Dr. Md Raizul Amin
MBBS,CCD,CMU,PGT(Medicine)
MEDICAL OFFICER (PMCH)
LECTURER (Pharmacology,Popular Medical College)
ত্যাগের মহিমা,উৎসব,আনন্দ বয়ে যাক প্রতিটি ঘরে ঘরে,
প্রতিটি মনে মনে।
হিংসা,লোভ,মনের পশুত্বের কুরবানী হোক চিরতরে।
ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা|।
ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি যান একটা বড়সংখ্যক মানুষ। দীর্ঘ ছুটি পাওয়ার কারণে অনেকে এদিক-ওদিক ঘুরতেও যান। যেখানেই যান, স্বাস্থ্য সুরক্ষার কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চলুন এই সময়।
বর্ষা, বন্যা, পানি:
সাঁতার জানলেও বর্ষার ভরা জলাধারে বিপদের আশঙ্কা থাকে। ঝুঁকি নেবেন না। আশপাশে কেউ না থাকলে পানিতে নামবেন না। কখনোই গভীরে যাবেন না। জোঁকের ভয় থাকলে এমন পোশাক পরে পানিতে নামা উচিত, যেন জোঁক ঢুকতে না পারে। যেমন-আঁটসাঁট সুইমিং স্যুট। পুকুর-নদীর কাছে শিশুদের একা ছাড়বেন না। শহুরে পরিবেশে বেড়ে ওঠা শিশুরা অতি উৎসাহী হয়ে ছোটাছুটি করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়তে পারে। সমুদ্রসৈকতে জোয়ার-ভাটার সময় মেনে চলুন। চোরাবালি ও বিপজ্জনক এলাকা এড়িয়ে চলুন।
ঝিরিপথে, ঝোপঝাড়ে:
ঝোপঝাড়ে সাপ, অন্যান্য প্রাণী বা পোকামাকড় থাকতে পারে। তাই সাবধানে চলা উচিত। অনেকে বানর, কুকুর ও অন্য প্রাণীদের উত্ত্যক্ত করে। এরা তখন খেপে গিয়ে কামড়ে দেয়। এমনটা যেন না হয়।
মৌচাক থাকলে ভ্রমণদলের কারণে যেন মৌমাছিদের অসুবিধা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
ঝরনা দেখতে ঝিরিপথ ধরে হেঁটে চলে অভিযাত্রিক দল। ঝিরিপথ, চা-বাগান বা কাদামাখা পথেও জোঁকের ভয় থাকে। লবণ, শ্যাম্পু, ইত্যাদি দিয়ে জোঁক ছাড়ালে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। তাই সাবধানে জোঁক ছাড়িয়ে ক্ষতটা পরিষ্কার করতে হবে। রক্তপাত হলে দ্রুত বন্ধ করতে হবে। ক্ষতস্থান চেপে ধরলে এবং ক্ষতস্থানকে হৃৎপিণ্ড থেকে উঁচু অবস্থানে ধরলে দ্রুত রক্তপাত বন্ধ হয়।
পাহাড়ি পিচ্ছিল পথে চলাচলে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
আগুনের উৎস:
অনেক বাড়িতে এখনো মাটির চুলায় রান্না হয়। আবার অনেকে ঘুরতে গিয়ে ক্যাম্পফায়ার বা বারবিকিউ পার্টির আয়োজন করেন। এসব বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করুন। লোকালয়ে বা অরণ্যে ফানুস না ওড়ানোই ভালো।
খাবার আগে
খাবার আগে হাত ধোয়া সম্ভব না হলে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। যা পান করছেন, তা নিরাপদ পানি দিয়ে তৈরি কি না, খেয়াল রাখুন। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে তৈরি খাবার এড়িয়ে চলুন।
আরও কিছু
ভ্রমণে স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক বাথরুমের অভাবে অনেকে প্রস্রাব চেপে রাখেন। বিশেষত নারীদের মধ্যে এ প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এমনটা করা যাবে না। এতে প্রস্রাবে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
কেবল শৌচকর্মের পরই নয়, ভ্রমণে গিয়ে শৌচকর্মের আগেও হাত ধোয়া উচিত বা নিদেনপক্ষে হাতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করা উচিত।
মশা-মাছি থেকে সাবধান:
মশারি ব্যবহার করুন অবশ্যই। ফুলহাতা জামা ও ফুলপ্যান্ট বা পায়জামা পরা ভালো। তিন বছরের বেশি বয়সী সবাই মস্কিউটো রিপেল্যান্ট ব্যবহার করতে পারেন। তবে শিশুদের হাতে, মুখে রিপেল্যান্ট দেবেন না। খেয়াল রাখুন, খাবারে যেন মাছি না বসে।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী ক্যান্সারের রোগী কোন জেলার? উত্তর- চট্টগ্রামের। এর অন্যতম প্রধান কারণ, নিয়মিত বিষাক্ত শুটকি মাছ খাওয়া। এই তথ্যটি জানিয়েছে বিখ্যাত স্বাস্থ্য গবেষণা সাময়িকী 'ল্যানসেট'।
শুটকি ছাড়া ভাত খায়, এমন পরিবার চট্টগ্রামে খুব কম আছে। এই শুটকিতে বেশী মুনাফার আশায় চট্টগ্রামের শুটকি ব্যবসায়ীরা প্রাকৃতিক ভাবে শুটকি না শুকিয়ে তাতে নিয়মিত DDT POWDER প্রয়োগ করে যাচ্ছে।
DDT পৃথিবীর সবচেয়ে সবচেয়ে ক্ষতিকারক বিষ।
ক্লোরিনেটেড হাইড্রোকার্বনঃ DDT, other examples of this series are BHC, lindane, Chlorobenzilate, methoxychlor, and the cyclodienes (which include aldrin, dieldrin, chlordane, heptachlor, and endrin).
এখন চিন্তা করেন শুটকি খাবেন নাকি ছাড়বেন বা ওই সব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে লড়বেন।
আর যদি মনে করেন, যা হবার তাই হবে, এই এতকালের অভ্যাস ছাড়া যাবে না, তাহলে মাথার উপর পা তুলে শুটকি খেতে থাকুন আর ক্যান্সারকে স্বাগতম জানান। পরবর্তী প্রজন্মকেও শুটকি খেতে উৎসাহ দিতে ভুলবেন না।
একটু ভাবুন, আপনার অসচেতনতাতেই ধীরে ধীরে আপনার বংশ ক্যান্সারে নির্বংশ হবে।
Our silent pandemic!
Obesity drives metabolic dysfunction, hypertension, diabetes, heart disease, stroke, Alzheimer's, cancer and many more.
যে ঘোড়াটা সবচেয়ে বেশি দৌড়ায়,
গাঁধার সাম্রাজ্যে শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে
তাকেই সবার আগে গুলি করা হয়।
মায়েদের খুব সাধারণ একটা অভিযোগ—শিশুরা খেতে চায় না। মনে রাখবেন, ছোট শিশুদের খেতে না চাওয়ার অন্যতম একটা কারণ কোষ্ঠকাঠিন্য। অনেক সময় শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য মায়েরা টের পান না।
দেখা যায়, পায়খানা নরম হলেও অনেক সময় তা পুরোপুরি পরিষ্কারভাবে না হওয়ার কারণে শিশুদের পেট ফাঁপা থাকে। অরুচি দেখা দেয়। অনেক সময় মায়েরা লক্ষও করেন না, শিশুরা কী ধরনের পায়খানা করছে। অন্য অনেক সমস্যার মধ্যে এ সমস্যাটি নজরে পড়ে না।
প্রথমে জানতে হবে কোষ্ঠকাঠিন্য বলতে আসলে আমরা কী বুঝি। কোনো শিশু যদি সপ্তাহে তিনবারের কম মলত্যাগ করে, মলত্যাগের সময় যদি পেট ব্যথা করে, শক্ত মলের সঙ্গে যদি রক্ত দেখা যায়, শিশুর প্যান্টের সঙ্গে যদি তরল মলের দাগ থাকে, তবে বুঝবেন তার কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে।
যেসব কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে:
কোষ্ঠকাঠিন্যের অন্যতম কারণ ভুল জীবনযাপন। শিশুদের পর্যাপ্ত হাঁটাচলা বা খেলাধুলার পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকা।
দিনের অনেকটা সময় এখন টিভি বা মুঠোফোনে কাটায় শিশুরা। এই অচলতা কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টি করে।
প্রচুর পরিমাণে ফাস্ট ফুড, চিপস ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস।
শাকসবজি, ফলমূল এবং পানি কম খাওয়া।
স্কুলে পর্যাপ্ত পরিমাণ টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকা। এ কারণে অনেক সময় শিশুরা মল আটকে রাখে।
যেসব শিশু গরুর দুধ বেশি খায়, তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
বংশানুক্রমিক কারণেও শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
শিশুদের নির্দিষ্ট কিছু রোগ, যেমন নিউরোলজিক্যাল ডিজিজ, এনাল ফিশার, কার্সপ্রাঙ্গ ডিজিজের কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
সমাধান কী:
শিশুদের খাদ্যাভ্যাস ও জীবন প্রণালির পরিবর্তন আনতে হবে। খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত সবজি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। একটি প্লেটের অর্ধেক সবজি দিয়ে সাজাতে হবে। রঙিন ফলমূলের পরিমাণ খাদ্যতালিকায় বাড়াতে হবে।
ফলের জুসের পরিবর্তে ফলমূল খাওয়া উপকারী।
শিশু পর্যাপ্ত পানি পান করছে কি না, খেয়াল করুন।
শিশু যেন নির্দিষ্ট সময়ে টয়লেট ব্যবহার করে, সেই অভ্যাস গড়ে তুলুন। সে জন্য প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে তাকে কমোডে ১৫ মিনিট বসিয়ে রাখতে হবে। সে মল ত্যাগ করুক আর না করুক।
দৈনিক খেলাধুলা করার সুযোগ করে দিতে হবে। শিশুকে এ ক্ষেত্রে সাঁতার, কারাতে বা অন্যান্য খেলায় উৎসাহিত করা যেতে পারে।
স্কুলে পর্যাপ্ত টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, কোষ্ঠকাঠিন্য ভবিষ্যতে নানা রোগব্যাধির জন্ম দিতে পারে।
জগত বিখ্যাত খলিফা হারুন অর রশিদ একদিন পানি পান করতে যাবেন, গ্লাস ঠিক ঠোঁটের কাছে নিয়েছেন, এমন সময় হযরত বহলুল (রহঃ) বললেন, "আমিরুল মুমিনীন! একটু থামুন। পানি পান করার আগে আমার একটি প্রশ্নের উত্তর দিন।"
খলিফা বললেন, "বলো কি জানতে চাও?"
বহলুল (রহঃ) বললেন, "মনে করুন আপনি প্রচন্ড তৃষ্ণার্ত হয়ে এমন মাঠে আছেন যেখানে পানি নাই। পিপাসায় আপনার প্রাণ ওষ্ঠাগত। এমন অবস্থায় আপনি এক গ্লাস পানির জন্য কতটা মূল্য ব্যয় করবেন?"
খলিফা বললেন, "যেহেতু পানি না পেলে আমার মৃত্যু হবে তাই আমার পুরো সম্পত্তিও ব্যয় করে দিতে পারবো।"
হযরত বহলুল (রহঃ) বললেন, "ঠিক আছে এবার বিসমিল্লাহ বলে পানি পান করেন।"
খলিফা পানি পান করলেন। এবার হযরত বহলুল (রহঃ) বললেন, "আমার আর একটি প্রশ্ন আছে।"
খলিফা বললেন, "বলো।"
বহলুল (রহঃ) বললেন, "এই পানি যদি আপনার শরীর থেকে না বের হয়, পেটেই জমা থাকে। প্রসাব বন্ধ হয়ে যায়, সেই পানি বের করবার জন্য কত টাকা ব্যয় করবেন?"
-প্রসাব বন্ধ হলে তো আমি সহ্য করতে পারবো না। মারা যাবো। জীবন বাঁচাতে একজন ডাক্তার যতটা চায় ততটাই দিবো। আমার পুরো রাজত্ব চাইলেও দিয়ে দিবো।"
হযরত বহলুল (রহঃ) বললেন, তাহলে বোঝা গেল আপনার পুরো রাজত্ব এক গ্লাস পানির দামের সমানও নয়। মাত্র এক গ্লাস পানি পান করতে বা বের করতে আপনি পুরো রাজত্বও দিয়ে দিতে চান। তাহলে কত গ্লাস পানি নিয়মিত পান করেন আর বের করেন, এটা একটু ভাবেন আর এই নেয়ামত যিনি দিয়েছেন তার শুকরিয়া আদায় করেন।"
শরীর থেকে পানি বের করার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় যে অঙ্গ তাহলো কিডনি। এক ডাক্তারকে (কিডনি বিশেষজ্ঞ) একবার একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, "বিজ্ঞান এখন এতো উন্নত, আপনারা একজনের কিডনি অন্যের শরীরে প্রতিস্থাপন করেন তাহলে কৃত্রিম কিডনি তৈরি করতে পারছেন না কেন?"
ডাক্তারের উত্তরটি ছিলো খুবই আশ্চর্যজনক।
তিনি বলেছিলেন, "সায়েন্সের এই উন্নতি সত্ত্বেও কৃত্রিম কিডনি তৈরি করা খুব কঠিন। কারণ আল্লাহ তায়ালা কিডনির ভেতরে যে চালনি যুক্ত করেছেন তা খুব সুক্ষ্ম এবং পাতলা। এখনো পর্যন্ত এমন যন্ত্র আবিষ্কার হয়নি যা এমন সুক্ষ্ম ও পাতলা চালনি তৈরি করতে পারে। আর যদি কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে চালনি তৈরি করাও হয় তবুও কিডনির ভেতর এমন একটি জিনিস আছে যা তৈরি করা আমাদের ক্ষমতার বাইরে। জিনিসটি হলো একটি মস্তিষ্ক (sensor)। এই মস্তিষ্ক ফায়সালা করে যে, এই মানুষের শরীরে কতটুকু পানি রাখা চাই আর কতটুকু ফেলে দেওয়া চাই। তার ফায়সালা শতভাগ সঠিক হয়।
ফলে আমরা যদি কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে কৃত্রিম কিডনি তৈরি করেও ফেলি, তবুও আমরা এতে মস্তিষ্ক তৈরি করতে পারবো না, যা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন প্রতিটি মানুষের কিডনিতে সৃষ্টি করেছেন।"
পানি পান এবং নিষ্কাশনের প্রক্রিয়াটি খুব করে মনে পড়ে যখন সূরা যারিয়াতের ২১ নং আয়াত পড়ি। সেখানে মহান রব বলেছেন-
"আমরা কী নিজেদের সত্ত্বা নিয়ে কখনো চিন্তা করে দেখেছি?"
'ইসতেগফার' পড়লে আল্লাহ তায়ালা বৃষ্টি দান করেন। সুতরাং সবাই বেশি বেশি ইসতেগফার পাঠ করুন।
আল্লাহ তায়ালা রহমতের বৃষ্টি দান করুন,আমীন।
সূরা Nuh - ১-২৮ - Quran.com Nuh পড়ুন এবং শুনুন। সূরা প্রকাশিত হয়েছিল মক্কা , আদেশ ৭১ কুরআনে। বাংলা এ সূরার শিরোনামের অর্থ "নবী নূহ" এবং ২৮ আয়াত...
এ সময় শিশুদের, বিশেষ করে স্কুলপড়ুয়াদের হাসপাতালের বহির্বিভাগ বা চিকিৎসকের চেম্বারে আনা হচ্ছে তাদের চোয়াল ও গলার সংযোগস্থানে ব্যথার সঙ্গে ফুলে যাওয়ার সমস্যা নিয়ে।
কখনো এক পাশে, কখনো দুই পাশে। বাচ্চা খেতে পারছে না, বমি করছে, সঙ্গে হালকা জ্বরও।
মাথাসহ সারা শরীরে ব্যথা, দুর্বলতা ইত্যাদি উপসর্গও থাকে। এ সমস্যা মূলত মাম্পস ভাইরাস দ্বারা শিশুদের প্যারোটিড গ্রন্থি আক্রান্ত হওয়ার কারণে হয়ে থাকে, যাকে মাম্পস প্যারটাইটিস বলা হয়।
কিভাবে ছড়ায়:
রোগটি বেশ ছোঁয়াচে। যেখানে জনসমাগম বেশি, সেখানে দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। বেশির ভাগ শিশু বিদ্যালয় থেকেই মাম্পস নিয়ে আসে। আক্রান্ত ব্যক্তির লালা বা হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়ায়। সাধারণত পাঁচ থেকে নয় বছরের বাচ্চারা বেশি সংক্রমিত হয়। ভাইরাসটি শরীরে ঢোকার পর সবার আগে শ্বাসনালি সংক্রমণ করে। সেখান থেকে লালাগ্রন্থি এবং অবশেষে রক্তের ভেতর ও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
কোনো সুস্থ শিশু এ ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুর সংস্পর্শে আসার দুই সপ্তাহের ভেতর চোয়াল ফোলা, জ্বর, ক্ষুধামান্দ্যসহ এ রোগের অন্যান্য উপসর্গ দেখা যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে ভালোও হয়ে যায়। অনেকে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও রোগের তেমন কোনো উপসর্গ থাকে না।
সংক্রমণের মেয়াদ:
আক্রান্ত শিশুর রোগের উপসর্গ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগ থেকে শুরু করে উপসর্গ–পরবর্তী সাত থেকে আট দিন এ ভাইরাস অন্যদের মধ্যে ছড়াতে পারে।
চিকিৎসা:
তেমন কোনো চিকিৎসার দরকার পড়ে না। নিত্যদিনের পরিচর্যা, খাওয়াদাওয়া, গোসল, মুখগহ্বর পরিষ্কার রাখা, বিশ্রাম, তরল খাবার একটু বেশি দেওয়া এবং ব্যথা বা জ্বর কমাতে প্যারাসিটামলই যথেষ্ট।
চোয়ালের ফোলা জায়গায় কাপড় গরম করে সেঁক দিলে একটু আরাম লাগতে পারে।
মনে রাখতে হবে জ্বর বা ব্যথা কমানোর জন্য অ্যাসপিরিন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অযথা অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার দরকার নেই।
জটিলতা:
কিছু কিছু জটিলতা হতে পারে। সেগুলোর মধ্যে শ্রবণশক্তি হারানো থেকে শুরু করে অণ্ডকোষে সংক্রমণ এবং পরবর্তী সময় তাদের সন্তান উৎপাদনসংক্রান্ত জটিলতা, প্যানক্রিয়াসে সংক্রমণ ও তীব্র পেটে ব্যথা, মেনিনজাইটিস বা মস্তিষ্কে সংক্রমণ অন্যতম। এ ছাড়া ব্রেস্ট, ওভারি, স্নায়ুতন্ত্রের অন্য অংশ, এমনকি কিডনিতেও সংক্রমণ হতে পারে।
প্রতিরোধ:
শিশুদের এমএমআর টিকা দেওয়াই এ রোগ প্রতিরোধের অন্যতম উপায়। আক্রান্ত শিশুকে অন্য সুস্থ শিশুদের থেকে আলাদা রাখতে হবে। স্কুলপড়ুয়াদের স্কুলে বা কোচিংয়ে যাওয়াও বন্ধ রাখতে হবে।
#নতুন_করে_অ্যাডিনো_ভাইরাস_সংক্রমণ_বাড়ছে
👉অ্যাডেনোভাইরাস কীঃ
১. এটি করোনাভাইরাসের মতোই একটি রেসপিরেটরি ভাইরাস, যা শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর উপসর্গগুলোও অনেকটা কোভিডের মতোই এবং এটিও অত্যন্ত ছোঁয়াচে বা সংক্রামক।
২. যেকোনো বয়সীরাই এই ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে। কিন্তু ঠিক কোভিডের মতোই এখানেও শিশু, বয়স্ক এবং যাদের দীর্ঘমেয়াদি অন্য রোগ রয়েছে, তাদের আক্রান্ত হয়ে জটিল পর্যায়ে যাওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
৩. এই ভাইরাস সাধারণত চোখ, শ্বাসযন্ত্র, মূত্রনালি ও স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে। সাধারণত আক্রান্ত হওয়ার দুই দিন থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যেই শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। এই ভাইরাসের সবচেয়ে প্রচলিত লক্ষণগুলো হলো জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া, পেট ব্যথা, ব্রংকাইটিস, কনজাংটিভাইটিস ইত্যাদি। খুব কম ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া, ব্রেন ও স্পাইনাল কর্ডের জটিলতা হতে পারে।
👉কিভাবে ছড়ায়ঃ
এই সংক্রামক ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি থেকেই ছড়ায়। রোগীর ছোঁয়া কোনো জিনিসের সংস্পর্শে এলেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে বাতাসে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসও সরাসরি আক্রমণ করতে পারে ফুসফুসকে।
👉কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেনঃ
১. বেশি তাপমাত্রার জ্বর হলে।
২. শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলে।
৩. চোখ লাল হয়ে কনজাংটিভাইটিস হলে।
৪. শরীরের অক্সিজেন লেভেল নিচে নেমে গেলে।
৫. ডায়রিয়া হলে।
৬. মাথা ব্যথা, বমি, জন্ডিস দেখা দিলে।
👉প্রতিরোধের উপায়ঃ
১. বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া। শিশুদেরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অভ্যাস করা।
২. বাইরে থেকে এসে জামাকাপড় বদল করে এবং হাত ধুয়ে তবেই শিশুদের কাছে যেতে হবে।
৩. ভিড় থেকে শিশুদের দূরে রাখা। জনবহুল স্থানে যেতে হলে মাস্ক ব্যবহার করা।
৪. হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলা।
👉আক্রান্ত হলে করণীয়ঃ
করোনার মতোই অ্যাডেনোভাইরাস সংক্রামক। তাই আক্রান্ত হলে বিশেষ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা জরুরি :
১. অ্যাডেনোভাইরাসে আক্রান্ত হলে বা উপসর্গ দেখা দিলে শিশুদের স্কুলে পাঠাবেন না।
২. বড়দের কারো যদি সংক্রমণ হয়, তাহলে তিনি শিশু, অতিবৃদ্ধ ও গর্ভবতী মহিলা থেকে দূরে থাকবেন।
৩. প্রতিদিন হালকা গরম লবণ পানি দিয়ে গার্গল করুন। ছোট বাচ্চাদের হালকা গরম পানি বা অন্য যেকোনো গরম পানীয় বারবার খেতে দিন।
৪. চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শিশুকে অ্যান্টিবায়োটিক বা কফ সিরাপ দেবেন না।
সাবধানে থাকুন,সুস্থ থাকুন।
নিয়মিত ইবাদত,পরিমিত আহার।
সুস্বাস্থ্যের সাথে হোক আত্মিক পরিশুদ্ধি।
সবাইকে পবিত্র রমাজান মাসের শুভেচ্ছা।
আসসালামু আলাইকুম।
আশা করি সবাই ভাল আছেন।
পবিত্র রমজান মাস আমাদের খুবই নিকটে,আলহামদুলিল্লাহ।
আসুন,রমজান মাসের কিছু
প্রয়োজনীয় স্বাস্থবিধি জেনে রাখি:
The Blessed Night❤️
Shab-E-Barat-Mubarak❤️
Let’s pray for each other.
May Almighty Allah bless us with all his blessings.
জীবনকে ভালো ভালোবাসুন,
মাদক থেকে দুরে থাকুন।
#কী_কী_অঙ্গ_প্রত্যঙ্গ_দান_করা_যায়?
পুরো মানবদেহই দান করা যায়। এছাড়া হৃদপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনি, লিভার, প্যাংক্রিয়াস, অস্থি, অস্থিমজ্জা দান করা যায়। এর বাইরে চোখ বা কর্নিয়া, হাড়, ত্বক, হার্ট ভালভ, ব্লাড ভেসেল, নার্ভ ও টেন্ডনও দান করা যায়।
#কীভাবে_দান_করতে_হয়?
বাংলাদেশের জীবিত কোন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি (১৮ বছরের বেশি) হতে হবে, তবে ৬৫ বছরের বেশি নয়।তবে জীবিত অবস্থায় কেউ শুধুমাত্র নিকট আত্মীয়কে কিডনি, লিভারের মতো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করতে পারবেন। কিন্তু চোখ, চর্ম, টিস্যু-ইত্যাদি যে কেউকে দান করা যাবে, সেখানে নিকট আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু ক্যান্সার, হেপাটাইটিস, এইডস বা কোন জীবাণু সংক্রমণ কোন ব্যাধিতে মারা গেলে তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করা যাবে না।
যিনি মরণোত্তর দেহদান বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করতে চান, তিনি স্ট্যাম্প পেপারে সজ্ঞানে স্বাক্ষর করে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজ বা হাসপাতালে অনুমতি দিয়ে যাবেন। সেখানে অন্তত দুইজন নিকট আত্মীয়কে সাক্ষী হিসাবে থাকতে হবে।
বুক জ্বালাপোড়া, পেট ফাঁপা, অরুচি, বদহজম, বুকে বা পেটে ব্যথার মতো সমস্যার সমাধানে আমরা চট করে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়ে ফেলি। আবার যাঁরা দীর্ঘস্থায়ী অসুখে ভোগেন, তাঁদেরও ধারণা, যেকোনো ওষুধের সঙ্গে গ্যাসের ওষুধও খেতে হবে। কেউ কেউ এভাবে মাসের পর মাস টানা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়ে যান। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন বা টানা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
যেসব ক্ষতি হতে পারে
১. ভিটামিনসহ বিভিন্ন খনিজ লবণের ঘাটতি: কিছু ভিটামিন ও খনিজ লবণ (যেমন ভিটামিন বি১২, ফলিক অ্যাসিড, আয়রন) বিপাক প্রক্রিয়ার জন্য অ্যাসিডের দরকার হয়। দীর্ঘদিন গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যাসিড পাকস্থলীতে তৈরি হয় না, ফলে ভিটামিনসহ এসব খনিজ লবণের ঘাটতি দেখা দেয়।
২. হাড়ক্ষয় রোগ: হাড় তৈরি হওয়ার অন্যতম উপাদান হলো ক্যালসিয়াম। আর ক্যালসিয়াম বিপাকের জন্য দরকার অ্যাসিড। ক্রমাগত গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার ফলে শরীরে অ্যাসিডের ঘাটতি হয় এবং ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত হাড়ক্ষয় রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৩. পাকস্থলীর ক্যানসার হওয়ার প্রবণতা বাড়ে: গ্যাসের ওষুধ খাওয়ায় পাকস্থলীর গ্রন্থি থেকে গ্যাস্ট্রিন নামক হরমোন তৈরির প্রবণতা বেড়ে যায়, যা পাকস্থলীর ক্যানসার হওয়ার অন্যতম কারণ।
৪. সংক্রামক রোগ: বিভিন্ন ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণুকে পাকস্থলীর অ্যাসিড ধ্বংস করে। কিন্তু গ্যাসের ওষুধ খাওয়ায় এই ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াগুলো শক্তিশালী হয়ে উঠে সংক্রামক রোগ তৈরি করে।
৫. কিডনি রোগ: বিভিন্ন গবেষণা দেখা গেছে, সারা বছর গ্যাসের ওষুধ খাওয়ায় কিডনির কার্যকারিতা কমে যাওয়ার প্রবণতা অনেক গুণ বেড়ে যায়।
৬. অম্লত্ব বৃদ্ধি: দীর্ঘদিন গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার কারণে কিছু কিছু হরমোনের প্রভাবে অ্যাসিড তৈরি হওয়া এতটাই বেড়ে যায়, যে বুকে জ্বালাপোড়ার মতো প্রদাহের পর কোনো গ্যাসের ওষুধ দিয়ে প্রশমিত করা সম্ভব হয় না।
তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দিনের পর দিন গ্যাসের ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়।
Alhumdulillah..
এ সময় সর্দি-কাশি হলে কী করবেন???
নানা কিছুর সংস্পর্শেই হতে পারে অ্যালার্জি। ধুলাবালু, পোষা পাখির পালক বা বিড়ালের পশম প্রভৃতি অ্যালার্জির সাধারণ কিছু কারণ। আবার এর উৎস হতে পারে বিভিন্ন খাবার যেমন ইলিশ, চিংড়ি মাছ, গরুর মাংস, মসুর ডাল ইত্যাদি। শীতের সময় ঠান্ডা থেকে, শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা ফ্রিজ অথবা ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে যদি তা হয়, একে বলে কোল্ড অ্যালার্জি।
লক্ষণগুলো কি কি:
সাধারণত হাঁচি, সর্দি, কাশি, চোখে চুলকানি ও মাঝেমধ্যে এর সঙ্গে থাকতে পারে ক্লান্তি ও দুর্বলতা। তবে গায়ে ব্যথা বা জ্বর কোল্ড অ্যালার্জির অন্তর্ভুক্ত নয়।
কী করবেন:
আপনার অ্যালার্জি আছে কি না, সেটা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া ভালো। যেহেতু নিরাময় করা যায় না, কারণগুলো শনাক্ত করা গেলে এবং সেগুলো থেকে দূরে থাকলে অনেকাংশে প্রতিরোধ করা যাবে।
যেকোনো অ্যালার্জি নিরাময়ের প্রথম শর্ত হলো, যা থেকে অ্যালার্জি হয়, তা থেকে দূরে থাকা। যেমন ধুলাবালু থেকে রক্ষা পেতে ব্যবহার করুন মাস্ক।
প্রতিরোধের ওষুধ নিয়মিত খাবেন অথবা শুধু শীতের সময় সেবন করবেন। নাকে নিতে পারেন ভেপার। আর যদি আক্রান্ত হয়েই যান, তখন বড়ি, নাকের ড্রপ, স্প্রে, ক্ষেত্রবিশেষে চোখের ড্রপ ব্যবহার করবেন।
নাকের স্প্রে বা ড্রপ বেশি দিন ব্যবহার করা ঠিক নয়। তাই নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ। চিকিৎসা ঠিক সময়ে না নিলে অনেকের ক্রনিক সাইনোসাইটিস হয়ে মাথাব্যথা হয়।
ভিটামিন সি খাবেন। মৌসুমি ফল, শাকসবজিতে প্রচুর ভিটামিন সি পাবেন। প্রচুর পানি পান করবেন।
নাক বন্ধ থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ, চিকিৎসা নিতে দেরি হলে এর সঙ্গে কানের প্রদাহ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যার ফলে কানব্যথা, বমি, মাথা ঘোরার মতো উপসর্গ হতে পারে।
যারা ঝুঁকিপূর্ণ যেমন স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানি, হৃৎপিণ্ড কিংবা কিডনির জটিলতা আছে, গর্ভবতী নারী, তাদের সর্দি–কাশি হলে সতর্ক হতে হবে। দ্রুত করোনা, ইনফ্লুয়েঞ্জা বা রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাস দ্বারা ইনফেকশন হয়েছে জেনে চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
গবেষণায় দেখা গেছে ,সপ্তাহে যদি মোটামুটি আড়াই ঘন্টার মত হাঁটতে পারেন, তাহলে বিষণ্ণতা হবার ঝুঁকি শতকরা ২৫ ভাগ কমে যায়।
সূত্র : আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল এসোসিয়েশন।
গর্ভাবস্থায় ‘অখাদ্য’ খাওয়ার ইচ্ছা
গর্ভধারণের সময় নারীর দেহ ও মনে নানা পরিবর্তন আসে। এরই অংশ হিসেবে খাদ্য গ্রহণ ও পরিপাকতন্ত্রের কাজেও কিছু পরিবর্তন আসে। যেমন সকালে বমি ও বমি বমি ভাব, গলা-বুক জ্বালা করা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি। আবার এ সময়ে স্বাভাবিকভাবে কিছু নির্দিষ্ট খাবারের জন্য ক্রেভিং (তীব্র ইচ্ছা বা আকর্ষণ) হয় যেমন টক, মিষ্টি, ঝাল বা নোনতা খাবার। তবে কারও কারও অদ্ভুত কিছু জিনিস (খাদ্যবস্তু নয়) খাওয়ার ইচ্ছা করে, যা ‘পিকা’ নামে পরিচিত।
পিকা একধরনের ইটিং ডিজঅর্ডার। এতে আক্রান্ত ব্যক্তি মাটি, সাবান, বেকিং সোডা, ফ্রিজে জমা বরফ, কাগজ, দাঁতের মাজন, প্লাস্টিক, পা ও হাতের নখ, কয়লা, সিগারেটের ছাই, আঠা, চক, শ্যাম্পু ইত্যাদি খেয়ে থাকেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০ জন গর্ভবতী নারীর একজন পিকায় আক্রান্ত হন। গর্ভধারণের প্রথম পাঁচ সপ্তাহের মধ্যেই এর লক্ষণ দেখা দিতে পারে। পরবর্তী তিন মাসে ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বাড়তে থাকে, শেষের দিকে কমে।
গর্ভাবস্থায় পিকা হওয়া মানে পুষ্টির ঘাটতি বা অপুষ্টি রয়েছে। সাধারণত যেসব নারীর শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজের (আয়রন, জিংক, ক্যালসিয়াম) ঘাটতি থাকে, তাঁদের মধ্যে অখাদ্য (মাটি) খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। আবার অনেক সময় মানসিক সমস্যা থেকেও পিকা দেখা দিতে পারে।
যেসব ক্ষতি হতে পারে:
গর্ভাবস্থায় সঠিক সময়ে যদি পিকা নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, তবে গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি হতে পারে। সাধারণত অভোজ্য কিছু খাওয়া মা ও শিশু উভয়ের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে বিবেচিত হয়।
হজম করা কঠিন, এমন অভোজ্য জিনিস খেলে তা সংক্রমণের কারণ হতে পারে। অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণসহ বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, পেটে আলসার ও অন্ত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে।
যা করতে পারেন:
গর্ভাবস্থায় পিকার লক্ষণ শুরু হলে আচার বা চাটনি খেতে পারেন। চিনিমুক্ত চুইংগাম, এলাচের দানা চিবাতে পারেন।
ফলের রসের আইস কিউব করে রাখতে পারেন। সেটা খাওয়া যাবে।
এ সময় আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিংক ও ম্যাগনেসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খাদ্যতালিকায় বেশি রাখতে হবে।
প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্যতালিকা করতে হবে। মিনারেল ও ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট নিতে হবে।
মনে রাখুন:
পিকা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, তবে যথাযথ সুষম পুষ্টির মাধ্যমে পিকার প্রতিকার সম্ভব।
পিকার লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শিশুদের স্বাস্থ্যের শত্রুঃ
১.চিপস,
২.লজেন্স/চকলেট,
৩.প্যাকেট জুস,
৪.কোল্ড ড্রিংকস
May the energy of full moon amplify your wishes and desires to manifest into your life..
❤️🌙❤️
রুচি বাড়ানোর হার্বাল ঔষধ খেয়ে নিজের ক্ষতি করছেন নাতো....
২৭ বছর বয়সের একজন ছেলে খাবার রুচি কম, একটা হার্বাল ঔষধ খেলে রুচি ভালো থাকে। তাই উনি গত এক বছর থেকে এটি খেয়ে আসছেন।
২ সপ্তাহ আগে রুটিন টেস্ট করতে গিয়ে উনার ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। এরপর উনি ওই হার্বাল খাওয়া ছেড়ে দেন। ছেড়ে দেবার কয়েকদিন পর উনার ডায়াবেটিস নরমাল পাওয়া যায়। উনি আসছেন ডায়াবেটিস এর ঔষধ কন্টিনিউ করবেন কিনা???
আমি রোগীর মুখ ও পেট দেখলাম- দুটিই অনেক ফুলে গেছে, পেটের মধ্যে মোটা মোটা দাগ হয়েছে (striae).
সব মিলিয়ে যেটা নির্ণয় হলো তা হলো- এই রোগী অনেক বেশি পরিমাণে স্টেরয়েড নিয়েছেন।
উনি যেহেতু হার্বাল ছাড়া আর অন্য কোন ঔষধ বা ইনজেকশন গত এক বছরে নেন নাই তাই এই হার্বালে যে স্টেরয়েড ছিল তা ধরে নেয়া যায়।
সকলের কাছে অনুরোধ ২০২২ সালে এসে এমন বোকামী করবেন না, যে কোন শারীরিক সমস্যা হলে ডাক্তার দেখিয়ে, পরীক্ষা করে তারপর ঔষধ খান। মুখের কথা শুনে হার্বাল, গাছনা ইত্যাদি খেয়ে নিজের ক্ষতি করবেন না।
- courtesy:Dr Ratin Mandal
🥼পুরুষের এনলারজড/বর্ধিত প্রস্টেট।
বিবর্ধিত প্রস্টেট গ্রন্থির উপসর্গসমূহ হচ্ছে :
💊মূত্রত্যাগ শেষ করার পর মূত্রথলি খালি হয়নি অনুভূত হওয়া।
💊মূত্রত্যাগ শেষ করার পর দুই ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে আবার মূত্রত্যাগ করার প্রয়োজন হওয়া।
💊মূত্রত্যাগের সময় কয়েকবার করে প্রস্রাব থামছে এবং আবার আসছে প্রকৃতির ঘটনা ঘটা।
💊প্রস্রাব আটকানো কঠিন হওয়া।
💊প্রস্রাবের প্রবাহ দুর্বল হওয়া।
💊প্রস্রাব করা শুরু করতে জোর বা চাপ দেওয়ার প্রয়োজন হওয়া।
💊রাতে মূত্রত্যাগের জন্য বারবার ঘুম থেকে জেগে ওঠা।
⛑️আপনার বিবর্ধিত প্রস্টেট গ্রন্থি থাকলে কি করবেন?
আপনি একজন ইউরোলজিস্ট এর শরণাপন্ন হতে পারেন। উনি আপনার অবস্থা বুঝে মেডিক্যাল / সার্জিক্যাল চিকিৎসা দিবেন।
❤️❤️❤️
Today is,29th October,
"WORLD STROKE DAY"
Minutes can save lives❤️
"BE FAST",spot the stroke.
-Balance loss,headache, dizziness
-Eye,blurred vision
-Face dropping of one side
-Arm or leg weakness
-Speech difficulties
-Time to call for emergency medical help
We all know that,"prevention is better than cure" and stroke is preventable.
Lets learn preventive measures:
- control high blood pressure
-manage diabetes mellitus
-eat a healthy balanced diet
-maintain a healthy weight
-exercise regularly
-reduce blood cholesterol
-manage stress and depression
-last but not the least, avoid smoking and alcohol.
1 out of 4 adult will have a stroke.
Don't be the one.
রোগী দেখতে যাওয়ার ফজীলত:
"বেবি এলিফ্যান্ট সিন্ড্রোম"
বেবি এলিফ্যান্ট সিন্ড্রোম হচ্ছে একধরণের মাইন্ডসেট। আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় যে, পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী প্রাণী কে? তাহলে আপনি হয়ত এক মুহুর্তও চিন্তা না করে হাতির নাম নিয়ে নিবেন। অথচ আপনি জানেন কি, পৃথিবীর অনেক হাতির তার শক্তি-সামর্থ্য সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই? সার্কাসের হাতি কিংবা পোষা হাতিকে ছোটবেলা থেকে একটা শক্ত দড়ি অথবা শিকল দিয়ে কোনো কিছুর সাথে আটকে রাখা হয়।
বাচ্চা হাতিটা অনেক চেষ্টা করে সেটি থেকে মুক্ত হওয়ার, কিন্তু, অক্ষমতার জন্য সে সফল হয় না। বাচ্চা হাতিটা মুক্ত হতে পারে না। এরপরেও সে চেষ্টা চালিয়ে যেতেই থাকে এবং এক সময় গিয়ে যখন বুঝতে পারে যে নাহ! এখান থেকে মুক্ত হওয়ার ক্ষমতা তার নেই, তখন সে সারাজীবনের মত হাল ছেড়ে দেয়। বাচ্চা হাতিটা বড় হয়, তার এত শক্তি হয় তখন যে, ঐ দড়ি কিংবা শিকল কি, চাইলে সে তাঁর আশেপাশের সবকিছুকে ধূলিসাৎ করে দিতে পারে, কিন্তু হাতিটা তা জানে না। সে জানে যে, এই দড়ি থেকে মুক্ত হবার ক্ষমতা তার নেই!
কী? খারাপ লাগছে হাতিটার কথা ভেবে? এত শক্তিশালী একটা প্রাণী যাকে পরাজিত করার সামর্থ্য একদল মানুষেরও নেই, সেখানে একটা ছোট্ট শেকল কিংবা দড়ি তাকে মানসিক ভাবে পরাজিত করে দিল? কিন্তু আমি যদি বলি যে, ঐ হাতি আর আপনার মাঝে বিশেষ কোনো পার্থক্য নেই?
ছোটবেলা থেকেই আমরা যেই শব্দটা সবচেয়ে বেশি শুনি তা হচ্ছে, 'না'। তুমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান, তুমি এটা করতে পারবে না। তুমি দেখতে ভালো না, তুমি ওটা করতে পারবে না। তোমার এই নিয়ে অভিজ্ঞতা নেই, তুমি পারবে না। তুমি ভালো ছাত্র না, তোমায় দিয়ে হবে না। আরো কত রকমের না! "না" একটা এক অক্ষরের শব্দ হলেও আমাদের জীবনে এর প্রভাবটা অনেক বেশি।
সুন্দর গান গাইতে পারে এমন একটা মানুষকে যদি বারবার বলে যাওয়া হয় যে, সে গান গাইতে পারে না, তাহলে এক সময় গিয়ে সেই বাচ্চা হাতিটার মত সেও বিশ্বাস করতে শুরু করে যে, গান গাওয়া তার সাধ্যে নেই। এভাবে ছোটবেলা থেকে আমরা যখন আমাদের অক্ষমতা দেখতে দেখতে বড় হই, তখন এক সময় গিয়ে, যখন চেষ্টা করলেই হয়ত সেই অক্ষমতাকে দূর করে দিতে পারব আমরা, তখনই "পারব না আর" বলে হাল ছেড়ে দেই। আর অজান্তেই নিজের ভেতর জায়গা করে দেই, বেবি এলিফ্যান্ট সিন্ড্রোমের! মানসিক ভাবে হেরে যাই!
বিষয়টা বেশ সহজ। জীবনটা আপনার নিজের, আপনি জানেন, আপনি কী পারেন, আর কী পারেন না। তবে কেন অন্যের কথায় থেমে থাকবেন? কেউ উপদেশ দিলে তা শুনুন, ভালো লাগলে কাজে লাগাবেন, নয়ত সুন্দর করে হেসে এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে, আরেক কান দিয়ে বের করে দিন।
তবে বেশিরভাগ সময় যেটা হয় যে, অন্য কেউ না, বরং আমরা নিজেরাই নিজেদের ভেতরে বেবি এলিফ্যান্টের জন্ম দিয়ে ফেলি। এজন্য "নেতিবাচক চিন্তা" কিংবা "অতিরিক্ত চিন্তা" করা থেকে দূরে থাকতে হবে। এই দু'টি জিনিস কখনো কোন কিছুর সমাধান দেয় না বরং অনেক সহজ জিনিসকে জটিল করে ফেলে।
পৃথিবীর সফল মানুষগুলো কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে অনেকবার, সম্মুখীন হয়েছে অনেক রকম 'না' এর। কিন্তু এতে করে তারা যদি বেবি এলিফ্যান্ট সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হয়ে যেতো, তবে আজকের পৃথিবীটা হয়তো এত এগিয়ে যেত না!
ইদানিং আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ ফ্যাটি লিভার সমস্যায় ভুগছেন। ফ্যাটি লিভারের কারণ গুলো জানলে,কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে সহজেই আমরা এর প্রতিরোধ করতে পারবো।
চলুন আজকে ফ্যাটি লিভারের কারণ, উপসর্গ এবং প্রতিরোধ এর উপায়গুলো জেনে নেই।
ফ্যাটি লিভার কীঃ
যকৃতে চর্বির আধিক্য হলে এর গাঠনিক বিপর্যয় ঘটে, তখন একে ফ্যাটি লিভার বলে। যকৃতে তার নিজস্ব ওজনের ৫ থেকে ১০ ভাগ চর্বি জমলে এমনটি ঘটে।
কখনো কখনো যকৃতে শুধু চর্বি জমে থাকে, কিন্তু কোনো প্রদাহ থাকে না। একে বলে সাধারণ ফ্যাটি লিভার বা
নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। পরে একপর্যায়ে প্রদাহ সৃষ্টি হয়, তখন একে বলা হয় স্টিয়ো-হেপাটাইটিস। এ পর্যায়ে যকৃতের কোষগুলো ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে থাকে।
একপর্যায়ে এখানকার সুশৃঙ্খল কোষ কাঠামো ভেঙে এবড়োখেবড়ো আকার ধারণ করে। ফাইব্রাস টিস্যু বা শক্ত কোষের আধিক্য বেড়ে যায়। এটাকে বলা হয় ফাইব্রোসিস। পরে এটি মোড় নেয় লিভার সিরোসিসের দিকে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ফ্যাটি লিভার তেমন কোনো ক্ষতি করে না। তবে প্রদাহ চলমান থাকলে ফ্যাটি লিভার থেকে হতে পারে লিভার সিরোসিস। লিভার সিরোসিস থেকে লিভার সম্পূর্ণ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে। আবার তা থেকে হতে পারে ক্যানসারও। তাই এ রোগকে অবহেলা করা উচিত নয়। যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাঁদের লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ।
কেন হয়ঃ
স্থূলতা,ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাইপোথাইরয়েডিজম, পিটুইটারি অন্তক্ষরা গ্রন্থির কার্যক্ষমতা হ্রাস, রক্তে চর্বির মাত্রা বৃদ্ধির কারণেও যকৃতে চর্বি জমে।
এ ছাড়া পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম, কিছু ওষুধও ক্ষেত্রবিশেষে ফ্যাটি লিভার তৈরিতে ভূমিকা রাখে। হেপাটাইটিস সি সহ আরও কিছু সংক্রমণে এমনটি হয়ে থাকে।
দ্রুত ওজন কমাতে গেলেও অনেক সময় লিভারে চর্বি হতে পারে।
উপসর্গঃ
যকৃতে চর্বি জমলে তেমন কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। তবে কখনো যকৃৎ বড় হলে পেটের ডান দিকে ব্যথা কিংবা পেট ভারী লাগতে পারে।
ফ্যাটি লিভারের বেশির ভাগ লক্ষণ প্রকাশিত হয় যখন, এটি সিরোসিসের দিকে মোড় নেয়।
প্রতিরোধঃ
ওজন নিয়ন্ত্রণে নজর দিতে হবে। মেদ ঝরাতে হবে। অত্যধিক ক্যালরিযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।
শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় স্থান দিতে হবে বেশি করে।
অ্যালকোহল বর্জন করতে হবে।
অকারণে ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। হারবাল ওষুধের ক্ষেত্রেও সাবধান হতে হবে।
নিয়মিত শরীরচর্চা জরুরি।
মনে রাখুনঃ
ওজন ৭-১০ শতাংশ কমাতে পারলে প্রাথমিক পর্যায়ে ফ্যাটি লিভার সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়।
যকৃতের অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে নিজেকে সারিয়ে তোলার।
ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাইপো থাইরয়েডিজম, রক্তে চর্বির সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কিছু কাজ আপনাকে শারীরিকভাবে ভালো রাখবে। আবার কিছু কাজ আপনার মনকে দিবে প্রশান্তি। কিছু কিছু কাজ আপনার শরীর ও মন দুটির জন্যেই জরুরি।
শরীর ও মন ভালো রাখতে এই আট টি কাজ প্রতিদিন করুন:
১.প্রাণ খুলে হাসুন।
২.মজা করুন।
৩. নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসুন।
৪.মাঝে মাঝে ভয়ের মুখোমুখি হোন।
৫.ভারী কিছু তুলুন।
৬. হৃদস্পন্দন বাড়ান।
৭.প্রতিদিন ঘামুন।
৮.অচেনা মানুষের সাথে কথা বলুন।
গত কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন স্কুলে, ডে-কেয়ার সেন্টার গুলোতে বাচ্চাদের Hand foot & mouth disease এর outbreak হচ্ছে।
এটা খুবই ছোঁয়াচে একটা ভাইরাল ইনফেকশন।
যদি কেউ জানতে পারেন যে স্কুলে কোনো বাচ্চার এই ধরনের অসুস্থতা হচ্ছে তাহলে বাচ্চাকে স্কুলে কয়েকদিন পাঠাবেন না।
তবে আশার কথা এই যে শিশুরা ৫-৭ দিনের মধ্যে আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়ে উঠছে।
👉 এই রোগের লক্ষণ গুলো হচ্ছে-
-মুখের চারপাশে এবং ভিতরে লালচে র্যাশ যা পরে শরীরের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে যায় (বিশেষ করে পায়ে এবং হাতে)
-হালকা জ্বর,
-মাথাব্যাথা, শরীর ব্যাথা
-কাশি, চুলকানি
-খাবারে অরুচি ( মুখের র্যাশগুলো পেইনফুল হবার কারণে)
👉 চিকিৎসা মূলত সাপোর্টিভ-
-একেক বাচ্চার লক্ষ্মণের উপর নির্ভর করে চিকিৎসা একেকরকম।
-তবে আইসোলেশান মেইনটেইন করতে হবে (কমপক্ষে ৭ থেকে ১০ দিন)
- পানিশূন্যতা পূরনের জন্য পর্যাপ্ত তরল জাতীয় খাবার খেতে দিতে হবে
- জ্বর থাকলে প্যারাসিটামল দিতে হবে
- শরীরে চুলকানি থাকলে এন্টিহিষ্টামিন জাতীয় ঔষধ খেতে দিতে হবে
👉 কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন-
- যদি বাচ্চা শরীরের পানিশূন্যতা রোধ করার জন্য পর্যাপ্ত পানি না পান করতে পারে
- যদি রোগের লক্ষ্মন ১০ দিনের বেশী থাকে
-যদি বাচ্চার ইমিউন সিষ্টেম খুব বেশী দূর্বল থাকে
- লক্ষনগুলো মারাত্বক আকার ধারণ করে
-বাচ্চার বয়স ৬ মাসের কম হলে
🔬এটি চিকেন পক্স কিংবা মানকি পক্স জাতীয় কিছু নয়।
সবাই সাবধানে থাকবেন।আমাদের বাচ্চারা ভালো থাকুক।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the practice
Telephone
Website
Address
Dhaka
1205
House 2 Road 17 Block C Banani, Kakoli, Behind UAE Market
Dhaka, 1213
Implant, Cosmetic Dentistry and orthodontics
Shaheed Suhrawardy Medical College Hospital
Dhaka, 1207
আমি ডাঃ রাজীব একজন জেনারেল ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জারী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
Resident Physician Dhaka Medical College And Hospital Dhaka. Chandpur Chember-Rimtouch Diagnostic And Consultation Centre, Mission Road, Chandpur
Dhaka, 1000
এমবিবিএস(আইএসএমসি) পিজিটি(মেডিসিন) এমডি গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি কোর্স ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
Uttara
Dhaka, 1230
Hi, I'm a doctor and entrepreneur working to improve public understanding of medical science.
শনির আখড়া, জিয়া স্মরণী রোড, পলাশপুড় ( ছাপড়া মসজিদের পাশে ) কদমতলী, ঢাকা।
Dhaka, 1362
�Dr. Mishu Official Page. � DHMS (Dhaka) �BHMC (Dhaka) �MCH(Dhaka shisu hospital) �Homeo Co
Dhaka
Dr. MOHAMMAD SAKHAWAT HOSSAIN MBBS (DU); CCD (BIRDEM) ICPPN (Singapore); PGPN (Boston) ENS (Germany)
House-19, Road-10B, Sector-11, Uttara
Dhaka, 1230
এখানে রোগীরা বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে Imo মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ ডাক্টার দেখাতে পারবেন।