Madhuparko
Nearby non profit organizations
Jadavpur, KOLKATA
KOLKATA 700032
MADHUPARKO fights for the distressed children and women. Working on environmental and social awarene
MADHUPARKO is a Sanskrit word meaning 'Divine offerings’ that bestows wisdom and is a place for gatherings. Similarly, MADHUPARKO aims to offer into the lives of underserved sections of society that require intervention. Being registered in 2015 as a Non-profitable Organization, Madhuparko works on empower vulnerable children, women and youth. With these view, Madhuparko started their journey in t
"তোমার মুঠোয় আবার এসেছে শীত
কার্নিভালের রোশনাই চারদিকে
ডিলান অথবা রবীন্দ্রসঙ্গীত
এই বড়দিনে কি শোনাবে ......"
Calender এর শীতের থাবা কলকাতার ধূসর আকাশে মন্দ্র সপ্তকে বাজলেও ঝাড়গ্রামের বাঁধগোড়া অঞ্চলের প্রান্তিক মানুষ গুলোর জীবনে দ্রুত লয়ে ঢুকে পড়েছে। বড়দিন তাদের কাছে কার্নিভাল আর আলোর রোশনাই এ বব বাবু বা রবি বাবুর উদযাপন নয়, বরণ ছেঁড়া কাঁথা কম্বল তাপ্পি দিয়ে উত্তুরে হাড়কাঁপানো হওয়ার সাথে কুঁচকে যাওয়া চামড়ার লড়াই। ঘরের ছোট্ট সদস্য কে তুলসী পাতা আর মধুর সাথে সর্দি কাশি র থেকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াস। আগুন জ্বালিয়ে হাত পা সেঁকে গরম রাখার জন্য জঙ্গল থেকে পর্যাপ্ত পাতা আর কাঠি র যোগান।
এই মানুষ গুলোর সাথেই বড়দিন উদযাপন করব আমরা। কথা দিয়েছি 100 টি পরিবারের হতে তুলে দেবো কম্বল। সঙ্গে আরও অনেক গুলি মানুষের জন্য নিয়ে যাবো পুরনো জামাকাপড়, সোয়েটার। আপনাদের এক ই ভাবে পাশে পাবো এই আশা নিয়েই কথা দিয়েছি। শীতের ওম টা না হয় একটু ওদের সকলের সাথে ভাগাভাগি করেই নিলাম।
আর ফেরার পথে আপনাদের পরিচিত কিশোর ভারতীর বাচ্চাদের সাথে দেখা করবো সান্তা দাদু সেজে। ঝোলায় থাকবে বড়দের জন্য মাধ্যমিক এর test paper, আর ছোটদের জন্য World মধ্যে থেকে তাদের ঝাড়গ্রাম কে ধীরে ধীরে চেনার জানার জন্য বেশ কয়েকটি map। সঙ্গে 57 জনের জন্য শীতের প্রকোপে বোরোলিন।
আমাদের প্রস্তুতি তুঙ্গে, পাশে থাকুন। আমাদের ঠিকানা
MADHUPARKO
Account number 35632551519
Jadavpur University branch
IFSC SBIN0000093
Mobile +91 9038449360, 8101094929
অসুর শক্তির ধ্বংসের পর বাজে দেবীর আলোর বেনু। প্রাকৃতিক দূর্যোগ যেন সেই অসুর শক্তি। ঋতুচক্র সময় পরিবর্তন করলেও, রাজনীতি থেকে প্রকৃতির আঙিনায় দল বদল চললেও, মধুপর্ক আজও দলবেঁধে একইভাবে প্রান্তিক মানুষগুলোর পাশে আছে। যদিও এবার প্রকৃতির দোলাচলে আগমনীর সুর বিলম্বিত। কিন্তু প্রস্তুতি হবে দ্রুত গতিতে। হাতে আর মাত্র সাতদিন। এর মধ্যেই ভাঁড়ার জোগাড়, কেনাকাটি সেরে, উপহারের ডালি সাজিয়ে ফেলতে হবে। আপনাদের ওপর ভরসা রেখেই আবার আনন্দ যজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়েছি আমরা। অর্থনৈতিক অবস্থা খানিক পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মতোই। কিন্তু ভরসা আছে আপনারা কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব পালন করে আবার হালে পানি দেবেন। বচ্ছরকার দিনে আপনাদের সাথে নিয়ে প্রান্তিক মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটাবোই।
এবারের পুজোর উপহার পৌঁছবে
১) বাকখালির প্রবর্তক আশ্রমের ছেলেদের কাছে। অন্য একটি সংস্থা নতুন জামা দেওয়ায় আমরা দেবো তাদের নতুন জুতো।
২) ঝাড়গ্রামের বাঁধগরা অঞ্চলের বোধনা গ্রামের লোধা, মুন্ডা, ভূমিজ প্রজাতির মহিলাদের কাছে নতুন শাড়ি
৩) বীরভূমের ব্রাহ্মণখন্ড গ্রামে র মহিলা দের জন্য নতুন শাড়ি।
সংখ্যা সচেতন ভাবেই এখন জানাতে পারছি না কারন সাধ আর সাধ্য মিলবে কিনা তা ঠিক করার দায় আপনাদের ওপর ছাড়লাম।
কাজগুলোর বিস্তারিত বর্ণনা ছবি সমেত সাজিয়ে দেবো পুজোর দিনে।
আনন্দে কাটুক পুজো। আগাম শারদ শুভেচ্ছা।
পাশে থাকার ঠিকানা
MADHUPARKO
Account number 35632551519
Jadavpur University branch
IFSC SBIN0000093
Mobile +91 9038449360, 8101094929
গত ২৯শে জুলাই, ২০২৩ প্রবর্তক আশ্রমে আবাসিক শিশু দের মধ্যে নতুন বিছানার চাদর, জ্যামিতি বক্স, পেন্সিল বক্স এবং একটি ফুটবল প্রদান করা হয়েছে। যারা আমাদের পাশে থেকেছেন তাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।
Last 29th July 2023, members of Madhuparko visited Probortok ashram and distributed new bedsheets, geometry box, pencil box and a football among the students. Thanks to everyone who has helped us.
প্রতি বছর, ৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করা হয়। পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতি ও কী ভাবে তা সংরক্ষণ করা সম্ভব, তা নিয়ে আলোচনা করা হয় প্রতি উদযাপনেই। তবুও আমরা কতটা সচেতন? ১৯৭২ সালে 'স্টকহোম কনফারেন্স অন হিউম্যান এনভায়রনমেন্ট'-এ ৫ জুন দিনটিকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল। ১৯৭৩ সালে প্রথম বার উদযাপন হয় 'বিশ্ব পরিবেশ দিবস।' স্লোগান ছিল, Only One Earth। রাষ্ট্রপুঞ্জ হিসেব দিচ্ছে, গোটা বিশ্বে গড়ে ৪০ কোটি টনেরও বেশি প্লাস্টিক তৈরি হয়। এর মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ হল পুনর্ব্যববারযোগ্য। বাকি যা থাকে তা এসে জমা হয় নদী, সমুদ্র, জলাশয়ের বুকে। এরমধ্যে কিছু সামুদ্রিক প্রাণী খাবার হিসেবে খেয়ে ফেলে আর বাকি মাইক্রোপ্লাস্টিক খাবার, জল, বাতাসের সঙ্গে মিশে দূষণ ছড়ায়। প্লাস্টিক দূষণ রোধ করাই এবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসের থিম। আর তাই ক্যাম্পেনের নামকরণ হয়েছে- 'BeatPlasticPollution'
এবছরই বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপনের ৫০ তম বছর। 'সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমারো'- এই ভাবনায় ব্রতী মধুপর্ক। সোশ্যাল মিডিয়া আর নোটিফিকেশনের যুগে কাউকে এড়িয়ে নয় সকলকে এক সুতোয় ভালবাসার বন্ধনে বেঁধে রাখাই আমাদের উদ্দেশ্য। রাজ্যজুড়েই চলছে চরম তাপপ্রবাহ। আপাতত আশার কোনও খবর শোনাতে পারেনি হাওয়া অফিস। ব্যালকনিতে ঝিমিয়ে পড়ছে সাধের মানিপ্ল্যান্ট, রোজ ভিড় আর ঘামে ক্লান্ত শরীরটাকে কোনও ক্রমে টেনে নিয়ে বাড়ি ফেরা। কষ্ট করে দিন-রাতের হিসেব মেলানোর লড়াইয়ে আমরা সবাই ছুটছি। 'গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান' কিংবা 'একটি গাছ একটি প্রাণে'র সীমাবদ্ধতা বুঝি দশম শ্রেণীর প্রবন্ধের পাতাতেই ইতি টানল...থামার সময় পেরিয়ে গিয়েছে। এবার জোর করে থামাতে হবে। জন্মদিনের ফিরতি গিফট না হয় একটা গাছই হোক। নিয়ম করে এই একটা দিন হোক গাছেদের জন্মদিন পালন।
ঝাড়গ্রামের বিকাশ ভারতী শিশু বিকাশ কেন্দ্রে উপস্থিত ছিল মধুপর্ক। শিশু-কিশোরদের সঙ্গে নিয়ে হই হই করতে করতে পেয়ারা, সবেদা, কাগজি লেবু, জামরুল আর লিচু গাছ লাগিয়েছে। বিকাশ ভারতীর এই ৫৪ জন কচি-সংসদে এবার নাম লেখালো এই পাঁচ ছোট্ট চারা। ওরা এক সঙ্গেই বৃদ্ধ হোক, এমন ভাবেই আগলে রাখুক। ছোট্ট ছোট্ট পায়ে একদিন সবুজের সমারোহে আবারও এগিয়ে যাব আমরাা। শুধু গাছ লাগিয়েই অঙ্গীকার থেমে থাকেনি, বন্ধুদের সচেতন করতে একটি নাটিকাও তারা পরিবেশন করেছে। আপাতত সবটুকু ধরা রইল এই কটি ছবিতেই...
গরমটা তো কাঁপিয়ে দিচ্ছে চারদিকে। তা, সক্কলে আশা করি ভালোই আছেন মোটামুটি.. সবে এপ্রিলে এসেছি। ইয়ার-এণ্ড রিকগনিশনও তো আমাদের।সবারই কমপ্লিট - কারোর কারোর প্রমোশনটা হয়তো বাকি থাকল, কেউ বা আবার দু-চাকাটাকে এবারেও চার-চাকায় বদলাতে পারলাম না। তবে হ্যাঁ, পরিবার-পরিজন নিয়ে আশা করা যায় সামনের বছরটা ভালভাবে কাটিয়ে নিতে পারব। কিন্তু....
হুমম, কিন্তু একটা রয়েই গেল। যাদের ধরুন ইনক্রিমেণ্ট বা প্রমোশন কিছুই নেই? বাবার ভ্যান চালানোর রোজগার বা মায়ের বাসন মাজা-ঘর ঝাড়ার মাইনের মাঝে যাদের অস্তিত্বটুকুই সংকটে? তাদের কথা ভাবতেই এই বৈশাখে কিছু অনুরোধের ভিক্ষাপাত্র নিয়ে হাজির হচ্ছি৷ ভরসা এটুকুই মা অন্নপূর্ণার কৃপা আছে আপনাদের উপর.. জানি ফেরাবেন না খালি হাতে।
১. মধুপর্কের কাজকম্মের দৌলতে বকখালির প্রবর্তক তো সকলেই প্রায় চিনে গেছেন। উইকেণ্ডে সমুদ্র দেখতে গিয়ে কেউ কেউ আবার ঘুরেও এসেছেন আশ্রমটুকু-বাচ্ছাগুলোকে কেক, লজেন্স দিয়েছেন.. অনেক ধন্যবাদ আপনাদেরকে। এই প্রবর্তকেই দশম শ্রেণি অবধি ছাত্রদের জন্য বেডশিট আর জ্যামিতি বক্সের দরকার। প্রায় খান চল্লিশেক সিঙ্গল চাদর আর পঁচিশের মত জ্যামিতি বক্স আশু প্রয়োজন।
২. আবার দেখুন, ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়া মাদ্রাসা। জাতি-ধর্মের ঊর্ধ্বে সেখানেও প্রায় জনা ষাটেক বালক-কিশোর ভবিষ্যতের মইয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু মাঝের অন্ধকার পথটুকুতে আলো দেখাবার মত কিছু নেই। অথচ, একটু চেষ্টা করে ৫টা টিউব লাইট আর ৫টা ফ্যান লাগাতে পারলেই ওদের কষ্টটা একটু কমে, যুদ্ধটা একটু সহজ হয়!
৩. ঝাড়গ্রামেরই লাউদহ গ্রামে আবার স্থানীয় উদ্যোগে একটা কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেণ্টার চলছে। লেখাপড়া, স্বাস্থ্য বা সংস্কৃতি.. এরকম ব্যবহারিক শিক্ষাদানের মাধ্যমে একটু সাহায্যের চেষ্টা চলছে সেখানে। প্রায় ১২০ ফ্যামিলি রাতের ঘুমটুকু হয়না সেখানে.. শুধুমাত্র মশারি নেই বলে। ভেবেছি সীমিত স্বার্থে, আর আপনাদের সাথে নিয়ে সেখানেও একটু হাত বাড়াব আমরা। একটা করে ডাবল বেডের মশারি আর প্রায় জনা পঞ্চাশ বাচ্ছার জন্য কিছু কেক-বিস্কুট-ফলের যোগাড় করতে হবে আমাদের।
কি ভাবছেন? পারব কিনা? পারব.. আপনারা আছেন যে! আমাদের সবথেকে বড় ভরসা তো আপনারাই। মধুপর্কের পাত্রে আপনাদের হাত-উপুড় করা ভালোবাসা তো প্রতিনিয়ত অনুভব করছি সবাই.. জানি, এবারেও নিরাশ হবো না। এগিয়ে আসছেন, আমরা নিশ্চিত। কোথায় কিভাবে অনুদান পাঠাবেন, নীচে দেওয়া রইল। কেউ যদি কোনো একটা দায়িত্ব সম্পূর্ণ নিতে চান.. বা আংশিক, দয়া করে যোগাযোগ করুন সরাসরি। বিশ্বাস করুন, খুব কৃতজ্ঞ থাকব.. আর আশীর্বাদ? ওই যে বললাম, মধুপর্কে সকলের জন্যই কিছু না কিছু রয়েছে.. কারোর জন্য একটু সাহায্য- কারোর জন্য আবার মুঠোমুঠো ভালোবাসা।
নববর্ষ আনন্দময় হোক সকলের জন্য.. অপেক্ষায় থাকলাম এখানে..
MADHUPARKO
Account number 35632551519
Jadavpur University branch
IFSC SBIN0000093
Mobile +91 9038449360, 8101094929
প্রান্তিক মানুষের সাথে Madhuparko-র সম্পর্ক যেন শীতকালের মিঠে রোদের মতো - যার আবরণে অনন্ত সময় থাকতে চায় জীবন। ছুটির দিনে কম্বলে পা ঢুকিয়ে শহুরে জীবন যখন ধূমায়িত চা-এ চুমুক দিতে ব্যস্ত, তখন মধুপর্ক কাঁধে ঝোলা চাপিয়ে জীবনের লেনদেনের আশায় পাড়ি দিয়েছিল তথাকথিত জঙ্গলমহলে। শুরুতে ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের কুলটিকরি অঞ্চলের ওলদা গ্রামের ৫০ টি পরিবারে হাতে কম্বল দিয়ে আর চোখের তারায় আয়না ধরে গ্রাম্য জীবনের দাওয়াত নিয়েই মধুপর্ক-র পরবর্তী গন্তব্য ছিলো পশ্চিম মেদিনীপুরের পড়িহাটি-র ইসলাহুল মুসলেমীন মাদ্রাসা। সেখানে জীবনকে খানিক ভিন্ন-স্বাদে চেখে দেখার সুযোগ। প্রাথমিক - হাইস্কুলের চেনা নিক্তিতে বিচার না করে সেখানের ৫০ জন আবাসিক ছাত্রের হাতে কম্বল, cake, biscuit, pen তুলে দিয়ে মধুপর্ক আবার রওনা হল তার শেষ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। এই গন্তব্য খানিক ঘরের বাইরে আর এক ঘরের মতো। বহুদিনের পরিচিত ঝাড়গ্রামের বিকাশ ভারতী হোম। যেখানে মোট ৪১ জন বাচ্চার সাথে cake, biscuit, pen দিয়ে কুশল বিনিময় সেরে আর একগুচ্ছ স্মৃতির টুকরো কুড়িয়ে আবার সেই শহুরে জীবনে ফেরা।
এভাবেই শেষ হলো মধুপর্ক-র প্রথম বড়দিন উদযাপন। এখনো দুটো বড়দিন বাকি, বীরভূম আর সুন্দরবন। এভাবেই পাশে থাকুন। সম্পর্ক আরো দৃর হোক। আগাম বড়দিনের শুভেচ্ছার সাথে রইলো কিছু ছবি।
আমাদের ঠিকানা:
MADHUPARKO
Account number 35632551519
Jadavpur University branch
IFSC SBIN0000093
Mobile +91 9038449360, 8101094929
"হাতের মুঠোয় আবার এসেছে শীত"। আর শীত মানেই পাহাড়ের কোলে রকমারি সোয়েটার টুপিতে selfie, চিড়িয়াখানায় picnic অথবা আলোয় ভেজা parkstreet এর carnival। এর উল্টো দিকে রয়েছে অন্য এক শীত - যার অর্থ উত্তুরে হাড় কাপানো হওয়ার সাথে লড়াই, কোচকানো চামড়া, জবুথবু জারে আগুনের সেঁক আর ছেঁড়া কম্বল বা কাঁথায় তাপ্পি।
হ্যাঁ, সেই প্রান্তিক মানুষ গুলোর কাছেই পৌঁছবে মধুপর্ক। ঝুলিতে প্রায় তিনশো কম্বল আর একশো গায়ের চাদর নিয়ে এই বড়দিনের মরশুমে আমাদের গন্তব্য ঝাড়গ্রামের ওলদা, চিঁচিঁড়া, বীরভূমের ব্রাম্ভনখন্ড আর সুন্দরবনের মাথুরাখন্ড। এছাড়াও ইচ্ছে আছে জামবনীর একটি মাদ্রাসায় বাচ্চাদের জন্য কম্বল।
আগামী 16 থেকে 31 ডিসেম্বরের মধ্যে সব কাজ গুলো শেষ করার আশা রেখেছি আপনাদের ভরসায়। প্রত্যেক কম্বলের দাম পড়ছে গড়ে 200 টাকা আর গায়ের চাদরের দাম ১৫০ টাকা। মধুপর্কের উদ্যম আর আপনাদের প্রশ্রয়ে এবারও বৈতরণী পেরোনোর বিশ্বাস রয়েছে বুকে। সাথে রইলো আগের বছরের কিছু ছবি।
আমাদের ঠিকানা:
MADHUPARKO
Account number 35632551519
Jadavpur University branch
IFSC SBIN0000093
Mobile +91 9038449360, 8101094929
Stay with us
বাংলার আকাশের গুরুগম্ভীর মেঘ বা বাংলা নিউজ চ্যানেলগুলোয় ঘণ্টাখানেক হেভিওয়েট আলোচনা শুনে মনে না হলেও, গড়িয়াহাটার মোড় বা নিউমার্কেট চত্বর কিন্তু বলছে পুজো এসে গিয়েছে। একই ব্যস্ততায় হয়তো কোথাও খড়ের চাল ও মাটির দেওয়াল নিকিয়ে নিচ্ছেন কেউ অথবা অন্যকোথাও পুজোর আগে বাড়ির পর্দাগুলোও একবার কেচে নিচ্ছেন কেউ কেউ।
এবারের পুজোর গন্ধে আবার নতুন সুবাস যোগ করেছে গত বছর পাওয়া আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। Intangible Cultural Heritage of Humanity অর্থাৎ মানবজাতির অস্থাবর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে আমাদের দুর্গাপুজো আজ বিশ্বের নজরে। জন্মাবধি শুনে এসেছি সাহিত্য-কলা-শিল্পে বাঙালির কৃতিত্ব বিশ্ববিদিত। কিন্তু বর্তমান সময়ের সাথে মেলালে সেই জাত্যাভিমানে কোথাও ঘা লাগে বইকি। তাই এই আন্তর্জাতিক সম্মান নিয়ে বর্তমান রাজ্য সরকারের আড়ম্বিক মাতামাতিতে অবাক লাগে না। ২০১০ সালে আমাদের ছৌ-নাচ এই একই সম্মান পেলেও বাংলার থেকে উড়িষ্যা ও ঝাড়খণ্ডের উচ্ছাস ছিল অনেকবেশি। বরং একবার ভাবা যাক আমাদের আরও কি কি স্বীকৃতি পাওয়ার কথা থাকলেও পাওয়া হয়নি।
যাইহোক UNESCO-র কল্যানে এবং রাজ্য সরকারের বাড়তি অনুদানে ক্লাবগুলোর পুজোয় এবার নিয়নবাতি বা আতসবাজির রোশনাই খানিক বাড়বে নিঃসন্দেহে, কিন্তু সেই আনন্দ আয়োজনের রেশ কতটা পৌঁছবে প্রান্তিক মানুষগুলোর কাছে? প্রতিমা আর থিম নিয়ে শহুরে ক্লাবগুলোর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই অথবা আলোর বন্যায় ভাসতে থাকা রাজপথ থেকে বহুদূরে থাকা মানুষগুলোর কাছে পুজোর উপহার নিয়ে পৌঁছবে মধুপর্ক। আর অবশ্যই মধুপর্কের সাথে আপনারা। হাতে সময় খুবই কম। এরমধ্যে ভাঁড়ার জোগাড়, কেনাকাটি, সাজিয়ে গুছিয়ে পৌছনো, সবটাই করতে হবে বন্দে ভারতের গতিতে। এখানেও ভরসা আপনারা। ভাঁড়ারের কথা না ভেবেই মধুপর্ক গত সাত বছর ধরে শুধু ঝাঁপিয়ে পড়েছে আর ভাঁড়ারের দায়িত্ব সামলেছেন আপনারা। এবারেও সেই ভরসাতেই বেশকিছু মানুষের কাছে পুজোর উপহারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেলেছে মধুপর্ক।
দেবীপক্ষের শুরুতেই মধুপর্ক পৌঁছে যাবে ঝাড়গ্রামের নিবেদিতা আশ্রমে। অন্য একটি সংস্থা সেখানে নতুন জামা দিচ্ছে আর ছোটবড় মিলিয়ে মোট ২৫০ জন আবাসিক মেয়েদের inner garments দিচ্ছে মধুপর্ক। সঙ্গে থাকছে প্রতিমাসের মতোই প্রায় ১২৫ জনের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন। তারপর বীরভূমের নানুর ব্লকের ব্রাহ্মণখণ্ড গ্রামের কমবেশি ১০০ জন মহিলাকে শাড়ি ও ১০০ জন পুরুষকে লুঙ্গি দেওয়ার কথা দেওয়া হয়েছে। আর তারপর সুন্দরবনের বালি অঞ্চলের মথুরাখণ্ড গ্রামেরও প্রায় ১০০ জন মহিলা ও ১০০ জন পুরুষকে শাড়ি ও লুঙ্গি দেওয়ার কথা হয়ে আছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন কত বড় একটা দায়িত্ব মধুপর্কের কাঁধে কিন্তু আমাদের একমুহূর্তের জন্যও অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে না। কারন প্রতিবারের মতোই আপনাদের পাশে পাবো জানি। সঙ্গে রইল ভাঁড়ারের ঠিকানা, আপনারা সময় ও সাধ্যমত একটু দেখে নেবেন। আমাদের উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে আপনাদের প্রশ্রয় মেলালে উৎসবের আনন্দ রোশনাই কলকাতা হয়ে ঝাড়গ্রাম, বীরভূম ও সুন্দরবনেও পৌঁছে যাবে এই কথা দিচ্ছে মধুপর্ক।
তপতী গুহঠাকুরতা না রাজ্য সরকার, এই আন্তর্জাতিক খেতাবে কার ভূমিকা বেশি সে নিয়ে গনমাধ্যমে তর্জা চলুক, কিন্তু একটা কথা আমাদের সবাইকেই মনে রাখতে হবে যে এই সম্মানের মানরক্ষার দায়িত্ব কিন্তু শুধু সরকার বা পুরসভার নয়, প্রতিটা বাঙালির কর্তব্য। আনন্দে কাটুক পুজো। আগাম শুভ শারদীয়া।
MADHUPARKO
Account number 35632551519
Jadavpur University branch
IFSC SBIN0000093
Mobile +91 9038449360, 8101094929
সম্প্রতি Unified District Information System for Education (UDISE) এর সার্ভেতে উঠে এসেছে ২০২০-২০২১ সালে মাধ্যমিক স্তরে স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৪.৬ শতাংশ। এর সঙ্গে জুনে প্রকাশিত National Family Health Survey (NFHS)-5 এর তথ্য মেলালে দেখা যাচ্ছে ২০১৯-২১ সালের স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ২১.৪ শতাংশ ছাত্র ও ৩৫.৭ শতাংশ ছাত্রী এর কারন হিসেবে বলছে তারা ‘not interested in studies’। দারিদ্র্য, স্কুলের থেকে দূরত্ব, পড়াশুনা সম্পর্কে অভিভাবকের মনোভাব, লিঙ্গ বৈষম্য এসবকে পিছনে ফেলে প্রধান কারন হিসেবে উঠে এসেছে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনার প্রতি অনীহা। এই তথ্য ভারতের ৭৫ বর্ষপূর্তিকে উদ্বেগপূর্ণ করে তোলে বৈকি, যখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড নিয়ে ইদানীং এত আলোচনা চলছে। সম্পাদকীয় পড়ে বা খবরে শুনে আশঙ্কা যতটা হয়, বাস্তবের সাথে মেলালে যখন একই চিত্র ফুটে উঠে তখন ভয় লাগে ঢের বেশি।
বকখালির প্রবর্তক আশ্রমের সাথে মধুপর্কের পুরনো সম্পর্ক। এই আবাসিকের বাচ্চাদের মধুপর্ক প্রয়োজন মতো জামাকাপড়, বইখাতা, তোশক, মশারী, নিত্য সামগ্রী এইসব দিয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করে। এইবারে মধুপর্ক সঙ্গে নিয়ে গেছিল ১০ টা সিলিং ফ্যান, ১০ টা টিউব লাইট, আর ৩০ টা মশারী, সঙ্গে কেক, বিস্কুট। ফ্যান আর লাইট গুলো study hall আর hostel room-এ লাগানোর কথা। মনের সাথে সাথে ঘরের মধ্যেও যাতে আলো-বাতাস ঠিকমতো ঢুকতে পারে। সব কাজই ঠিকমতো হল, সঙ্গে সঙ্গেই কয়েকটা ফ্যান লাগানোও হল। বাচ্চাদের সাথে গল্প করা, সময় কাটানো, ফেরার পথে দূর থেকে সমুদ্র-দর্শন সব মিলিয়ে মধুপর্কের যেন জন্মদিন-জমজমাট। ‘যেন’ বলতে হল কারন গত ১৫ই আগস্ট মধুপর্ক আটে পড়েছে কিন্তু উদযাপনে কদিন দেরি হল। আপনাদের ভালোবাসায় ও আশীর্বাদে মধুপর্ক বাল্য থেকে কৈশোরে পদার্পণ করুক এই প্রার্থনা করি। যেভাবে মধুপর্কের সমস্ত উদযাপনে আপনাদের পাশে পাই—মধুপর্কের আর কি চাই।
যাইহোক, এসব তো নিছকই কাজের খতিয়ান। আপনাদের ভালোবাসায় আর আমাদের উৎসাহে এভাবেই যেন চলতে থাকে। এবার আর একটা কথা না বললেই নয়। অতিমারির আগেও এই আশ্রমে ছাত্রসংখ্যা ছিল প্রায় ৮০ জন। আজকে সেটা ৩৫ জনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার নিশ্চয়ই ভূমিকার প্রাসঙ্গিকতাটা বোঝা যাচ্ছে। এখানে কারন হিসেবে যদিও দারিদ্র্য, পরিবারকে সাহায্য এগুলোই প্রধান কিন্তু অনীহার কথাটাও একেবারে ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না। এখন দোষারোপ না করে কি কি করলে এই অবস্থার খানিক উন্নতি সম্ভব সেটা আমাদেরই ভেবে বের করতে হবে। এখানেও আশাকরি মধুপর্ক একা নয়, আপনাদের পাশে পাবে। ঠিক যেমনটা গত ৭ বছর ধরে পেয়ে এসেছে। যোগাযোগের ঠিকানা আপনাদের জানা, তাও সঙ্গে রইল। আর রইল প্রবর্তক আশ্রমের কিছু মুহূর্ত। ভালো থাকুন আর সঙ্গে থাকুন।
MADHUPARKO
Account number 35632551519
Jadavpur University branch
IFSC SBIN0000093
Mobile number 8101094929 , 9038449360
"আত্মসম্বরণ ই জীবন আর আবেগে ভেসে যাওয়াই মৃত্যু" কথাটা সাত বছরের কিশোর Madhuparko মজ্জাগত করতে পারেনি। আবেগে ভেসে তার পায়ের সাথে প্রায় কোমর ও ভেঙ্গেছে কিন্তু কৈশোরের অপ্রতিরোধ্য ছুটে চলার হাতছানি কে সে উপেক্ষা করতে পারে নি। আর তাই এবার সে ভাঙ্গা কোমরেও কাঁধে ঝোলা নিয়ে পৌঁছে গেছিলো ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের লাউদহ গ্রামে। উপহার স্বরূপ ঝুলিতে ছিলো কিছু ব্যবহার করা জামাকাপড় ও সত্তর জন মহিলার জন্য sanitary napkins। তাদের হাল হকিকত জেনে, কুটাম্বিতা পাকা করে বস্তা বোঝাই করে নিয়ে এসেছে তাদের প্রয়োজন অপ্রয়জনের সাতকাহন ভবিষ্যতের কর্মকাণ্ডের জন্য। মানুষ গুলোর প্রাত্যহিকতায় কথা দিয়ে ফেলেছে আত্মীয়তা গড়ার। আসলে আবেগ তো bank balance মানে না। টাকা পয়সা র হিসেব বোঝে না। সে শুধু বোঝে দেয়া নেয়া। ভরসা আপনারাই। আপনারা সাহস যোগালে হাত টা শক্ত করে ধরে রাখলে আমরা আবার পা কোমরের প্লাস্টার খুলে দৌড়ে বেড়াবো। পৌঁছে যাবো ঝোলা কাঁধে প্রান্তিক মানুষ গুলোর কাছে আর আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো অভিজ্ঞতার ঝুলি। রইলো কিছু ছবি।
মৃত্যুর মধ্যে কোনো রোমাঞ্চ আছে কিনা জানিনা, তবে এক মুহুর্তে "সব আছে" থেকে "সর্বস্বান্ত" হয়ে বেঁচে থাকায় অনেকখানি অসহায়তা আর অপারগতা আছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভীড়েও প্রকৃতি ও রাজনীতির মাঝে না চাইতেই sandwitch হওয়ায় যন্ত্রণা যে কি অপরিসীম তা আসামের "বন্যায় তলিয়ে যাওয়া ভিটের" মানুষ গুলো বোঝেন। দীর্ঘদিন এই সব অসহায়তা র খবর এবং ছবি দেখেও চুপ ছিল কারণ তার প্রতিবন্ধকতা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হলো না। কিশোর Madhuparko প্রতিবন্ধকতা কে অগ্রাহ্য করে আপনাদের ভরসায় ওই মানুষ গুলোর টিকে থাকার লড়াই এ পাশে দাঁড়াবে। জামা কাপড় দিয়ে তো অনেকেই সাহায্য করছেন। Medical team ওষুধের ব্যবস্থাও করছে। কিন্তু মহিলা দের অতি প্রয়োজনীয় inner garments আর sanitary napkins এর চাহিদা চাপা পরে যায় প্রয়োজনীয়ের ভীড়ে। তাই আমরা প্রথম ধাপে পৌঁছে দেবো 300 প্যাকেট sanitary napkins তারপর inner garments। ভরসা আপনারাই। রইলো আমাদের ঠিকানা:
Account Name: MADHUPARKO
Account No. : 35632551519
CIF No. : 88947722471
IFSC : SBIN0000093
Bank : SBI, Jadavpur University Branch.
Contact No. 9038449360, 8101094929, 7980689649.
আজ পৃথিবীর দিন। পৃথিবীকে দুধে ভাতে রাখার অঙ্গীকারের দিন। কিন্তু চারিদিকের হিংসা আর হতাশার অন্ধকারে সুন্দর সুস্থ বাসযোগ্য পৃথিবীর স্বপ্ন যেনো মরীচিকা। আসলে পরিবারের উত্তর বা নব প্রজন্মের হাতে যেমন থাকে পূর্ব প্রজন্মকে ভালো রাখার চাবিকাঠি তেমনই প্রকৃতি আর খুদে প্রানেদের হাতেই থাকতে পারে পৃথিবীকে ভালো রাখার সোনার কাঠি। যে কাঠির ছোঁয়ায় সমস্ত মেঘ কেটে সকল অশুভ পেরিয়ে আবার নতুন সূর্যের আলো এসে পৌঁছবে পৃথিবীর কাছে। আমরা সবাই মিলে একবার চেষ্টা করে দেখি না ছোট্ট ছোট্ট শিশু আর প্রকৃতিকে একটু ভালো রাখার। ওদের পাশে থাকার আমাদের নিজেদের স্বার্থে, আমাদের পৃথিবীর স্বার্থে.....
আবার বর্ষবিদায় এবং বর্ষবরণ। আবার রবিঠাকুরের সেই চারলাইন আর বিবিধ forward massege-এ gallery উপচে উঠবে। শুধু তাই নয়, সময়ের ইদানিং একটু বেশি তাড়া কিনা সে বিষয়ে বিস্তর আলোচনাও হবে। এ আর নতুন কি! ফি-বছর চলছে..চলবে..।
নতুন তো ১৪২৯। নতুন অনেক স্বপ্ন-ইচ্ছা-resolution-র মেলা। (সব নতুন না হলেও অন্তত উদ্যমের সাপেক্ষে নতুন ধরে নিলাম)। সেই ভাবার্থে পুরনো মুখে নতুন হাসি ফোটানোর কাজটা মধুপর্ক করে চলেছে পুরনো বেশ কয়েক বছর ধরে নিত্য নতুন ধাঁচে।
সিধুজ্যাঠা বলেছিলেন মনের দরজা-জানলা গুলো খোলা রাখতে যাতে বাইরের আলো-বাতাস ঢুকতে পারে। কিন্তু এখন যদি ঘরেই ঠিকমতো আলো-বাতাস না থাকে কিংবা দরজা-জানালা-গুলো খোলা না যায় মশার ভয়ে, তবে সেই ঘরে মনের অবস্থা কেমন হয়!
কথা হচ্ছে বকখালির 'প্রবর্তক' আশ্রম নিয়ে। মধুপর্কের সাথে ঐ আশ্রমের বাচ্চাগুলোর সম্পর্ক বেশ পুরনো হলেও এবারের ভাবনাটা নতুন। (আবার ধরে নিলাম, কারণ মূল ভাবনাটা সিধুজ্যাঠার)। অর্থাৎ আশ্রমের ঘরের মধ্যেকার ছোটো ছোটো 'মন'-গুলো যাতে ঠিকমতো আলো-বাতাস পায় সেইজন্য নতুন সিলিং-ফ্যান ও নতুন টিউবলাইট আর যাতে ঘরের জানালা গুলো সবসময় খোলা রাখতে পারে তারজন্য মশারি।
তবে এই পয়লা-বৈশাখে-নতুন-জামার পুরনো ভাবনা ছেড়ে নতুন আলো-বাতাসের ভাবনা নৈতিক এবং অর্থনৈতিক এই দুইদিক দিয়েও বেশ চিত্তাকর্ষক। 10টি সিলিং ফ্যান, 12টি led টিউবলাইট আর 20টা মশারির (7'X4') খরচ ফি-বছরের নতুন জামার তুলনায় মধুপর্কের budget-র সাপেক্ষেও নতুন। ভাগ্যিস সিধুজ্যাঠা অর্থমন্ত্রী ছিলেন না!
তাতে কি! আপনারা তো আছেন। তাই নতুন বছরেও পুরনো ভরসাগুলো একই থাকছে। সঙ্গে নতুন ভরসাও আসুক এবং আগামী বছর তারা পুরনো হয়ে সঙ্গে থাকুক এটাই প্রার্থনা। আসুন আমরা সবাই মিলে পুরনো দিনগুলোর মত এবারেও একসাথে কিছু নতুন হাসি ফোটানোর চেষ্টা করি।
নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা।
আনন্দময় হোক ১৪২৯।
আমাদের যোগাযোগ ও সাহায্যের ঠিকানা:
Account Name: MADHUPARKO
Account No. : 35632551519
CIF No. : 88947722471
IFSC : SBIN0000093
Bank : SBI, Jadavpur University Branch.
Contact No. 9038449360, 8101094929, 7980689649.
2021 বলছে "আমাদের ছুটি, ছুটি..." যেনো হুড়মুড়িয়ে পালাবার বড্ড তাড়া। সত্যিই এইরকম অনিশ্চয়তায় ঘেরা সময় এর থেকে, তার মাপকাঠিও বিদায় চাইছে। যাই হোক বিদায় মানেই নতুনের আগমন। আবার নতুন আশা, নতুন ভরসা, নতুন বিশ্বাসের পালে হওয়া লাগিয়ে জীবনতরী বয়ে চলা। Madhuparko ও তার নতুন বছরের পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুত। বলেছিলাম বীরভূমের 100 টি পরিবারে কম্বল ও একটি স্কুলে বই দেওয়ার কথা। Class ix,x,xi, আর xii এর কিছু বই স্কুলের library তে দেওয়া হবে, যাতে অন্তত ভাগাভাগি করে বই গুলো পড়তে পারে ওরা। আসলে, যাদের কাছে জীবনে টিকে থাকাই একটা চ্যালেঞ্জ, তারা যখন দেখি দিকভ্রস্ট না হয়ে বাঁচার জন্যে লড়াই করছে, তখন সাধ্যের বাইরে গিয়েও এইটুকু পাশে থাকার লোভ সামলাতে পারিনি আমরা। ভাঁড়ারের টান জেনেও ঝাঁপিয়ে পরেছি। আর হ্যাঁ, জানি আপনারা আছেন, কিছুতেই ডুবতে দেবেন না। আগামী পরশু মানে 2nd আর 3rd January চলেছে তার নতুন বছরের প্রথম কাজে। কম্বলের জোগাড় আপনাদের সাহায্যেই করা গেছে কিন্তু বইগুলো নিয়ে এখনো চিন্তায়। booklist দিলাম। দেখি একসাথে এই একগুচ্ছ আগামীর পথ একটু মসৃণ করতে পারি কিনা। বলতে পারি কিনা একসাথে " একঝাঁক ইচ্ছে ডানা যাদের আজ উড়তে মানা, মিলবেই তাদের অবাধ স্বাধীনতা"
বড়দিন মানেই parkstreet, চিড়িয়াখানা, Santa Claus, Picnic, বা Long drive এ পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম। রঙিন sweater, shawl এ রোদ্দুর গায়ে ঝলমলিয়ে শীতের উপভোগ। কিন্তু ওই প্রান্তিক মানুষগুলো! যারা নিজেদের সবটুকু দিয়ে প্রকৃতিকে সাজিয়ে রেখেছে আমাদের ছুটি উপভোগের জন্য! যাদের কাছে শীত মানে 'জারে জবুথবু সকাল', সন্ধ্যায় পাতা জ্বালিয়ে ফাটা চামড়া একটু সেঁকে নেওয়া, তাদের বাড়ির খুদেও আজ মুঠোফোনের দৌলতে লাল টুপির দাদু কে চেনে। ক্ষুদ্র আশায় ভাবে লাল ঝোলার থেকে তাদের জন্যও বেরোবে উপহার। এর জন্য আবার কিছু বাচ্চারা সান্তা দাদুর পুজোও করে। ভালো লাগে দেখে আজও এই নির্মল বিশ্বাস গুলো বেঁচে রয়েছে।
MADHUPARKO এবারের শীতের প্রথম সান্তা দাদু হয়ে পৌঁছে গিয়েছিলো ঝাড়গ্রামের কদমকাননে র শবর পাড়ায়। লাল ঝোলা থেকে বের করে ফেলেছে 60 টি পরিবারের জন্য কম্বল আপনাদের ই সাহায্যে। যদি একটু উষ্ণতার স্পর্শে পারস্পরিক বিশ্বাস গুলো দৃঢ় হয়, তবে তাই হোক। সান্তা ও কিন্তু তার ঝোলায় return gift হিসেবে প্রত্যেক পরিবারের মানুষ গুলোর চোখের আনন্দ আর মুখের নিশ্চিন্তি পুরে নিয়েছে। চারিদিকের অনিশ্চয়তার মধ্যেও এই প্রাপ্তি দিনটাকে শুধু বিশেষ না, আক্ষরিক অর্থেই বড়দিন করে তুলেছে।
পথে কুশল বিনিময় সারা গেলো দীর্ঘ পরিচিত বিকাশ ভারতীর ছেলেদের আর নিবেদিতা গ্রামিন কর্মমন্দিরের আদিবাসী মেয়েদের সাথে। ঝুলিতে ছিল কিছু শুকনো খাবার। দেখলাম অতিমারীর প্রোকপ প্রায় দেড় বছরেও সম্পর্কগুলোতে একটুও ধুলো জমাতে পারেনি। নিবেদিতার মেয়েদের জন্য ছিল আগামী তিন মাসের sanitary napkins।
কিছু মুহুর্ত ভাগ করে নিলাম। এভাবেই সাথে থাকুন, পাশে থাকুন। হাত টাকে আরো শক্ত করে ধরুন। কথা দিচ্ছি নিরাশ করবো না। এখনো দুটো বড়ো কাজ বাকি।
১. বীরভূমের 100 টি পরিবারে কম্বল পৌঁছে দেওয়া।
২. বীরভূমের একটি স্কুল এ বেশ কিছু রেফারেন্স বুক পৌঁছে দেওয়া।
বিস্তারিত জানাব শীঘ্রই।
আমরা মধুপর্ক
Account Name: Madhuparko
Account Number: 35632551519
CIF No: 88947722471
IFSC: SBIN0000093
State Bank of India, Jadavpur University Branch
দরকারে যোগাযোগ করতে পারেন
9038449360, 9614587852, 9432445067, 7980689649
বছর গুলো শুধু ছায়ার মতো ঘুরে আসে, নিরীহ দিনগুলো চোখের ভিতর ই মরে যায়...'| স্পর্শহীন মুখোশেই কেটে গেলো আরও একটা বছর। ঋতুচক্র জানান দিচ্ছে Nahoum এর কেক আর নলেন গুড়ের গন্ধে উত্তুরে হাওয়ার আগমন বার্তা। আমরা যখন রঙিন sweater, টুপি, মোজা হাল্কা রোদে সেঁকে নিচ্ছি, Picnic এর spot decide করছি, ঠিক তখনই প্রান্তিক মানুষ গুলো তাপ্পি দিচ্ছে তাদের বাছার ছেঁড়া কাঁথায়। আকুতি একটাই- 'এই শীত টা উতরে যাক'। আসলে উত্তুরে হওয়ার দাপট না মানে অসহায়তা, না মানে Omicron এর প্রকোপ।
আর তাই আমরাও এবার Santa হওয়ার জন্য খুঁজে নিয়েছি ঝাড়গ্রাম ও বীরভূম এর প্রত্যন্ত অঞ্চলের এমন ১৫০ টি পরিবার। যেখানে শীত মানে ফাটা চামড়া, শীত মানে অসহায় কাঁপুনি। প্রত্যেক পরিবারে কম্বল পৌঁছে দিয়ে এবারের বড়দিন পালন করবে Madhuparko । কিন্তু বড্ড ভোগাচ্ছে পরিস্থিতি আর অনিশ্চয়তা। তাই আবারও অনুরোধ, please এগিয়ে আসুন। একসাথে santa হওয়ার চেষ্টা করি একটু প্রান্তিক মানুষ গুলোর নিশ্চিন্ত ঘুমের জন্য। আমরা তল্পিতল্পা গুছিয়ে 23/12/21 তে যাবো ওদের কাছে বড়দিনের আগে একটু উষ্ণতার ছোয়া দিতে। আপনারাও দেখুন না বরদিনের আগে ওদের একজনের জন্যও SANTA হয়ে উঠতে পারেন কিনা।। এই post copy and share করে ছড়িয়ে দিন যাতে আরও অনেক SANTA র সাক্ষাৎ পাই আমরা।
সবাই সুস্থ ও সচেতন থেকে ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে মুখোশের আড়ালে বড়দিনের আনন্দ নিন|
প্রত্যেক কম্বলের দাম ২০০ টাকা
ভরসা রেখেই জানালাম আমাদের পাশে থাকার ঠিকানা
আমরা মধুপর্ক
Account Name: Madhuparko
Account Number: 35632551519
CIF No: 88947722471
IFSC: SBIN0000093
State Bank of India, Jadavpur University Branch
দরকারে যোগাযোগ করতে পারেন
9038449360, 9614587852, 9432445067, 7980689649
"ভাঙ্গা ডানা তবু আকাশের দিকে চোখ, প্রতিটি শব্দ অঙ্গীকারের হোক"
খুব সত্যি মধুপর্ক এবছর ভাঙ্গা ডানা নিয়েই তার পুজোর আয়োজন শুরু করেছে। তার উপর 'বারো মাসে তেরো সাইক্লোন ' যেন লেগেই আছে। তাই বলা যায়, দক্ষিণবঙ্গের নদী গুলির গর্জন তার ডানার সাথে পা-টিকে ও খোঁড়া করে দিয়েছে। কিন্তু ওই যে পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রান্তিক মানুষ গুলোর প্রতি অঙ্গীকার বদ্ধ Madhuparko তার ওপরে বাতাসে পুজোর গন্ধ...
তাই আপনাদের উৎসাহে আর H.A.k wellfare society -র মাধ্যমে পূর্ব মেদিনীপুরের ডুমুরদাড়ি, পদ্মাতামলি (ব্লক ভগবানপুর-2 ও 1, অঞ্চল - চিস্তিপুর), বরবড়িয়া (ব্লক- ভগবানপুর-2), বালগোবিন্দপুর (ব্লক- পটাশপুর-2) এই বন্যাকবলিত গ্রামগুলির মোট 75টি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে ত্রিপল পৌঁছে দিতে পেরেছে। সঙ্গে ছিল 100 টি মতো স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্যাকেট। হয়তো এটা কিছুই নয়, কিন্তু এটাই বা কম কি! 'HAK welfare society' কে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই এই কাজে 'মধুপর্ক '- এর পরিপূরক হয়ে ওঠার জন্য।
আর আপনাদের শুধু ধন্যবাদ নয়, বলতে চাই এভাবেই পাশে থাকুন। হাতটা আরো শক্ত করে ধরুন। সপ্তমীর অঞ্জলীটা এভাবেই কোমর - জলে দাড়িয়ে দেওয়া গেল। এখনো অষ্টমী আর নবমী বাকি। সত্যিই এখনো পুজোর আয়োজন সম্পূর্ণ করে উঠা যায়নি। বড্ড ভোগাচ্ছে পরিস্থিতি আর অনিশ্চয়তা। তাই আবারও অনুরোধ, please এগিয়ে আসুন। একসাথে পুজোর বাকি আয়োজন সম্পূর্ণ করি। রইলো আমাদের ভাঁড়ার ঘরের ঠিকানা একটু মশলাপাতি যোগ করুন, রান্না সুস্বাদু হবেই।
কথা ছিল, ছবিতে অর্ধভোজনের। তাই সঙ্গে রইলো আগাম সপ্তমীর ভোগ প্রসাদের ছবি।
সবাই সুস্থ ও সচেতন থেকে পুজোর আনন্দ নিন এটাই প্রার্থনা করি।
আমরা মধুপর্ক
Account Name: Madhuparko
Account Number: 35632551519
CIF No: 88947722471
IFSC: SBIN0000093
State Bank of India, Jadavpur University Branch
দরকারে যোগাযোগ করতে পারেন
9038449360, 9614587852, 9432445067, 7980689649
প্রাকৃতিক নিয়মেই খরায় আর বন্যায়, মারী আর মড়কের দুঃসহ আঘাতে বারবার বিপন্ন হচ্ছে আমাদের অস্তিত্ব । যদিও অসুর-শক্তির ধ্বংসের পর ই বাজে দেবীর আলোর বেনু। ভাবতেই পারি এখন দক্ষিণবঙ্গের বন্যা হলো সেই আসুরিক শক্তি । মধুপর্ক সবেমাত্র আপনাদের ই ভরসায় তার পুজোর হেসেল ( কেনাকাটি) কিছুটা গুছিয়ে উঠেছে আর তারমধ্যেই খবর আসে পূর্ব মেদিনীপুর ভাসছে। আসলে বর্ষার মেঘ পক্ষপাতিত্ব করলেও, বাংলা ক্রমশ তার ঋতুচক্র গুলিয়ে ফেললেও মধুপর্ক তার ভাড়ারের কথা ভেবে এই মানুষগুলোর থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেনি। এই বন্যাকবলিত মানুষ গুলোর কাছে 100 টি ত্রিপল পৌঁছে দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেলেছে। এবারের পুজোয় নতুন জামার দেওয়ার প্রতিশ্রুতিটা সাধ্যের বাইরে গিয়ে করায় সত্যিই ভাবছিলাম পারবো তো!! অথচ বন্যাকবলিত মানুষগুলোর অবস্থা দেখেও স্থির থাকতে পারছিনা। আগে তো বেঁচে থাকার লড়াই, তারপর উৎসব। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি ব্লকের পটাশপুর গ্রামের 100 টি পরিবারের কাছে ত্রিপল পৌঁছতে হবে যত দ্রুত সম্ভব। এগিয়ে আসুন না আমাদের সাথে, সকলে মিলে চেষ্টা করি।আসলে নিরাশা তো অসম্ভবকে সম্ভব করে না তাই চাইছি..
Account Name: Madhuparko
Account Number: 35632551519
CIF No: 88947722471
IFSC: SBIN0000093
State Bank of India, Jadavpur University Branch
দরকারে যোগাযোগ করতে পারেন
9038449360, 9614587852, 9432445067, 7980689649
সাধ ও সাধ্যের সোনার তরী তে অনেকখানি দেরী হয়ে গেলো তীরে পৌঁছতে। আসলে ছোট্ট মধুপর্ক তার কল্পনার জগতে অনেক কিছু ভাবলেও সেই ভাবনায় ছেদ ঘটায় তার অভিভাবক রুপী bank balance। আর আবার গোড়া থেকে শুরু করতে হয় relative theory র জটিল হিসেব। প্রয়োজন আর আয়োজনের মেলবন্ধনের কাজে নিজেদের মধ্যেই চালাতে হয় সওয়াল জবাব। যাক সেসব কথা, পুজোর প্রস্তুতি কুমোরটুলি আর ক্লাব গুলোর সাথে সাথে মধুপর্ক- ও শুরু করে ফেলেছে। দেরীতে মাঠে নামলেও আপনাদের ভরসায় সেও বেশ গুছিয়েই plan করেছে। দেখবেন নাকি মেনুকার্ড টা?
1. সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের অন্তর্গত সত্যনারায়ণপুর ও মথুরাখন্ড গ্রামের প্রায় 150টি পরিবারের মহিলাদের জন্য সুতির শাড়ি। (পুরুষদেরও একটি করে জামা দেওয়ার ইচ্ছে আছে কিন্তু ওই সাধ ও সাধ্য মিললে তবেই)
2. ঝাড়গ্রাম জেলার পাটশিমূল পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মালাপাড়া, রানিডিহি ও ভ্যালাইজুরি গ্রামের প্রায় ১০০ টি পরিবারের ১জন পুরুষকে লুঙ্গি ও ১জন মহিলাকে শাড়ি।
3.পাহাড়ের কালিম্পং জেলার তোদে বাজার অঞ্চলের পুনসি ও তার পার্শ্ববর্তী গ্রামের প্রায় ৪০ জন বাচ্চার জন্য খাতা-পেন্সিল ও নতুন জামাকাপড়।
এই হলো মধুপর্কের এবারের সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীর মেনু। সময় কম, কাজ অনেক। এবার রান্নার যোগাড় শুরু করতে হবে। হাট থেকে মাছ মাংস কেনা, সেগুলো (মাপ মিলিয়ে) ম্যারিনেট করা, তারপর রান্নাবান্না (পড়ুন প্যাকিং).. এতসব ঠিকঠাক হলে তবে তো পরিবেশন (হোম ডেলিভারি)।
সাধ্য যাতে বাধা হয়ে না দাঁড়ায় তার জন্য আপনারা মানে মধুপর্কের সব ' চিন্তামনি ' দাদা-দিদিরা আছেন। ভুলেও ভাববেন না এটা অহংকার বা over confidence, এটা ভরসা এবং বিশ্বাস। সবটাই পূর্ব অভিজ্ঞতার সঞ্চয়। এবারও তার পুনরাবৃত্তি হবে এই আশাই করি। আর প্রার্থনা করি সবাই সুস্থ ও সতর্ক থেকে পুজোয় আনন্দ করুন।
মতামত জানানো ও যোগাযোগের ঠিকানা আপনারা জানেন, তাও জুড়ে দিলাম। সঙ্গে রইলো বাজারের ব্যাগটাও, সবাই মিলে বাজার করবো এই ভরসায়। ভরসা দিলে ছবিতে অর্ধভোজন হবেই, এই পাতায়।
আমরা মধুপর্ক:
আমাদের ঠিকানা
Account Name:* Madhuparko
*Account Number:* 35632551519
*CIF No:* 88947722471
*IFSC:* SBIN0000093
*State Bank of India, Jadavpur University Branch*
যোগাযোগ - 8101094929, 9038449360
Madhuparko MADHUPARKO fights for the distressed children and women. Working on environmental and social awareness, their education, and much more social issues.
আজকের দিনটাই ছিল তবে ২০১৫ সালের।
বিজয়গরের একটি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছোটো ছোটো বাচ্চাদের নিয়ে স্বাধীনতা দিবস পালন, বসে - আঁকো প্রতিযোগিতা এবং সকলকে পেন - পেন্সিল - রং - আঁকার খাতা - চকলেট - কেক দিয়ে মধুপর্কের যাত্রা শুরু হয়েছিল ঠিক ৬ বছর আগে। সমভাবাপন্ন কয়েকজন বন্ধুবান্ধব মিলে পরিকল্পনা করে ফেললেও খাতায় - কলমে তখনও মধুপর্কের জন্ম হয়নি। সরকারি খাতায় নাম তুলতে আরো কয়েকমাস লেগেছিল। তবুও আমরা আজকের এই বিশেষ দিনটিকেই মধুপর্কের জন্মদিন হিসেবে ধরি, সহজে মনে থাকে বলেই হয়তো।
অতিমারীর চোখ- রাঙানিতে এই বছর ঘটা করে কেক কাটা কিংবা উদযাপন করা গেলো না। তাতে অবশ্য ছোট্ট মধুপর্কের তেমন কিছু যায় আসেনা। পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে পুজোয় বেড়াতে যাওয়ার আশ্বাস বাক্যেই আপাতত কাজ হয়েছে।
যদিও দাদা দিদিদের সাথে জন্মদিনের দুদিন আগেই সে একবার ঝাড়গ্রামে রুটিন ভিজিট করে এসেছে। ঝাড়গ্রামের 'বিকাশ ভারতী' তে তার অনেক ছোটো ছোটো বন্ধু থাকে। সেই বন্ধুদের নতুন বই টই দিয়ে ভেবেছিল একটু দাদাগিরি করবে কিন্তু বয়সে ছোট বেচারা মধুপর্কর সেই আশা এবারও পূরণ হয়নি। আর ধাংরী গ্রামে এই নিয়ে কম করে ৪/৫ বার। সেই চেনা গ্রাম, চেনা রাস্তা হলেও প্রতিবারের মতো এবারও চেনা মুখের ভিড়ে বেশ কিছু নতুন মুখ দেখেই সে খুশি। তাদের সবাইকে কিছু পুরনো জামাকাপড় আর প্রায় ৬০জন অনেক বড়ো বড়ো দিদিদের স্যানিটারি ন্যাপকিন দিয়ে এসেছে। তাই এবারের জন্মদিনটা বাড়িতে কাটালেও খুব একটা মন খারাপ নেই তার। তার শুধু প্রার্থনা একটাই - প্রভু, দুঃখ দাও, সহিবার শক্তি দাও, শুধু তৃতীয় ঢেউটা আর দিয়ো না (অন্তত: পুজোর আগে)।
যাইহোক, দেখতে দেখতে আমাদের সবার মধুপর্ক আজ সাতে পড়লো। এভাবেই সবার সাতে পাঁচে থাকতে থাকতে ৩৫ এও থাকুক এই প্রার্থনা থাকবে। আপনাদের আশীর্বাদ এবং ভালোবাসাও বাড়তে থাকুক মধুপর্কের বয়সের সাথে সমান তালে।
মধুপর্ক -র হয়ে আমরা কৃতজ্ঞ। অনেক মানুষকে এই পথচলায় এমন এমন সময় এমন এমন ভাবে সাথে পেয়েছি তাদের ধন্যবাদ দিলে ছোটো করা হবে। কত মানুষের সাথে চেনাশোনা আজ জানাশোনার রূপ নিয়েছে, আবার কিছু মানুষ সময়ের সাথে দূরত্ব বাড়িয়ে যোগাযোগ নেভাতে বাধ্য হয়েছেন, সবটাই এই পথ চলার নিয়ম মনে করে মধুপর্ক তার অভিজ্ঞতার ঝুলি ভরে এগিয়ে চলছে। এভাবেই চলুক, গুনগুনিয়ে গাইতে গাইতে " পথ দিয়ে কে যায় গো চলে, ডাক দিয়ে সে যায়। আমার ঘরে থাকাই দায়।।"
মধুপর্কের পুজোর প্ল্যানিং, শপিং, আউটিং সমস্ত আপডেট এখানে পাবেন। যোগাযোগ বাড়াতে চাইলে, কিংবা সেলফি তুলতে চাইলে (অবশ্যই মাস্ক পড়ে), মধুপর্কের ঠিকানা রইলো। সঙ্গে থাকলো ধাঙরি গ্রামের কিছু ছবি। ভালো থাকবেন সবাই, খুব তাড়াতাড়ি আবার দেখা হবে।
আমরা মধুপর্ক:
আমাদের ঠিকানা
Account Name:* Madhuparko
*Account Number:* 35632551519
*CIF No:* 88947722471
*IFSC:* SBIN0000093
*State Bank of India, Jadavpur University Branch*
যোগাযোগ - 8101094929, 9038449360
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Contact the organization
Website
Address
Kolkata
700032
2nd Floor, 456, Block K, New Alipore
Kolkata, 700053
any good thing i can do, let me do it now...
West Bengal Office : 29 Ward Institutional Street, Near Maniktala Post Office
Kolkata, 700006
North Bengal - Vanvasi Kalyan Ashram Uttar Bang ; South Bengal - Purvanchal Kalyan Ashram ; both affiliated to Akhil Bharatiya Vanvasi Kalyan Ashram.
Kolkata
An NGO to look after the needs and necessities of those under privileged section of our society which has the right to live life but somehow are unable to live it to the fullest. M...
75, Phears Lane
Kolkata, 700073
The organization works for the upliftment of the poor and the disadvantaged communities in (project area) by increasing their access to resources and skills in a sustainable manner...
VIP Road
Kolkata, 700052
A non-profit, non-political, public charitable trust, registered under Indian Trust Act 1882.
Kolkata, 733127
This Discovery Planet Page target Wild and Animals lovers. Which are children and family and mature audiences that they can watch and share their favorite animal pictures and video...
196, Purbachal Kalitala Road, P. O. Haltu, P. S. Garfa
Kolkata, 700078
Dr Shyama Prasad Mookherjee Welfare Society is an apolitical, non-profit, non-governmental org.
Gr Floor, 26 Ananda Mohan Bose Road, Motijheel, Dumdum
Kolkata, 700074
Vidyaa Welfare & Educational Trust: Empowering through education. Committed to providing quality learning opportunities for all. Join us in building a brighter future. #EducationFo...