GSDC

GSDC
G=Gajesshary
S=Student. D=Development. C=Club. We know that uninty is strength. So, we are many

19/11/2023

হাদীস ও আসার পরিচয় এবং সনদের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী হাদীসের প্রকারভেদ
♦ক) হাদিস ও আসার কাকে বলে?
উত্তর:
হাদীস শব্দের আভিধানিক অর্থ কথা, বাণী, সংবাদ, বিষয়, অভিনব ব্যাপার ইত্যাদি ।
পারিভাষিক অর্থে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথা, কাজ, সমর্থন কে হাদীস বলা হয়। এমনকি তাঁর আচরণ, অভ্যাস, দৈহিক গঠন ও প্রকৃতি ইত্যাদি সংক্রান্ত বিবরণ ও হাদিসের অন্তর্ভূক্ত।

♦খ) আসার কাকে বলে?
উত্তর:
সাহাবী ও তাবেঈদের কথা, কাজ ও সমর্থনকে আসার বলা হয়।

♦গ) হাদিসের সনদের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী শ্রেণি বিভাগ:

রাবি বা বর্ণনাকারীদের সিলসিলা (ধারাবাহিকতা) অনুযায়ী হাদিসকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।‌ যথা:
- ক. মারফু
- খ. মওকুফ
- গ. মাকতু

মারফু: যে হাদিসের সনদ বা সূত্র নবি‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত পৌঁছেছে তাকে ‘মারফু হাদিস’ বলে। অর্থাৎ যে সূত্রের মাধ্যমে সরাসরি আল্লাহ রাসুলের কোন কথা, কোন কাজ করার বিবরণ কিংবা কোন বিষয়ের অনুমোদন বর্ণিত হয়েছে, সে সনদের ধারাবাহিকতা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদিস গ্রন্থ সংকলনকারী পর্যন্ত সুরক্ষিত হয়েছে এবং মাঝখান থেকে একজন বর্ণনাকারীও বাদ পড়েনি তা ‘হাদিসে মারফু’ নামে পরিচিত।
উদাহরণ:
- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন...।
- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছেন...।

- মওকুফ: যদি কোন হাদিসের সনদ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত না পৌঁছে বরং সাহাবি পর্যন্ত গিয়েই স্থগিত হয় অর্থাৎ যা স্বয়ং সাহাবির হাদিস বলে সাব্যস্ত হয় তাকে ‘হাদিসে মওকুফ’ বলে।
উদাহরণ:
- আলি রা. বলেছেন..
- উমর রা. এটা করেছেন... ইত্যাদি।

- মাকতু: যে হাদিসে রাবি‌ বা বর্ণনা কারীদের ধারাবাহিকতা কোন তাবেয়ি বা তার নিম্নস্তর পর্যন্ত পৌঁছেছে অর্থাৎ তাবেয়ির হাদিস বলেই প্রমাণিত হয়েছে তাকে ‘হাদিস মাকতু’ বলে।
উদাহরণ:
হাসান বসরি রাহ. বলেন...
ইকরিমা রহ. বলেছেন....
সাঈব ইবনে মুসাইবি রাহ. বলেন... ইত্যাদি।

♦ঘ) উক্ত তিন প্রকারের গ্রহণযোগ্যতা:

💠 রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা,কাজ ইত্যাদি (মারফূ হাদিস) যদি বিশুদ্ধ সনদে প্রমাণিত হয় তাহলে তা নি:শর্তভাবে গ্রহনযোগ্য।
💠 আর সাহাবির কথা বা কাজ (মাওকুফ) গ্রহণযোগ্য যদি অন্য কোন সাহাবীরে বিপরীত মত না পাওয়া যায়। অর্থাৎ কোন সাহাবির কোন বক্তব্যের বিরোধিতা না থাকলে সেটাকে সাহাবিদের ইজমা বা সর্বসম্মত মত বলা হয়। আর সাহাবিদের ইজমা বা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অবশ্যই দলিল হিসেবে গ্রহণযোগ্য।
কেউ কেউ বলেন, যদি উক্ত সাহাবি ইলম ও ফিকহের ক্ষেত্রে সুপরিচিত হয় তাহলে তা গ্রহনযোগ্য; অন্যথায় নয়।

💠 আর তাবেঈর কথা/কাজ (মাকতূ) দলীল নয়। হ্যাঁ, তাদের কথা বা মতামত যদি কুরআন-সুন্নাহ ও ইসলামের মূলনীতির সাথে সামঞ্জস্য হয় তাহলে তা গ্রহণ যোগ্য; অন্যথায় পরিত্যাজ্য। একই বিধান এই উম্মতের অন্যান্য সকল হকপন্থী আলেমের ক্ষেত্রেও। তবে তাবেঈগণ সাহাবীদের যুগের কাছাকাছি হওয়ার কারণে অবশ্যই তাদের কথার আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, KSA

20/07/2023

মুহররম মাসের ফজিলত ও করণীয় সম্পর্কে বর্ণিত ১৪টি সহিহ হাদিস

নিম্নে মহররম মাসের ফজিলত ও করণীয় সম্পর্কে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত ১৪টি হাদিস পেশ করা হল:
◆১. প্রখ্যাত সাহাবী আবু বাকরা রা. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা আসমান সমূহ এবং জমিন সৃষ্টির দিন যে আকৃতিতে সময়কে সৃষ্টি করেছিলেন সেটা আবার তার নিজস্ব কৃতিতে ফিরে এসেছে। এবং বারো মাসে এক বছর। তম্মধ্যে চারটি মাস অতি সম্মানিত। তিনটি মাস ধারাবাহিক। সেগুলো হল: যুল কা’দাহ [যিলকদ], যুল হিজ্জা [যিলহজ্জ] এবং মুহররম এবং আরেকটি হল মুযার সম্প্রদায়ের রজব মাস যা জুমাদাল ঊলা এবং শাবানের মধ্যখানে রয়েছে। [বুখারি ও মুসলিম]
◆২. আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, রমজানের পর সর্বোত্তম রোজা হল আল্লাহর মাস মুহররমের রোজা। আর ফরজ নামাযের পর সর্বোত্তম নামায হল রাতের নামায।” [মুসলিম]
◆৩. আয়েশা রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, “জাহেলি যুগে কুরাইশগণ আশুরার রোজা পালন করত। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনায় এসে নিজে আশুরারা রোজা রাখলেন এবং সাহাবীদেরকেও রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন। কিন্তু‘ যখন রমজানের রোজা ফরজ হল তখন তা পরিত্যাগ করা হল। যার ইচ্ছা রাখত যার ইচ্ছা রাখত না।” [বুখারি]
◆৪. ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনা আগমন করার পর দেখলেন, সেখানকার ইহুদিরা আশুরার দিন রোজা পালন করছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন: তোমরা কিসের রোজা রাখ? তারা বলল: এটি একটি কল্যাণময় দিন। এ দিন বনী ইসরাইলকে আল্লাহ তাআলা তাদের শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। তাই মুসা (আ.) এ দিন রোজা পালন করেছিলেন। (বিধায় আমরাও মুসা আ. এর অনুসরণে এ দিনটিতে রোজা পালন করি)।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, "আমি তোমাদের চেয়ে মুসাকে অনুসরণ করার বেশি হকদার।” অতঃপর তিনি এ দিন রোজা রাখলেন এবং সাহাবীদেরকে রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন। [বুখারি-মুসলিম]
◆৫. আবু মুসা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইহুদিরা আশুরার দিনকে ঈদ মনে করত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, "অতএব তোমরা এ দিন রোজা রাখ।” [বুখারি-মুসলিম)
◆৬. হুমাইদ বিন আব্দুর রহমান হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মুয়াবিয়া রা. কে হজ্জের বছর আশুরার দিন মিম্বারের উঠে বক্তব্য দিতে শুনেছি। তিনি বলছেন, "হে মদিনা বাসী, তোমাদের আলেমগণ কোথায়? আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি, আজ আশুরার দিন। আল্লাহ এ দিন রোজা রাখা ফরজ করেন নি। কিন্তু আমি রোজা রেখেছি। অতএব, তোমাদের কেউ চাইলে রোজা রাখতে পারে, নাও রাখতে পারে।" [বুখারি ও মুসলিম]
◆৭. ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে এই আশুরার দিনের উপর অগ্রাধিকার দিয়ে এত গুরুত্ব সহকারে অন্য কোন দিন রোজা পালন করতে দেখি নি। (অর্থাৎ রমজান মাস ছাড়া) [বুখারি]
◆ ৮. রুবাই বিনতে মুআউওয়ায রা. বলেন, "রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আশুরার দিন সকাল বেলা আনসারদের মহল্লায় মহল্লায় এ ঘোষণা দেয়ার জন্য লোক পাঠালেন যে, যে ব্যক্তি রোজা রাখেনি সে যেন দিনের বাকি অংশ রোজা অবস্থায় থাকে আর যে রোজা রেখেছে সে যেন রোজা পূর্ণ করে।”
রুবাই রা. বলেন, আমরা নিজেরা রোজা রাখতাম এবং আমাদের বাচ্চাদেরকে রোজা রাখাতাম। আর তাদের জন্য রঙ্গিন পশম দ্বারা খেলনা বানিয়ে রাখতাম। কেউ কান্নাকাটি করলে সেটা তাকে দিতাম যেন ইফতারের সময় পর্যন্ত রোজা অবস্থায় থাকে।” [বুখারি ও মুসলিম]
◆ ৯. সালামা বিন আকওয়া রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসলাম গোত্রের এক ব্যক্তিকে এ ঘোষণা দেয়ার জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন যে, "যে ব্যক্তি খেয়ে ফেলেছে সে যেন দিনের বাকী অংশ রোজা থাকে আর যে খায়নি সেও যেন রোজা অবস্থায় থাকে। কারণ, আজ আশুরার দিন।" [বুখারি-মুসলিম]
◆ ১০. আবু কাতাদা রা. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করে বলেন, "প্রতি মাসে তিন দিন এবং এক রমজান থেকে আরেক রমজান পর্যন্ত রোজা রাখলে সারা বছর রোজা রাখার সাওয়াব অর্জিত হয়। আরাফার দিন রোজা রাখলে আল্লাহর নিকট আশা করি যে তিনি এর বিনিময়ে আগের ও পরের এক বছরের গুনাহ মোচন করে দিবেন। আর আশুরার দিন রোজা রাখলে আল্লাহর নিকট আশা করি যে, তিনি এর বিনিময়ে পূর্বের এক বছরের গুনাহ মোচন করবেন।" [সহিহ মুসলিম]
◆ ১১. আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. বর্ণনা করেন, জাহেলি জামানার লোকেরা আশুরার দিন রোজা পালন করত। রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার পূর্বে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মুসলমানগণও এ দিন রোজা পালন করতেন। পরবর্তীতে রমজানের রোজা ফরজ হলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আশুরার দিন আল্লাহ তাআলার দিন সমূহের মধ্য থেকে একটি দিন। যার ইচ্ছা সে এ দিন রোজা রাখতে পারে আর যার ইচ্ছা রোজা বাদও দিতে পারে।" [সহিহ মুসলিম]
◆ ১২. জাবির বিন সামুরা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে আশুরার দিন রোজা রাখতে আদেশ করতেন, উৎসাহিত করতেন-এমনকি রোজা রাখার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিতেন। অতঃপর রমজানের রোজা ফরজ হলে তিনি এ রোজার ব্যাপারে আদেশ করতেন না, নিষেধও করতেন না এবং এ ব্যাপারে খোঁজ-খবরও নিতেন না। [সহিহ মুসলিম]
◆ ১৩. ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন আশুরার দিন রোজা রাখলেন এবং অন্যদেরকে রাখার জন্য আদেশ করলেন তখন সাহাবিগণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বললেন, হে আল্লাহর রসূল, এ দিনটিকে তো ইহুদিরা সম্মান করে?! তিনি বললেন, ইনশাআল্লাহ আমি আগামী বছর নয় তারিখে রোজা রাখব।” অন্য বর্ণনায় রয়েছে, (তিনি বলেছেন), " আগামীতে বেঁচে থাকলে নয় তারিখে রোজা রাখব।” [সহিহ মুসলিম]
◆১৪. ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আশুরার দিন রোজা রাখ এবং এ ক্ষেত্রে ইহুদিদের বিরোধিতা করে এর আগের দিন বা পরের দিন রোজা রাখ।” [মুসনাদ আহমদ, সহীহ ইবনে খুযায়মা ইত্যাদি]
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ. বলেন, "মাসের শুরু চিনতে অসুবিধা হলে (নয়, দশ ও এগার এ) তিন দিন রোজা রাখবে। যেন নয় ও দশ তারিখে রোজা নিশ্চিতভাবে সম্পন্ন করা যায়।" [মুগনী ৩/১৭৪]
------সমাপ্ত-------

সংকলনে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব

13/01/2023

আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ওয়া বারকাতুহ
আজ পবিত্র জুমার দিন। আজকের বিশেষ আমল হলো:সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করা ও বেশি বেশি করে দরূদ পাঠ করা।
اللهم صل وسلم على نبينا محمد صلى الله عليه وسلم.

28/12/2022

قال ابن القيم رحمه الله:
"‏الأعمال تشفع لصاحبها عند الله وتذكِّر به إذا وقع في الشدائد قال تعالى عن ذي النون: {فَلَوْلَا أَنَّهُ كَانَ مِنَ الْمُسَبِّحِينَ• لَلَبِثَ فِي بَطْنِهِ إِلَىٰ يَوْمِ يُبْعَثُونَ} "
ইমাম ইবনুল ক্বয়্যিম রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ সৎ কর্মসমূহ তার সম্পাদনকারীর জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবে। আর যখন কোন কঠিন বিষয়ে পতিত হবে, তখন তা স্মরণ করা।
আল্লাহ তায়ালা জিন নুন সম্পর্কে বলেনঃ অতঃপর তিনি যদি আল্লাহর পবিত্ৰতা ও মহিমা ঘোষণাকারীদের অন্তর্ভুক্ত না হতেন، তাহলে তাকে উত্থানের দিন পর্যন্ত থাকতে হত তার পেটে।

••┈•┈••✦✿✦••┈•┈••

صقرمدارج السالكين 575/1

27/12/2022

قال عمر بن الخطاب رضي الله عنه:
اجتنبوا أعداء الله في عيدهم.

উমর ইবনুল খাত্তাব রযিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ তোমরা আল্লাহর শত্রুদের উৎসব থেকে দূরে থাক।
••┈•┈••✦✿✦••┈•┈••

(التاريخ الكبير للبخاري رقم 659)

28/10/2022

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ

গুনাহ করার পূর্বে আমাদের আল্লাহকে ভয় করা উচিত। একটিমাত্র গোনাহ করার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের পিতা-মাতা হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও হাওয়া আলাইহাস সালাম কে জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছিলেন । আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে তাকে সত্যিকার অর্থে ভয় করে সমস্ত রকমের পাপাচার থেকে বিরত থাকার তৌফিক দান করুন আল্লাহুম্মা আমীন।

05/09/2022
13/08/2022

ইয়াযীদ বিন মুয়াবিয়ার ব্যাপারে আহলে হাদীসদের দৃষ্টিভঙ্গী

মুয়াবিয়া রযিয়াল্লাহু আনহু নিঃসন্দেহে মহানবী মুহাম্মাদ ﷺ-এর একজন বিশিষ্ট সাহাবী ও কাতেবে ওয়াহী ছিলেন। সুতরাং তার বিষয়ে যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা অপরিহার্য। কিন্তু তাঁর সন্তান ইয়াযীদ-এর ব্যাপারে শতাব্দীর পর শতাব্দী একটা বিতর্ক চলে আসছে। নবী ﷺ-এর প্রিয় দৌহিত্র হুসাইন বিন আলী বিন আবী তালিব রযিয়াল্লাহু আনহুর মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ইয়াযীদ একজন মহাবিতর্কিত ব্যক্তি। অধিকাংশ লােককেই আজ তার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করতে দেখা যায়। কেউ তাকে কাফের ও মালউন বলছে, আবার আরেক পক্ষ তাকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দিচ্ছে। উভয় পক্ষই আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াত-এর মানহাজ পরিপন্থী অবস্থানে অবস্থান করছে।

আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত-এর বিশেষ করে আহলে হাদীসদের ইয়াযীদ-এর ব্যাপারে মানহাজ হলো, তাকে কোনোক্রমেই কাফের বলা যাবে না, অনুরুপ তার ব্যাপারে প্রশংসাসূচক কোনো বাক্যও বলা যাবে না। ব্যাপারটা মহান আল্লাহর উপর ছেড়ে দিবো আমরা। আমরা তাকে ভালোবাসবো না, গালমন্দ ও লা'নতও করবো না। এটিই হলো আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের মধ্যমপন্থী উলামায়ে দ্বীনের অভিমত। এই মতেরই প্রবক্তা হলেম ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল, শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়াহ, হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম, হাফেয যাহাবী ও হাফেয ইবনু কাসীর প্রমুখ। সঊদী আরবের লাজনা দায়িমাহ তথা স্থায়ী ফাতাওয়া বোর্ড-এরও অনুরূপ ফাতওয়া রয়েছে। এটিই ইয়াযীদ এর ব্যাপারে আহলে হাদীসদের মানহাজ ও নীতি।

সুতরাং আহলে হাদীস এর ব্যানারে বা পরিচয়ে উল্টাপাল্টা কেউ কিছু বললে, তার দায়দায়িত্ব কোনো দিনই আহলে হাদীসগণ বহন করবে না এবং এ থেকে তারা মুক্ত। ওয়াল্লাহু আ'লাম।

অধ্যাপক ডক্টর আবদুল্লাহ ফারুক
সভাপতি, বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস

শাইখ ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ খান মাদানী
সেক্রেটারি জেনারেল, বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস

লেখনী কপি- ওস্তায ডক্টর Shahidullah Khan Madani হাফিযাহুল্লাহর ফেইসবুক আইডি থেকে।
আল্লাহ রব্বুল আলামীন আমাদের সঠিক পথ বুঝে, সেই অনুযায়ী চলার তাওফীক দান করুন।

30/07/2022

السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
মৃত্যু আমাকে ও আপনাকে পূর্ব নোটিশ ছাড়াই পাকড়াও করবে। তাই আসুন সর্বদা আল্লাহর সাথে সম্পর্ক ঠিক রাখি।

17/07/2022

শাইখ আবু বকর মোঃ জাকারিয়া স্যারের ওয়াল থেকে

কোনো এক শিক্ষক তার ছাত্রদের প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছিলন.....!!
কারা নামাজ পরে না....??
প্রথম ছাত্র উত্তর দিলঃ মৃত ব্যক্তি,যে ব্যাক্তি মারা গেছে সেই ব্যাক্তি নামাজ পরে না।

দ্বিতীয় ছাত্র উত্তর দিলঃ যে ব্যাক্তি নামাজ পরতে পারে না,অর্থাৎ, পাগল অথবা প্রতিবন্ধী।

তৃতীয় ছাত্র অনেক সুন্দর করে উত্তর দিল, ছাত্রের উত্তর শুনে শিক্ষকের চিন্তা ভাবনা পাল্টে গেল।
তৃতীয় ছাত্রের উত্তর ছিলঃ যে ব্যাক্তি অমুসলিম সেই ব্যাক্তি নামাজ পরে না।
এবার শিক্ষক চিন্তায় পড়ে গেলেন।
এই তিনটি উত্তরের মাঝে আমি কোনটায় আছি?
আমি কী মারা গিয়েছি?
আমি কী পাগল,প্রতিবন্ধী, আমি কী নামাজ পরতে পারি না?
আমি কী অমুসলিম?
একজন মুসলিম ও অমুসলিমের মধ্যে পার্থক্য হলো (নামাজ)।

আমরা যারা নিজেদেরকে মুসলিম দাবী করি কিন্তু নামাজ পরি না,চলুন একটু ভেবে দেখি আমরা আজও কী প্রকৃত মুসলিম হতে পারছি?

আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক বুঝ দান করুক, হেদায়েত দান করুক।
সকলকে নামাজ পরার তৌফিক দান করুক।
আমিন।

।!(সংগৃহীত পোস্ট)!।

©

14/07/2022

আমরা কখনোই এতোটা ব্যস্ত নই যে আমাদেরকে সালাত ছেড়ে দিতে হবে। এটা কেবল আমাদের গুরুত্বের উপর নির্ভর করে।

~ড. বিলাল ফিলিপ্স

10/07/2022

ঈদ মোবারক

09/04/2022

এ বছর ১০ লক্ষ মানুষ(বয়স সীমা ৬৫ বছর) হজ্জ করার সুযোগ পাবে, ইনশা আল্লাহ৷
اللهم اجعلني منهم، آمين.

01/04/2022

আলহামদুলিল্লাহ
সৌদি আরবের আকাশে পবিত্র মাহে রমজানের চাঁদ দেখা গিয়েছে।

عَنْ طَلْحَةَ بنِ عُبْيدِ اللَّهِ ، أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ كانَ إِذا رَأَى الهِلالَ قَالَ: اللَّهُمَّ أَهِلَّهُ علَيْنَا بِالأَمْنِ والإِيمَانِ، وَالسَّلامَةِ والإِسْلامِ، رَبِّي ورَبُّكَ اللَّه، هِلالُ رُشْدٍ وخَيْرٍ رواه الترمذي، وقال: حديثٌ حسنٌ.
ত্বালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নতুন চাঁদ দেখতেন তখন এই দু‘আ পড়তেন,
“আল্লা-হুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি অলঈমা-নি অসসালা-মাতি অলইসলা-ম, রাববী অরাববুকাল্লা-হ, (হিলালু রুশ্‌দিন অখায়র) ।”

অর্থ- হে আল্লাহ! তুমি ঐ চাঁদকে আমাদের উপর উদিত কর নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সাথে। (হে চাঁদ) আমার ও তোমার প্রতিপালক আল্লাহ। (হেদায়াত ও কল্যাণময় চাঁদ!)

ফুটনোটঃ
(তিরমিযী-হাসান, কিন্তু বন্ধনী-ঘেরা শব্দগুলি তিরমিযীতে নেই।

08/03/2022

আমরা বর্তমানে আরবী শা'বান মাস অতিক্রম করতেছি। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাসে বেশি বেশি করে সিয়াম পালন করতেন। আমাদেরও উচিত বেশি করে সিয়াম পালন করা।

03/03/2022

السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
আজ পবিত্র জুমার দিন, আজকের বিশেষ আমল হলো সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করা ও বেশি বেশি করে দরূদ পাঠ করা।

01/03/2022

[মারাত্মক ভুল]

"আমরা অনেকেই বলে থাকি যে ওপারে ভালো থাকিস বন্ধু, বা আপনি ওপারে ভালো থাকবেন‌,এই কথা বলার
কারণে আমরা কখন যে মুশরিক হয়ে গেছি নিজেও জানি না।

"আমাদের যখন আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব,বা,গুরুজন, অথবা কোন অমুসলিম সেলিব্রেটি মারা যায়, তাদের জন্য আমরা অনেকেই সুন্দর করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে দেই যে আপনি ওপারে ভালো থাকবেন।

"আচ্ছা ওপারে ভালো থাকাটা কি নিজের দায়িত্বে?এটা সম্পূর্ণ আল্লাহর ইচ্ছা। কেউ যদি বলে যে আপনি ওপারে ভালো থাকবেন, সে অবশ্যই আল্লাহর সাথে শিরক স্থাপন করলো। কেননা পরকালীন জীবনে ভালো থাকাটা নিজের ইচ্ছার উপরে নয়, সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর উপরে নির্ভর করে।

"আমরা অনেকেই,অমুসলিমদের জন্য দোয়া করি তারা মারা যাওয়ার পর, অথচ এটা সম্পূর্ণরূপে নিষেধ,

قال الله تعالى في القرآن الكريم:
"اِنۡ تَسۡتَغۡفِرۡ لَہُمۡ سَبۡعِیۡنَ مَرَّۃً فَلَنۡ یَّغۡفِرَ اللّٰہُ لَہُمۡ ؕ ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ کَفَرُوۡا بِاللّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖ وَ اللّٰہُ

"আপনি সত্তর বার তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলেও আল্লাহ তাদেরকে কখনই ক্ষমা করবেন না,এটা এ জন্য যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে কুফরী করেছে।

"مَا کَانَ لِلنَّبِیِّ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَنۡ یَّسۡتَغۡفِرُوۡا لِلۡمُشۡرِکِیۡنَ

"মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা নবী ও যারা ঈমান এনেছে তাদের জন্য উচিত নয়।
(সুরা তাওবা, আয়াত নং-80,113)

(ভুল সংশোধন)
"ওপারে ভালো থাকিস, অথবা ভালো থাকবেন এটা বলা যাবে না,কারণ এটা শিরক বাক্য।

(শিক্ষা)
"যখন কোন মুসলিম ভাই-বোন মারা যাবে, তখন‌ আমরা তাদের জন্য এইভাবে দোয়া করতে পারি ,যে আল্লাহ তায়ালা তাদের ভুলত্রুটি গুলো ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতুল ফিরদাওস দান করুন আমিন।

03/02/2022

السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
আজ পবিত্র জুমার দিন আজকের বিশেষ আমল হলো সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করা ও বেশি বেশি করে দরূদ পাঠ করা।
اللهم صل وسلم على نبينا محمد صلى الله عليه وسلم

30/01/2022

এই ছেলে,টাকনুর নিচে প্যান্ট পরে আছো কেন?

☞ একটা মানুষ চুরি করলেই জাহান্নামে যাবে এ কথা রাসুল (সাঃ) বলেননি, তবে যেতে পারে।
☞ একটা মানুষ মিথ্যা কথা বললেই জাহান্নামে যাবে এ কথা রাসুল (সাঃ) বলেননি, তবে যেতে পারে। কেন? মিথ্যা কথা মহা পাপ।
☞ একটা মানুষ জেনা করলেই জাহান্নামে যাবে এ কথা রাসুল (সাঃ) বলেননি, যেতে পারে। কেন? যেনা একটা মহাপাপ।
☞ একটা মানুষ ঘুষ দিলেই ঘুষ খেলেই জাহান্নামে চলে যাবে এ কথা নবী (স) বলেননি, যেতে পারে। কেন?
সুদ খাওয়া ঘুষ খাওয়া মহা পাপ। মহা-পাপ মহা-পাপ!
জাহান্নামে যেতে পারে।

কিন্তু রাসুল (সাঃ) বলছেন কেউ যদি টাকনুর নিচে প্যান্ট পরে সরাসরি জাহান্নাম!এই ছেলে এবার তুমি বলো তুমি টাকনুর নিচে প্যান্ট পরে আছো কেন? তুমি নাকি মোটামুটি ভাবে ধর্ম প্রচার করো? তোমার মত ছেলের জন্য ইসলামের এই অবস্থা।

➤ শাইখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ।

30/12/2021

السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
আজ পবিত্র জুমার দিন। আজকের বিশেষ আমল হলো বেশি বেশি করে দরূদ পাঠ করা।
اللهم صل وسلم على نبينا محمد.

Photos from GSDC's post 29/12/2021
Want your school to be the top-listed School/college in Tangail?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

সকলকে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা

Telephone

Website

Address


Darani Para, Gajesshary, Khaliajani, Mirzapur
Tangail
1940

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Thursday 09:00 - 17:00
Friday 09:00 - 17:00
Saturday 09:00 - 17:00
Sunday 09:00 - 17:00

Other Tangail schools & colleges (show all)
Mawlana Bhashani Science & Technology University Mawlana Bhashani Science & Technology University
Mawlana Bhashani Science & Technology University, Santosh
Tangail, 1902

Mawlana Bhashani Science and Technology University is a government financed public university of Bangladesh. It is named after the charismatic, legendary political leader of the co...

Mawlana Bhashani Science and Technology University(MBSTU). Mawlana Bhashani Science and Technology University(MBSTU).
Santosh
Tangail, 1902

The students of this university are educated in such a way that they are able to speak and write Eng

Bindu Basini Govt. Boys' High School Bindu Basini Govt. Boys' High School
Kazi Nazrul Islam Sarani Road
Tangail, 1900

Bindu Basini Govt. Boys’ High School commonly referred to as B. B. Boys is a public boys' high school in Tangail, Bangladesh.

𝐌𝐀𝐓𝐇 𝐂𝐋𝐔𝐁,𝐌𝐁𝐒𝐓𝐔
𝐌𝐀𝐓𝐇 𝐂𝐋𝐔𝐁,𝐌𝐁𝐒𝐓𝐔
Mawlana Bhashani Science And Technology University
Tangail, 1902

First Tech First Tech
Tangail Sadar
Tangail, 1900

অনলাইন BTEC and BHETI ভর্তি প্রস্তুতি কোচিং অনলাইন BTEC and BHETI ভর্তি প্রস্তুতি কোচিং
Tangail

B.SC in Textile Engineering Admission Coaching BTEC & BHETI (২০৮) আসনের ভর্তি প্রস্তুতি সেবা দিচ্ছি।

মাদরাসাতুন নুজুম আল-ইসলামিয়্যাহ, টাঙ্গাইল মাদরাসাতুন নুজুম আল-ইসলামিয়্যাহ, টাঙ্গাইল
Tangail

"কুরআন সুন্নাহর আলোকে আলোকিত মানুষ গড়ার প্রত্যয়ে"

Tangail Darul Ulum Kamil Madrasah Tangail Darul Ulum Kamil Madrasah
Tangail
Tangail, 1900

Madrasah education is going to learn something better.

কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজ কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজ
কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজ
Tangail, ১৯৭০

Kalihati Shajahan Siraj College

This Story This Story
Tangail
Tangail

If you #Love life; don't west time because #life is created by the sun of #time..!!

Cantonment Board High School, Ghatail Cantonment Board High School, Ghatail
Tangail

It is a renowned school in Ghatail