Sadekeen & Sadekeen Law Chamber

Law chamber headed by A.B.M Shibly Sadekeen, he has full right to audience before Supreme Court and any others court ,tribunal of Bangladesh.

Our practice area :


Cyber law , Media and Telecommunication Law , Information and Communication Technology Law , Constitutional matter ,Real Estate,Banking Law, Money Loan ,Criminal Law.

25/10/2023

নতুন ভূমি আইন ২০২৩

একটি দেশ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য অনেক আইন প্রণয়ন করতে হয়। এরই লক্ষ্য অনুযায়ী অবশ্যই বাংলাদেশের একটি ভূমি আইন প্রচলিত রয়েছে বর্তমানেও। কিন্তু ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ আইন ২০২৩’ নামে নতুন একটি আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে বর্তমান ভূমি মন্ত্রণালয়। মূলত এই আইনটি ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধ প্রতিরোধ করায় প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন ভূমি মন্ত্রী জনাব সাইফুজ্জামান চৌধুরী সাহেব। যেমন: এই আইনটিতে বলা হয়েছে যে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য যদি কেউ সরকারিকিংবা বেসরকারি জমি জাল দলিলের মাধ্যমে নিজের নামে লিখে নেন বা দখল করে নেন তাহলে তাকে অবশ্যই অনধিক দুই বছর এবং কমপক্ষে ছয় মাসের জেল বা 50 কাঠা হাজার টাকা জরিমানা থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। তাই বলা যায় যে বর্তমান এই ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ আইন ২০২৩ কার্যকর হলে ভূমি সংক্রান্ত অনেক ধরনের অপরাধ কমে যাওয়ার আশঙ্কা অবশ্যই রয়েছে। আবার আরেকটি জায়গায় বলা হয়েছে যে দাতার মালিকানা ও দখল না থাকা সত্ত্বেও কেউ যদি অতিরিক্ত জমি লিখে নাই তাহলে তার দুই থেকে পাঁচ বছরের জেল এবং তিন থেকে দশ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।

তাহলে দেখা যাচ্ছে যে যদি কেউ উত্তরাধিকারীকে বঞ্চিত করে নিজের প্রাপ্যতার বাইরে বেশি জমি নিজের নামে দলিল করে নেন তাহলে তাকে অবশ্যই অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। আবার কেউ যদি একক বা দলগত ভাবে অবৈধ উপায়ে ভূমির দখল নেন এবং দখল বজায় রাখতে অস্ত্র প্রদর্শন বা ব্যবহার করে থাকেন তাহলে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে এবং এই অপরাধ জামিনে অযোগ্য বলে গণ্য করা হবে।

উল্লেখ রয়েছে আইনটিতে জালিয়াতি ও প্রতারণামূলক বেশ কিছু অপরাধকে জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। তাই বর্তমানে ভূমি নিয়ে বর্তমান সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে এর অন্যতম হলো ভূমি ব্যবস্থাপনাকে বিদ্যালয় জেসন করা সহ গোটা ভূমি ব্যবস্থাপনার আধুনিক আইন করেছেন বর্তমান সরকার বা বর্তমান ভূমি মন্ত্রণালয়। এই লক্ষ্যে ভূমি সংক্রান্ত সকল বিষয়ে অবশ্যই বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় ভূমি অফিসকে ব্যাপকভাবে ঢেলে সাজিয়েছেন। তারা ভূমি অফিসের বিভিন্ন পরিষেবা গুলিকে অনলাইনের মাধ্যমে সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করেছেন।

তাই বর্তমানে আর ভূমি অফিসের সেবা গুলি পেতে ভূমি অফিসে গিয়ে সেবা গ্রহণ করতে হয় না। বাড়িতে বসেই আপনার ডিভাইসের সাহায্যে আবেদন করলেই বা আপনার মোবাইল ফোনের সাহায্যে বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলেই এর সংক্রান্ত অর্থাৎ সেবা সংক্রান্ত সকল বিষয়গুলি বুঝে নেওয়া যায় এবং সেবাও পাওয়া যায়।

তাই বাংলাদেশের বর্তমান ভূমি সংস্কার আইন ২০২৩ নীতিগতভাবে অনুমোদের জন্য শিগ্রই মন্ত্রিসভায় উত্থাপিত হবে। প্রস্তাবিত আইনের প্রধান লক্ষ্য কৃষি জমি সুরক্ষা করে ভূমির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা। এবং এই আইন অনুযায়ী ব্যক্তি এবং পরিবার পর্যায়ে কেউ সার্বিকার বেশি কৃষি জমির মালিকানা রাখতে পারবেন না। ক্রয় সূত্রে কারো মালিকানার এর চেয়ে বেশি জমি থাকলে তা সরকারের কাছে সমর্পণ করতে হবে। তবে আরেকটি বিষয় হলো যে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হলে ৬০ বিঘার অতিরিক্ত কৃষি জমি সংশ্লিষ্ট মৌজা মূল্যে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিয়ে সরকারের অনুকূলে খাস করে নেওয়া যাবে।

তাই শিল্প কারখানা স্থাপনের ক্ষেত্রেও আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা শিথিল করার বিধান রাখা হয়েছে। তাই বলা যায় যে ভূমি সংস্কার আইন 2022 নামে যে আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে সেটি অবশ্যই একটি ভালো বিষয় বলে মনে করা হয়। তাই বর্তমান ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওপর বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগণের আস্থা বেড়ে যাওয়ার কারণে তারাও অবশ্য যতভাবে উন্নতি করা হয় বা ভূমি সংস্কার আইন যত ভাবে উন্নতি করা সম্ভব সকল বিষয়ে তারা দেখে বিবেচনা করে এ সংক্রান্ত আইন পাশের ব্যবস্থা করছেন। তাই আপনারা যে বিষয়টি বোঝার জন্য আমাদের এই পোস্টটিতে এসেছেন আশা করি আপনারা অবশ্যই বুঝে নিতে পারলেন এ সংক্রান্ত সকল বিষয়গুলি।

04/04/2023

ই-পাসপোর্ট ফরম পূরণের নির্দেশাবলী:

১। ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ করা যাবে।
২। ই-পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে কোন কাগজপত্র সত্যায়ন করার প্রয়োজন হবে না।
৩। ই-পাসপোর্ট ফরমে কোন ছবি সংযোজন এবং তা সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না।
৪। জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) অনুযায়ী আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে।
৫। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী যার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নাই, তার পিতা অথবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
৬। জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) নিম্নোক্ত বয়স অনুসারে দাখিল করতে হবে-
(ক) ১৮ বছরের নিম্নে হলে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version).
(খ) ১৮-২০ বছর হলে জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version)
(গ) ২০ বছরের উর্ধে হলে জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID) আবশ্যক । তবে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) গ্রহণযোগ্য হবে।
৭। তারকা চিহ্নিত ক্রমিক নম্বরগুলো অবশ্যই পূরণীয়।
৮। দত্তক/অভিভাবকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের আবেদনের সাথে সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত আদেশ দাখিল করতে হবে।
৯। আবেদন বর্তমান ঠিকানা সংশ্লিষ্ঠ বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস/আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস/বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে দাখিল করতে হবে।
১০। ১৮ বছরের নিম্নের আবেদনে ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ০৫ বছর এবং ৪৮ পৃষ্ঠার।
১১। প্রাসঙ্গিক টেকনিক্যাল সনদসমূহ (যেমন: ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার ইত্যাদি) আপলোড/সংযোজন করতে হবে।
১২। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক জিও (GO)/এনওসি (NOC)/ প্রত্যয়নপত্র/ অবসরোত্তর ছুটির আদেশ (PRL Order)/ পেনশন বই আপলোড/সংযোজন করতে হবে যা ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের নিজ নিজ Website এ আপলোড থাকতে হবে।
১৩। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিবাহ সনদ/নিকাহনামা এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তালাকনামা দাখিল করতে হবে।
১৪। দেশের অভ্যন্তরে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ফি এর উপর নির্ধারিত হারে ভ্যাট (VAT) সহ অন্যান্য চার্জ (যদি থাকে) অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হবে। বিদেশে আবেদনের ক্ষেত্রেও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি প্রদেয় হবে।
১৫। কূটনৈতিক পাসপোর্টের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও ওয়েলফেয়ার উইং (Consular and Welfare Wing) অথবা ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় বরাবর আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।
১৬। বৈদেশিক মিশন হতে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হলে স্থায়ী ঠিকানার কলামে বাংলাদেশের যোগাযোগের ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
১৭। অতি জরুরী পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে (নতুন ইস্যু) নিজ উদ্যোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ পূর্বক আবশ্যিকভাবে আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে।
১৮। (ক) দেশের অভ্যন্তরে অতি জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ২ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
(খ) দেশের অভ্যন্তরে জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
(গ) দেশের অভ্যন্তরে রেগুলার পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
১৯। আবেদনের সময় মূল জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID), অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সনদ, সরকারি আদেশ (GO)/অনাপত্তি (NOC) প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।
২০। পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে মূল পাসপোর্ট প্রদর্শন করতে হবে।
২১। হারানো পাসপোর্টের ক্ষেত্রে মূল জিডির কপি প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।
২২। ০৬ বছর বয়সের নিম্নের আবেদনের ক্ষেত্রে ৩ আর (3R Size) সাইজের ( ল্যাব প্রিন্ট গ্রে ব্যাকগ্রউন্ড ) ছবি দাখিল করতে হবে।
২৩। পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে অথবা চুরি হলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় জিডি করতে হবে। পুনরায় পাসপোর্টের জন্য আবেদনের সময় পুরাতন পাসপোর্টের ফটোকপি এবং জিডি কপিসহ আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে ।

তথ্য সূত্রঃ
বহিরাগমন শাখা ১ , সুরক্ষা সেবা বিভাগ , স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়স্মারক নং ৫৮.০০.০০০০.০৪০.০১.০০৩.১৬-১২৩৪

26/03/2023

জমি কেনার আগে উক্ত জমিটি কোন ব্যাংকে বন্ধকি কিনা যাচাই করতে পারেন। https://mutation.land.gov.bd/search-mortgage-info এখানে তথ্য পাবেন

.:: ভূমি মন্ত্রণালয় ::.

31/12/2022
30/11/2022

ব্যাক্তি শ্রেণির করদাতার রিটার্ন দাখিলের সময় বর্ধিত।

24/11/2022

চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে না কোনো ব্যাংক

ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের মামলা করতে পারবে না। একইসঙ্গে বর্তমানে বিচারিক আদালতে চলমান ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করা সব চেক ডিজঅনার মামলার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে ঋণ আদায়ের জন্য শুধু ২০০৩ সালের অর্থঋণ আইনে অর্থঋণ আদালতে মামলা করা যাবে।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) ঋণ আদায়ে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্র্যাক ব্যাংকের চেক ডিজঅনার মামলা বাতিল করে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

রায়ে আদালত বলেন, ব্যাংক ঋণের বিপরীতে যে চেক নেওয়া হচ্ছে, সেটা জামানত। বিনিময়যোগ্য দলিল নয়। জামানত হিসেবে রাখা সেই চেক দিয়ে চেক ডিজঅনার মামলা করা যাবে না।

‘ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ একটি চুক্তির মাধ্যমে নেওয়া হয়ে থাকে। ঋণের বিপরীতে ব্ল্যাংক চেক নেওয়াটাই বেআইনি। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে এই বেআইনি কাজ করে আসছে। তাদের ব্যবহার দাদন ব্যবসায়ীদের মতো।’

নিম্ন আদালতের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে রায়ে হাইকোর্ট বলেন, আজ থেকে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যদি চেক ডিজঅনার মামলা করে, তাহলে আদালত তা সরাসরি খারিজ করে দেবেন। একইসঙ্গে তাদের ঋণ আদায়ের জন্য অর্থঋণ আদালতে পাঠিয়ে দেবেন।

আদালত আরও বলেন, ব্যাংক হওয়ার কথা ছিল গরিবের বন্ধু, কিন্তু তা না হয়ে ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান গরিবের রক্ত চুষছে। এটা হতে পারে না। যারা হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হচ্ছে ব্যাংক তাদের ঋণ মওকুফ করার কথা শুনি, কিন্তু কোনো গরিবের ঋণ মওফুফ করার কথা কোনোদিন শুনিনি।

নীলকর চাষি ও দাদন ব্যবসায়ীদের মতো যেনতেন ঋণ আদায় করাই ব্যাংকের লক্ষ্য উল্লেখ করে আদালত বলেন, লোন আদায়ের জন্য অর্থঋণ আইনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান মামলা দায়ের না করে চেক ডিজঅনার মামলা করছে। এ কারণে আমাদের ক্রিমিনাল সিস্টেম প্রায় অকার্যকর হয়ে গেছে। তাই এখন থেকে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র অর্থঋণ আদালতে মামলা দায়ের করতে পারবে। অন্য কোনো আইনে নয়।

20/11/2021

#বিদেশ_থেকে_ফিরতে_হলে জানতে হবে!

বিমান বন্দরে এক মহিলা যাত্রীর মর্মান্তিক ঘটনা! প্রায় দুবছর আগে ঘটেছিল। বিরহী মা দীর্ঘ চেষ্টায় প্রবাসী পুত্রকে দেখতে যান মালয়েশিয়া। ফেরার দিন ছেলে মা’কে কুয়ালালাম পুর এয়ারপোর্টে চেক ইন করে কাজে ফিরে যায়। ফ্লাইট ঠিক মতোই ছেড়েছে ও ঢাকায় নেমেছে। কিন্তু মায়ের খোঁজ নেই। বাসায়ও ফেরেনি। বহু কসরতে জানতে পারল, অবৈধ স্বর্ণ বহনের জন্য মা কাস্টমসে ধরা পড়েছে। মামলায় দ্রুত বিচারে ছয় মাসের জেল হয়েছে।

ইমিগ্রেশন শেষ করে সেদিন ভেতরে যেতেই একজন বাঙ্গালীর সাথে তাঁর দেখা। কালো একটা ব্যাগ দিয়ে খুব মিনতি করে বলেছে ‘আন্টি, আপনার লাগেজ কম। এখানে আমার মেয়ের জন্য চকলেট, ঢাকায় কষ্ট করে পৌঁছে দেবেন।’ বললো, এয়ারপোর্টে তাঁর লোক থাকবে। সরল বিশ্বাসে অন্যের উপকার করতে গিয়ে ভদ্র মহিলার এমন বেহাল অবস্থা! এমন বহু ঘটনা বিমানবন্দরে চাকরি করতে গিয়ে নিজেও দেখেছি।

আমাদের দেশে স্বর্ণের মূল মালিক ধরা পড়ে না। এমন বাহকরা মামলা খায়। তবে, ব্যাগেজ রুলস জানলে তাঁর এ অবস্থা হতো না। তিনি অপরিচিত বা অল্প পরিচিতের কথায় ঝুঁকি নিতে না। স্বর্ণগুলো ঘোষণা দিয়ে শুল্ককর পরিশোধ করেও পরে নিতে পারতেন। অন্তত, ছয় মাস জেল খাটতে হতো না।

এ ধরণের ঘটনা যাতে আর কারো জীবনে না ঘটে। বিমানবন্দর ও বর্ডারের যাত্রীগণ ব্যাগেজ রুলস ও প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো জেনে নিন…. ( বিদ্যমান যাত্রী ব্যাগেজ রুলস-২০১৬ এর আলোকে।)

✅ #গ্রীন_চ্যানেল:
আপনার ব্যাগেজ শুল্কমুক্ত হলে গ্রীন চ্যানেল দিয়ে বের হয়ে যাবেন। এ ক্ষেত্র তফশীল-১ এর ফরমে (ফ্লাইট নামার আগে বিমানে দেয়া হয়) ঘোষণা দিতে হবে। ৫% ব্যাগ গ্রীন চ্যানেলে স্ক্যান ও পরীক্ষা হবে। কাস্টমস অফিসার চাইলে যে কারো ব্যাগ স্ক্যান বা খুলে পরীক্ষা করতে পারে। সাবধান!

🚫 #রেড_চ্যানেল: আপনার শুল্ককরযুক্ত পণ্য থাকলে রেড চ্যানেলে শুল্ককর পরিশোধ কররেন।

▪️বিদেশ থেকে শুল্কমুক্তভাবে—
👉 কি আনা যাবে? ✅
👉🏿 আর কি কি আনা যাবে না।🚫

📖 এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা, ২০১৬ প্রণয়ন করেছে। নতুন বিধিমালা প্রণীত না হওয়ায় এ বিধিমালাটি এখনো কর্যকর রয়েছে।

নিচে এ বিধিমালা অনুয়ায়ী বিদেশ হতে আগত ও বিদেশগামী যাত্রীর সচরাচর জিজ্ঞাসিত (শুল্কযুক্ত ও শুল্কমুক্ত) গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো দেয়া হলো:

▪️১. #টেলিভিশন :
২৯" পর্যন্ত শুল্কমুক্ত হিসেবে আনা যাবে।
৩০"-৩৬" হলে ১০,০০০ টাকা,
৩৭"-৪২" হলে ২০,০০০ টাকা,
৪৩"-৪৬" হলে ৩০,০০০ টাকা,
৪৭"-৫২" হলে ৫০,০০০ টাকা,
৫৩" -৬৫" হলে ৭০,০০০ টাকা এবং
৬৬" এর বেশি হলে ৯০,০০০ টাকা
শুল্ক পরিশোধ করতে হবে।

▪️২. #সিগারেট :
১ কার্টন (২০০ শলাকা) পর্যন্ত সিগারেট শুল্কমুক্ত হিসেবে আনতে পারবেন। এর বেশি আনলে কাস্টমস তা আটক করবে। সফটওয়্যার প্রিন্টেট আটক রশিদ (Detention Memo) বুঝে নিবেন। আটককৃত সিগারেট বিধি মোতাবেক বিক্রয়/ধ্বংসযোগ্য, তাই ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

▪️৩. #মদ ও মদ জাতীয় পানীয় :
বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী নাগরিকদের জন্য মদ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আনলে কাস্টমস তা আটক করবে। বিদেশী পাসপোর্টধারী নাগরিক হলে ২ বোতল বা সর্বোচ্চ ১ লিটার পর্যন্ত আনতে পারবেন। এর বেশি আনলে কাস্টমস তা আটক করবে। সফটওয়্যার প্রিন্টেট আটক রশিদ (Detention memo) বুঝে নিবেন। আটককৃত মদ বিধি মোতাবেক বিক্রয়/ধ্বংসযোগ্য, তাই ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

▪️৪. #ল্যাপটপ :
১ টি শুল্কমুক্ত হিসেবে আনতে পারবেন। ২ টি পর্যন্ত শুল্ক-করাদি (প্রায় ১৬%) পরিশোধ সাপেক্ষে আনতে পারবেন। এর বেশি আনলে কাস্টমস তা আটক করবে। সফটওয়্যার প্রিন্টেট আটক রশিদ (Detention Memo) বুঝে নিবেন। আটককৃত ল্যাপটপ পরবর্তীতে Adjudication প্রক্রিয়ায় আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক দপ্তরের ছাড়পত্র উপস্থাপন, শুল্ক-করাদি এবং অর্থদন্ড পরিশোধ সাপেক্ষে ফেরত পেতে পারেন।

▪️৫. #স্বর্ণবার :
১ গ্রাম আনলেও শুল্ক-করাদি (প্রতি ১১.৬৭ গ্রাম এর জন্য ২০০০ টাকা) পরিশোধ করতে হবে। এভাবে ঘোষণা প্রদানপূর্বক ২৩৪ গ্রাম পর্যন্ত আনতে পারবেন। এর বেশি আনলে কাস্টমস তা আটক করবে। ঘোষণা না দিয়ে গ্রীন চ্যানেল অতিক্রমকালে স্বর্ণবার বহনকারী ধরা পরলে তা চোরাচালান হিসেবে গণ্য হবে। বর্ণিত অপরাধের দায়ে শুল্ক করাদি আরোপসহ অতিরিক্ত হিসেবে পন্যমূলের দ্বিগুন জরিমানা আরোপ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে মামলার দীর্ঘসূত্রীতায় পণ্যটি পেতে অনেক সময় লাগতে পারে। অথচ ঘোষণা প্রদানপূর্বক নির্ধারিত শুল্ককরাদি পরিশোধ করে খুব সহজেই আপনার বহনকৃত স্বর্ণবারটি নিয়ে যেতে পারেন।
স্বর্ণবার আটক হলে সফটওয়্যার প্রিন্টেট আটক রশিদ (Detention Memo) বুঝে নিবেন।

▪️৬. স্বর্ণালংকার :
শুল্ক কর পরিশোধ ব্যতিরেকে একজন যাত্রী ১০০ গ্রাম পর্যন্ত (এক প্রকারের অলংকার ১২ টির অধিক হবে না) শুল্কমুক্ত স্বর্ণালংকার আনতে পারবেন। এর বেশি আনলে অতিরিক্ত প্রতি গ্রাম এর জন্য প্রায় ২০০০ টাকা শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। বাণিজ্যিক পরিমান বলে মনে হলে কাস্টমস তা আটক করবে। সফটওয়্যার প্রিন্টেট আটক রশিদ(detention memo) বুঝে নিবেন। আটককৃত স্বর্ণালংকার পরবর্তীতে Adjudication প্রক্রিয়ায় শুল্ক-করাদি এবং অর্থদন্ড পরিশোধ সাপেক্ষে ফেরত পেতে পারেন। আর চোরাচালান বলে মনে হলে কাস্টমস সরাসরি ফৌজদারি মামলা করবে।

▪️৭. মোবাইল ফোন :
একজন যাত্রী নিজের ব্যবহৃতসহ সর্বমোট ২ টি মোবাইল ফোন শুল্কমুক্ত হিসেবে আনতে পারবেন। শুল্ক-করাদি পরিশোধ সাপেক্ষে (প্রায় ৫৫.৬০%) ৩-৮টি পর্যন্ত মোবাইল আনতে পারবেন এর বেশি আনলে কাস্টমস তা আটক করবে। আটক হলে সফটওয়্যার প্রিন্টেট আটক রশিদ (Detention Memo) বুঝে নিবেন। আটককৃত মোবাইল ফোন Adjudication প্রক্রিয়ায় BTRC দপ্তরের ছাড়পত্র উপস্থাপন, শুল্ক-করাদি এবং অর্থদন্ড পরিশোধ সাপেক্ষে ফেরত পেতে পারেন।

▪️৮. নতুন শাড়ী_অন্যান্য কাপড়_কসমেটিক্স : ব্যাক্তিগত বিবেচনায় যুক্তিসংগত পরিমাণ শুল্কমুক্ত হিসেবে আনতে পারবেন। আরও কয়েকটি শুল্ক-করাদি (প্রায় ১২৮/১৫০%) পরিশোধ সাপেক্ষে আনতে পারবেন। এর বেশি আনলে বাণিজ্যিক বিবেচনায় কাস্টমস তা আটক করবে। আটক হলে সফটওয়্যার প্রিন্টেট আটক রশিদ (Detention memo) বুঝে নিবেন। আটককৃত পণ্য পরবর্তীতে Adjudication প্রক্রিয়ায় শুল্ক-করাদি এবং অর্থদন্ড পরিশোধ সাপেক্ষে ফেরত পেতে পারেন।

▪️৯. ঔষধ :
জরুরী বিবেচনায় প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে যুক্তিসংগত পরিমাণ আনতে পারবেন। বাণিজ্যিক পরিমান বলে মনে হলে কাস্টমস তা আটক করবে। সফটওয়্যার প্রিন্টেট আটক রশিদ (Detention Memo) বুঝে নিবেন। আটককৃত ঔষধ পরবর্তীতে Adjudication প্রক্রিয়ায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ছাড়পত্র উপস্থাপন, শুল্ক-করাদি এবং অর্থদন্ড পরিশোধ সাপেক্ষে ফেরত পেতে পারেন।

▪️১০. বৈদেশিক মুদ্রা :
বিদেশে যাওয়ার সময় পাসপোর্টে এনডোরস [বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত ক্ষেত্র ব্যাতিত] ব্যাতিত কোন বৈদেশিক মুদ্রা সাথে নিতে পারবেন না। তবে বাংলাদেশী মুদ্রায় ১০,০০০ টাকা পাসপোর্টে এনডোরস ছাড়াই সাথে নিতে পারবেন। এনডোরস ব্যাতিত এর বেশী বৈদেশিক মুদ্রা সাথে নিলে কাস্টমস আটক করবে। আটক হলে সফটওয়্যার প্রিন্টেট আটক রশিদ (Detention Memo) বুঝে নিবেন। আর মুদ্রা পাচার/মানি লন্ডারিং বলে মনে হলে কাস্টমস সরাসরি ফৌজদারি মামলা করবে। বিদেশ থেকে ফেরার সময় ইচ্ছেমত বৈদেশিক মুদ্রা আনতে পারবেন। তবে ১০,০০০ ডলার/সমমান এর বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আনলে অবশ্যই কাস্টমস এর নিকট FMJ ফরম-এ ঘোষণা প্রদান করতে হবে।

▪️১১. সাময়িক আটক :
শুল্ক-করাদি পরিশোধ সাপেক্ষে খালাসযোগ্য পণ্যের ক্ষেত্রে তাৎক্ষনিক শুল্ক-করাদি পরিশোধ করার মত টাকা সাথে না থাকলেও ভয়ের কিছু নেই। সেক্ষেত্রে কাস্টমস তা সাময়িকভাবে আটক করবে। আটক রশিদ (Detention Memo) বুঝে নিবেন। সাময়িকভাবে আটককৃত পণ্য ২১ দিনের মধ্যে যথাযথ শুল্ক-করাদি পরিশোধ সাপেক্ষে ফেরত পেতে পারেন।

▪️১২. কার্গো বুকিং পণ্য ঘোষণা :
বিদেশ থেকে আসার আগে কার্গোতে ব্যাক্তিগত মালামাল বুকিং দিয়ে আসলে বাংলাদেশে নেমেই/৭ দিনের মধ্যে এয়ারপোর্ট কাস্টমস এর নিকট এয়ারওয়ে বিল এবং পাসপোর্টসহ উপস্থিত হয়ে নির্ধারিত "এ-ফরম" পূরণ করে মালামাল এর ঘোষণা প্রদান করবেন। অনুমোদিত "এ-ফরম" এর কপি নিয়ে মালামাল আসার পর শুল্ক-করাদি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পরিশোধ সাপেক্ষে এয়ারফ্রেইট ইউনিট থেকে মালামাল নিতে পারেন।

▪️১৩. নির্দিষ্ট শুল্কের পণ্য:
যাত্রীর সাথে বহনকৃত কিছু পণ্যের শুল্কের পরিমানঃ
1. হোম থিয়েটার/মিউসিক সেন্টার ৪ এর অধিক সর্বোচ্চ ৮ টি -৮০০০/- টাকা
2. রেফ্রিজারেটর -৫০০০/- টাকা
3. এয়ার কন্ডিশন- ৭০০০-২০০০০/- টাকা
4. ডিশ এন্টিনা -৭০০০/- টাকা
5. Professional কাজে ব্যবহত HD, DV, BETA Cam- -১৫০০০/- টাকা
6. ঝাড়বাতি -৩০০/- টাকা (প্রতি পয়েন্ট)
7. ওয়াশিং মেশিন-৩০০০/- টাকা

▪️১৪. একটি করে ফ্রি পণ্য:
শুল্ককরাদি পরিশোধ ব্যতিরেকে সম্পূর্ণ ফ্রিতে ১ টি করে যে সকল পণ্য আনা যাবে-
1. ক্যাসেট প্লেয়ার/টুইন ওয়ান
2. ডিস্কম্যান/ওয়াকম্যান (অডিও)
3. বহনযোগ্য অডিও সিডি প্লেয়ার
4. ডেস্কটপ/ল্যাপটপ
5. কম্পিউটার প্রিন্টার
6. কম্পিউটার স্ক্যানার
7. ফ্যাক্স মেশিন
8. ভিডিও ক্যামেরা (Professional কাজে ব্যবহৃত)
9. স্টীল/ডিজিটাল ক্যামেরা
10. টেলিফোন সেট
11. মাইক্রোওয়েভ ওভেন
12. রাইস/প্রেসার কুকার
13. টোস্টার/জুসার/কফি মেকার ও অনুরূপ
14. টাইপরাইটার
15. গৃহস্থলি সেলাই মেশিন
16. ফ্যান
17. খেলাধুলা সামগ্রী (ব্যক্তিগত)
18. ১০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার ২০০ গ্রাম রৌপ্য অলংকার
19. ২০০ শলাকা সিগারেট
20. ২৯” পর্যন্ত টেলিভিশন
21. ভিসিআর/ভিসিপি
22. হোম থিয়েটার/মিউসিক সেন্টার ৪ এর অধিক পর্যন্ত
23. এলসিডি কম্পিউটার মনিটর ১৯” পর্যন্ত
24. ২ টি মোবাইল (ব্যবহৃতসহ)
25. কার্পেট ১৫ বর্গমিটার পর্যন্ত

▪️১৫. মৃত ব্যক্তির ব্যাগেজ:
বাংলাদেশী কোন নাগরিক বিদেশে মৃত্যুবরণ করলে মৃত ব্যক্তির ব্যাগেজ সকল শুল্ক কর পরিশোধ ব্যতিরেকে খালাস করা যাবে।

▪️ ১৬. হুইলচেয়ার:
অসুস্থ পঙ্গু বৃদ্ধ যাত্রীর হুইল চেয়ার ও ব্যবহার্য্য চিকিৎসা যন্ত্রপাতি সকল শুল্ক কর পরিশোধ ব্যতিরেকে খালাস করা যাবে।

▪️১৭. সাবধানঃ
সুতরাং অপরিচিত ব্যাক্তি এবং ব্যাগেজ-কে বিশ্বাস করা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই না জেনে অন্য কারো দেওয়া মালামাল বহন করবেন না।

▪️১৮. জীবন ও সম্মান আগে:
এ ভদ্রমহিলার মতো এভাবে বিদেশে অপরিচিত বা হাল্কা পরিচিত কারো জিনিস বহন করবেন না। ছয় মাস জেল স্বর্ণের মূল মালিক খাটেনি। তাঁর সন্তানও মায়ের অভাবে দিশেহারা হয়নি।

07/10/2021

জমি ক্রয়ের আগে ক্রেতার করণীয়:

১। নাবালকের সম্পত্তি কিনা অবশ্যই যাচাই করে নিন। নাবালকের সম্পত্তি মা হলে আদালতের অনুমতি পত্র ছাড়া ক্রয় করলে ভবিষ্যতে নাবালক যদি মামলা করে তাহলে আপনি জমি হারাবেন।

২। সম্পত্তিতে বিক্রেতার দখল আছে কি না নির্ণয় করার জন্য আশেপাশের জমি ওয়ালাদের কাছে খবর নিন যে, এই জমির প্রকৃত দখলদার কে ?

৩। হাল রেকর্ড অনুযায়ী খতিয়ান ও দাগ নম্বর সঠিক আছে কি না ভালো করে দেখে নিন।

৪। হাল রেকর্ড ও সাবেক রেকর্ড এর মধ্যে মিল রয়েছে কি না ভালো করে যাচাই করুন।

৫। হিস্যা মোতাবেক বিক্রেতার প্রাপ্য অংশ সঠিক আছে কি না যাচাই করে নিন তা না হলে ভবিষ্যতে মামলা-মোকদ্দমার সম্মুখীন হতে পারেন।

৬। রেন্ট সার্টিফিকেট মামলায় জড়িত সম্পত্তি কি না যাচাই করে নিন।

৭। হাল সন পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) পরিশোধ আছে কি না যাচাই করে নিন।

৮। বিক্রেতার নামে নামজারি করা আছে কি না যাচাই করে নিন।

৯। অর্পিত/পরিত্যক্ত/অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তি কি না যাচাই করে নিন।

১০। সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি কি না যাচাই করে নিন।

১১। নৃ-তাত্ত্বিক জাতি গোষ্ঠীর সম্পত্তি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের “বিক্রয় অনুমতিপত্র” আছে কি না যাচাই করে নিন।

১২। খাস জমি কি না যাচাই করে নিন।

১৩। বিক্রিত জমিতে সরকারি কোন স্বার্থ জড়িত আছে কি না যাচাই করে নিন।

১৪। সর্বসাধারণের ব্যবহার্য বা পাবলিক ইজমেন্ট সম্পত্তি কি না যাচাই করে নিন।

১৫। বিক্রেতার মালিকানা সঠিক আছে কি না
নির্ণয় করতে হবে। দলিল নাম্বার নিয়ে ভূমি অফিস অথবা তহসিল অফিসে খবর নিলে প্রকৃত মালিক জানতে পারবেন। জমির আশেপাশে যাদের জমি আছে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে জমির মালিকানা বিষয়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে।

১৬। নাবালকের সম্পত্তি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আইনগত অভিভাবক বা আদালত কর্তৃক নিযুক্ত অভিভাবক নির্ধারণ করা আছে কি না যাচাই করে নিন।

১৭। বিক্রেতা সম্পত্তি উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্য হইলে নিবন্ধিত বণ্টননামা দলিল আছে কি না যাচাই করে নিন।

১৮। হিন্দু কন্যা সন্তান/বিধবা স্ত্রী এর “জীবন স্বত্ব” শর্তে প্রাপ্য সম্পত্তি কি না?

১৯। সম্পত্তি বিক্রয়/হস্তান্তর এর ক্ষেত্রে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে কি না?

২০। সমর্পিত বা বিক্রেতার ৬০/১০০ বিঘা সিলিং বহির্ভূত সম্পত্তি কি না?

২১। নকশা মোতাবেক জমির অবস্থান ও পরিমাণ সঠিক আছে কি না যাচাই করে নিন।

২২। দলিলে বর্ণিত তফসিল অনুযায়ী রেকর্ড সঠিক আছে কি না?

২৩। সম্পত্তি বন্ধক দেয়া আছে কি না?

২৪। বিক্রেতা বায়না বা বিক্রয় চুক্তি সম্পাদন করেছেন কি না?

২৫। বিক্রেতার প্রদর্শিত খতিয়ান ও দলিল সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে রক্ষিত রেকর্ডপত্রের সাথে মিল আছে কি না?

২৬। বিক্রেতা তফসিল বর্নিত সম্পত্তি ইতি পূর্বে অন্য কারো নিকট বিক্রয় বা হস্তান্তর করেছে কি না?

২৭। জমির মূল্য বাজার মূল্য থেকে যদি কম হয়ে থাকে তার কারন নির্ধারণ করে তারপর ক্রয় করুন।

সংগৃহীত

16/08/2021

Sadekeen & Sadekeen law chamber is now serving as a Panel lawyer of Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission.

14/06/2021

যাঁদের টিআইএন( TIN) লাগবেই

আপনি টিআইএন ছাড়া কিছু কাজ যেমন করতে পারবেন না, তেমনি কিছু সেবাও পাবেন না। কোন কোন কাজ বা সেবা পেতে টিআইএন লাগবে, তা দেখা যাক।

কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ছাড়া আপনি অনেক কাজ করতে পারবেন না। দেশের সামর্থ্যবান মানুষকে করের জালে আনতে কিছু কাজ বা সেবা নিতে টিআইএন থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অনেকেই জানেন না তাঁর টিআইএন নিতে হবে কি না। ফলে পদে পদে বিপত্তিতে পড়তে হয়। কারণ, টিআইএন ছাড়া অনেক কাজ যেমন করা যায় না, তেমনি অনেক সেবাও মেলে না। এতে ভোগান্তি বাড়ে। কোন কোন কাজ বা সেবা নিতে টিআইএন প্রয়োজন হয়, তা নিয়ে এবারের আয়োজন।

প্রতিবছরই বাজেটে টিআইএন বাধ্যতামূলক করার তালিকায় নতুন নতুন খাত যুক্ত করা হয়। সর্বশেষ এবারের বাজেটেও বেশ কিছু সরকারি সেবা বা কাজের ক্ষেত্রে টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর মধ্যে হলো দুই লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে টিআইএন বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া গ্রামে বা শহরে বাড়ির নকশা অনুমোদন নিতে টিআইএন লাগবে। অর্থাৎ টিআইএন না থাকলে এখন থেকে বাড়ির নকশার অনুমোদন মিলবে না। আবার সমবায় সমিতির রেজিস্ট্রেশন নিতেও টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এবার দেখা যাক, টিআইএন ছাড়া আর কী কী কাজ বা সেবা নেওয়া যাবে না। সার্বিকভাবে প্রায় ৪০ ধরনের কাজে টিআইএন লাগবে।

দুই বছর আগেই ব্যক্তি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ-সংযোগ নিতে টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ধরে নেওয়া হয়, যিনি নিজ বাড়ির জন্য বিদ্যুৎ-সংযোগ নেবেন, তিনি সামর্থ্যবান এবং তাঁর করযোগ্য আয় আছে।

এ ছাড়া কয়েক ধরনের ব্যবসা করতে টিআইএন লাগবে। যেমন মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসা; মোবাইল ব্যাংকিং; পরিবেশক এজেন্সি; বিভিন্ন ধরনের পরামর্শক, ক্যাটারিং, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, জনবল সরবরাহ, সিকিউরিটি সার্ভিস। এমনকি আমদানি-রপ্তানির বিল অব এন্ট্রি জমা দিতে হলেও টিআইএন লাগবে। টিআইএন ছাড়া এসব ব্যবসা করা যাবে না।

বিশেষ কয়েক শ্রেণির পেশাজীবী ও ব্যবসায়ীর টিআইএন থাকতেই হবে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ঋণপত্র স্থাপন; রপ্তানি নিবন্ধন সনদ নেওয়া; সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছ ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া বা পুনর্নিবন্ধন; দরপত্র জমা; অভিজাত ক্লাবের সদস্যপদ গ্রহণ; বিমা জরিপ প্রতিষ্ঠান; জমি, ভবন ও ফ্ল্যাট নিবন্ধন; মোটরসাইকেল-বাস-ট্রাকের মালিকানা পরিবর্তন ও ফিটনেস নবায়ন; চিকিৎসক, প্রকৌশলী, হিসাববিদসহ বিভিন্ন ধরনের পেশাজীবী সংগঠনের সদস্য; কোম্পানির পরিচালক ও স্পনসর শেয়ারহোল্ডার; বিবাহ নিবন্ধনকারী বা কাজি; ড্রাগ লাইসেন্সধারী।

এ ছাড়া বরাবরের মতো জাতীয় সংসদ, সিটি করপোরেশন, উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে; বাণিজ্যিক ভবনের নকশা অনুমোদনে; বাণিজ্য সংগঠনের সদস্য; ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পাঁচ লাখ টাকার বেশি ঋণ নিলে; ক্রেডিট কার্ড থাকলে; বাণিজ্যিক গ্যাস ও বিদ্যুৎ-সংযোগ চাইলে টিআইএন থাকতে হবে। আবার ছেলেমেয়েদের ইংরেজি মাধ্যমে পড়াতে চাইলে অভিভাবকের টিআইএন লাগবে।

এবার আসি চাকরিজীবীদের মধ্যে কাদের টিআইএন থাকতে হবে। সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার মূল বেতন ১৬ হাজার টাকার বেশি হলেই টিআইএন লাগবে। এমনকি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মধ্যে যাঁদের বেতন ১৬ হাজার টাকার বেশি, তাঁদেরও কর শনাক্তকরণ সনদ বাধ্যতামূলক। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে টিআইএন।

কীভাবে টিআইএন নেবেন?
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি ই-টিআইএন নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে এই ঠিকানার ই-টিআইএন অপশনে গিয়ে ক্লিক করলেই ই-টিআইএন নেওয়ার পেজ পাওয়া যাবে। অবশ্য সরাসরি ঠিকানায় গিয়েও ই-টিআইএন নেওয়ার একই পেজ পাওয়া যাবে। সেখানে আপনাকে প্রথমেই নির্ধারিত স্থানগুলো পূরণ করে নিবন্ধন নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ই-মেইল ও মোবাইল নম্বর জরুরি। তারপর রেজিস্ট্রার ক্লিক করলেই ই-টিআইএনের ফরম পাওয়া যাবে। ওই ফরম পূরণ করে জমা দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ই-মেইলে ১৩ সংখ্যার ই-টিআইএন পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

সংগৃহীত

www.nbr.gov.bd

11/06/2021

বিভিন্ন ধর্মে বিবাহের নিয়মকানুন জেনে নিন:

একজন ছেলে ও একজন মেয়ের একসঙ্গে থাকার সামাজিক বৈধতার অপর নাম বিয়ে। একেক ধর্মে একেকভাবে বিয়ের নিয়ম রয়েছে। সেসব নিয়েই এই প্রতিবেদন।

#মুসলিম_বিয়ে
ফার্মগেইট কাজী অফিসের কাজী আলহাজ্ব মাওলানা আবু বকর চাখারি মুসলিম বিয়ের আচার সম্পর্কে বলেন, “ন্যূনতম ৩ জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিয়ে পড়ানো হয়। বিয়েতে দেনমোহর ধার্য করা হয় ছেলের আর্থিক সামর্থ্য ও অবস্থান অনুযায়ী।”

বিয়ের সময় একজন উকিল থাকেন। তিনি কনে পক্ষ অথবা ছেলে পক্ষের হতে পারেন। তবে সাধারণত কনে পক্ষ থেকেই উকিল থাকে। উকিল প্রথমে কনেকে জিজ্ঞাসা করেন বিয়েতে রাজি আছে কি না? কনে রাজি থাকলে বরকে তা বলা হয়। এরপর দোয়া কালাম করে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।

আবু বকর চাখারি আরও বলেন, “ইজাব এবং কবুল এই দু’টিই আসলে বিয়ের মূল উপকরণ। হিল্লা বিয়ের ধর্মীয় ভিত্তি নেই।”

চাখারি জানান— আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপন ২০১১ অনুযায়ী বিয়ে রেজিস্টারের জন্য ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেনমোহরের ক্ষেত্রে প্রতি হাজার টাকা বা এর অংশ বিশেষের জন্য ১২ টাকা ৫০ পয়সা হারে কাজিকে নিবন্ধন ফি দিতে হয়।

দেনমোহর ৪ লক্ষ টাকার অধিক হলে পরবর্তী প্রতি ১ লক্ষ টাকা বা এর অংশ বিশেষের জন্য ১০০ টাকা বিয়ে নিবন্ধন ফি হিসেবে দিতে হয়।

তবে দেন মোহরের পরিমাণ যাই হোক না কেনো সর্বনিম্ন নিবন্ধন ফি ২০০ টাকা।

#হিন্দু_বিয়ে
আবহমান কাল থেকে সনাতন ধর্মীয় বিয়ের রীতিনীতি চলে আসছে। হিন্দু বিয়ে বেশ কয়েকটি আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। সনাতন ধর্মীয় বিয়ে নিয়ে বিস্তারিত জানান, ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পুরোহিত বিনয় কুমার গোস্বামী।

প্রথমত পাত্র-পাত্রীর সম্মতিতে একে অপরকে পছন্দের ভিত্তিতে অভিভাবকরা পঞ্জিকা থেকে শুভ দিনক্ষণ নির্ধারণ করেন। বিয়ের ক্ষেত্রে শুভ দিনক্ষণ বলতে পঞ্জিকায় বিয়ের যে দিন উল্লেখ থাকে তাকেই বোঝায়।

বিয়ের দিন ঠিক করার অর্থ হল পাত্রের পক্ষ থেকে পাত্রীকে বাগদান করা। আর বাগদান করা মানে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা।

বাগদান অনুষ্ঠানে পাটিপত্র করা হয়। এই পাটিপত্র উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে পুরোহিত লেখেন। পাটিপত্রে বর-কনের স্বাক্ষর থাকে। এরপর কোনো পক্ষের অসম্মতি প্রকাশ করার সুযোগ থাকে না।

সাধারণত আশির্বাদ আসরে পাটিপত্র করা হয়। তবে অনেকে পাটিপত্র করে না। এরপর আসে আশির্বাদ আসর। এর প্রধান উপকরণ ধান, দূর্বা, প্রদীপ, চন্দন, পান, সুপারি ও বড় মাছ। পঞ্জিকা অনুসারে শুভদিন দেখে আশির্বাদ করা হয়।

বরপক্ষ কনেকে এবং কনেপক্ষ বরকে আশির্বাদ করে। আশির্বাদে অনেকে উপঢৌকনও দিয়ে থাকেন। বর-কনের দাম্পত্য জীবন যেন সুখের হয়, সেই প্রার্থনাই করা হয় আশির্বাদ অনুষ্ঠানে।

আশির্বাদের পর আসে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের জন্যও দিনক্ষণ আছে। এখানেও শুভ দিনক্ষণ দেখে গায়ে হলুদের জন্য হলুদ কোটা হয়। ৫ বা ৭ জন সধবা স্ত্রীলোক মিলে হলুদ কোটে। এই হলুদই পরে গায়ে হলুদের দিন গায়ে মাখানো হয়।

গায়ে হলুদের পর এবার বিয়ের অনুষ্ঠান। দুই পর্বের অনুষ্ঠানে একটি ‘সাজ বিয়ে’ অন্যটি ‘বাসি বিয়ে’। দুটি আসরই কনের বাড়িতে বসে। তবে কোনো কোনো সময় বাসি বিয়ে বরের বাড়িতেও হয়ে থাকে।

‘সাজ বিয়ে’ বিয়ের মূল পর্ব। এই পর্বেই কনে আর বরকে ৭ বার প্রদক্ষিণ করে বরণ করে নেয়। বরণ শেষে বর-কনে দুজনের দিকে শুভ দৃষ্টি দেয়, একই সময় মালা বদল করা হয়। পরে পুরোহিত মন্ত্র উচ্চারণ করে বর-কনের ডান হাত একত্রে করে কুশ দিয়ে বেধে দেন।

এরপর ‘বাসি বিয়ে’র পর্ব। বাসি বিয়েতে বিভিন্ন দেবদেবীর অর্চনা শেষে বর, কনের কপালে সিঁদুর দিয়ে দেয়। তারপর উভয় মিলে ৭ বার অগ্নি দেবতা প্রদক্ষিণ করেন।

এভাবেই বিয়ের আসরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।

#খ্রিস্টীয়_বিয়ে
বাংলাদেশে খ্রিস্টীয় বিয়েতে দেশীয় রীতি, কৃষ্টি ও সামাজিক মূল্যবোধ উপলব্ধি করে লোকাচার ও স্ত্রী আচার মিলে একটি নান্দনিক, আনন্দময় ও সুন্দর রূপ দেওয়া হয়েছে। খ্রিস্টীয় বিয়ে নিয়ে বিস্তারিত জানান, তেঁজগাও গীর্জার জুডিশিয়াল ভিকার ফাদার মিন্টু লরেন্স পালমা।

কনে নির্বাচন : খ্রিস্টান সমাজে সাধারণত প্রথমে পাত্রী দেখা হয়। প্রথমত বরপক্ষই কনে নির্বাচন করে। বরপক্ষ কনে নির্বাচন করে কনের চরিত্র, দোষ-গুণ, বংশ পরিচয় জেনে নেয়।

প্রস্তাব : শুভদিন দেখে বরপক্ষ কনের বাড়ি যায়। সাধারণত পাশের কোনো আত্নীয়ের বাড়ি গিয়ে তার সঙ্গে কনের বাড়ি যায় এবং তাদের উদ্দেশ্যের কথা জানায়।

বাগদান : বরপক্ষের প্রস্তাবে কনেপক্ষ রাজি হলে বাগদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কোথাও এ অনুষ্ঠানকে ‘পাকা দেখা’ও বলে। ভাওয়ালে এ অনুষ্ঠানকে ‘পানগাছ’ অনুষ্ঠান বলে। বাগদান উপলক্ষে পান, সুপারি, বিজোড় সংখ্যক মাছ নিয়ে যাওয়া হয়।

বাইয়র : এই অনুষ্ঠানে বরপক্ষের লোকজন কনের বাড়িতে যায়। যা আগেই কথা বলে ঠিক করে রাখা হয়। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বর-কনে সবার আশির্বাদ গ্রহণ করে।

নাম লেখা : বিয়ের ৩ সপ্তাহ আগে কনের বাড়িতে পুরোহিতের কাছে বর-কনে নাম লেখান। অনেকে এ অনুষ্ঠানে আতসবাজি ও বাজনার আয়োজন করে।

বান প্রকাশ : এই অনুষ্ঠানে বর-কনে বিয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। মন্ডলীর বিধি অনুযায়ী এ সময় বিয়ের ক্লাস করতে হয়। এটি বিয়ে পূর্ব ব্যাধতামূলক ক্লাস ব্যবস্থা।

অপদেবতার নজর : নাম লেখা থেকে শুরু করে বিয়ের আগ পর্যন্ত বর-কনেকে অতি সংযমী জীবন করতে হয়। অনেকে এ সময় ভূত-প্রেত ও অপশক্তির নজর থেকে রক্ষার জন্য ‘রোজারি মালা’ বা ‘জপমালা’ গলায় পরেন।

কামানি বা গা-ধোয়ানী : বিয়ের আগের রাতের অনুষ্ঠানকে গা-ধোয়ানী বলে। অনেক খ্রিস্টান সমাজে এই দিন গায়ে হলুদ মাখিয়ে জাকজমকের সঙ্গে অনুষ্ঠান করা হয়।

কনে তোলা : বিয়ের দিন ভোরে বাদকদলসহ বরের আত্মীয়-স্বজন কনের বাড়ি গিয়ে কনেকে নিয়ে আসে। কনেকে ঘর থেকে আনার সময় তার হাতে পয়সা দেওয়া হয়। কনে বাড়ি থেকে আসার সময় সেই পয়সা ঘরের মধ্যে ছুড়ে ফেলে। এর অর্থ হল যদিও সে বাড়ি থেকে চলে যাচ্ছে, তারপরও বাড়ির লক্ষী ঘর থেকে চলে যাচ্ছে না।

গির্জার অনুষ্ঠান : শুরুতে গির্জার প্রবেশ পথে যাজক বর-কনেকে বরণ করে নেয়। তারপর বর-কনে দুজনের মধ্যে মালা বদল করা হয়। এরপর কনের সিঁথিতে সিদুর পরিয়ে দেওয়া হয়।

সংগৃহীত

08/05/2021

উত্তরাধিকার না নমিনি, কে পাবে মৃত ব্যক্তির ব্যাংকের গচ্ছিত অর্থ?


রীনা পারভিন মিমি:

মানুষ মরণশীল। আজ হোক কাল হোক একদিন না একদিন মৃত্যু হবে। আর বর্তমানে করোনার এই সময়ে অনিয়ন্ত্রিতহারে মৃত্যু ঘটে চলেছে আমাদের দেশে। আমরা কেউ বলতে পারবো না কখন আমাদের দ্বারে মৃত এসে হানা দিবে? আর হঠাৎ মৃত্যুর কারণে আমরা অনেক সময় পরিবারের জন্য যা গুছিয়ে রেখে যেতে চাই তা গুছিয়ে রেখে যেতে পারি না। ‘মৃত্যু নিশ্চিত’ আমরা অস্বীকার করতে না পারলেও বিশ্বাস করি না। তাই যেকোনো সময় মৃত্যুর জন্য আমরা কেউই প্রস্তুত নই। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সময়ও অনেকেই ভেবে থাকেন ব্যাংকের নিয়মের জন্য নমিনি দেওয়া হয়েছে কিন্তু টাকাগুলো আমিই উত্তোলন করবো। তাই নমিনি করার ব্যাপারে সচেতনেতাও দেখা যায় না। আবার অনেকের অ্যাকাউন্টে বেশী টাকা থাকে না তাই ভেবে থাকেন যেকোন একজন নমিনি হলেই হল কিন্তু মানুষের ভাগ্যে কখন কি হয় আল্লাহ্ ভাল জানেন। এখন কথা হল মৃত ব্যাক্তির ব্যাংকে রেখে যাওয়া টাকা কে পাবে, নমিনি পাবে না উত্তরাধিকারী পাবে।

যে আইন অনুযায়ী অর্থ পাবে:

এই সংক্রান্ত বিভিন্ন আইনে বিভিন্ন ব্যাখ্যা রয়েছে। সাধারণত মৃত ব্যক্তি জীবিত থাকাবস্থায় তার সংশ্লিষ্ট একাউন্টের কোন নমিনি নির্ধারণ করে থাকলে তার মৃত্যুর পর বর্তমান প্রচলিত আইন অনুযায়ী উক্ত নমিনিই পাবে। আর যদি নমিনি উল্লেখ না থাকে তাহলে মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশগণ উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী পাবেন। সেক্ষেত্রে আদালত হতে রেখে যাওয়া আমানত বা অর্থের বিষয়ে সাকসেশন সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে। যে আইন অনুযায়ী উত্তরাধিকারীই মৃত ব্যক্তির ব্যাংকে রেখে যাওয়া অর্থ পাবে- মৃত ব্যাক্তির ব্যংকে রেখে যাওয়া টাকা বা সম্পত্তির মালিক তার উত্তরাধিকারীরা হবে বা হওয়া উচিৎ। আর এই সম্পদ বা টাকা বন্টিত হবে The Muslim Personal Law (Shariat) Application Act, 1937 অনুযায়ী। শরিয়াত অ্যাপ্লিকেশান এ্যাক্ট ১৯৩৭ এর ধারা ২ এ বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মুসলমানদের জন্য উত্তরাধিকার বন্টনের ক্ষেত্রে মুসলিম শরিয়া আইন প্রযোজ্য হবে।The Succession Act, 1925 এ বলা হয়েছে যে মৃত ব্যক্তির টাকা বন্টন করতে হবে তার ওয়ারিশদের মধ্যে। নমিনি যদি মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী না হন তবে কোন অবস্থায় তিনি সম্পত্তির দাবিদার হতে পারবেন না। সাকসেসন আইন অনুযায়ী নমিনি যদি কোন টাকা পাওয়ার অধিকারী হন তবে তিনি তা পাবেন। নমিনি হয়েছেন বলে টাকা পাবেন বা বিশেষ কোন সুবিধা বা টাকা বেশী পাবেন এমন নয়।

সুপ্রিম কোর্টের রায়:

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রায়- আমরা যারা নমিনির অধিকার সম্পর্কে অবগত আছি তারা একান্ত আপনজনকেই নমিনি করে রাখি। কিন্তু যারা এই সম্পর্কে অবগত নয় তারা দেখা যায় অন্য কাউকে নমিনি করে রেখে যান। আবার অনেকেই নমিনির ভূমিকা সম্পর্কে পুরোপুরি না বুঝেই যাকে-তাকে নমিনি করেন। মাঝেমধ্যে দেখা যায়, ব্যবসার প্রয়োজনে ভিন্ন জেলায় বসবাসরত অনেকেই নিজের রুমমেট বা পরিচিত কাউকে নমিনি হিসেবে দেন। বিয়ের আগে অনেকেই বাবা বা মায়ের নামে করেন, ভাই বা বোনের নামে করেন। দেখা যায় অনেক সময় বিয়ের পরে সেই নমিনি পরিবর্তন করেন না।

আবার অনেকের একাধিক স্ত্রী থাকে সে ক্ষেত্রে একজনকে নমিনি করে রেখে গিয়েছেন ঝামেলা তখনি শুরু হয়। তেমন এক ঘটনা নিয়ে মামলা হয়েছিল। অত্র মামলায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ মৃত ব্যক্তির ব্যাংকে রেখে যাওয়া টাকা উত্তরাধিকারের ভিত্তিতে বণ্টনের নির্দেশ দেন। রায়ে বলা হয়, আমানতের অর্থ নমিনি নয়, আইনসঙ্গত উত্তরাধিকারীরা পাবেন। নমিনি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবের হেফাজতকারী মাত্র।


এরপর নমিনি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল গ্রহণ করা হয়েছে। সেটি এখন আপিল বিভাগ স্থগিত রেখেছেন পরবর্তীতে শুনানি হবে। তাই এখনও ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ১০৩ ধারা অনুসারে নমিনিই গচ্ছিত অর্থ পাচ্ছেন।

কোম্পানি আইনে নমিনির ব্যাখ্যায় যা বলা আছে:

আগে ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ অনুযায়ী নমিনি মৃত ব্যক্তির টাকা পেত বা ব্যাংক প্রদান করত কিন্তু হাইকোর্ট এর অত্র রায়ের ফলে অনেক জটিল হয়ে যায় এই টাকা উত্তলন এবং মালিকানা নিয়ে। ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ (২০১৩ পর্যন্ত সংশোধিত) ১০৩ ধারায় আমানতী অর্থ পরিশোধের জন্য মনোনয়ন দান বিষয়ে বলা হয়েছে, ব্যাংক-কোম্পানির নিকট রক্ষিত কোন আমানত যদি একক ব্যক্তি বা যৌথভাবে একাধিক ব্যক্তির নামে জমা থাকে, তাহলে উক্ত একক আমানতকারী এককভাবে বা যৌথ আমানতকারীগণ যৌথভাবে এমন একজন বা একাধিক ব্যক্তিকে মনোনীত করতে পারবেন যাকে বা যাদেরকে, একক আমানতকারী বা যৌথ আমানতকারীগণের সকলের মৃত্যুর পর, আমানতের টাকা প্রদান করা যেতে পারে। এই আইন অনুযায়ী এটা সুস্পষ্ট বোঝা যায় যে একমাত্র নমিনি মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া টাকার মালিক এবং ব্যাংক নমিনির কাছে টাকা দিবেন।

প্রশ্ন হল, বর্তমানে কোন আইন কার্যকর তাহলে:

Zia Uddin Vs. Arab Bangladesh Bank Ltd., 6 MLR (AD) P.188 এবং 52 DLR (HC), P. 36-এ উল্লেখ আছে, মৃত ব্যক্তির টাকা নমিনিই পাবে। প্রশ্ন হল, বর্তমানে কোন আইন কার্যকর তাহলে? যখন প্রশ্ন আসে বা আইনের জটিলতা দেখা দেয় যে কোন আইনটি কার্যকর হবে বা কোন আইন বলবৎ থাকবে তখন এই জটিলতার সমাধান পাওয়া সম্ভব হয় General Clauses Act, 1897 আইনের মাধ্যমে। এই আইন অনুযায়ী, যে বিশেষ আইনটি সর্বশেষ পাশ হয়েছে সেই আইনটি কার্যকর হবে। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, The Muslim Personal Law (Shariat) Application Act, 1937 এবং ব্যাংক-কোম্পানী আইন দুটিই স্পেশাল আইন। কিন্তু ব্যাংক-কোম্পানী আইন ১৯৯১ হল সর্বশেষ আইন। আর সে কারনে এই আইনের কার্যকারিতা বহাল থাকবে। অন্য কোন আইনে যাহা কিছু থাকুক না কেন। তার মানে বর্তমানে মৃত্যুর পর নমিনিই মৃত ব্যাক্তির গচ্ছিত অর্থ পাবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক প্রজ্ঞাপনে যা বলছে:

বাংলাদেশ ব্যাংক, গত ০৬ আগস্ট, ২০১৭ ইং তারিখে Application of Interest on Deposit and Loan Accounts of Deceased Individuals বিষয়ে জারিকৃত বিসিডি সার্কুলার নং ১৮/১৯৮৪ এর পতিপালন প্রসঙ্গে বিআরপিডি সার্কুলার নং ১১ -এ দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এই নির্দেশনা দিয়েছেন যে, ব্যাংকে টাকা রেখে কোনো গ্রাহকের মুত্যু হলে তার নমিনি ছাড়া অন্য কারও কাছে টাকা দেয়া যাবে না । সৃষ্ট জটিলতার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিপত্রে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনো ব্যক্তি মারা গেলে ব্যাংকে রেখে যাওয়া টাকা তার নমিনি (মনোনীত ব্যক্তি) পাবেন।

যদি নমিনি নাবালক হয়?

অনেক সময় দেখা যায় যে, পিতা বা মাতা তার নাবালক সন্তানকে নমিনি করেন সেক্ষেত্রে আমাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে নাবালক নমিনি কি ব্যাংকের টাকা উঠাতে পারবে? উত্তর হল অবশ্যই পারবে। তবে এই নাবালকের একজন অভিভাবক তার হয়ে টাকা উঠাবে কিন্তু এই অভিভাবক নিযুক্ত হতে হবে আদালতের মাধ্যামে। নমিনি নাবালক হলে সেক্ষেত্রে তার পক্ষে বিজ্ঞ আদালত হতে অভিভাবক নিযুক্ত হবেন। নিযুক্তিয় অভিভাবক নাবালকের পক্ষে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন ও খরচ করবেন। তবে আদালতে হিসাব দেবেন। নাবালক ১৮ বছরে সাবালক হয়। তবে আদালতে অভিভাবক নিযুক্তির ক্ষেত্রে তাকে ২১ বছর অপেক্ষা করতে হবে। তাই আমাদের সকলের উচিৎ যেকোন নমিনি করার আগে ভেবে চিন্তে বুঝে করা।

লেখক : আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং সহযোগী সম্পাদক, ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম।

Want your practice to be the top-listed Law Practice in Dhaka?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Telephone

Website

Address


Room No . 3007 Annex Supreme Court Bar Association Building
Dhaka

Opening Hours

Monday 10:00 - 22:00
Tuesday 10:00 - 22:00
Wednesday 10:00 - 22:00
Thursday 10:00 - 22:00
Friday 09:00 - 17:00
Saturday 10:00 - 22:00
Sunday 10:00 - 22:00

Other Dhaka law practices (show all)
Hasan Tarique Chowdhury Hasan Tarique Chowdhury
Dhaka

Hasan Tarique Chowdhury is a columnist,writer & Supreme Court Lawyer. He contributes regularly in several National and International News Magazine and journals.He is the Executive ...

Prattasha Sen Prattasha Sen
Dhaka

"নিজে সচেতন হই, অন্যকে সচেতন করি"

Syed Zafrul Hasan Syed Zafrul Hasan
67/9, Pioneer Road, Kakrail
Dhaka, 1000

Tax Consultant

Advocate Bappi Khan Advocate Bappi Khan
Court House Street
Dhaka

আইনি জিজ্ঞাসা, পরামর্শ ও সেবা

Adv Shiak Al Hassan Jony Adv Shiak Al Hassan Jony
Eastern Mansion, Pioneer Road
Dhaka, 1000

Hello everyone, I am Shiak Al Hassan Jony, Advocate of Bangladesh Supreme court.

Law & Lawyer's Corner  -ছিলারচর-মাদারীপুর Law & Lawyer's Corner -ছিলারচর-মাদারীপুর
East Raghurampur/Ward No. 08-Chilarchar/Madaripur/Dhaka
Dhaka, 7900

আইনগত যে কোন সহায়তার জন্য আমার আছি আপনাদের পাশে।

CELLO VISTA CELLO VISTA
Banani
Dhaka

A Zaman Tour Consultancy A Zaman Tour Consultancy
Dhaka Mohammad Pur
Dhaka

সৌদি ,দুবাই ,মালয়েশিয়া ,ওমান, কাতার etc ভিসার কাজ করা হয় ।

Mr.Bangla Mr.Bangla
Dhaka, 1207

Mr.Bangla News shows some Latest & most important News that these can save a viewer’s time, money & more. No offensive matter are not discussed here. Thanks for Watching our Bangla...

sk Řăbbî sk Řăbbî
Dhaka, 112233

šķ Řăbbî

MD.Shemul islam MD.Shemul islam
Daka
Dhaka

Song