ গোসল আদায় হবে না।
৪. দাড়ি কমপক্ষে এক মুষ্টি পরিমাণ লম্বা রাখা।
৫. নাক পরিষ্কার রাখা।
৬. প্রত্যেক নামাজের আগে অজুর সময় মেসওয়াক করার ফজিলত অনেক বেশি। মুখের দুর্গন্ধ থেকে হেফাজত থাকতে খাওয়া-দাওয়া, ওজু ও গোসলের আগে মেসওয়াক করা প্রিয়নবির উত্তম আমল।
৭. বগলের নিচের অযাচিত পশম উপড়ে ফেলা।
৮. নাভির নিচের পশম ৪০ দিন অতিবাহিত হওয়ার আগেই পরিষ্কার করা।
৯. পেশাব ও সৌচকার্যে ঢিলা-কুলুপ ব্যবহারের পর পানি ব্যবহার দ্বারা উত্তমরূপে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা।

উল্লেখিত কাজগুলো মানুষের জন্য ফিতরাত বা স্বভাবগত। যা ইসলাম পূর্ব অন্যান্য শরিয়তের অংশ ছিল। সব নবি-রাসুলগণই এ স্বভাবগত বিষয়গুলোর শিক্ষা দিয়ে গেছেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসে উল্লেখিত বিষয়গুলো যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

14/01/2018

ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের শায়খুল হাদিস হযরতুল উস্তাদ মুফতি সাঈদ আহমদ পালনপুরী বলেন, দু’টি কারণে আজ মুসলমানদের ওপর, ঘরে জিন-শয়তানরা ভর করে।

এক, ঘরে উচ্চ আওয়াজে তিলাওয়াতে কুরআন না হওয়া।
দুই, ঘরে নাপাক বস্তু রাখা, বিষেশত নারীরা বাচ্চাদের যে নাপাক কাপড়চোপড় রাখে।

আবুদাউদ শরিফের একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,
عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ” إِنَّ هَذِهِ الْحُشُوشَ مُحْتَضَرَةٌ ؛ فَإِذَا أَتَى أَحَدُكُمُ الْخَلَاءَ فَلْيَقُلْ : أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ
অর্থাৎ: বাথরুম জিন-শয়তানদের আস্তানা, অতএব তোমারা কেউ যখন বাথরুমে যাবে, সে যেন বলে আমি আল্লাহর আশ্রয় চাই দুশ্চরিত্র ও দুশ্চরিত্রা জিন থেকে।

অতএব ঘরে বেশি করে তিলাওয়ত করুন, এবং ঘর পবিত্র রাখুন। ইনশাআল্লাহ জিনদের অনিষ্ট থেকে পরিত্রাণ পাবেন।

11/12/2017

মেজবান ও মেহমানের কিছু আদব
মুহাম্মাদুল্লাহ ইবনে ইয়াকুব
মেহমানদারি একটি মহৎ গুণ, যা আত্মীয়তার বন্ধনকে মজবুত করে, বন্ধুত্বকে করে সুদৃঢ় এবং সামাজিক সৌহার্দ সৃষ্টিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। মেহমানদারি মুসলিমের একটি বিশেষ গুণ। সাহাবা-চরিত অধ্যয়ন করলে আমরা মুসলিমের এ গুণের অনন্য নজীর দেখতে পাই। আনসার-মুহাজিরদের মেহমানদারির নজীর পৃথিবীর ইতিহাসে মেলা ভার। আর তাঁরাই আমাদের পূর্বসূরী।
মেহমানদারি ছিল আমাদের নবীজীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য। নবীজীর উপর সর্বপ্রথম ওহী নাযিল হওয়ার পর যখন তিনি হয়রান-পেরেশান হয়ে খাদিজা রা.-এর কাছে আসলেন তখন খাদিজা রা. তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেছিলেন, আল্লাহ আপনাকে অপদস্থ করবেন না। এরপর নবীজীর যে উত্তম গুণাবলীর উল্লেখ করেছিলেন তার মধ্যে একটি ছিল- وَتَقْرِي الضَّيْفَ ‘আপনি তো মেহমানের সমাদর করেন’। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ সুন্নতকে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরেছিলেন তাঁর হাতেগড়া সাহাবায়ে কেরাম।
হাদীস শরীফে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিষয়টির প্রতি তাকিদ করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَاليَوْمِ الآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ.
আল্লাহ ও পরকালের প্রতি যে ঈমান রাখে সে যেন মেহমানের সমাদর করে। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬১৩৬
অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
لَا خَيْرَ فِيمَنْ لَا يُضِيفُ
যে মেহমানদারি করে না তার মাঝে কোনো কল্যাণ নেই। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৭৪১৯
আরেক হাদীসে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা.-কে লক্ষ করে বলেন, ...নিশ্চয়ই তোমার উপর তোমার মেহমানের হক রয়েছে। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬১৩৪
আর মেহমানদারির এ গুণে গুনাম্বিত ছিলেন মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম। তাঁর মেহমানদারির বর্ণনা কুরআনে কারীমে উল্লেখিত হয়েছে। আজকের অবসরে প্রথমে কুরআনে বর্ণিত ইবরাহীম আলাইহিস সালামের মেহমানদারির ঘটনা এবং তা থেকে শিক্ষণীয় কিছু আদব আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। সাথে সাথে মেহমান ও মেজবানেরও কিছু আদব আলোচনা করব। যাতে আমরা মেহমানের যথাযথ সমাদর করতে পারি এবং মেহমানদারির ফযীলত লাভ করতে পারি।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
هَلْ اَتٰىكَ حَدِیْثُ ضَیْفِ اِبْرٰهِیْمَ الْمُكْرَمِیْنَ، اِذْ دَخَلُوْا عَلَیْهِ فَقَالُوْا سَلٰمًا قَالَ سَلٰمٌ قَوْمٌ مُّنْكَرُوْنَ، فَرَاغَ اِلٰۤی اَهْلِهٖ فَجَآءَ بِعِجْلٍ سَمِیْنٍ، فَقَرَّبَهٗۤ اِلَیْهِمْ قَالَ اَلَا تَاْكُلُوْنَ، فَاَوْجَسَ مِنْهُمْ خِیْفَةً قَالُوْا لَا تَخَفْ، وَ بَشَّرُوْهُ بِغُلٰمٍ عَلِیْمٍ.
(হে রাসূল!) আপনার কাছে কি ইবরাহীমের সম্মানিত অতিথিদের বৃত্তান্ত পৌঁছেনি! যখন তারা ইবরাহীমের কাছে উপস্থিত হয়ে বলল, সালাম, তখন সেও বলল, সালাম এবং মনে মনে চিন্তা করল যে, এরা তো অপরিচিত লোক। অতপর সে চুপিসারে নিজ পরিবারবর্গের কাছে গেল এবং একটি মোটাতাজা (ভুনা) বাছুর নিয়ে আসল, এবং তা সে অতিথিদের সামনে রাখল এবং বলল, আপনারা খাচ্ছেন না যে! এতে তাদের সম্পর্কে তার মনে ভীতির সঞ্চার হল। তারা বলল, ভীত হয়ো না। অতপর তারা তাকে এক জ্ঞানী পুত্র সন্তানের সুসংবাদ দিল। -সূরা যারিয়াত (৫১) : ২৩-২৭
সূরা হুদে আছে-
فَمَا لَبِثَ اَنْ جَآءَ بِعِجْلٍ حَنِیْذٍ، فَلَمَّا رَاٰۤ اَیْدِیَهُمْ لَا تَصِلُ اِلَیْهِ نَكِرَهُمْ وَ اَوْجَسَ مِنْهُمْ خِیْفَةً ...
অতপর সে (ইবরাহীম আ.) অবিলম্বে তাদের আতিথেয়তার জন্য একটি ভুনা করা বাছুর নিয়ে আসল। কিন্তু যখন দেখল তাদের হাত সেদিকে (অর্থৎ বাছুরের দিকে) এগুচ্ছে না তখন তাদের ব্যাপারে তার খটকা লাগল এবং তাদের দিক থেকে অন্তরে শংকা বোধ করল। -সূরা হুদ (১১) : ৬৯-৭০
উপরোক্ত আয়াতগুলোর আলোকে উলামায়ে কেরাম মেহমানদারির কিছু আদব বর্ণনা করেছেন :
১. মেজবান নিজেই মেহমানের আপ্যায়ন করবে। কেননা, ইবরাহীম আ. মেহমানের জন্য নিজেই খাবার নিয়ে এসেছেন। অন্য কাউকে আদেশ করেননি। -জিলাউল আফহাম, পৃ. ১৭৪
তাই পারতপক্ষে নিজেই আপ্যায়নের চেষ্টা করা উচিৎ। আর খাদেম বা অন্য কারো দ্বারা মেহমানদারি করালে নিজেও খাবার আনা নেয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে।
২. মেহমান আসার পর দ্রুত মেহমানদারির ব্যবস্থা করা। -তাফসীরে কুরতুবী (৯/৪৩)
উপস্থিত যা থাকবে তা দিয়েই আপ্যায়ন করা। চাই তা শরবত বা চা-বিস্কুটই হোক। এরপর সাধ্য ও সামর্থ্যরে ভেতরে ভারসাম্যপূর্ণভাবে আরো ভাল কিছু করার চেষ্টা করা। কেননা, প্রথমেই ঘটা করে আপ্যায়নের জন্য মেহমানকে অভুক্ত বসিয়ে রাখা আদবের পরিপন্থী। ইবরাহীম আ.-এর ঘটনা থেকে এই আদবটা পাওয়া যায়। সূরা হুদের আয়াতে বলা হয়েছে فَمَا لَبِثَ অর্থাৎ মেহমান আসার পর অনতিবিলম্বে তিনি ভুনা বাছুর নিয়ে এলেন।
৩. আপ্যায়নের জন্য উপস্থিত যা থাকবে তার মধ্যে উত্তম ও উৎকৃষ্ট খাবার দ্বারা আপ্যায়ন করা। হযরত ইবরাহীম আ. অতিথিদের জন্য অল্প বয়সী হৃষ্টপুষ্ট বাছুর ভুনা করে নিয়ে এসেছেন। যা একটি উৎকৃষ্ট ও সুস্বাদু খাবার। মেহমানদারির জন্য তাঁর কাছে যা কিছু ছিল তন্মধ্যে এটিই ছিল সর্বোৎকৃষ্ট। -ইবনে কাসীর ৪/৩৬৩; রুহুল মাআনী ১২/৯৪
৪. মেহমানের সামনে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার পরিবেশন করা। যেন খাদ্য স্বল্পতার কারণে তৃপ্তিসহকারে খেতে তার লজ্জাবোধ না হয়। আমরা উপরের ঘটনায় দেখেছি, ইবরাহীম আ. মেহমানের সামনে ভুনাকরা গোটা একটি বাছুর পেশ করেছেন। অথচ এক বর্ণনা মতে জানা যায়, মেহমান ছিলেন শুধু তিন জন। -রুহুল মাআনী ১২/৯৩; কুরতুবী ৯/৪২
৫. মেহমানকে যেখানে বসানো হয়েছে সম্ভব হলে খাবার সেখানেই পেশ করার চেষ্টা করা। ইবরাহীম আ.-এর ঘটনা থেকে আমরা এই আদবটা পাই। কেননা তাঁর মেহমানদারির বর্ণনায় আছে- فَقَرَّبَهٗۤ اِلَیْهِمْ ভুনা বাছুরটি তিনি তাদের কাছে নিয়ে এলেন।
তবে প্রয়োজন হলে বা বিশেষ কারণ থাকলে এর ব্যতিক্রম করতেও দোষ নেই।
৬. মেহমানকে খাবার শুরু করার আবেদন করতে গিয়ে আদেশ বাচক শব্দ ব্যবহার না করা। বরং কোমল, মার্জিত ও নম্র ভাষা ব্যবহার করা। (গিযাউল আলবাব ২/১১৬) যেমন, ‘মনে হয় খাবার শুরু করা যায়’, ‘খাবার শুরু করলে কেমন হয়’, ‘খাবারের পর্বটা সেরে ফেলা যায় না!’ ইত্যাদি।
খাবার পরিবেশনের পর ইবরাহীম আ. যখন দেখলেন, তারা খাচ্ছেন না তখন কোমল ভাষায় বললেন, اَلَا تَاْكُلُوْنَ আপনারা খাচ্ছেন না যে! -ইবনে কাসীর ৪/৩৬৩
৭. খাবার বা নাস্তা দিব কি না- এমন প্রশ্ন মেহমানকে না করাই ভালো। কোনো কোনো সময় মেহমানকে তা সংকোচ ও দ্বিধায় ফেলে দেয়। যেমন ইবরাহীম আ. মেহমানদের জিজ্ঞেস করেননি; বরং অনতিবিলম্বে তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছেন।
তদ্রূপ খাবার নিয়ে আসার উদ্দেশ্যে মেহমানের সামনে থেকে এমনভাবে উঠে আসা ভালো, যেন সে বিষয়টা টের না পায়। কারণ মেযবান খাবার নিয়ে আসতে যাচ্ছে- এই ভাব প্রকাশ মেহমানের জন্য চাপ ও সংকোচের কারণ হতে পারে। ইবরাহীম আ.-এর মেহমানদারির ঘটনায় খাবার আনতে যাওয়ার বিষয়টি বিবৃত হয়েছে এভাবে- فَرَاغَ اِلٰۤی اَهْلِهٖ। এ বাক্যে رَاغَ শব্দটি روغان ক্রিয়ামূল থেকে এসেছে, যার অর্থ, চুপিসারে বা অগোচরে গমন। অর্থাৎ তিনি চুপিসারে মেহমানের সামনে থেকে উঠে স্ত্রীর কাছে গেলেন। -ইবনে কাসীর ৪/৩৬৩
তবে যে ক্ষেত্রে মেহমানের সংকোচবোধের সম্ভাবনা থাকবে না, সেক্ষেত্রে জিজ্ঞেস করেও খাবার আনা যেতে পারে।
৮. খাবার শুধু পরিবেশন করার দ্বারাই মেযবানের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। বরং মেহমান খাচ্ছেন কি না- সেদিক লক্ষ্য রাখাও কর্তব্য। তবে তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে মেহমানের মুখ ও পাতের দিকে তাকিয়ে থাকবে না, এতে তার অস্বস্তি বোধ হতে পারে। বরং উড়াল দৃষ্টিতে লক্ষ রাখবে। এই আদবটাও উক্ত ঘটনা থেকে বুঝা যায়। -তাফসীরে কুরতাবী ৯/৪৯; মা’আরিফুল কুরআন ৪/৬৪৯
এমনিভাবে খাওয়ার সময় কোন্ মেহমানের কী দরকার- সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা কর্তব্য। খাবার বা পানীয় না পেয়ে মেহমানকে যেন অপেক্ষা কিংবা খাবার সমাপ্ত করে ফেলতে না হয়। অনেক সময় এটা মেহমানের জন্য বিব্রতবোধের কারণ হয়।
কুরআনের এই আয়াতগুলো থেকেই আমরা মেহমানদারির আটটি আদব জানতে পারলাম। ইবনুল কায়্যিম রাহ. বলেন, ইবরাহীম আ.-এর ঘটনাসংবলিত উক্ত আয়াতে মেহমানদারির যে আদবগুলো এসেছে তা অত্যন্ত উৎকৃষ্ট আদব। -জিলাউল আফহাম, পৃ. ১৭৫
এ ছাড়াও মেহমানদারির আরো কিছু আদব রয়েছে। এখানে তার কয়েকটি পেশ করা হলো :
৯. মেহমান একাধিক হলে যিনি বয়স, ইলম বা মর্যাদায় বড় তার থেকে পরিবেশন শুরু করা। এরপর তাঁর ডানে যে থাকবে তাকে দেওয়া। তবে যদি উপস্থিত সবাই সমপর্যায়ের বা কাছাকাছি পর্যায়ের হয় তাহলে পরিবেশকের ডান পাশ থেকে শুরু করবে। -মিন আদাবিল ইসলাম পৃ. ৬১
১০. একাধিক মেহমানকে দাওয়াত দেওয়া হলে খাবারের সময় যদি দু’একজন অনুপস্থিত থাকে তাহলে তাদের জন্য এত বেশি অপেক্ষা না করা, যা উপস্থিত মেহমানদের জন্য বিরক্তিকর ও অসহনীয় হয়ে পড়ে।
১১. মেহমানের সাথে দস্তরখানে অংশগ্রহণের চেষ্টা করা। তবে কোনো কারণবশত না পারলে দোষ নেই।
১২. আপ্যয়নের ক্ষেত্রে বাহুল্য না করে সামর্থ্যরে মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণভাবে মেহমানের সমাদর করা। -ফিকহুল আখলাক ২/৩৪৬; মিন আদাবিল ইসলাম, পৃ. ৭০
হাকীমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রাহ. বলেছেন, ইসলামের সরলতা ও অনাড়ম্বরতার উপর আমাদের থাকা উচিত। মেহমানের জন্য কোনো আয়োজন করা হলে সেটা ভারসাম্যপূর্ণ হওয়া চাই। -ইসলাহুল মুসলিমিন, পৃ. ১২৬
১৩. মেহমানের আগমনে বিরক্ত না হওয়া। বরং সওয়াবের আশা করে ও তার হক আদায়ের উদ্দেশ্যে যথাসাধ্য সমাদর করার চেষ্টা করা। কেননা, মেহমান যা কিছু গ্রহণ করেন সেটা তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকেই নির্ধারিত রিযক। আমাদের তো এটাকে সৌভাগ্য মনে করা উচিত যে, আল্লাহর রিযক তারই বান্দা পর্যন্ত পৌঁছতে তিনি আমার মতো এক নগণ্যকে সামান্য শ্রম ব্যয়ের সুযোগ দিয়েছেন। যে শ্রমের বিনিময়ে তিনি আমাকে অশেষ নেকী দান করবেন। তাছাড়া মেহমানের সমাদর করা আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনেক বড় সুন্নত। মুমিন তো তাঁর প্রিয় নবীর সুন্নত সৌভাগ্য মনে করে পালন করবে।
১৪. নামাযের সময় হলে কেবলার দিক জানিয়ে দেয়া। তদ্রূপ অযুর জায়গা ও হাম্মাম চিনিয়ে দেয়া। -ইহইয়াউল উলূম ২/১৫
১৫. অযুর পর হাত-মুখ মোছার জন্য মেহমানকে নিজেদের ব্যবহৃত গামছা বা তোয়ালে না দেয়া। বরং তার জন্য আলাদা পরিচ্ছন্ন তোয়ালের ব্যবস্থা করা। -মিন আদাবিল ইসলাম, পৃ. ৭১
কারণ, নিজেদের ব্যবহৃত গামছা অনেক সময় একটু অপরিচ্ছন্ন থাকতে পারে। তাছাড়া অপরের গামছা/তোয়ালে ব্যবহার করতে অনেকের রুচিতে বাঁধে।
১৬. মেহমানের জন্য যে হাম্মাম ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হবে সেখানে যেন এমন কোনো কাপড়-চোপড় না থাকে যা দৃষ্টিকটু। -প্রাগুক্ত
১৭. ঘরের মানুষের আওয়াজ ও শব্দের কারণে মেহমানের নিদ্রা ও বিশ্রামের যেন ব্যঘাত না ঘটে সেদিকে পূর্ণ লক্ষ রাখা। -প্রাগুক্ত
১৮. মেহমানের খাতিরে ভাল পোষাক-পরিচ্ছেদ পরে পরিপাটি থাকা এবং সুন্দর বেশভূষা অবলম্বনের চেষ্টা করা। তবে অতিরঞ্জন না হয় সেটাও লক্ষণীয়। -প্রাগুক্ত
১৯. মেহমান যেই হোক পূর্ণ যত্ন ও রুচিশীলতার সাথে মেহমানদারি কাম্য। মেহমান পরিচিত বা ঘনিষ্ঠজন হওয়ার কারণে তার সমাদরের ক্ষেত্রে ত্রুটি না করা। -প্রাগুক্ত
২০. মেহমানের ব্যক্তিত্ব, অবস্থা, পরিবেশ ও স্থান কাল বুঝে তার সাথে কিছু সরস কথাবার্তা বলা।
২১. কারো কোনো অসংলগ্ন কথা, কাজ কিংবা অন্য কোনো কারণে মেহমানের সামনেই তার উপর রেগে যাওয়া উচিত নয়। হাঁ, তখনই বলা আবশ্যক হলে আড়ালে গিয়ে বলবে। -গিযাউল আলবাব ২/১১৭
তেমনি ঘরওয়ালাদের সাথেও কোনো বিষয় নিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করবে না; এতে মেহমান ভাবতে পারেন আমার আগমনে হয়তো ঘরওয়ালা বিরক্ত।
২২. মেহমানের সামনে সহাস্যবদনে থাকার চেষ্টা করা। -প্রাগুক্ত
২৩. খাবারের পর্ব পরিপূর্ণভাবে শেষ হওয়ার আগেই দস্তরখান না উঠানো।
২৪. মেহমান বিদায়ের সময় দরজা পর্যন্ত তাকে এগিয়ে দেওয়া এবং সাথে সাথে দরজা লাগিয়ে না দেওয়া; বরং খানিকটা দূরে চলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা।
মেহমানের আদব
মেযবানের মতো মেহমানেরও কিছু করণীয় ও আদব রয়েছে। নিম্নে তার কিছু উল্লেখ করা হল-
১. কারো বাড়িতে প্রবেশের সময় দৃষ্টি অবনত রাখা, যেন ঘরের কোনো নারীর প্রতি দৃষ্টি না পড়ে যায়। -মিন আদাবিল ইসলাম, পৃ. ৩৪
২. (পরিস্থিতি বিবেচনা করা) মেযবান বসতে বলার আগে না বসা। তদ্রূপ নিজের থেকে কোনো জায়গায় বসে না পড়া। বরং মেযবান যেখানে বসতে বলবেন সেখানে বসবে। -মিন আদাবিল ইসলাম, পৃ. ৩৫
৩. যে ঘরে বা যে দিকে নারীরা অবস্থান করে সেদিকে দৃষ্টিপাত না করা।
৪. মেযবানের কাছে এত বেশি সময় অবস্থান না করা, যা তার জন্য কষ্টের কারণ হয়। -মিন আদাবিল ইসলাম, পৃ. ৩৯
৫. মেযবানের কাছে নির্দিষ্ট কোনো খাবারের আবদার না করা। হাঁ, যদি তার সাথে উষ্ণ সম্পর্ক হয় এবং এই আবদারে তিনি খুশি হন তাহলে দোষ নেই।
৬. খাবার পর্ব শেষ হওয়ার পর বেশি কথাবার্তা বা আলাপচারিতায় লিপ্ত না হয়ে যত দ্রুত সম্ভব মেযবানের কাছ থেকে বিদায় নেয়া। -আহকামুল কুরআন, ইবনুল আরাবী ৩/১৭৭
৭. মেজবানের অবস্থা বুঝতে চেষ্টা করা। এত বেশিদিন অবস্থান না করা, যে কারণে মেজবানের কষ্ট হয় এবং মেহমানকে খাওয়ানোর মতো ভালো কিছু তার কাছে থাকে না ।
হাদীস শরীফে এসেছে, কোনো মুসলিমের জন্য এটা বৈধ নয় যে, সে তার ভাইয়ের কাছে এত বেশিদিন অবস্থান করে যে তাকে গুনাহে লিপ্ত করে। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, এটা কীভাবে? নবীজী বললেন, মেহমান এতদিন অবস্থান করল যে তাকে খাওয়ানোর মত কিছু মেজবানের কাছে অবশিষ্ট থাকল না। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৪৮
৮. মেহমানের সাথে যদি অনিমন্ত্রিত কেউ যুক্ত হয় তাহলে মেযবানের কাছে তার ব্যাপারে অনুমতি নেয়া।
৯. মেযবানের জন্য দুআ করা। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বিভিন্ন দুআ বর্ণিত হয়েছে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার আব্দুল্লাহ ইবনে বুস্র রা.-এর বাবার আতিথ্য গ্রহণের পর তার জন্য নি¤েœাক্ত দুআ করেছিলেন-
اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِيْ مَا رَزَقْتَهُمْ، وَاغْفِرْ لَهُمْ وَارْحَمْهُمْ.
হে আল্লাহ! আপনি তাদের রিযিকে বরকত দান করুন, তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং তাদের প্রতি রহম করুন। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২০৪২
তেমনি কারো কাছে ইফতার করলে বা আতিথ্য গ্রহণ করলে নিম্নের দুআও পড়বে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার সা‘দ ইবনে উবাদার কাছে এলে তিনি তার সামনে খাবার পেশ করলেন। খাবার শেষে নবীজী দুআ করলেন-
أفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُوْنَ، وَأَكَلَ طَعَامَكُمُ الْأَبْرَارُ، وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلاَئِكَةُ.
রোজাদারেরা তোমাদের কাছে ইফতার করুন, নেক লোকেরা তোমার আতিথ্য গ্রহণ করুন এবং ফিরিশতারা তোমাদের জন্য রহমতের দুআ করুন। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৮৫৪; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১২১৭৭
অন্য বর্ণনায় দুআটি এভাবে আছে-
أَكَلَ طَعَامَكُمُ الْأَبْرَارُ، وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلَائِكَةُ، وَأَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُونَ
-মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১২৪০৬
তেমনিভাবে যে পান করালো বা আহার করালো তার জন্য নিম্নোক্ত শব্দমালায় দুআ করা যেতে পারে-
اَللّهُمَّ أَطْعِمْ مَنْ أطْعَمَنِيْ، وَاسْقِ مَنْ سَقَانِيْ.
হে আল্লাহ! যে আমাকে আহার করাল আপনি তাকে আহার দান করুন এবং যে আমাকে পান করাল তাকে আপনি পান করান। -সহীহ মুসলিম ২/২৮৪, হাদীস ২০৫৫ (ভিন্ন একটি প্রেক্ষাপটে)
এগুলোর সাথে সাথে বা এ সকল আরবী দুআ জানা না থাকলে নিজ ভাষায়ও মেজবানের জন্য দুআ করা যায়।
১০. মেহমানদারিতে কোনো অসঙ্গতি বা ত্রুটি দেখা দিলে কোনো মন্তব্য না করা এবং মনক্ষুন্ন না হওয়া; বরং হাসিমুখে বিদায় নেওয়া।
মেহমান-মেযবানের কিছু আদব বর্ণনা করার পর মেহমানদারির অনন্য নজীর ও মেহমানদারির ফযীলত বিষয়ে এক সাহাবীর ঘটনা উল্লেখ করে শেষ করছি।
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে কোনো মেহমান আসলে তিনি আগে নিজে তার মেহমানদারির চেষ্টা করতেন অন্যথায় সাহাবীদের তার মেহমানদারির জন্য উৎসাহিত করতেন। হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, একবার নবীজীর কাছে এক মেহমান এল। নবীজী তাঁর স্ত্রীগণের ঘরে খোঁজ নিলেন- মেহমানদারির মত কিছু আছে কি না। কিন্তু জবাব এল- ঘরে পানি ছাড়া আর কোনো খাবার নেই। তখন প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণের উদ্দেশে বললেন, তোমাদের মধ্যে কে আছ তার মেহমানদারি করতে পারো? এক আনসারী সাহাবী বললেন, আমি আছি ইয়া রাসূলাল্লাহ! তখন তিনি মেহমানকে নিজের বাসায় নিয়ে গেলেন। স্ত্রীকে বললেন, নবীজীর মেহমানের কদর কর। স্ত্রী বললেন, আমাদের কাছে বাচ্চাদের খাওয়ার পরিমাণ খাবার ছাড়া আর কিছুই নেই। সাহাবী বললেন, খাবার প্রস্তুত কর এবং বাচ্চাদের ঘুম পাড়িয়ে দাও। আর আমরা খাবার শুরু করার সময় তুমি বাতি ঠিক করার বাহানা করে বাতি নিভিয়ে দিবে। স্ত্রী তাই করলেন। খাবারের সময় অন্ধকারে তারা এমন ভাব করলেন যেন মেহমানের সাথে তারাও খাচ্ছেন। মেহমান তৃপ্তিভরে খেলেন আর তারা উপোস রাত কাটিয়ে দিলেন। তাদের এ কাজে আল্লাহ খুশি হলেন। সকালে যখন সাহাবী নবীজীর কাছে আসলেন, তিনি বললেন, গত রাতে আল্লাহ তোমাদের প্রতি হেসেছেন এবং তোমাদের উক্ত কাজে খুব খুশি হয়েছেন। আয়াত নাযীল হল-
وَيُؤْثِرُونَ عَلَى أَنْفُسِهِمْ وَلَوْ كَانَ بِهِمْ خَصَاصَةٌ ...
এবং তারা অন্যদেরকে নিজেদের উপর অগ্রাধিকার দেয় নিজেরা অভাবগ্রস্ত হলেও। যাদেরকে অন্তরের কার্পণ্য থেকে মুক্ত রাখা হয়েছে তারাই সফলকাম। [সূরা হাশর (৫৯) : ৯] -সহীহ বুখারী, হাদীস ৩৭৯৮
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে মেহমানদারির উসূল ও আদবের দিকে লক্ষ রেখে মেহমানের হক আদায় করা এবং আদর্শ মেহমান হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমীন। 

11/12/2017

সুখী দাম্পত্যের চাবিকাঠি
মাওলানা ইউসুফ লুধিয়ানবী
হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনÑ
خَيْرُكُمْ خَيْرُكُمْ لأَهْلِهِ وَأَنَا خَيْرُكُمْ لأَهْلِي
তোমাদের মাঝে সে সবচে’ ভালো, যে তার পরিবারের জন্য ভালো। আর আমি আমার পরিবারের জন্য সবারচে’ ভালো। Ñজামে তিরমিযী ২/২২৮, হাদীস ৩৮৯৫; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৪২
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনÑ
أَكْمَلُ الْمُؤْمِنِينَ إِيمَانًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا، وَخَيْرُكُمْ خَيْرُكُمْ لِنِسَائِهِمْ .
সবচে’ কামিল মুমিন সে, যার স্বভাব ও আচরণ সবচে’ ভালো। আর তোমাদের মাঝে শ্রেষ্ঠ সে, যে তার স্ত্রীর জন্য শ্রেষ্ঠ। Ñজামে তিরমিযী ১/২১৯, হাদীস ১১৬২
ব্যাখ্যা : এ বিষয়ে আরো অনেক হাদীস রয়েছে, যা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, কারো ভালো-মন্দের একটি মাপকাঠি হল স্ত্রীর সাথে তার আচরণ। আল্লাহ তাআলা বৈবাহিক সম্পর্র্ককে মিয়াঁ-বিবি উভয়ের জন্য শান্তি ও পবিত্রতার মাধ্যম বানিয়েছেন এবং এ মধুর সম্পর্ককে তাঁর বিশেষ নিআমতসমূহের মধ্যে গণ্য করেছেন। মিয়াঁ-বিবি উভয়ে যদি একে অপরের হকের বিষয়ে খেয়াল রাখে, তাহলে এ সম্পর্কই পুরো পরিবেশকে জান্নাতী পরিবেশে পরিণত করে। পক্ষান্তরে খোদানাখাস্তা এ সম্পর্কে যদি চির ধরে তাহলে পুরো পরিবেশ বিষিয়ে ওঠে এবং জীবনটাই একটা বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। এতে কেবল পার্থিব সুখ-শান্তিই বিদায় নেয় না, ধীরে ধীরে তা দ্বীন ও ঈমান, দুনিয়া ও আখেরাত সবকিছুই বরবাদ করে ছাড়ে। আর এ কারণেই শয়তান স্বামী-স্ত্রীর মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি করতে পারলে যত পুলকিত হয়, অন্য কিছুতেই তত হয় না। সহীহ মুসলিমের একটি হাদীসে আছেÑ
إِنّ إِبْلِيسَ يَضَعُ عَرْشَهُ عَلَى الْمَاءِ، ثُمّ يَبْعَثُ سَرَايَاهُ، فَأَدْنَاهُمْ مِنْهُ مَنْزِلَةً أَعْظَمُهُمْ فِتْنَةً، يَجِيءُ أَحَدُهُمْ فَيَقُولُ: فَعَلْتُ كَذَا وَكَذَا، فَيَقُولُ: مَا صَنَعْتَ شَيْئًا، قَالَ ثُمّ يَجِيءُ أَحَدُهُمْ فَيَقُولُ: مَا تَرَكْتُهُ حَتّى فَرّقْتُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ امْرَأَتِهِ، قَالَ: فَيُدْنِيهِ مِنْهُ وَيَقُولُ: نِعْمَ أَنْتَ.
ইবলিস পানির উপর তার আসন পাতে। তারপর মানুষকে বিপথগামী করার জন্য তার চেলাদের এদিক ওদিক প্রেরণ করে। যে যত বিপথগামী করতে পারে, সে তার তত নৈকট্য অর্জন করে। তো ইবলিস যখন তার পেয়াদাদের কার্যবিবরণী শোনে তখন এক চেলা বলেÑ আজ আমি অমুকের মাধ্যমে এই এই গোনাহ সংঘটিত করেছি। ইবলিস বলে, নাহ, কিছুই করতে পারিসনি। আরেক চেলা বলে, আমি অমুকের পিছে লেগেই ছিলাম। তাকে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আর স্ত্রীকে তার বিরুদ্ধে এমনভাবে ক্ষেপিয়ে তুলি যে, অবশেষে এদের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে এসেছি। ইবলিস এ শুনে তাকে জড়িয়ে ধরে। বলে, শাবাশ! কাজের কাজ তুমিই যা করেছ। Ñসহীহ মুসলিম, হাদীস ২৮১৩
স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারলে শয়তানের এত আনন্দ কেন? কারণ স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের অবনতি ও বিচ্ছেদ শুধু তাদের দুয়ের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে না। উভয়ের পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবার সম্পর্ককেই তা প্রভাবিত করে। যার কারণে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়।
বৈবাহিক সম্পর্কের এই গুরুত্বের নিরিখে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলমানদের যে হেদায়েত দিয়েছেন, তা যথাযথ মেনে চললে পরিবারিক অশান্তি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
এ প্রসঙ্গে সীরাত ও সুন্নাহ্র এক গুরুত্বপূর্ণ হেদায়েত হল, পরিবার-পরিজনের সাথে সুন্দর ও কোমল ব্যবহার। ঘরের ভেতর আইনের শাসন চলে না। এখানে প্রীতি ও ভালবাসা এবং আখলাক ও ব্যক্তিত্বের প্রভাবই কার্যকর হয়। যারা নিজের ঘরে সামান্য সামান্য বিষয়ে চটে যান, হুমকি ধমকি ও রুক্ষতার দ্বারা দাম্পত্যের চাকা সচল রাখতে চান, তারা আসলে বিকারগ্রস্ত। সুন্দর ব্যবহার পাওয়া স্ত্রীর সবচে’ বড় হক এবং ঈমানের দাবি।
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপরোক্ত নির্দেশনা যদিও মৌলিকভাবে পুরুষের উদ্দেশে এবং ঘরে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পরিবেশ গড়ে তোলাও মৌলিকভাবে তারই দায়িত্ব, তথাপি মুসলিম রমণীগণও এখান থেকে দিকনিদের্শনা গ্রহণ করতে পারেন; করা উচিতও বটে। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঈমানের পূর্ণতায় তিনিই অগ্রগামী, যিনি অন্যের চেয়ে ভালো ব্যবহার উপহার দিতে পারেন।
ভালো আখলাকের একটি দিক হচ্ছে, নিজের অধিকার তলবের চেয়ে অপরের হক আদায়ে বেশি সচেষ্ট থাকা। কোনো বিষয়ে একজন রেগে গেলে অপরজনও ফুঁসে ওঠবে না। ধৈর্য্য ও কোমলতার সাথে আপোস-মীমাংসা করবে।
আল্লামা আবদুল ওয়াহহাব শা‘রানী রাহ. বলেন, এক লোক তার শায়েখের কাছে বিবির মুখরা স্বভাবের অভিযোগ করলে তিনি বললেন, স্ত্রীর দেয়া যন্ত্রণা যে সইতে পারে না, সে স্ত্রী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠত্বের দাবি করতে পারে কীভাবে!
তো দাম্পত্য জীবনে হুসনে আখলাক যত কার্যকর থাকবে জীবন যাপনও তত সুখের হবে। মিয়াঁ-বিবির যিনিই হুসনে আখলাকে ভূষিত হবেন তিনিই সুন্দর ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী হবেন। বস্তুত ভালো ব্যবহারই ঐ উপায়, যা দাম্পত্য জীবনকে শান্তিময় করতে পারে।

(ভাষান্তর : মুহাম্মাদ আশিক বিল্লাহ তানভীর)

11/12/2017

একটি ভুল ধারণা : মুসাফাহা কি শুধু পুরুষদের জন্য?
কিছু কিছু মানুষের ধারণা, মুসাফাহা শুধু পুরুষের জন্য। মহিলাদের পরস্পরে মুসাফাহার বিধান নেই। তাদের এ ধারণা ঠিক নয়। বরং মুসাফাহার বিধান নারীদের পরস্পরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এটা শুধু পুরুষের সাথে খাছ নয়।

24/11/2017

একটি অমূলক ধারণা : পিতলের তৈরি প্লেট, গ্লাস ইত্যাদি ব্যবহার করা কি নিষেধ?
কারো কারো ধারণা, পিতলের, তৈরি প্লেট, গ্লাস ইত্যাদি ব্যবহার করা নিষেধ। তাদের এ ধারণা ঠিক নয়। স্বর্ণ-রূপার পাত্র ব্যবহার করা নিষেধ কিন্তু পিতলের প্লেট, গ্লাস বা যে কোনো পাত্র ব্যবহার করতে কোনো অসুবিধে নেই।
হাদীস শরীফে এসেছে, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ জাতীয় পাত্রে ওযু করেছেন। সুতরাং পিতলের প্লেট, গ্লাস ইত্যাদি ব্যবহারে কোনো বাধা নেই। -সহীহ বুখারী ১/৩২, হাদীস ১৯৭; রদ্দুল মুহতার ৬/৩৪১

24/11/2017

একটি ভুল ধারণা : পানি পান করার সময় গোঁফে পানি লাগলে কি তা পান করা হারাম বা নাপাক হয়ে যায়?
কিছু কিছু মানুষের ধারণা, পানি পান করতে গিয়ে যদি গোঁফে পানি লেগে যায় তাহলে ঐ পানি পান করা হারাম বা নাপাক হয়ে যায়। এটি একটি ভুল ধারণ এবং নিছক ধারণা-প্রসূত একটি কথা।
হাদীস শরীফে এসেছে, তোমরা দাড়ি লম্বা কর, মোচ খাটো কর। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৮৯৩) এখান থেকেই হয়তো কেউ কেউ বুঝেছে- মোচ যদি খাটো না করা হয় আর পানি পান করতে গিয়ে মোচে লাগে তাহলে ঐ পানি নাপাক হয়ে যাবে। এ ধারণা একেবারেই অমূলক। মোচ তো নাপাক কিছু নয়। মোচ খাটো করার নির্দেশ আর মোচে পানি লাগলে তা পান করা হারাম হওয়া বা নাপাক হওয়া সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।

24/11/2017

একটি মনগড়া রসম : দেনমোহরের ক্ষেত্রে জোড় সংখ্যা রাখা যাবে না, বেজোড় সংখ্যা হতে হবে
কারো কারো ধারণা, জোড় সংখ্যায় দেনমোহর ধার্য করা ঠিক নয়, বেজোড় সংখ্যা হওয়া জরুরি। ফলে দেনমোহর ধার্য করার সময় দেখা যায়, যত টাকাই দেনমোহর ধরা হোক, সাথে এক টাকা যোগ করে দেওয়া হয়- এক লক্ষ এক টাকা বা পাঁচ লক্ষ এক টাকা ইত্যাদি। এটি একটি মনগড়া রসম। এগুলো বিশ্বাস করা ঠিক নয়

15/11/2017

একটি ভুল মাসআলা : কেরসিন তেল কি নাপাক?
কেরসিন তেল একটি খনিজ তেল এবং তা বেশ দুর্গন্ধযুক্ত। আর দুর্গন্ধযুক্ত হওয়ার কারণে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া তা মসজিদে নেওয়া মাকরূহ। একান্ত প্রয়োজনে মসজিদে তা ব্যবহার করতে হলে খেয়াল রাখতে হবে, তা যেন মসজিদের ফ্লোরে বা জায়ানামাযে না পড়ে। তেমনি দুর্গন্ধের কারণে কাপড়ে লাগলে সেই কাপড়ে নামায পড়াও অনুত্তম। এ থেকে হয়ত অনেক মানুষ মনে করেন, কেরসিন তেল নাপাক।

তাদের এ ধারণা ঠিক নয়। কেরসিন তেল নাপাক নয়। কিন্তু দুর্গন্ধযুক্ত হওয়ার কারণে একান্ত ওযর ছাড়া তা মসজিদে নেওয়া মাকরূহ; নাপাক হওয়ার কারণে নয়। যেমনটি অনেকে মনে করেন। (ফাতাওয়া উসমানী ১/৩৫১)

12/11/2017

★★★ হজরত মুআবিয়া (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এই এরশাদ করিতে শুনিয়াছি, যে ব্যক্তি ইহা পছন্দ করে যে, মানুষ তাহার (সম্মানের) জন্য দাঁড়াইয়া থাকুক, সে যেন নিজের ঠিকানা জাহান্নামে বানাইয়া লয়। ....... (তিরমিযী)

12/11/2017

# # # হজরত আনাস (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, সাহাবায়ে কেরামের নিকট কোন ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চাইতে বেশী প্রিয় ছিল না। ইহা সত্ত্বেও তাহারা রাসূল (সঃ) কে দেখিয়া দাঁড়াইতেন না। কেননা, তাহারা জানিতেন যে, রাসূল (সঃ) ইহা অপছন্দ করেন। .......(তিরমিযী)

10/09/2017

# সবচেয়ে বড় নেক আমল হলো কোনো মানুষ "লা.... ইলাহা ইল্লাল্লাহ" স্বীকার করে মুসলমান হওয়া।
# আর সবচেয়ে বড় গোনাহের কাজ হলো কোনো মানুষ দ্বীনকে ত্যাগ করা / মুর্তাদ হওয়া (নাউজুবিল্লাহ)।
# আর এর পরের গোনাহ হইলো কোনো মুসলমান "নামাজ" ত্যাগ করা।
# আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল কে সময় মত নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুন (আল্লাহুম্মা আমিন)।

08/09/2017

# # # হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযিঃ) বলেন, যেই ব্যক্তি আমানতদার নহে সে পূর্ণ ঈমানদার নহে।
যেই ব্যক্তি পবিত্রতা অর্জন করে না, অর্থাৎ অজু করে না তাহার নামাজ হয় না।
যেই ব্যক্তি নামাজ আদায় করে না দ্বীনে তাহার কোন অংশ নাই।
মানব দেহে মাথার অবস্হান যেমন, দ্বীনে নামাজের অবস্হান ঠিক তেমন। ............(তাবরানী)

07/09/2017
06/09/2017

এসো ঈমানকে তাজা করি

06/09/2017

এসো ঈমানকে তাজা করি's cover photo

Want your business to be the top-listed Shop in Sylhet?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Telephone

Website

Address


Shop # 303 ,2nd Floor , Sky View Shopping Complex,Zindabazar Point,
Sylhet
3100

Other Religious Bookstores in Sylhet (show all)
কিতাবিস্তান কিতাবিস্তান
Sylhet, 1100

আরবি, উর্দু ও ফার্সি, বাংলা ভাষার যে কোন কিতাবের জন্য যোগাযোগ করুন।

fajr-5:00 fajr-5:00
Sylhet, 3100

Islamic page � لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ

Sarba Dharma-সর্ব্ব ধর্ম্ম Sarba Dharma-সর্ব্ব ধর্ম্ম
Korerpara
Sylhet, 3100

Sarba Dharma Mission was established on 19.12.1919(Bengali Date : 5th poush,1326) by Sri Sri Lab Chandra Paul with help of Sri Mahendra Chandra Nandi.The principal conviction is ba...

Bangladesh BPM Bangladesh BPM
Sylhet

সেবামুলক প্রতিষ্ঠান

মাকতাবাতুল আযহার সিলেট শাখা মাকতাবাতুল আযহার সিলেট শাখা
Sylhet, 3100

সিলেটের বন্ধুদের সর্বোচ্চ ছাড়ে যেকোন

Social Nuzha Social Nuzha
SYLHET
Sylhet

We collect the best books and deliver them to people.

I'm Listening Your Heart Beat, Are You? I'm Listening Your Heart Beat, Are You?
Sylhet, 3100

Please Invite Your Friend's.... https://m.facebook.com/send_page_invite/?pageid=308844129304859&refe

আলোর পথিক আলোর পথিক
Sylhet, 3100

"পাক মদিনায় চলছি মোরা আউলিয়াদের সাথে আয়রে বন্ধু জীবন গড়ি নবীর আদর্শে"

মেসার্স ধৃতিশ্রী ভাণ্ডার মেসার্স ধৃতিশ্রী ভাণ্ডার
করেরপাড়া
Sylhet, 3100

এখানে সুলভ মুল্যে শ্রীশ্রীঠাকুরের বিভিন্ন ধরনের ছবি, বই, গানের ক্যাসেট, বানী ষ্টিকার পাওয়া যায়