Prof. Dr. K C Ganguly

Prof. Dr. K C. Ganguly is a living legend doctor of BD on Respiratory (Chest Diseases) & Medicine.

26/05/2023

রোগীরা বলে "অমুক হাসপাতালে দেখিয়েছি, তমুক---" বলি ওটাতো একটা বিল্ডিং,ডাক্তার সাহেবের নাম কি?--তাতো জানিনা। বিল্ডিং তো চিকিৎসা করে না! আপনার ডাক্তারকে চিনুন।

25/01/2023

মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণী অক্সিজেনের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে।দেহের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন সরবরাহ না হওয়া কিংবা কোষ থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড বের করে ফেলতে না পারার নামই মৃত্যু। অক্সিজেন পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে~২১% অাছে সেখান থেকে দেহে প্রবেশ করে নিঃশ্বাস- প্রশ্বাসের মাধ্যমে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড দেহ থেকে বের করে দেয়া হয়। বাতাসের নাইট্রোজেন কোষে যাওয়া চলবে না। এই কাজটি করে ফুসফুস (LUNGS)। সে বাতাসের অক্সিজেনকে রক্তে পৌঁছে দেয় এবং কার্বন ডাই-অক্সাইডকে রক্ত থেকে দেহের বাইরে বের করে দেয়। কিন্তু অক্সিজেন ফুসফুসের বায়ুথলী সংলগ্ন রক্তে পৌঁছালেইতো চলবে না, সেখান থেকে দেহের প্রতিটি কোষে পৌঁছাতে হবে। এ কাজটি করে হৃদপিণ্ড বা ♥ হার্ট (HEART)। হার্টের প্রতিটি সংকোচনের সাথে সাথে রক্ত প্রবাহিত হতে থাকে রক্তনালীর মাধ্যমে। হার্ট প্রথমত অক্সিজেন কম এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড সমৃদ্ধ রক্ত ফুসফুসে সরবরাহ করে। ফুসফুস রক্তকে অক্সিজেন সমৃদ্ধ করে। তারপর হার্টের পাম্প ফুসফুস সংলগ্ন সেই অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তকে আবার হার্টে ফিরিয়ে আনে। তারপর সেই অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তকে সারা দেহের সকল কোষে পৌঁছে দেয়।

রক্তনালী একটি ক্লোজ - সার্কিট এর মতো। একটি বড় রক্তনালী শাখা - প্রশাখায় বিভক্ত হয়ে দেহের প্রতিটি কোষে পৌঁছে একটি জালের মতো বিস্তৃত হয়ে আবার ছোট রক্তনালী তৈরী করে ক্রমান্বয়ে বড় হতে হতে শেষ পর্যন্ত দুটি রক্তনালীর মাধ্যমে আবার হার্টে ফিরে আসে। এভাবেই ফুসফুস থেকে সংগৃহীত অক্সিজেন ♥ হার্ট সমস্ত দেহকোষে পৌঁছে দেয় যার নাম " রক্ত সঞ্চালন " প্রক্রিয়া।

এই রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেননা ♥ হার্ট, লাংগস্ ভালো থাকলেও রক্ত সঞ্চালনে যদি কোন বিঘ্ন সৃষ্টি হয় তাহলেও কোষগুলো বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নয় আবার এই রক্ত সঞ্চালন এর জন্য প্রয়োজন রক্তের চাপ তাছাড়া রক্ত সচল থাকবে না কিন্তু রক্তচাপ অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হলে আবার ঘটবে বিপত্তি। আবার হার্টের স্বাভাবিক কর্মের জন্য তার নিজের শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ তথা রক্ত সঞ্চালন জরুরী যে কাজটি সে নিজেই করে এবং ফুসফুস যেহেতু বাতাস থেকে অক্সিজেন আনে তাকেও রক্ত সঞ্চালন করে অক্সিজেন সরবরাহ করে ♥ হার্ট । তাই প্রাথমিকভাবে জীবন রক্ষার জন্য হার্ট - লাংগস অতীব জরুরী। কিন্তু এদের নিয়ন্ত্রণ আবার কেন্দ্রীয়ভাবে মস্তিষ্ক বা ব্রেইন (BRAIN) করে। ফলে জীবনের জন্য এই তিন অঙ্গ একটু বেশিই গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেহের যেকোন অঙ্গ বিকল কিংবা গুরুতর অসুস্হ্য হলেই এদেরকেও ব্যর্থ করে দিতে পারে এবং জীবনের অবসান ঘটাতে পারে। তবে মস্তিষ্ক অকর্মণ্য হয়ে গেলেও হার্ট-লাংগস কৃত্রিমভাবে সচল রেখে মানুষকে অনেকদিন জীবিত রাখা সম্ভব। এই অবস্থাকেই ব্রেইন-ডেথ (BRAIN-DEATH) বলা হয়। যখন ধরে নেওয়া হয় যে ঐ ব্রেইন আর কর্মক্ষম হওয়া সম্ভব নয় তখনই এধরনের দেহ থেকে প্রতিস্থাপনযোগ্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেমন -- চোখের কর্নিয়া, কিডনি, লিভার ইত্যাদি সংগ্রহ করে অন্য কোন ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করা যায়। অবশ্য তার জন্য ব্রেইন-ডেথ হওয়া ব্যক্তির জীবদ্দশায় পূর্বানুমতির প্রয়োজন হয়। যেটার একটি গৌরবময় উদাহরণ আমরা কিছুদিন পূর্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখতে পেয়েছি। সারাহ ইসলাম নামের ২০ বছরের মেয়েটি দুরারোগ্য রোগভোগের সময় তার মৃত্যুর পরে তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অন্যের দেহে সংযোজনের অনুমতি দিয়ে রেখেছিল। ফলে তার যখন ব্রেইন-ডেথ হয় তখন তার দুটি কিডনি ও দুটি কর্নিয়া চারজনের দেহে প্রতিস্থাপন করে দু' জনের দৃষ্টি ফিরিয়ে দেয়া হয় এবং দু'জনের অক্ষম কিডনির কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়া হয়। এভাবেই সারাহ ইসলাম এই চারজন ব্যক্তির মাধ্যমে দীর্ঘদিন পৃথিবীতে বেঁচে থাকবেন। তিনি বস্তুত অমর হয়ে রইলেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি এরূপ প্রথম মহান দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তবে উন্নত বিশ্বে সারাহ র দেহ থেকে দু'টি ফুসফুস ও হার্ট নিয়ে অারও এক বা একাধিক ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করা হ'তো। ভারতে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের LUNG TRANSPLANT এর সুযোগ আছে। ভবিষ্যতে আমাদের দেশেও হবে। তবে তারজন্য চাই এমন মহতী ত্যাগ।

যা বলছিলাম, তাহলে বেঁচে থাকার জন্য যেমন ♥ হার্ট - লাংগস এর স্বাভাবিক এবং একত্রিত কর্মক্ষমতা প্রয়োজন তেমনি এদের একটির অক্ষমতায় অপরটিও অক্ষম হয়ে পড়বে। হার্ট যখন অক্ষম হতে থাকে CARDIAC FAILURE) তখন ফুসফুসের অভ্যন্তরে তরল/ পানি জমতে শুরু করে এবং ফুসফুস সঠিকভাবে অক্সিজেন বাতাস থেকে রক্তে পৌঁছাতে পারে না ফলে শ্বাসকষ্ট হয়, রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতি হতে থাকে এবং চরম অবস্থায় মৃত্যু অনিবার্য। আবার ফুসফুস যখন অক্ষম (RESPIRATORY FAILURE) হতে থাকে (বিশেষ করে ধূমপান জনিত COPD রোগে বা অন্য কোন রোগে) তখন বায়ু থেকে অক্সিজেন রক্তে সরবরাহ করতে এবং রক্ত থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড বায়ুমন্ডলে সরাতে ব্যর্থ হয়। তখন ♥ হার্ট পর্যাপ্ত রক্ত ফুসফুসে সঞ্চালন করতে ব্যর্থ হয় এবং নিজেও অক্সিজেনের অভাবে দূর্বল হতে থাকে। সেটিকে সংশোধনের চেষ্টায় ♥ হার্ট তখন আরও জোরে জোরে পাম্প করতে চেষ্টা করে একসময় ক্লান্ত হয়ে অক্ষম হয়ে পড়ে,ফলে আবার হার্টের ব্যর্থতা দেখা দেয় (CARDIAC FAILURE)। এভাবেই একটির ব্যর্থতা অপরটির ব্যর্থতা ঘটিয়ে ফেলে।দুটি মিলে যা ঘটে তাকে CARDIO-RESPIRATORY FAILURE বা হার্ট- লাংগসের ব্যর্থতা বলা হয়। এবং মৃত্যুর কারন শেষপর্যন্ত এটিই যদিও হাজারো কারনেই এমনটি ঘটতে পারে তবে মৃত্যু মানেই ♥ হার্ট - লাংগস উভয়ের ব্যর্থতা তার কারন যাই হোক।
এতসময় ধরে যে বিশাল ভূমিকার অবতারণা করেছি তার মূলে একটি উদ্দেশ্য আর তা হচ্ছে ♥ হার্ট এবং লাংগস বা ফুসফুসের চিকিৎসা সমন্বিত বা INTEGRATED / COMPREHENSIVE হওয়া প্রয়োজন। চিকিৎসা শিক্ষা এবং প্রশিক্ষনেও বিষয়টি সেভাবেই গুরুত্ব আরোপ করা প্রয়োজন। আবার এদূটি অঙ্গে রোগের উপসর্গগুলোও একইরকম হতে পারে -- যেমন - বুকে ব্যথা, কাশি কিংবা শ্বাসকষ্ট। প্রধানতঃ এ তিনটিই হার্ট কিংবা লাংগসের রোগের কিংবা উভয়ের রোগের উপসর্গ। ফলে একজন রোগীর পক্ষে এটি অনুমান করা সহজসাধ্য নয়। সাধারণ চিকিৎসকের পক্ষেও অনেকসময় বুঝে ওঠা কঠিন। আবার দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে একই ছাদের নিচে হৃদরোগের এবং ফুসফুসের রোগের বিশেষজ্ঞ নাও মিলতে পারে। ফলে এইদূ'জন বিশেষজ্ঞের ♥ হার্ট এবং লাংগস উভয়ের রোগের একটা লেভেল পর্যন্ত ধারণা এবং চিকিৎসা করার সক্ষমতা থাকা প্রয়োজন ব'লেই আমার ব্যক্তিগত অভিমত। সারা দেশের জনগোষ্ঠীর জন্য সুন্দর সাবলীল রেফারেল ব্যবস্থা এবং একই ছাদের নিচে উভয় রোগের বিশেষজ্ঞ ব্যবস্থা সুচারুভাবে চালু করা গেলে তখন হয়তো ভিন্নভাবে চিন্তার সুযোগ থাকবে। এছাড়াও কিছু কিছু রোগ আছে যার চিকিৎসা উভয়বিধ বিশেষজ্ঞের সম্মিলিতভাবে এমনকি অন্যান্য বিশেষজ্ঞকে সঙ্গে নিয়ে করতে হয় যেমন-- PULMONARY HYPERTENSION (PAH) - এমন একটি রোগ যেখানে - ফুসফুসের বিশেষজ্ঞ, হৃদরোগের বিশেষজ্ঞ, RHEUMATOLOGIST, IMAGING SPECIALIST, CARDIAC INTERVENTIONIST, THORACIC SURGEON, HEART- LUNG TRANSPLANT SURGEON, ANESTHESIOLOGIST, PATHOLOGIST ইত্যাদি সকলের সমন্বয় প্রয়োজন।
সেটির সুযোগ যতক্ষণ পর্যন্ত না হচ্ছে ততক্ষণ জীবনের সার্থেই একজন চিকিৎসককে একটি লেভেল পর্যন্ত সমন্বিত বা COMPREHENSIVE চিকিৎসা দিতে হবে এবং সুযোগ থাকলেই অন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। তাহলেই রোগীদের মঙ্গল হবে।
কল্যাণ হোক সকলের।

09/01/2023
01/01/2023
17/08/2022

শিশু এ্যাজমা এবং বড়দের এ্যাজমা চিকিৎসা কি ভিন্ন ভিন্ন?
এটি খুবই সাধারণ প্রশ্ন। বয়স ভেদে এবং একসাথে দেহে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর (Co- Morbid Conditions) উপস্থিতির কারনে একই বয়সের এবং একই রোগের চিকিৎসা দু'জন ব্যক্তির ক্ষেত্রে তারতম্য হতেই পারে। তদ্রূপ শিশু ও বয়স্কদের এ্যাজমা চিকিৎসায়ও কিছু পার্থক্য থাকবে। তবে মূলনীতি (Principle) কিন্তু একই থাকবে। সেজন্য বিশ্বের এ্যাজমা চিকিৎসা বিষয়ক সেরা সংগঠন GINA (GLOBAL INITIATIVE FOR ASTHMA) প্রতিনিয়ত এ্যাজমা চিকিৎসা বিষয়ে গাইডলাইন প্রকাশ করে থাকে। আগ্রহী যে কেউ সেটি দেখে নিতে পারেন। তবে মূল কথা চিকিৎসার মূলসূত্র একইরকম হবে শিশুও বয়স্ক এ্যাজমা চিকিৎসায়। আর এটি চিকিৎসকমাত্রই জানেন এ্যাজমা চিকিৎসার প্রধাণতম ওষুধ ইনহেলার এবং স্টেরয়েড (Inhaled Steroid)।

শুধু আমাদের দেশেই নয় বিশ্বের সর্বত্রই স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের প্রতি একধরণের ভীতি যেমন আছে তেমনি এর অপ্রয়োজনীয় ব্যবহারও খুব কম হয় না। যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার জন্য এই ভীতি সেটা কিন্তু মুখে সেব্য কিংবা ইনজেকশনের মাধ্যমে নেবার স্টেরয়েড। ইনহেলার স্টেরয়েডের মাত্রা এতই কম যে এটি শ্বাসনালী বা ফুসফুসের বাইরে তেমন একটা যায় না ফলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও দেখা দেয় না। সেদিক থেকে এটি যথেষ্ট নিরাপদ। তবে ওষুধ বলে কথা -- বিচার, বিশ্লেষণ, সতর্কতা অবলম্বন অবশ্যই থাকবে।

দ্বিতীয় বিষয় হলো সারা বিশ্বেই ইনহেলার ওষুধের একটা ভীতি আছে আমাদের দেশে আরও বেশি। ইনহেলার ওষুধ মানুষ সহজে গ্রহণ করতে চায় না।কেন -- তার ব্যাখ্যা যার যার নিজস্ব। কেউ কেউ মনে করেন এটি একবার নিলে আর ছাড়া যাবেনা- সারাজীবন নিতে হবে। কেউ মনে করেন এটিতে আসক্তি সৃষ্টি হবে, কেউ মনে করেন এটি একেবারে শেষ চিকিৎসা তাই আগে অন্য চেষ্টা করে দেখা যাক-- ইত্যাদি নানারকম অদ্ভুত ও কুসংস্কার অনেকের মনেই আছে, যার একটি সঠিক ও বিজ্ঞানসম্মত ধারণা নয়। এরও বড় কারন ইনহেলার ওষুধের প্রচলন খুব প্রাচীন নয় এবং অনেকেই এটা দেখেনও নাই। ফলতঃ অনেকেই এই নতুন ধরনের ইনহেলার ওষুধের চিকিৎসা গ্রহণ করতে গড়রাজি হন। বিশেষ করে শিশুদের বাবা-মা এব্যাপারে বেশ উৎকন্ঠিত থাকেন - না জানি কী হয়! ফলে তাঁদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন এবং শিশু চিকিৎসা দেওয়ার সময় বিষয়টি বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দিলে তাঁরা নিশ্চয়ই গ্রহনে রাজি হবেন।

পক্ষান্তরে --
শিশু এ্যাজমা চিকিৎসায় ইনহেলার এর চেয়ে নেবুলাইজারের প্রতি বিশেষ ঝোঁক লক্ষ্য করছি (ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ) যেটার মাধ্যমে শিশুরা Definitive বা আবশ্যকীয় ও প্রয়োজনীয় ওষুধটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং ফলাফল আশানুরূপ হচ্ছে না। কারন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি করা হয় এ্যাকিউট (Acute) বা তীব্র শ্বাসকষ্ট থাকা অবস্থায় এবং তখন যে ওষুধ দিয়ে নেবুলাইজ করা হয় তা সাময়িক উপসমকারী বা (Reliever) ওষুধ তাতে প্রতিরোধী বা Preventer ওষুধ থাকে না। ফলে বারবার নেবুলাইজ করছেন একটু রিলিভ পাচ্ছেন কিন্তু রোগটির জন্য নির্দিষ্ট করা চিকিৎসা বা Definitive Treatment দেয়া হচ্ছে না। ফলে বারবার তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে, কয়েকদিন পরপরই নেবুলাইজ করতে হচ্ছে। কিন্তু রোগটির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ Control/ Remission) আসছে না। এখানে উল্লেখ্য যে শিশুদের এ্যাজমা ২-৫ বছর সঠিকভাবে চিকিৎসা করলে ৬০-৮০% নিরাময় হয়।
কয়েকদিন পূর্বে আট বছর বয়সের একজন শিশুকে নিয়ে বাবা-মা এসেছেন যার এ্যাজমা আছে এবং দিনে ২-৩ বার বাসার কাছেই ফার্মেসী থেকে নেবুলাইজ করাচ্ছেন বিগত প্রায় পনের দিন যাবৎ। কিন্তু শিশুটি Inhaled Steroid বা অন্য কোন ওষুধ পাচ্ছেনা।অত্যন্ত হৃদয় বিদারক মনে হলো বিষয়টি। এখন পাড়ায় মহল্লায় প্রায় ফার্মেসীতে নেবুলাইজার মেশিন আছে এবং ফার্মেসীর লোকজন নেবুলাইজ করতে শিখে গেছেন এবং নেবুলাইজ করছেন। এটি আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অনুমোদন করে কিনা ভেবে দেখবার বিষয়। আবার অনেকেই ঘরে নেবুলাইজার মেশিন কিনে নিয়েছেন শুধু শিশু নয় বয়স্ক ব্যক্তিদেরও শ্বাসকস্ট হলে এ্যাজমা সিওপিডি (ASTHMA/COPD) যাইহোক নেবুলাইজ করছেন। করোনাকালে চিকিৎসকগন কোভিড বা অন্য কোন শ্বাসকষ্টের রোগীদের পরামর্শ দিয়েছেন তারাও অনেকে কিনে নিয়েছেন। চিকিৎসক এর ব্যবস্থা অনুযায়ী করা হলে সেটা ঠিকই আছে।

যাইহোক লেখার মূল বিষয়টি হচ্ছে শিশু এ্যাজমা চিকিৎসায় যেন গ্রামার মেনে দুই বছর থেকে তদূর্ধ্ব শিশুদের Inhaled Steroid দিয়ে নিয়মানুযায়ী সঠিক চিকিৎসা করা হয় তার উপর গুরুত্ব আরোপ করা এবং মুখে সেব্য কিংবা ইনজেকশন স্টেরয়েড যথাসম্ভব বর্জনের আহ্বান জানানো। পাঁচ বছরের বেশি বয়সের শিশুরা শিখিয়ে দিলে ইনহেলার টানতে পারে। তার চেয়ে কম বয়সীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের স্পেসার / মাস্কসহ স্পেসার SPACER with/ out Mask ফার্মেসীতে পাওয়া যায়। উপযুক্ত ক্ষেত্রে সেগুলো ব্যবহার করার আহ্বান জানাচ্ছি।

শিশুদের এ্যাজমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় কারন এটা সম্বন্ধে অনেক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে -- যেমন দাদি নানিরা বলবেন ছোটবেলায় একটু শ্বাস- কাশ, ঠান্ডার দোষ থাকেই, বয়স হলে ঠিক হয়ে যাবে। কথাটি আংশিক সত্য কেননা যে কোন সমাজে ১০-২০% শিশুর এ্যাজমা থাকে তবে সকলেই যে মারাত্মক তাতো নয়। কিন্তু যাদের মারাত্মক বা গুরুতর তাদের সঠিকভাবে চিকিৎসা না করা হলে যে জটিলতা দেখা দেয় তা কিন্তু মারাত্মক। বিশেষ করে BRONCHIECTASIS নামের একটি জটিলতা হতে পারে শিশু এ্যাজমা চিকিৎসা না করা হলে কিংবা সঠিকভাবে না করা হলে। এটি একবার হলে আর সারানো সম্ভব হয় না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফুসফুসের সার্জারী করে কেটে ফেলতে হয়। সবচেয়ে বড়কথা সকল শিশু এ্যাজমা রোগীরই স্কুল - খেলাধূলা - শারীরিক বৃদ্ধি - মানসিক স্বতঃস্ফূর্ততা এগুলোতে বিঘ্ন ঘটে। তাই সকলের উচিৎ শিশু এ্যাজমা অত্যন্ত যত্নের সাথে চিকিৎসা করানো এবং যেসকল কারনে এ্যাজমা বৃদ্ধি পায় যেমন অতিমাত্রায় ঠান্ডা / গরম,ধূলাবালি ও অ্যালার্জি সৃষ্টি করে এমন খাবার পরিহার করা।
সকল শিশুর কল্যাণ হোক।
ধন্যবাদ।

12/08/2022

শিশু এ্যাজমা (বড়দেরও এ্যাজমা বা COPD-তে) বারবার নেবুলাইজেশন করে সাময়িক উপশম হলেও রোগের আরোগ্য /নিয়ন্ত্রণ হয় না। তার জন্য চলমান ইনহেলার ওষুধের প্রয়োজন।

11/08/2022

পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ইনহেলার ব্যবহার করতে স্পেসার (Spacer) প্রয়োজন তবে এর বেশি বয়সের জন্য তার প্রয়োজন নেই। স্টেরয়েড জাতীয় ইনহেলার ব্যবহার করে কুলকুচা করতে হবে

Breathing problems solution - Asthma problem solution - Cough treatment 09/07/2022

Breathing problems solution - Asthma problem solution - Cough treatment ডক্টরোলায় আমার ডাক্তার - Powered by Marks Medical College & Hospital বিষয়ঃ কাশি ও শ্বাসকষ্ট অতিথিঃ Prof. Dr. Krishna Chandra Ganguly Professor, Dept. of Re...

05/07/2022

আমার অভিজ্ঞতায় দেখা শিশু এ্যাজমা চিকিৎসায় ইনহেলার ব্যবহারে অন্যতম প্রধান অন্তরায় বাবা-মায়ের অনাগ্রহ, ফার্মেসীর অপপ্রচার, কিছু চিকিৎসকের অনীহা ও ভুল ধারণা।।

03/07/2022

যেসকল শিশুর কাশির সাথে বুকে শাঁ-শাঁ শব্দ হয় কিংবা মাঝে মাঝে শ্বাসকষ্ট হয় তা এ্যাজমা রোগ। বিশেষত বংশের কারও হাঁপানি বা এ্যাজমা থাকলে। প্রায়শঃই চিকিৎসা সেভাবে হয় না।

10/03/2022

স্বাস্হ্য-সমস্যা- বুক ধড়ফড় করা বা Palpitation:
*******************************************
(দ্বিতীয় অংশ- প্রথম অংশ পড়ার পরে এটি পড়ার অনুরোধ করছি).
**************
১০। থাইরয়েড (Thyroid) গ্লান্ড বা গ্রন্হির অতিকার্যকারিতা (Hyperthyroidism)--- প্রত্যেক মানুষের গলার সামনের দিকে প্রজাপতি আকৃতির একটি গ্লান্ড বা গ্রন্থি আছে যার নাম থাইরয়েড। এটি থাইরয়েড হরমোন তৈরী করে যা শরীরের সমস্ত বিপাক ক্রিয়া সম্পাদনে প্রয়োজনীয়। এই গ্রন্হিটির কার্যকারিতা স্বাভাবিক থাকা দরকার। যদি কাজ কম করে তাহলেও ব্যাধি,আবার যদি বেশি করে তাহলেও ব্যাধি। যখন এটি বেশি কাজ করে বেশি হরমোন নিঃসৃত হয় (Hyperthyroidism) তখন ♥ হার্ট এর গতি ও শক্তি বৃদ্ধি পায় ♥ হার্ট বিট অনুভব করা যায়, এমনকি বুকে ধপ ধপ করে, ♥ হার্ট লাফাচ্ছে মনে হয়, হার্টের ছন্দের পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে, ♥ হার্ট ফেল করতে পারে। অর্থাৎ এটি বুক ধড়ফড় করার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারন। আবার যখন কম কাজ করে (Hypothyroidism) তখন চিকিৎসা হিসেবে থাইরয়েড হরমোন গ্রহণ করতে হয় তার মাত্রা একটু বেশি হলেও ♥ হার্ট বিট বেড়ে গিয়ে বুক ধড়ফড় করতে পারে।

১১। এড্রেনাল টিউমার -- (Phaeochromocytoma) যদিও এটি কদাচিৎ পাওয়া যায় তবুও এটি বুক ধড়ফড় করার গুরুত্বপূর্ণ একটি কারন। আমাদের দুই কিডনির উপরিভাগে টুপির মত দুটি এড্রেনাল গ্লান্ড (Adrenal Gland) আছে তাতে টিউমার হলে এড্রেনাল হরমোন ( Adrenaline, Noradrenaline) নিঃসরণ বেড়ে গিয়ে বুক ধড়ফড় করে, ♥ হার্ট বিট বেড়ে যায়, তীব্র ঘাম হয়, অনেক সময় Panick Attack এর মতো হয়। রোগ নির্ণয় হলে আরোগ্য লাভ হয়, ফলে এটির কথা চিকিৎসকদের স্মরণে রাখতে হয়।

১২। ♥ হার্টের ছন্দের সমস্যা (Arrhythmia) -- স্বাভাবিক অবস্থায় ♥ হার্টবিট নিয়মিত অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর হার্ট সংকুচিত ও প্রসারিত হয়। ধরুন কারও ♥ হার্ট বিট যদি নিয়মিত মিনিটে ৭৫ হয় তাহলে প্রতি ০. ৮ সেকেন্ড পরপর একটি করে হার্ট বিট হবে।কিন্তু যদি অনিয়মিত হয় তাহলে একবার ০.৮, আবার ০.৫ আবার ০.৭ আবার ০.৬ সেকেন্ড পর-- ইত্যাদি নানা রকম হতে থাকবে। এটাকে Arrhythmia বা ♥ হার্টের ছন্দপতন বলা হয়। এগুলো নানারকম এবং জটিলভাবে হতে পারে। এদের মধ্যে Atrial Fibrillation (AF), Supra- Ventricular Tachycardia (SVT), Ventricular Tachycardia (VT), Premature Ventricular Contraction / Ectopics ইত্যাদি বেশি দেখা যায়। এসব কারনে ♥ হার্টের কর্মক্ষমতা কমে গিয়ে বুক ধড়ফড় করতে পারে। নাড়ির স্পন্দনে হার্ট বিট নিয়মিত কিংবা অনিয়মিত তা বোঝা সম্ভব। সেরকম অনিয়মিত মনে হলে আপনাকে চিকিৎসক এর পরামর্শ নিতে হবে।
এছাড়াও ♥ হার্টের অনেক রোগের কারনেই বুক ধড়ফড় করতে পারে, আবার জন্মগত হৃদরোগের কারনেও বুক ধড়ফড় করতে পারে। সেটা চিকিৎসক নির্নয় করবেন।
কোভিড পরবর্তী কালে অনেক কোভিড আক্রান্ত রোগী যারা সেরে উঠেছেন অথচ নানাবিধ উপসর্গের কথা বলেন তন্মধ্যে বুক ধড়ফড় করার কথাও বলেন। ♥ হার্টের রোগ না পাওয়া গেলে সেটা অস্হিরতা জনিত (Anxiety) ব'লেই ধরা হয়। লং কোভিড বা Post Covid Syndrome বেশ কয়েকমাস স্হায়ী হতে পারে। তখন অনিদ্রা, শরীরে বিভিন্ন স্হানে ব্যথার সাথে বুক ধড়ফড় করার কথা অনেকেই বলেন।

১৩। এ্যালকোহল বা শক্ত পানীয় (Alcohol)--

কেউ যদি অত্যধিক বা সচরাচর অভ্যাস এর চেয়ে বেশি এ্যালকোহল পান করে বসেন তাহলে তার ♥ হার্ট বিট বেড়ে যাবে এবং ধপ ধপ করতে পারে। এগুলো অনেক দেশে সপ্তাহান্তে কিংবা ছুটিকালীন সময়ে বেশি ঘটে বলে এটাকে রসিকতা করে "Holiday Heart Syndrome”ও বলা হয়। তবে কিছু মানুষের বেলায় সামান্য পানেও বুক ধড়ফড় করতে পারে।

১৪। কোকেন এবং অন্যান্য নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য (Co***ne & Other Addicting Drugs) ----

নিষিদ্ধ ড্রাগ যেমন-- কোকেন, এ্যামফিটামিন, ফেনসিডিল, ইয়াবা ইত্যাদি নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য হৃদযন্ত্রের জন্য বিপদজনক। কোকেন রক্তচাপ বৃদ্ধি করে, ♥ হার্ট বিট বাড়ায় এবং ♥ হার্টের মাংসপেশির ক্ষতি করে।এ্যামফিটামিন স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপনা করে যা ♥ হার্ট বিট বাড়ায়।অন্য অনেকে Noradrenaline হরমোন নিঃসরন বাড়ায় যা হার্ট বিট বৃদ্ধি করেও বুক ধড়ফড় করে।

১৫। কখন ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন ঃ

আপনি যদি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হন আর আপনার বুক ধড়ফড় করা যদি কালে ভদ্রে হয় এবং কয়েক সেকেন্ড স্হায়ী হয় তাহলে আপনার এ নিয়ে দুঃশ্চিন্তার কিছু নাই। কিন্তু যদি সেটা মাঝে মাঝেই হয়, এবং স্হায়ীত্ব বেশি সময়ের হয় বা আপনার যদি এর সাথে নিম্নোক্ত উপসর্গ গুলো থাকে --
বুকে ব্যথা বা চাপবোধ, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঝিম ঝিম করা, কিংবা কখনো অজ্ঞান হয়েছেন বা উপক্রম হয়েছিল তাহলে অবশ্যই চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন। চিকিৎসক আপনার সকল বিষয় বিবেচনা করে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। ভয় নয় সচেতনতায়ই আপনার সুরক্ষা মিলবে।
ধন্যবাদ জানাচ্ছি কষ্ট করে পড়বার জন্য। চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিষয়গুলি আরও অনেক জটিল, এখানে শুধু সাধারণ মানুষের বোধগম্য অংশটুকু আলোকপাত করবার চেষ্টা করেছি।
কল্যাণ হোক সকলের।।

অধ্যাপক ডাঃ কে. সি. গাঙ্গুলী
হেড অব মেডিসিন এন্ড চেষ্ট ডিজিজ (বক্ষব্যাধি)
ইমপালস হাসপাতাল, তেজগাঁও, ঢাকা।
K-36/ DMC/ 84.

09/03/2022

স্বাস্হ্য সমস্যা---- বুক ধড়ফড় করা বা Palpitation:
*********************************************
বুক ধড়ফড় করা সম্বন্ধে আমরা সকলেই কমবেশি ওয়াকেবহাল। বুক ধড়ফড় করা একটি অতীব সাধারন (Common) উপসর্গ। জীবনের কোন না কোন সময় বুক ধড়ফড়ানি অনুভূত হয়নি এমন মানুষ মনে হয় বিরল। বিশেষ করে - পরীক্ষার পূর্বে, ভয় পেলে, হঠাৎ চমকে উঠলে, কোন বড় মাপের মানুষ কিংবা বোর্ডের সামনে সাক্ষাৎকার দিতে ইত্যাদি নানা সময়ে প্রায় সকলেরই কমবেশি একটু আধটু বুক ধড়পড় করার অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।
ফলে বুক ধড়ফড়ানির অনুভূতি কেমন সেটা প্রত্যেকের উপলব্ধিতে থাকার কথা। এক্ষেত্রে বর্ননার চেয়েে অভিজ্ঞতাই স্ব-ব্যাখ্যায়িত। তবুও একটু বলা চলে---

আপনার যখন বুকে ধপধপ করে, শোয়া অবস্হায় কান বালিশে রাখলে হার্টবিট বা হৃৎস্পন্দন শুনতে পান,♥ বা হৃদপিণ্ড লাফাচ্ছে মনে হয়, হার্টবিট বাদ যাচ্ছে মনে হয়, কিংবা হার্ট খুব দ্রুত দৌড়াচ্ছ মনে হয় -- এমন পরিস্থিতিকেই আপনি সেটাকে বুক ধড়ফড় করা বা Palpitation বলেন। যদিও এটা ভয়ঙ্কর মনে হতে পারে তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটা মারাত্মক নয় এবং চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। ♥ হার্ট কেন ঘোড়ার মত দৌড়ায় সেটা জানা থাকলে আপনি আতঙ্কিত হবেন না এবং আপনি বুঝতে পারবেন কখন আপনার ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন। সাধারণ কারনে যেমন বুক ধড়ফড় করতে পারে তেমনি গুরুতর অসুস্থতায়ও বুক ধড়ফড় করতে পারে। তাই এ বিষয়ে একটু জ্ঞান থাকা বাঞ্ছনীয় এজন্য যে গুরুতর মনে হলে আপনি কি করবেন, কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন। আজকের লেখাটির অবতারনা করেছি বুক ধড়ফড় করা বা Palpitation এর কারন সমূহ নিয়ে আলোচনা করার জন্য।

১। Anxiety & Stress ঃ
মানসিক উদ্বেগ, উৎকন্ঠা, অস্হিরতা, নিউরোসিস ইত্যাদি বুক ধড়ফড় করার বা Palpitation এর অন্যতম প্রধান কারণ। তীব্র আবেগ মানুষের শরীরে এমন কিছু হরমোন রিলিজ করে যা হার্টের গতি ও সংকোচন-শক্তি বৃদ্ধি করে। Panic Attack বলে Anxiety Disorder এর একটি গ্রুপ আছে যা মাত্র কয়েক মিনিট স্হায়ী হতে পারে। এতে হার্ট দ্রুত ধাবিত হয়, ঘাম হয়, ঠান্ডা বোধহয়, শরীর কাঁপতে থাকে, শ্বাসকষ্ট বোধহয়, বুকে ব্যথাও অনুভূত হতে পারে। এটি অনেক সময় হার্ট Attack বলে মনে হতে পারে। যদি আপনি নিশ্চিত না হন তবে আপনার চিকিৎসক এর শরনাপন্ন হোন। অবশ্য Panic Attack হলেও তার চিকিৎসা প্রয়োজন হবে।

২। ব্যায়াম বা Exercise ঃ
ব্যায়াম শরীরের জন্য উপকারী তবে ব্যায়াম করলে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। এর ফলে মাংসপেশিতে আরও বেশি রক্ত সঞ্চালিত হয়।যদি বুক ধড়ফড় করতে থাকে তবে হয় আপনি অভ্যস্ত নন অথবা আপনার সমস্যা আছে। আবার ব্যায়ামের সময় হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হতে পারে (Arrhythmia) যার কারনেও বুক ধড়ফড় করতে পারে। ফলে নূতন কোন ব্যায়াম শুরু করবার পূর্বে একটু চিকিৎসক এর পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে।

৩। কফি/ চা-- সকালের কফির পর কি আপনার হার্টবিট বেড়ে যায়? কফি (Caffein), চা (Xanthin) মানুষের হার্ট বিট বাড়িয়ে দেয়, সেটা আপনি চা,কফি, সোডা, এনার্জি ড্রিংক, চকোলেট বা অন্য কোন উৎস হতেও পেতে পারেন। সাধারণত সুস্থ্য হৃদযন্ত্রে চা- কফ- চকোলেট Palpitation, করে না। তবে যাদের হৃদযন্ত্রের ছন্দের সমস্যা (Arrhythmia) আছে তাদের এগুলো সমস্যা করতে পারে।

৪। ধুমপান / তামাক / সাদা- যর্দ্দা/ গুল/ নিকোটিন --- এসবগুলির মূল উপাদান নিকোটিন এবং তা রক্তচাপ বৃদ্ধি করে, হার্ট বিট বাড়িয়ে দেয়। ফলে তামাক বা ধূমপান আপনার আপনার হার্টের জন্য অতীব উপকারী একটি পদক্ষেপ যা আপনাকেই নিতে হবে।চিকিৎসক পরামর্শ দাতা মাত্র। নিকোটিন প্যাচ (Patch) বা অন্য কিছুই আপনার ♥ হার্টের জন্য উপযোগী নয়। তবে দীর্ঘদিনের ধূমপায়ীরা ধূমপান ছাড়ার পরও বুক ধড়ফড়ানি অনুভব করতে পারেন তবে সেটা ৩-৪ সপ্তাহে চলে যাবার কথা।

৫।হরমোনের বিবর্তন (Hormone Changes) - নারীরা লক্ষ্য করে থাকবেন তাদের মাসিকের সময়, গর্ভাবস্থায়, মেনোপজ বা রজঃনিবৃত্তির (Menopause) কাছাকাছি সময়ে তাদের ♥ হার্টবিট বেড়ে যায়। এর কারন হরমোন লেভেলের পরিবর্তন। এই হার্ট রেট বাড়াটা স্বল্পস্থায়ী এবং এর জন্য দুঃশ্চিন্তার প্রয়োজন নেই। তবে গর্ভাবস্থায় বা অন্য কোন সময় রক্তস্বল্পতার কারনেও Palpitation হতে পারে এবং নারীপুরুষ নির্বিশেষেই সেটি হবে।

৬। রক্তশূন্যতা বা এনিমিয়া (Anaemia) রক্তের হিমোগ্লোবিন (Haemoglobin) কমে গেলে, লাল রক্ত কনিকার (RBC) সংখ্যা বা মান কম থাকার কারনে বা অন্য যে কোন কারনে রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে রক্ত পর্যাপ্ত অক্সিজেন বহন করতে পারে না। ফলে ♥ হার্টকে বেশি বেশি পাম্প করতে হয়। ফলে বুক ধড়ফড় করতে থাকে। তাই এগুলোকেও বিবেচনায় নিতে হবে চিকিৎসককে।

৭। জ্বর (Fever) -- যেকোন কারনেই জ্বর হোক না কেন তখন বুক ধড়ফড় করতে পারে। কারন জ্বরে শরীরের ক্যালরি ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। তাই টিস্যুতে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ানোর জন্য ♥ হার্ট কে বেশি বেশি পাম্প করে রক্ত চলাচল বাড়াতে হয়। তাই জ্বর ১০০ ডিগ্রির বেশি হলে তা কমিয়ে রাখা প্রয়োজন।

৮। প্রেসক্রিপশন এর মাধ্যমে কিংবা ফার্মেসী থেকে সরাসরি কেনা কোন কোন ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে বুক ধড়ফড় করতে পারে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো --- এন্টিবায়োটিক, এন্টিফাঙ্গাল, এন্টিসাইকোটিক ওষুধ বা বিষন্নতার ওষুধ, শ্বাসকষ্ট বা কফ-কাশির ওষুধ, উচ্চ রক্তচাপ কমাবার কোন কোন ওষুধ, থাইরয়েডের ওষুধ ইত্যাদি। যদি কেউ এদের এক বা একাধিক ওষুধ গ্রহন করেন তাহলে চিকিৎসক এর পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন যে সেগুলো তার ♥ হার্ট বিট এর উপর প্রভাব ফেলছে কিনা। তাইবলে চিকিৎসক এর পরামর্শ ছাড়া এসব ওষুধ বন্ধ করে দিবেন তাও ঠিক নয়।
৯। রক্তে গ্লুকোজ কম (Hypoglycemia)-- রক্তের গ্লুকোজের একটি মাত্রা আছে। সেটা কমে গেলেও বুক ধড়ফড় করতে পারে। তবে সচরাচর যাদের ডায়াবেটিস কিংবা লিভারের রোগ নাই এবং সময়মতো খাবার গ্রহণ করেন তাদের রক্তে গ্লুকোজ কম হবার সম্ভাবনাও নেই বললেই চলে। বরং ডায়াবেটিস রোগীর ইনসুলিন বা অন্য কোন ওষুধ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি প্রয়োগ করা হলেই রক্তে গ্লুকোজ কম হবে, আবার অনভ্যস্ত বা অতিরিক্ত ব্যায়াম করলেও গ্লুকোজ কমে যেতে পারে। যদি ডায়াবেটিক কারও নির্দিষ্ট সময়ের খাবার বাদ যায়, গলা মুখ শুকিয়ে আসে, পিপাসা তীব্র হয়, মাথা ঝিম ঝিম করে, হাত-পা কাঁপে, অচেতন হয়ে পড়ে যাবে মনে হয়, ঘাম হতে থাকে, বুকে আটকা আটকা লাগে, সাথে বুক ধড়ফড় করতে থাকে তবে তা হাইপোগ্লাইসেমিয়া (Hypoglycemia) বা রক্তের গ্লুকোজ কম হবারই লক্ষ্মণ। সেসব ক্ষেত্রে দ্রুত গ্লুকোজ, বিস্কুট বা কোন খাবার খাইয়ে দিতে হবে তারপর বিশ্লেষণ করুন হইপোগ্লাইসেমিয় কিনা বা তার কারন কি ছিল। মনে রাখবেন রক্তের গ্লুকোজ একটু বেশির (Hyperglycemia) চেয়ে তা কমে যাওয়া (Hypoglycemia) অনেক বেশি বিপজ্জনক।
(অসমাপ্ত - বাকী অংশ পরবর্তী পোস্টে)
প্রফেসর ডাঃ কে. সি. গাঙ্গুলি
রেসপিরেটরি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ

Cough and it's treatment by Dr. KC Ganguly with Dr. Iqbal 24/02/2022

কফ এবং কাশিজনিত স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসা নিয়ে বিশিষ্ট রেস্পিরেটরী মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডাঃ কে সি গাংগুলী স্যারের টক শো।

https://www.youtube.com/watch?v=yPuQfkyDBck

Cough and it's treatment by Dr. KC Ganguly with Dr. Iqbal Dr. K.C GangulyMBBS, DTCD, MD, FCPS, MCPS ( USA )Assistant ProfessorNational Institute of Diseases of the Chest and Hospital (NIDCH)Expertise in: Chest, Asth...

শিশুর শ্বাসকষ্ট উঠলে প্রাথমিকভাবে কি করবেন? বাচ্চাদের শ্বাসকষ্ট হলে তাৎক্ষণিকভাবে করণীয়? 09/02/2022

https://youtu.be/7xdkPbj4NAU

শিশুর শ্বাসকষ্ট উঠলে প্রাথমিকভাবে কি করবেন? বাচ্চাদের শ্বাসকষ্ট হলে তাৎক্ষণিকভাবে করণীয়? স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য ও পরামর্শ নিয়ে আমাদের নিয়মিত প্রোগ্রাম "ডক্টরোলায় আমার ডাক্তার"বিষয়ঃ জেনে নিন শিশ.....

31/01/2022

অধ্যাপক ডাঃ কে. সি. গাঙ্গুলী, এমডি
এমবিবিএস, ডিটিসিডি, এফসিসিপি, এমএসিপি (ইউএসএ)
প্রফেসর অব রেসপিরেটরী মেডিসিন (বক্ষব্যাধি), (অবঃ)
জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা
সিনিয়র কনসালটেন্ট ও বিভাগীয় প্রধান
ডিপার্টমেন্ট অব মেডিসিন ও চেষ্ট ডিজিজেস
ইমপালস হাসপাতাল

বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট পেতে কল করুন : 01715016727
বিস্তারিত জানতে কল করুন : 01313434421-25
আমাদের হটলাইন নাম্বার : 10644
www.impulsehospital.com

Breathing problems solution - Asthma problem solution - Cough treatment 31/01/2022

Breathing problems solution - Asthma problem solution - Cough treatment. Discussion by Prof. Dr. Krishna Chandra Ganguly.

https://www.youtube.com/watch?v=daKuyroNlXQ

Breathing problems solution - Asthma problem solution - Cough treatment ডক্টরোলায় আমার ডাক্তার - Powered by Marks Medical College & Hospitalবিষয়ঃ কাশি ও শ্বাসকষ্টঅতিথিঃ Prof. Dr. Krishna Chandra GangulyProfessor, Dept. of Respira...

Health Program | Apnar Sastho | Prof. Dr. K. C. Ganguly with Dr. Iqbal Hasan 31/01/2022

https://www.youtube.com/watch?v=Y3QInANEuLM

Health Program | Apnar Sastho | Prof. Dr. K. C. Ganguly with Dr. Iqbal Hasan To Watch More Boishakhi TV Program, SUBSCRIBE Our Channel Now ► https://www.youtube.com/BoishakhiTvBDHealth Program | Apnar Sastho | Prof. Dr. K. C. Ganguly ...

Want your practice to be the top-listed Clinic in Dhaka?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

Category

Telephone

Address


Impulse Hospital, 304/E, Tejgaon I/A
Dhaka
1208

Other Dhaka clinics (show all)
Bangladesh Medical College & Hospital Bangladesh Medical College & Hospital
Road # 14/A, Dhanmondi
Dhaka, 1209

Bangladesh Medical College is the first ever private Medical College and however one of the Top Medical College in the coutry and the Best Private Medical College in Bangladesh.

Sir Salimullah Medical College, Dhaka Sir Salimullah Medical College, Dhaka
Mitford
Dhaka, 1100

Sir Salimullah Medical College, Dhaka is one of the best medical college in Bangladesh. Situated on the bank of the river Buriganga, its hospital wing Mitford Hospital is the first...

Dr Mostaque H Sattar Pino Dr Mostaque H Sattar Pino
House 2 Road 17 Block C Banani, Kakoli, Behind UAE Market
Dhaka, 1213

Implant, Cosmetic Dentistry and orthodontics

Rajib Dey Sarker Rajib Dey Sarker
Shaheed Suhrawardy Medical College Hospital
Dhaka, 1207

আমি ডাঃ রাজীব একজন জেনারেল ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জারী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

Kaif Kaif
Dhaka, 1216

Bachelor of Ayurvedic Medicine and Surgery

ডাঃ মোঃ ওমর ফারুক ডাঃ মোঃ ওমর ফারুক
Resident Physician Dhaka Medical College And Hospital Dhaka. Chandpur Chember-Rimtouch Diagnostic And Consultation Centre, Mission Road, Chandpur
Dhaka, 1000

এমবিবিএস(আইএসএমসি) পিজিটি(মেডিসিন) এমডি গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি কোর্স ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

Dr Sabbir Hasan Dr Sabbir Hasan
Uttara
Dhaka, 1230

Hi, I'm a doctor and entrepreneur working to improve public understanding of medical science.

Dr.Sumaiya Siddika Dr.Sumaiya Siddika
শনির আখড়া, জিয়া স্মরণী রোড, পলাশপুড় ( ছাপড়া মসজিদের পাশে ) কদমতলী, ঢাকা।
Dhaka, 1362

�Dr. Mishu Official Page. � DHMS (Dhaka) �BHMC (Dhaka) �MCH(Dhaka shisu hospital) �Homeo Co

Ad-Din Medical College Hospital- Physiotherapy Department Ad-Din Medical College Hospital- Physiotherapy Department
2 Bara Maghbazar
Dhaka, 1217

A comprehensive physiotherapy and rehabilitation department.

Dr. Rumana Khan Dr. Rumana Khan
Uttora
Dhaka

Dr Farhana Mobin Dr Farhana Mobin
Dhaka

I am a physician, writer & a social activist. Media is my passion.

Dr.AK Biplob Dr.AK Biplob
Dhaka, 1205