রাষ্ট্রীয় নব নির্মাণ - মানব অধিকার বিভাগ

অন্যায় এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় মব নির্?

30/10/2022

সূর্যদেব এর উপাসনার মহাপর্ব, ছট পুজোর আন্তরিক শুভেচ্ছা ।

24/10/2022

আলোর উৎসবে সকলের জীবন আলোকিত হয়ে উঠুক,
সবার পরিবার সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক।

08/10/2022

আজ রাষ্ট্রীয় নব নির্মাণ এর প্রতিষ্ঠা দিবস। আজকের দিন আামাদের কাছে অনেক খুশীর দিন আর স্মরণীয় দিন। আমরা গর্বিত আজ আমরা সমস্ত মানুষের পাশে থাকতে পেরেছি।

05/10/2022

শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা ও শুভকামনা সমস্ত রাজ্যবাসীকে

04/10/2022

শুভ মহানবমীর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা সমস্ত রাজ্যবাসীকে

03/10/2022

শুভ মহাষ্টমীর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা সমস্ত রাজ্যবাসীকে

02/10/2022

শুভ মহাসপ্তমীর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা সমস্ত রাজ্যবাসীকে

01/10/2022

শুভ মহাষষ্ঠীর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা সমস্ত রাজ্যবাসীকে

19/08/2022

সকল রাষ্ট্রবাসীকে জানাই জন্মাষ্টমীর পূণ্য তিথির আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন 🙏🏻

Photos from রাষ্ট্রীয় নব নির্মাণ - মানব অধিকার বিভাগ's post 18/08/2022

১২ই আগষ্ট'২২ এ সাগরদ্বীপে 🙏🏻রাষ্ট্রীয় নবনির্মাণের পক্ষ থেকে পুণ্য ✨রাখি পূর্ণিমার তিথি✨তে নরনারায়ণ সেবার কিছু মুহূর্ত।।।।।।।।।
আমাদের যাত্রা শুরু (১১ই আগষ্ট)- প্রস্তুতি পর্ব_থেকে ১২ই সেবাকার্যের কাল পর্যন্ত কিছু টুকরো স্মৃতি 🙏🏻✨✨✨

11/08/2022

সকল রাষ্ট্রবাসীকে রাষ্ট্রীয় নবনির্মাণ জানাচ্ছে রাখি পূর্ণিমার পূণ্য তিথির শুভেচ্ছা 🙏🏻

Photos from রাষ্ট্রীয় নব নির্মাণ - মানব অধিকার বিভাগ's post 08/08/2022

আগামী ১২ ই আগস্ট সাগরদ্বীপে রাষ্ট্রীয় নবনির্মাণের পক্ষ থেকে একটি "নরনারায়ণ-সেবা"র আয়োজন করা হয়েছে 🙏🏻 সেই বিষয়ে একটি বিশেষ আলোচনা সভায় সংস্থার বিশিষ্ট পদাধিকারীগণ।

31/07/2022

Congratulations to the newly appointed Presidents of District Committee of Rashtriya Nav Nirman

31/07/2022

Congratulations to the newly appointed office bearers of RNN State Committee

30/07/2022

#বন্ধুদিবস

বন্ধু মানেই-পাশে থাকা
যেখানে সুসময়-দুঃসময় এর কোনো বাঁধন নেই---শুধুই বাড়িয়ে রাখা হাত আর নির্ভরতার আশ্বাস ✨ যা আমাদের অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় নব নির্মাণ - মানব অধিকার বিভাগ এর অঙ্গীকার 🙏🏻

Photos from রাষ্ট্রীয় নব নির্মাণ - মানব অধিকার বিভাগ's post 29/07/2022

of

Rashtriya Nav Nirman - राष्ट्रीय नव निर्माण

Agenda: Upcoming event
🙏🏻 পবিত্র শ্রাবণ মাস উপলক্ষে আগামী সপ্তাহে "নরনারায়ণ সেবা"--- অন্ন-বিতরণ ✨

13/07/2022

গুরু পূর্ণিমার পূণ্যতিথিতে সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই সমস্ত রাজ্যবাসিকে

08/07/2022

1no Khondo
রথযাত্রার কথা শুনলে আমাদের সবার সামনে যে ছবিটা ভেসে উঠে সেটা হচ্ছে হাজার হাজার ভক্তেরা জগন্নাথ দেব, সুভদ্রা ও বলরাম কে রথে বসিয়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছে তাদের মাসীর বাড়িতে। রথের সামনে ছড়িয়ে পরছে পুষ্পবৃষ্টি , হরি নাম কীর্তনে মুখরিত চারিদিক।এমন ছবি ই ভেসে আসে আমাদের চোখে।

রথযাত্রা নিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথে সেই বিখ্যাত লাইন-

“রথযাত্রা, লোকারণ্য, মহা ধুমধাম,

ভক্তেরা লুটায়ে পথে করিছে প্রণাম।

পথ ভাবে আমি দেব রথ ভাবে আমি,

মূর্তি ভাবে আমি দেব—হাসে অন্তর্যামী।”

কবিগুরু তার কবিতায় যে রথযাত্রার কথা বলেছেন সেই রথযাত্রা সম্পর্কে আমরা আসলে কতটা জানি! কি রয়েছে এর ইতিহাস , কিভাবে এলো এই রথ , কার হাত ধরে শুরু হলো এই অপূর্ব যজ্ঞ! আজকের লেখায় আমরা ঠিক এই রথযাত্রার সৃষ্টি , ইতিহাস জানব।

সবার আগে কঠোপনিষদ থেকে দুটি লাইন উদ্ধৃত করব।

“আত্মানং রথিনং বিদ্ধি শরীরং রথমেব তু।

বুদ্ধিং তু সারথিং বিদ্ধি মন: প্রগ্রহমেব চ।। (১/৩/৩)

এর অর্থ হচ্ছে –

“এই দেহই রথ আর আত্মা দেহরূপ রথের রথী। আর ঈশ্বর থাকেন অন্তরে। তার মানে দাঁড়ায় ঈশ্বর আমাদের অন্তরে থাকেন। তাঁর কোন রূপ নেই। তিনি সর্বত্র বিরাজিত”

জগন্নাথদেবের রথযাত্রা

ঠিক এই কথা পবিত্র বেদ এ বলা হয়েছে আবাঙমানসগোচর শব্দের মাধ্যমে। যার মানে হলো মানুষের বাক্য এবং মনের অতীত। আমরা মানুষ তাই তাকে মনের ভাবের সাথে মিলিয়ে সাজাই।

রথ বলতে স্বাভাবিক ভাবে আমরা বুঝি প্রাচিন কালে যুদ্ধে ব্যাবহৃত চাকা যুক্ত ঘোড়ায় টানা যান।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই জগন্নাথদেবের রথযাত্রা কিভাবে এলো আমাদের মাঝে। তা জানতে হলে আমাদের কে ফিরে যেতে হবে মালবদেশ যা বর্তমানে উড়িষ্যা নামে পরিচিত সে রাজ্যের রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের কাছে। কেননা রথযাত্রার সূচনা হয়েছিলো এই রাজার হাত ধরেই।

পদ্মপুরাণ এর বর্ণনায় পাওয়া যায় এই রাজার হাত ধরে রথযাত্রার ইতিহাস। তখন সত্যযুগ, মালবদেশ এর রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন ছিলে শ্রী হরি তথা বিষ্ণু ভক্ত। তিনি গড়ে তুলেছিলেন জগন্নাথধাম থথা শ্রীক্ষেত্র নামের পবিত্র মন্দির। কিন্তু মন্দিরে ছিলো না কোনো বিগ্রহ।একদিন এক সন্যাসীর আগমন ঘটে রাজপ্রাসাদে। রাজার সেবা যত্নে তুষ্ট হয়ে তাকে বললেন নীলমাধব ( ভগবান বিষ্ণুর আরেক রুপ) এর গুপ্তভাবে শবরদের মাধ্যমে পূজিত হবার কথা। নীল পর্বতের ধারেই ছিলো শবরদের বসবাস। সন্যাসীর কথা শুনে নীলমাধবের দর্শণের জন্য ব্যাকূল হয়ে গেলেন রাজা। তখন সে ডেকে পাঠালেন তার পুরোহিতের ভাই বিদ্যাপতি কে এবং শবরদের দেশে গিয়ে খুজে আনতে বললেন নীলমাধবের মূর্তী কে।

রাজার আদেশ অনুযায়ী বিদ্যাপতি গেলেন শবররাজ বিশ্ববসুর নিকট। সেখানে একবার জঙ্গলের মাঝে বিদ্যাপতি পথ ভুলে যায় ।তখন তাকে উদ্ধার করেন বিশ্ববসুর কন্যা ললিতা। যা হবার তাই হলো , বিদ্যাপতি ললিতার প্রেমে পরে গেল । এরপর রাজা দুজনের বিয়ে দিয়ে দিলেন। কিন্তু বিদ্যাপতির মাথার মধ্যে নীলমাধবের দর্শনের চিন্তা সে প্রথম থেকেই ঘুরপাক খাচ্ছিলো। সে অনেক বলে কয়ে ললিতা কে রাজি করালো নীলমাধবের দর্শন করানোর জন্য ।কিন্তু ললিতার শর্ত ছিলো যে তিনি বিদ্যাপতিকে চোখ বেধে নিয়ে যাবেন। বিদ্যাপতি গেলেন চোখ বেধে কিন্তু সাথে করে নিয়ে গেলেন যব এর দানা ।

যাবার পথে ললিতার অগোচরে তিনি সেই দানা পথে ফেলতে ফেলতে ফেলেন চিহ্ন হিসেবে। নীল পর্বতে গিয়ে নীলমাধবের দর্শন পেয়ে বিদ্যাপতি ধন্য হলেন। এর পরে তিনি খবর পাঠালেন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের কাছে। রাজা তার রথ , সৈ্ন্য নিয়ে এলেন নীলমাধবকে নিয়ে যেতে।কিন্তু শ্রীহরির লীলা বোঝা বড় দায়। রাজা পৌছে গিয়ে দেখলেন যে মন্দিরে নীলমাধবের বিগ্রহ নেই। যদিও এ নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে কোথায় বলা হয় নীল মাধবে নীজে থেকেই লীন হয়ে যান, আবার কেউ বলে থাকেন যে শবরেরা নীলমাধবের বিগ্রহ লুকিয়ে রেখে দেয়।এতদূরে এসেও নীলমাধবের দেখা না পেয়ে ইন্দ্রদ্যুম্ন হতাশ হয়ে পরেন এবং সিদ্ধান্ত নেন এ জীবন সে রাখবে না। ঠিক এই সময় আকাশ থেকে দৈববাণী শোনা যায়-

“সমুদ্রের জলে ভেসে আসবে দারুব্রহ্ম কাষ্ঠ, সেই কাষ্ঠখণ্ড থেকেই তৈরি হবে বিগ্রহ” (অর্থাৎ নীলমাধবের বিগ্রহ)।

এরপর রাজা চলে আসলেন তার নিজ রাজ্যে। হঠাৎ এক রাত্রে রাজা সপ্নে দেখলেন, ভগবান শ্রী হরি তাকে বলছেন –

“ আমি সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে তোমার নিকট আসছি। পুরীর বাঙ্কিমুহান নামক স্থানে তুমি আমাকে দারুব্রহ্ম রূপে পাবে।”

রাজা সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে সেই স্থানে গিয়ে দেখতে পেলেন এক খন্ড কাঠের টুকরা। হাতি সৈণ্য এনেও সেই কাঠ নড়ানো গেলো না। তখন শ্রী হরির সপ্নাদেশে খবর পাঠানো হলো শবররাজ বিশ্ববসুকে। তিনি আসার পর বিদ্যাপতি , রাজা ও বিশ্ববসু এই তিনজনে মিলে সেই কাঠের টুকরা নিয়ে এলেন রাজার প্রাসাদে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো সে কাঠ খোদাই করার মত ক্ষমতা কারোর ই ছিলো না ওয়ি রাজ্যে। হাতুরি বা খোদাই করতে গেলেও তা সম্ভব হলো না। ভেঙ্গে যাচ্ছে বারবার।রাজা আবার চিন্তায় পরে গেলেন। ঠিক তখনি তার কাছে এলেন অনন্ত মহারাণা নামের এক ছুতোর। অনেকের মতে শ্রীহরি নিজেই এসেছিলেন ছুতোর হয়ে আবার মতান্তরে অনেকে বলে থাকেন বিশ্বকর্মা এসেছিলেন ভগবান এর আদেশে।

সে বলল সে এই কাঠ খোদাই করে গড়ে দিবেন নীল মাধবের বিগ্রহ। কিন্তু তার একটি শর্ত হলো ২১ দিনের মধ্যে কেউ এই মন্দিরে প্রবেশ করবে না যতক্ষন পর্যন্ত তার খোদাই এর কাজ শেষ হয়। রাজা রাজি হলে গেলেন।দরজায় পাহাড়া বসল। কিন্তু বিপত্তি বাধালো ইন্দ্রদ্যুম্নের রানী গুণ্ডীচা। তার আর অপেক্ষা মানছিলো না , কাজ শেষ হবার আগেই ১৪ দিনের মাথায় তিনি মন্দিরে প্রবেশ করলেন। মন্দিরে ঢুকে তিনি দেখতে পেলেন এক অদ্ভূত দৃশ্য। সেখানে নেই কোন ছুতোর, অসম্পূর্ণ অবস্থায় জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা দেবীর মূর্তি দেখে রানী ভিরমি খেলেন। একি মূর্তি! নীল নবঘন শ্যামল শ্রীবিষ্ণুর এমন গোলাকৃতি নয়ন, হস্ত পদ হীন, কালো মেঘের মতো গাত্র বর্ণ দেখে রানীর মাথা ঘুরতে লাগলো।

রাজা শুনে ছুটে এলেন । রানীর উপরে ক্ষিপ্ত হলেন এবং এও বললেন শর্ত ভঙ্গের কারনে কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই ছুতোর চলে গেছেন।

বিমর্ষ হয়ে পরলেন রাজা। কিন্তু ভক্তের কষ্ট ভগবান সইবেন কেন। সে রাত্রেই রাজাকে আবার সপ্নে দেখা দিলেন। তাকে বললেন তিনি এই রুপেই পূজিত হবেন। তার নিজস্ব কোনো আকার বা আকৃ্তি নেই । ভক্তেরা যে রুপ কল্পনা করে তার আরাধনা করেন তিনি তার কাছে ঠিক তেমন ই। তিনি রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন কে বললেন এই অসম্পুর্ন অবস্থায় ই তিনি পূজো গ্রহণ করবেন এবং তাকে পুরুষোত্তম ধামে স্থাপণ করা হয় যেন এবং সেখানেই তিনি পূজো গ্রহন করবেন।

আর এভাবেই প্রতিষ্ঠা হয় জগন্নাথ দেব এর। জগণ্ণাথ দেব এর এই রুপ নিয়ে কৃষ্ণ যজুর্বেদিয় শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের তৃতীয় অধ্যায়ে বলা হয়েছে-

‘‘অপাণিপাদো জাবানো গ্রহীতা

পশ্যত্যচক্ষুঃ স শৃণোত্যকর্নঃ ।

স বেত্তি বেদ্যং ন চ তস্যাস্তি বেত্তা

তমাহুরগ্র্যং পুরুষং মহান্তম্’’ ।।

অর্থাৎ, তার লৌকিক হস্ত নাই, অথচ তিনি সকল দ্রব্য গ্রহণ করেন। তার পদ নাই, অথচ সর্বত্রই চলেন। তার চোখ নাই, অথচ সবই দেখেন। কান নাই, কিন্তু সবই শোনেন। তাকে জানা কঠিন, তিনি জগতের আদিপুরুষ। এই বামনদেবই বিশ্বাত্মা, তার রূপ নেই, আকার নেই। উপনিষদের এই বর্ণনার প্রতীক রূপই হলো পুরীর জগন্নাথদেব। তার পুরো বিগ্রহ তৈরি করা সম্ভব হয়নি, কারণ তার রূপ তৈরিতে মানুষ অক্ষম। শুধু প্রতীককে দেখানো হয়েছে মাত্র।

জগন্নাথ মন্দিরে প্রান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রজাপতি ব্রহ্মা। রথ যাত্রার ইতিহাস সম্পর্কে এইটাই গল্প।

জগন্নাথের প্রধান উত্‍‌সব হল রথযাত্রা। পুরাণ অনুসারে বলা হয়- আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরাম রথে চড়ে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের পত্নী গুণ্ডিচার বাড়ি যেটাকে বলা হয় জগন্নাথের ‘মাসির বাড়ি’ এবং সাত দিন পরে সেখান থেকে আবার নিজের মন্দিরে ফিরে আসেন। রথে চড়ে ওই গমন ও প্রত্যাগমনকে (সোজা)রথ ও (উল্টো)রথ বলা হয়।

‘রথযাত্রা’ আবার পতিতপাবনযাত্রা, নবযাত্রা, গুণ্ডিচাযাত্রা, মহাবেদীযাত্রা, নন্দীঘোষযাত্রা নামেও পরিচিত।

2 no Khondo

গত আলোচনায় রথযাত্রার ইতিহাস সম্পর্কে নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। সেখানে আমরা জেনেছিলাম কিভাবে মালবর রাজ ইন্দ্রদ্যুম্নের হাত ধরে এই রথযাত্রার সূচনা হয়েছিলো। আজ আমরা রথ নিয়ে জানানোর চেষ্টা করব।

রথ ছাড়া রথযাত্রা আমদের কল্পনাতীত!

একটা রথের বিভিন্ন অংশ থাকে। সংক্ষেপে আমরা সেগুলোর সাথে আগে পরিচিত হয়ে নেই। রথ যে নির্মান করেন তাকে বলা হয় রথকর। আর যে রথ চালনা করে তাকে বলা হয় রথযুক। রথের চাকা কে বলা হয় রথচরন। পুরীতে যে রথ উৎসব হয় সেখানে প্রধানত তিনটি রথ থাকে। আসুন জেনে নেয়া যাক সেই রথ তিনটি সম্পর্কে।

তালধ্বজ

প্রথমে যাত্রা শুরু করে বড় ভাই বলভদ্রের রথ। এই রথের নাম তালধ্বজ। এই রথের উচ্চতা ৪৩ ফুট ৩ ইঞ্চি। চাকা ১৪টি। পরিধি ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি। অশ্ব কালো রঙের। চারটি অশ্বের নাম যথাক্রমে ত্রিব্রা, ঘোরা, দীর্ঘশর্মা এবং স্বর্ণাভা। বলভদ্রের রথের সারথির নাম মাতলি। রথ যে রশির সাহায্যে টানা হয় সেই রশির নাম বাসুকিনাগ এবং রথের উপরে যে পতাকা রয়েছে তার নাম উন্নয়নী। জগন্নাথের রথের পতাকার নাম ত্রৈলোক্য মোহিনী।

দর্পদলন

এরপরেই যাত্রা যাত্রা করে বোন সুভদ্রার রথ। সুভদ্রার রথের নাম দেবদলন। রথের উচ্চতা ৪৩ ফুট ৩ ইঞ্চি। এতে থাকে বারোটি চাকা চাকার পরিধি ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি। এতে থাকে রথের রং কালো এবং লাল। রথের অশ্ব লাল রঙের। চারটি অশ্বের নাম যথাক্রমে রোচিকা, মোচিকা, জিতা এবং অপরাজিতা। সুভদ্রার সারথির নাম অর্জুন। সুভদ্রার রথের রশির নাম স্বর্ণচূড় নাগিনী। সুভদ্রা রথের পতাকার নাম নদাম্বিকা।

নন্দীঘোষ

সর্বশেষে থাকে শ্রী কৃষ্ণ বা জগন্নাথদেবের রথ। রথটির নাম নন্দীঘোষ। পতাকায় কপিরাজ হনুমানের মূর্তি আঁকা রয়েছে তাই এই রথের আর একটি নাম কপিধ্বজ। রথের সারথির নাম দারুকা। এই রথের উচ্চতা ৪৪ ফুট ২ ইঞ্চি। রথে থাকে ১৬ টি চাকা। চাকার পরিধি ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি। অশ্বের রং সাদা। চারটি অশ্বের নাম যথাক্রমে নাম শঙ্খ, বলাহক, শ্বেতা এবং হরিদশ্ব। জগন্নাথের রথের রশির নাম শঙ্কচূড়।

এছাড়াও এই পবিত্র রথযাত্রাকে ঘিরে ভক্তদের মাঝে নানা লোকবিশ্বাস , কাহিনী প্রচলিত আছে।

জগন্নাথদেবের রথযাত্রা

যেমন-

১. জগন্নাথ প্রতিবছর নব রথে উঠে। নব মানে নতুন আবার নব মানে নববিধা ভক্তি। মানে ভক্তির রথে জগন্নাথ উঠে। ভক্তি দিয়ে গড়া রথ।

২. পুরীর রথ চলার সময় রাস্তায় চাকার তিনটি দাগ পড়ে – তা হল গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতী। যারা বার্ধক্যজনিত কারণে বা অন্যান্য কারণে রথের দড়ি ধরতে পারেন না, তারা যদি চাকার এই তিনটি দাগের ধুলি গ্রহণ করেন, বা এই ত্রিদাগে গড়াগড়ি দেন, তাহলে গঙ্গা – যমুনা – সরস্বতীতে অবগাহনের ফল লাভ করেন।

৩. সম্পূর্ণ রথ শুধুমাত্র কাঠের তৈরি, ফলে রথ চলার সময় কাঠের কড়কড় শব্দ হয়, এটিকে বলা হয় বেদ।

৪. সম্পূর্ণ রথ শুধুমাত্র কাঠের তৈরি, ফলে রথ চলার সময় কাঠের কড়কড় শব্দ হয়, এটিকে বলা হয় বেদ। ২০৬ টি কাঠ দিয়ে জগন্নাথের রথ হয়। ঠিক আমাদের দেহেও ২০৬ টি হাড়।

৫. পুরীতে, রথের সময় এমন কোনো বছর নেই যে সময় রথের দিন বৃষ্টি হয়নি।

৬. কোনো রকম আধুনিক সরঞ্জাম ছাড়াই রথ নির্মাণ করা হয়। বর্তমান সময়ের এত উন্নত প্রযুক্তির বিন্দুমাত্র সহায়তা নেওয়া হয় না রথ নির্মাণে।

৭. রথ নির্মাণের নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য মাপগুলো হাতে নেওয়া হয়, কোনো গজ ফিতের সাহায্যে নয়। কোনো প্রকার পেরেক, নাট বল্টু, ধাতু- কিছুর ব্যবহার নেই এখানে।

৮. প্রায় চৌদ্দশ’ কর্মী রথ নির্মাণ করেন। এখানে কাউকে আলাদা করে নিয়োগ করতে হয় না, কেননা সেই আদিকাল থেকে বংশপরম্পরায় যারা রথ তৈরি করে আসছিলো, তারা আজও রথ তৈরি করে যাচ্ছে।

৯. রথ তিনটিতে বলরাম, সুভদ্রা এবং জগন্নাথের মূর্তি থাকে ভেতরে, যা নিমকাঠ দিয়ে তৈরি এবং প্রায় ২০৮ কেজি সোনা দিয়ে সজ্জিত।

১০. রথ নির্মাণে যে সমস্ত কাঠ ব্যবহার করা হয়, তার উৎস হলো পুরীর কাছেই দাশপাল্লা ও রানাপুর নামের দুটি জঙ্গল। যে পরিমাণ গাছ কাটা হয়, তার দ্বিগুণ পরিমাণ গাছ প্রতি বছর রোপণও করা হয় জঙ্গলে।

১১. রথ যখন চলে প্রথমে থাকে বলদেবের রথ। কারণ বলদেব দাদা। আবার জগত গুরুতত্ত্ব। তিনিই তো নিত্যানন্দ । সবার জীবনে আগে গুরুকৃপা আসতে হবে। তারপর চলে সুভদ্রার রথ। সুভদ্রা হল ভক্তি তত্ত্ব। গুরুকৃপার পর আসে ভক্তিমহারাণী। কারণ ভক্তির ঠিকানা শ্রীগুরুপদে। “শ্রীগুরুচরণপদ্ম কেবল ভকতিসদ্ম। বন্দো মুই সাবধান মতে।” গুরুদেব হল ভগবানের করুনার মুর্তি। তারপর যায় জগন্নাথের রথ। প্রথমে গুরুদেব, তারপর ভক্তি, তারপর ভগবান জগন্নাথ।

১২. রথের দর্শনে শ্রী চৈতন্যমহাপ্রভু নৃত্য করছেন। অপলক নয়নে দর্শন করছেন জগন্নাথ। রথ চলতে চলতে মাঝে মাঝে থেমে যায়। এর কারন রাধা ভাবে বিভোর মহাপ্রভুকে ভাল করে দেখার জন্য রথ একটু থামে আবার চলে। অনেক ভক্তের মাঝে মহাপ্রভুকে না দেখে জগন্নাথ থেমে যায়। রথ অপ্রকৃতি কারন তা প্রভু জগন্নাথের ইচ্ছা শক্তিতে রথ চলে।
জয় জগন্নাথ ।

06/07/2022

ভারতের একতা ও অখণ্ডতা রক্ষায় নিজের জীবন উৎসর্গকারী প্রণম্য রাষ্ট্রবাদী নেতা, জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা, পশ্চিমবঙ্গের জনক
ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মূখোপাধ্যায়ের জন্মজয়ন্তীতে আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম।

01/07/2022

সবাইকে রথযাত্রার শুভেচ্ছা ও শুভকামনা
জয় জগন্নাথ।

22/06/2022

ভারত কেশরী ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বা ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী (জন্ম জুলাই ৬, ১৯০১- মৃত্যু জুন ২৩, ১৯৫৩) একজন ভারতীয় পণ্ডিত ও নেতা। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী প্রথম হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল ভারতীয় জন সংঘ গঠন করেন। ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী হিন্দু মহাসভার সভাপতি ছিলেন। তিনি জওহরলাল নেহেরুর ক্যাবিনেটের মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে কুখ্যাত "নেহরু-লিয়াকত" চুক্তির বিরোধিতা করে মন্ত্রীত্ব ত্যাগ করেন ।ভারত কেশরী ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় তিরোধান দিবসে স্রহশ্র প্রনাম 🙏

16/06/2022

লক্ষ্মী বাঈ (মারাঠি: झाशीची राणी; হিন্দি: झाँसी की रानी; জন্ম: ১৯ নভেম্বর, ১৮২৮ - মৃত্যু: ১৭ জুন ১৮৫৮) ভারতবর্ষের ইতিহাসে বিপ্লবী নেত্রী হিসেবে চিরস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে রয়েছেন। এছাড়াও তিনি ঝাঁসীর রাণী বা ঝাঁসী কি রাণী হিসেবেও সর্বসাধারণের কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত। ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮৫৭ সালের ভারতীয় বিদ্রোহের অন্যতম প্রতিমূর্তি ও পথিকৃৎ হয়ে রয়েছেন তিনি। মারাঠা শাসনাধীন ঝাঁসী ভারতের উত্তরাংশে অবস্থিত। আমরা সহস্র প্রনাম জানাই এই তিরোধান দিবসে।🙏🙏🙏

16/06/2022

প্রখ্যাত বাঙালি রসায়নবিদ, বেঙ্গল কেমিক্যালস্-এর প্রতিষ্ঠাতা
আচার্য স্যার প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের প্রয়াণ দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা।

15/06/2022

রাষ্ট্রয় নব নির্মাণ সম্মান - ২০২২

14/06/2022
14/06/2022

সকলকে শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
জয় জগন্নাথ।।

13/06/2022

World blood donor day....... www.rashtriyanavnirman.org

Rashtriya Nav Nirman 11/06/2022

আর এন এন করতে হলে অনেক কিছু স্যাক্রিফাইস করতে হবে। অনেক কিছু ফেস করতে হবে। কারন এটা কোনো রাজনৈতিক দল নয় যে উপর মহল থেকে টাকা এল খরচ করলাম যেরকম ইচ্ছে আর হাতজোড় করে স্টেজে উঠলাম মুখের কাছে মাইক নিয়ে মানুষকে একগুচ্ছ মিষ্টি কথা বলে আসা দিলাম আর ভোট চলে গেলে মানুষকে হতাস করলাম। আর নিচের স্তরের কর্মিকে ভুলে গেলাম।এটা সে জায়গা নয়। আমাদের টাকা উপর থেকে আসেনা, আমাদের টাকা ডোনশিয়ন এর উপর চলে আর সেই ডোনেশিয়ন নিজেদের কে গিয়ে কালেকশিয়ন করতে হয়।এখানে এক শ্রেনি মানুষের উপকার কোরতে আর এক শ্রেনির কাছ থেকে ডোনেশিয়ন জোগাড় করতে হয়।এটা সমাজ সংগঠন। সর্বদা মানুষের পাশে থাকার জন্য অবগত থাকবে রাষ্ট্রীয় নব নির্মাণ। উপর স্তর থেকে নিচের স্তরের একই সম্মান। কেউ ছোট বড় নয়। নিজের পদটাকে নিয়ে অহংকার করার জায়গা নয় এটা। সবাইকে কাজ কোরার সুজগ দিতে হবে। কি ভাবে সংগঠন কোরবে নতুনদের বুঝিয়ে দিতে হবে ভাল করে। শুধু সদস্য করলাম আর সদস্য হয়ে জাওয়ার পর সেই ব্যাক্তির সাথে আর কোন যোগাযোগ রাখবনা আর তাকে সক্রিয় করবনা তা হলে নিজেকে তাদের কাছ থেকে হারিয়ে যেতে হবে। তাকে বলতে হবে যে আপনিও ১৫ জন কে জয়েন করান। যে যাকে জয়েন করাবেন সে যেন তার সাথে সবসময় ফোন করে খবর নেই যে সে কিভাবে কাজ করছে বা কি ভাবে কাজ করবে।
রাষ্ট্রীয় নব নির্মাণ জয়েন করতে চাইলে আমাদের নিজেদের ওয়েবসাইট লিংকটিতে ক্লিক করুন https://www.rashtriyanavnirman.org আর নিজেকে রাষ্ট্রীয় নব নির্মাণ এর সাথে যুক্ত করুন আর সম্মান এর সাথে মানুষের পাশে থাকুন যথাসাধ্য চেষ্টা করুন সাহায্য করার।

Rashtriya Nav Nirman

Rashtriya Nav Nirman 11/06/2022

সমস্ত রাষ্ট্রীয় নব নির্মাণ সদস্যদের জানানো যাইতেছে যে আপনারা আপনাদের সমস্ত বন্ধু বান্ধবদের আমাদের এই লিংকটি শেয়ার করুন আর তাদেরকে রাষ্ট্রীয় নব নির্মাণ এর সাথে যুক্ত হতে অনুরোধ করুন। জনতার জেগে ওঠার আহবান। রাষ্ট্রীয় নব নির্মাণ আপনাদের পাশে থাকবে।🙏🙏🙏🙏
https://www.rashtriyanavnirman.org/join.php

এই লিংকটি আপনার ১৫ জন বন্ধু বান্ধবদের শেয়ার করুন।
এই সংগঠনের সাথে কোনো রাজনৈতিক দল যুক্ত নেই। রাষ্ট্রীয় নব নির্মাণ আমজনতার। আমজনতাই রাষ্ট্রীয় নব নির্মাণকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। জনতার রায় মানুষের হয়ে লড়াই। নিজের দেশের সংবিধানের জন্য। দেশের জন্য। 🚩🚩🚩🇮🇳🇮🇳🇮🇳

Rashtriya Nav Nirman

Want your organization to be the top-listed Non Profit Organization in KOLKATA?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

রাষ্ট্রীয় নবনির্মাণ সকলকে জানাচ্ছে ✨🌸🌷#বাসন্তীপূজাও#অন্নপূর্ণাপূজা🌸🌷✨_র শুভেচ্ছা 🙏🏻
সমগ্র রাষ্ট্র বাসীকে জানাই সমগ্র ভারত ব্যাপী উৎসবের মরসুমের শুভেচ্ছা।🙏🏻 ✨বঙ্গভূমির পৌষ পার্বণ, উত্তরভারতের মকর সংক্রান্ত...
Jai maa Tara
Salute For Indian Army  Rashtriya Nav Nirman   www.rashtriyanavnirman.org

Telephone

Address


Jadavpur
Kolkata
700032

Other Nonprofit Organizations in Kolkata (show all)
International Vedanta Society International Vedanta Society
VEDANTA, 37/6,. SHAH Road, TOLLYGUNGE, KOLKATA/33
Kolkata, 700033

International Vedanta Society is a spiritual organisation dedicated in spreading the message of Vedanta to the universe.

Mukti Mukti
22 Canal Side Road
Kolkata, 700084

The socio-economic development organization MUKTI (Liberation) was setup in the year 2003 by a group of young and energetic people for human development.

AID Kolkata AID Kolkata
Kolkata

AID Kolkata is a volunteers’ movement, aspiring to bring in change that is sustainable and inclusive

Let Us Care For You Let Us Care For You
Kolkata

CONTACT DETAILS :Let Us Care for You[LUCY].South Bankimpally, Madhyamgram,West Bengal, India 700129. +91 9830129243e-mail: [email protected]

Muslim Business Council of India Muslim Business Council of India
Shop No. 8, Mezzanine Floor, Esplanade Metro Rail Station
Kolkata, 700069

We are a non profit dedicated corporate advocacy Public Body to promote MSME Business, Trade, Commer

Child in Need Institute (CINI) Child in Need Institute (CINI)
Village Daulatpur, Via Joka, Post Pailan
Kolkata, 700104

CINI is a NGO registered under the Societies Registration Act in India estb. in 1974 by a pediatrician, Dr. Samir Chaudhuri in West Bengal, India now runs operations in 8 state, as...

ConneXions ConneXions
LAKE Gardens
Kolkata, 700045

Connecting womens’ lives... linking with hope binding by self-reliance uniting a spir

Duhsamayer Sangi Social Welfare Organization Duhsamayer Sangi Social Welfare Organization
Shrabani Complex, Block-B, Rajpur Sonarpur
Kolkata, 700149

Need Foundation Need Foundation
Kolkata, 700108

For autistic individuals to succeed in this world, they need to find their strengths and the people that will help them get to their hopes and dreams. A supportive environment w...

Farrukh Ghazala Helping Foundation Farrukh Ghazala Helping Foundation
Kolkata

An NGO to look after the needs and necessities of those under privileged section of our society which has the right to live life but somehow are unable to live it to the fullest. M...

Sathi Charitable Trust - SCT Sathi Charitable Trust - SCT
26/1 Vernerlane
Kolkata, 700056

The Life Care Trust The Life Care Trust
VIP Road
Kolkata, 700052

A non-profit, non-political, public charitable trust, registered under Indian Trust Act 1882.