Albatross

তার অনেক ভয়.....
কেউ তার ব্যাপারে খারাপ ভাবুক এটা সে নিতে পারেনা।

কিন্তু অন্যে কি ভাবল তাতে কি বা যায় আসে?

Albatross Office
Ring Road, Dhaka

গৃহকর্মী মানসিকভাবে অসুস্থ।

কিন্তু করোনা কালীন সময়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা বা প্রাইভেট চেম্বারে নিয়ে যাওয়াটা একটু কঠিন।

তাই নিরুপায় হয়ে Albatross এর অনলাইন স্বাস্থ্য সেবায় এপয়েন্টমেন্ট নেন তিনি।

আমরা জানতে চেয়েছিলাম আমাদের সেবা কেমন লাগল......

করোনার এই সময়ে বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের মধ্যে আচরণ এবং আবেগের পরিবর্তন আসছে কিনা, সেটা জানার জন্য এই জরিপ।

এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জরিপে অংশগ্রহণের জন্য সবার কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।

নোভেল করোনা ভাইরাস-১৯ মহামারী পরিস্থিতিতে শিশু কিশোরদের আচরণ ও আবেগজনিত পরিবর্তন বিষয়ক জরিপ করোনা সংক্রমণ যখন বৈশ্বিক মহামারী, তখন অন্য সকলের মত শিশু-কিশোরদের মনেও মানসিক চাপ, উদ্বেগ, উৎকন্ঠা আর আতংক তৈরি হ.....

যারা মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত আছে তাদের সবাইকে আমাদের শ্রদ্ধা.......

#টেলিফোন / এ জরুরি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা
=====================================

বাংলাদেশে বর্তমান করোনা ভাইরাস সংক্রমন জনিত মহামারীর কারনে অনেক মানসিক রোগী চিকিৎসকের কাছে যেতে পারছেন না।

এছাড়া এই লকডাউন পরিস্থিতিতে অনেক সাধারন মানুষ উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, টেনশন, ঘুমের অসুবিধা ইত্যাদি মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

পূর্বে থেকেই যারা মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন, তাদেরও অনেকের সমস্যা বেড়ে গেছে।

এমন পরিস্থিতি তে, #বাংলাদেশ_এসোসিয়েশন_অব_সাইকিয়াট্রিস্টস( #বিএপি) দেশের জনগণ কে টেলিফোন বা WhatsApp এর মাধ্যমে জরুরী মানসিক স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার উদ্যোগ গ্রহন করেছে।

টেলিফোন সেবা সংক্রান্ত গুরুত্ত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ঃ
--------------------------------

🌹 এই সেবা সম্পুর্ন বিনামূল্যে প্রদান করা হবে

🌹 অনুগ্রহ করে নির্ধারিত সময়ে ফোন করুন

🌹 ফোন ওয়েটিং থাকলে অপেক্ষা করুন বা whatsapp এ মেসেজ দিন

🌹 প্রয়োজনে বিস্তারিত ইতিহাস WhatsApp এ জানাতে পারেন

প্যারেন্টিং টিপস....
সৌজন্যেঃ BACAMH

Covid 19 parenting
৩য় পর্ব
======

COVID 19 parenting

২য় পর্ব
==============

সৌজন্যেঃ বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ চাইল্ড এন্ড এডোলেসেন্ট মেন্টাল হেলথ (BACAMH), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

প্যারেন্টিং বা সন্তান প্রতিপালন কোন ছেলেখেলা নয়। এর নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম কানুন আছে যেগুলো মেনে চললে সন্তান প্রতিপালন সহজ হয়।

কিন্তু COVID 19 এর জন্য পরিবর্তিত বিশ্বব্যবস্থায় যেখানে বেশিরভাগ সময় আপনাকে ঘরেই কাটাতে হচ্ছে সেসময়ে সন্তান প্রতিপালন এর সঠিক পদ্ধতি কেমন হবে.....????

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ চাইল্ড এন্ড এডোলেসেন্ট মেন্টাল হেলথ (BACAMH) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ শাখার উদ্যোগে এই সময়ে সন্তান প্রতিপালনের একটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে.....

আজ দিচ্ছি সেটার প্রথম পর্ব...

করোনা ভাইরাস নিয়ে আমরা সবাই আতঙ্কিত। আমরা ভাবছি কয়েকদিন পর পৃথিবীতে যে সূর্যোদয় হবে আমরা কি সেটা দেখতে পাবো? বাসার সকলে মিলে বিকেলে একসাথে চা খেতে পারবো?

আমরা বেঁচে থাকতে চাই। আমাদের অনেক কাজ অসমাপ্ত। আমরা সেগুলো শেষ করতে চাই। মৃত্যুর সময় এখনো হয়নি....... আমরা এরকমই ভাবি......

কিন্তু আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা আগামী দিনের সূর্যটা আর দেখতে চান না। যাদের কাছে এই দিনগুলো - এই অফিসে যাওয়া, কাজ করা,এই গল্প গুজব সবকিছু অসহ্য অস্বাভাবিক মনে হয়। তারা মনে করেন তাদের জীবন ক্লান্তিকর এক বোঝায় পরিণত হয়েছে। তাই তারা আর বাচতে চান না।

কেন এই সুন্দর পৃথিবী তাদের কাছে অসহ্য মনে হয়????

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কারণটা হয় যে তারা কোন মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। যেমন কেউ বিষন্নতায় ভুগলে তার এমন মনে হতে পারে। তার কোন কিছুই ভালো লাগেনা। তাই বেঁচে থাকতেও ভাল লাগেনা।

আবার অনেকে বিভিন্ন রকম সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে হুট করে কোন একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।

যেমনঃ
☞শেয়ার বাজারে বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ করার পর হঠাৎ একদিন দেখলেন, সমস্ত টাকা জলে গেছে। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। কি করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না।

☞দীর্ঘদিন হয়তো কারো সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। হঠাৎ একদিন সে বলল তার পক্ষে সম্পর্কটা আর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

এরকম নানাবিধ কারণে বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন তাদের জীবন আত্মহত্যার মাধ্যমে নষ্ট করে ফেলে।

আপনার বা আপনার পরিচিতজনের এমন প্রবণতা নেই তো ??

মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আপনার যে কোন প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা আমাদের জানাতে পারেন।

Albatross
Here life becomes beautiful

Albatross® offers highest quality comprehensive mental health services for children and adults.

Our services cover a range of symptoms and diagnoses, including
-anxiety
-depression
-stress
-trauma
-uncontrolled anger
-relationship problem
-sexual problem
-sleep problem
-alcohol,yaba,cannabis addiction
-internet addiction
-p**n addiction
-OCD
-tendency to self harm and su***de
-dementia
-bipolar disorder
-schizophrenia etc.

Our care include:
-counseling and psychotherapy, (individual, group or family therapy)
-consultation service
-medication prescription
-hospital admission.

We are the first in Bangladesh to provide Transcranial Magnetic Stimulation (rTMS) machine for treating incurable depression, OCD, schizophrenia.

stay with albatross ....
here life becomes beautiful

করোনা পরিস্থিতিতে মানসিক চাপ সামলাবেন কী করে
============================

ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ

করোনার সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ভুগছেন সবাই। সেটাই স্বাভাবিক। এই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থেকে মনের ওপর তৈরি হয় বাড়তি চাপ। আতঙ্ক, অহেতুক রাগ বা অবসাদের লক্ষণও দেখা দিতে পারে। কিন্তু যেকোনো বিপদ মোকাবিলার সময় চাই ধৈর্য, দায়িত্বশীল আচরণ আর সাহস।

কীভাবে এই সময় আপনার প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত?

কেমন করে আপনি নিজের পরিবার-স্বজনদের নির্ভরতা দেবেন?

সে সঙ্গে সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন করবেন?

♦আস্থাভাজন ব্যক্তিদের পরামর্শ নিন:
এই আতঙ্কময় সময়ে কেবল আস্থাভাজন ব্যক্তিদের পরামর্শ নিন। তাঁরা আপনাকে মানসিকভাবে শক্ত থাকতে সহায়তা করবেন বিভিন্নভাবে।

♦গুজবে কান না দিয়ে পরিবারের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন:
বিভিন্ন মাধ্যমে এখন উড়ছে অতিপ্রচার, অপপ্রচার এবং বিভিন্ন গুজব। গুজবে কান দেবেন না।

♦পরিবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত সময় কাটান। সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করুন:
রুটিন বিষয়গুলো, যেমন ঘুম, ঠিক সময়ে খাবার, বাড়িতে হালকা ব্যায়াম ইত্যাদি বন্ধ করবেন না। সুষম আর নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করুন। পর্যাপ্ত পানি পান করুন। সময়মতো ঘুমান, হালকা ব্যায়াম করুন এবং অবশ্যই নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। ধূমপান, মদ্য পান বা নেশা এড়িয়ে চলুন।

♦শারীরিকভাবে বিচ্ছিন্ন হলেও সবার খোঁজ রাখুন:
প্রায় আবদ্ধ শহরে বিচ্ছিন্নতার জন্য অসহায় লাগতে পারে। তাই বন্ধু আর স্বজনদের সঙ্গে ই-মেইল, টেলিফোন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সাহায্যে যোগাযোগ রাখুন। পরস্পরের খোঁজ রাখুন। করোনায় সংক্রান্ত কোনো সাহায্য প্রয়োজন হলে কীভাবে, কার কাছ থেকে শারীরিক ও মানসিক সমস্যার জন্য সাহায্য গ্রহণ করবেন, তার একটি আগাম পরিকল্পনা তৈরি করে রাখুন।

♦বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ওপর ভরসা রাখুন:
কেবল বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া সঠিক তথ্যের ওপর ভরসা রাখুন। করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্যকারী এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধিসংক্রান্ত তথ্যসমূহ নিজে জানুন আর পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে রাখুন। তথ্যের জন্য কেবল নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞানসম্মত উৎস, যেমন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় বা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) ওয়েবসাইট, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা সরকার থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা বিশেষজ্ঞের ওপর আস্থা রাখুন।

♦সব সময় করোনা ভাইরাস নিয়েই পড়ে থাকবেন না:
দুশ্চিন্তা আর অস্থিরতা যাতে না বাড়ে, সে জন্য আপনি নিজে বা পরিবারের সদস্যরা প্রচারমাধ্যমে/সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করোনা সংক্রমণ আর এর পরিণতি নিয়ে তথ্য, সংবাদ ও ভিডিও দেখবেন না। এতে নিজের ওপর মানসিক চাপ তৈরি হবে। করোনা নিয়ে সঠিক তথ্য জানার পাশাপাশি অন্যান্য অনুষ্ঠানও উপভোগ করুন।

♦আস্থা রাখুন নিজের ওপর: নিজের ওপর আস্থা রাখুন। অতীতে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় আপনার দক্ষতা আর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগান। আত্মপ্রত্যয়ী থাকুন; এতে আপনার মানসিক চাপ অনেকাংশে লাঘব হবে।

♦শিশুদের প্রস্তুত করুন, অভিজ্ঞ করুন, সঠিক তথ্য দিন: করোনাভাইরাস সংক্রমণ ইস্যুতে বড়দের মতো শিশুরাও মানসিক চাপে ভুগতে পারে। এ সময় তারা মা-বাবাকে একটু বেশি আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়, উৎকণ্ঠিত হয়, নিজেকে গুটিয়ে রাখে, অস্থির হয়, রাগ করে কেউবা হঠাৎ করে বিছানায় প্রস্রাব করা শুরু করে। মানসিক চাপজনিত এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে তাদের কথাগুলো মন দিয়ে শুনুন, একটু বেশি সময় দিন। শিশুটিকে নিজের মতো করে ঘরোয়া খেলা খেলতে দিন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের সকল পর্যায়ে শিশুকে তার মা-বাবা ও পরিবারের সঙ্গেই রাখুন এবং তাদের আলাদা করা থেকে বিরত রাখুন। হাসপাতালে ভর্তি, কোয়ারেন্টিন বা যেকোনো কারণে যদি আলাদা করতেই হয়, তবে টেলিফোন বা অন্য মাধ্যমের সাহায্যে যোগাযোগ রক্ষা করুন এবং শিশুদের নিয়মিত অভয় দিন।

♦চারপাশে যা হচ্ছে সে বিষয়ে শিশুকে তার বয়স উপযোগী করে প্রকৃত সত্য তথ্য প্রদান করুন এবং কীভাবে সে নিজেকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে পারবে, সেটা বুঝিয়ে বলুন: সংক্রমণ থেকে দূরে থাকার স্বাস্থ্যবিধিগুলো শিশুকেও শেখান। শিশু বা তার পরিবারের কেউ অসুস্থ বোধ করলে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজনীয়তা শিশুর সঙ্গে আলোচনা করে রাখুন, সেই সঙ্গে জানান যে এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, সবার সুস্থতা আর নিরাপত্তার জন্য চিকিৎসকই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
[২০ মার্চ ২০২০, প্রথম আলো, অনলাইন]

তথ্যসূত্রঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইন্টার এজেন্সি স্ট্যান্ডিং কমিটি।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, চাইল্ড এডোলেসেন্ট ও ফ্যামিলি সাইকিয়াট্রি বিভাগ, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা।