Literary Podium

"Happiness and Perfection begin from the moment when you do something for others." Hey! This is Main Uddin Abir. I'm from Sonagazi under the district of Feni.

I'm studying in B.A. Hon's in English Language and Literature at Feni Govt. College Feni, under National University. I'm also studying in Fazil (Degree) at Sonagazi Islamia Fazil Madrasah. I have completed my Dakhil (S.S.C) and Alim (H.S.C) in 2016 and 2018 from Amirabad M.M. Islamia Alim Madrasah. I belong to my family. I have a joint family of eight members. We're four brothers and two sisters. My parents are the best person to me. May Allah bless both of them.

08/02/2023

আমেরিকান কবি Robert Frost, তার বিখ্যাত কবিতা "Stopping by Woods on a Snowy Evening" এর
মধ্যে বলেছিলেন-

"The woods are lovely, dark and deep,
But I have promises to keep,
And miles to go before I sleep,
And miles to go before I sleep."

ফ্রস্টের এই চারটি চরণ ব্যক্তিগতভাবে
খুবই ভালো লাগে। 🥰🥰

Photos from Literary Podium's post 17/01/2023

#নতুন_সেকেন্ড_ইয়ার; সেশন- (২০২০-২১)

নিচের ডকুমেন্টসগুলোতে "রোমান্টিক পয়েট্রি" বিষয়ের S. T. Coleridge এর স্পিকার পরিচিতি, কবিতা পরিচিতি ও সারমর্ম, ব্রিফ, সংক্ষিপ্ত এবং বড় প্রশ্নের হ্যান্ডনোট আছে।

কার্টিসি: মাঈন উদ্দিন আবির।

06/01/2023
Photos from Literary Podium's post 06/01/2023

#থার্ড_ইয়ার; নিচে "Linguistics" বিষয়টার Semantics, Psycholinguistics এবং Sociolinguistics চ্যাপ্টার তিনটির আদ্যোপান্ত দেওয়া আছে।

কার্টিসি: মাঈন উদ্দিন আবির
ফেনী সরকারি কলেজ, ফেনী৷

Photos from Literary Podium's post 28/12/2022

#ফার্স্ট_ইয়ার; নিচে ভলিউম ১ ও ২ এর ২০ টি কবিতার নাম, কবির নাম, থিম, টোন, রাইম স্কিম, অথর'স পজিশন এবং জেনার (ধরণ) দেওয়া আছে।

কার্টিসি: মাঈন উদ্দিন আবির

28/12/2022

Department of English (Chattogram University)

Photos from Literary Podium's post 28/12/2022

#থার্ড_ইয়ার:
নিচে Linguistics বিষয়টার চ্যাপ্টার ০৫. Syntax (বাক্যতত্ত্ব) ও ০৬. Pragmatics (প্রয়োগতত্ত্ব) এর আদ্যোপান্ত দেওয়া আছে।

কার্টিসি: মাঈন উদ্দিন আবির

26/12/2022

Some American vs British Spelling

14/05/2022

একবার ১৯২১ সালে ফিলিস্তিন ভ্রমণে বেরিয়েছেন আইনস্টাইন। যেখানে 'যুব সংঘ' নামের প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন ২২ বছর বয়সী এক তরুণী। সমাজের নানা বিষয়ে তরুণীকে প্রশ্ন করেছিলেন আইনস্টাইন। একবার আইনস্টাইন তাঁর কাছে জানতে চাইলেন, "আচ্ছা, এখানে নারী-পুরুষের সম্পর্ক কেমন?"

প্রশ্নটি শুনে ওই ওই তরুণী লজ্জায় পড়ে গেলেন। তরুণী প্রত্যুত্তর করলেন, "দেখুন অধ্যাপক সাহেব, এখানে কিন্তু একজন পুরুষের একটাই স্ত্রী"। একটু হেসে তরুণীর হাতখানা ধরে আইনস্টাইন বললেন, "না, না। আমার প্রশ্নটা ওভাবে নিয়ো না। আসলে আমরা পদার্থবিজ্ঞানীরা 'সম্পর্ক' কথাটা দিয়ে সহজ কিছুকে বোঝাই। আমি আসলে জানতে চেয়ছি, এখানে কতজন নারী আর কতজন পুরুষ মানুষ রয়েছেন"।

23/04/2022

Poetry ও Poem এর মধ্যে পার্থক্য:
=========================

ডিকশনারিতে Poetry ও Poem দু'টো শব্দের অর্থই 'কবিতা'। আমরা অনেকেই দু'টোকেই এক মনে করি। আপাতদৃষ্টিতে দু'টোর অর্থ একই হলেও ব্যবহারের দিক
থেকে দু'টোর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।

01. Poem refers a piece of verse (poem).
02. Poetry refers a collection of verse (poem).

সংক্ষেপে, একটি কবিতাকে বুঝানোর জন্য হলে Poem হবে। আর দুইয়ের অধিক কবিতাকে একসাথে বুঝানোর জন্য Poetry হবে।

: Mr. Nobody

29/03/2022

"The waves of sadness and tears are natural expression".

23/03/2022

Nobody can give you wiser advice than yourself.

28/02/2022

পরিশ্রমের সাথে পারিশ্রমিকের সম্পর্কটা সর্বদা সমানুপাতিক হওয়া উচিত।

"Oedipus Rex" (Part- 01) By- Sophocles (496-406 B.C.) 05/02/2022

https://youtu.be/AhJJXW2blwU

"Oedipus Rex" (Part- 01) By- Sophocles (496-406 B.C.) The Characteristics and Summary/Analysis of the play "Oedipus Rex" by- Sophocles.

2022 02 02 10 29 36 02/02/2022

https://youtu.be/Xt_GV0ScP98

2022 02 02 10 29 36 LITERARY TERMS: Personification and Metonymy.

29/01/2022

"Life is like a box of chocolates, you never know what you're going to get."

Photos from Literary Podium's post 11/01/2022

"Beauty of Nature"🖤🖤

CP. All pictures are taken by me except one. 🥰🥰

07/01/2022

গত কাল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের খাতা দেখা, কিভাবে উত্তর লিখতে হবে, প্রশ্নের লেংথ, কোটেশনের ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়াবলি নিয়ে একটা পেইজে একটি পোস্ট শেয়ার করা হয়৷ পোস্টটা প্রথমপ্রর্যায়ে দেখিনি। কিছুক্ষণ আগে যখন অনলাইনে আসি, তখন দেখলাম কয়েকজনে পোস্টটার লিংক শেয়ার দিয়েছে।

পুরো পোস্টটার মধ্যে শুধু আট নম্বর পয়েন্ট, অর্থাৎ খাতা দেখার বিষয়টাই পড়েছিলাম। দুই-তিনজন ব্যাচমেইটেরও সেই পয়েন্টটা নিয়ে কৌতূহল। আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু বুঝি, এই আট নং পয়েন্টের খাতা দেখার তথ্যটি পুরোপুরিই ভূয়া, ভিত্তিহীন। সেটার কারণটা এবার বলি।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-নীতি, কারিকুলাম, অঙ্গকাঠামো অনেকটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই। পার্থক্যটা কেবল এক যায়গায়; সেটা হচ্ছে সুযোগ-সুবিধা। একটা পাবলিক ভার্সিটির অনার্স-মাস্টার্স পড়ুয়া একজন শিক্ষার্থী যে সুযোগ-সুবিধা, ক্লাস, রেসপন্স পেয়ে থাকে; জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী সেইদিক থেকে অনেক ঊর্ধ্বে। সার্টিফিকেটের সম্মানও কিছুটা ব্যতিক্রম। তারমানে এই নয় যে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বড় কোনো চাকরি-বাকরির আবেদন করার যোগ্যতা নেই৷

বাংলাদেশের চাকরির জগতে সর্বপ্রথম যে স্থানটা দখল করে আছে সেটি হচ্ছে বি. সি. এস.। সেখানের পরীক্ষায়ও সকলেই সমান। পাবলিক, প্রাইভেট, জাতীয়, টেকনিক্যাল, মেডিকেল, ইজ্ঞিনিয়ার ইত্যাদি সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেই একই ছাঁদনাতলার নিচে বসে পরীক্ষা দেয়/দিচ্ছে/দিবে। সেখানে যদি কোন পার্থক্য না হয়; তবে খাতা দেখার সময় এত পার্থক্য কেন হবে??

সত্যিকারার্থে, পোস্টটির আট নম্বর পয়েন্টে যে কথাগুলো বলা হয়েছে যে, "জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের খাতাগুলো কোন নন এম. পি. ও. অথবা কোনো বেসরকারি কলেজের শিক্ষক কর্তৃক কাটা হয়, কথাটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আমাদের (ইংরেজি বিভাগের) খাতাগুলো দেখে থাকেন, বি. সি. এস. সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের (সরকারি কলেজের) স্যারেরা। সরকারি কলেজের স্যাররা ছাড়া অন্যকেউ খাতা দেখার প্রশ্নই আসেনা। শুধু আমাদের না, অন্যান্য বিভাগের খাতাগুলোও সংশ্লিষ্ট বিভাগের স্যারেরা দ্যাখেন।

আরেকটা কথা, পোস্টটাতে বিশেষকরে আমাদের (ইংরেজি) বিভাগের পরীক্ষার খাতায় প্রশ্নের উত্তর করার জন্য 'স্টাডি গাইডকে' যেভাবে অন্ধের মতো অনুসরণ করতে বলেছে; সেটিও সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। স্টাডি গাইডে বেশিরভাগ প্রশ্নেরই কাঙ্ক্ষিত উত্তর থাকেনা। যে কয়েকটার থাকে; সেগুলোরও ভাষা বোধগম্য নয়। বোকাবুলারিগুলোও অনেকটা কঠিন। শুধু স্টাডি গাইড অনুসরণ না করে, প্রশ্নগুলোর উত্তর নিজের সুবিধানুযায়ী হ্যান্ড নোট করে পড়াই ভালো।

মাঈন উদ্দীন।
সেশনঃ ২০১৮-১৯।

06/01/2022

একুশ বছরের তরুণী ক্যাথরিন বাংলাদেশে এসেছিলেন নিজের পিএইচডি ডিগ্রির একটা কোর্স করার জন্য। বাবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন, তিনি নিজেও চেয়েছিলেন শিক্ষক হতে। যে বিষয়ে ক্যাথরিন পড়ছিলেন, সেটার নাম ডেভেলপমেন্ট ইকোনমি। এক বছরের জন্য উন্নয়নশীল কোন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে থিসিস করতে হবে, সেদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং গতিপ্রকৃতি নিয়ে। ক্যাথরিন বেছে নিলেন বাংলাদেশকে। ১৯৮৬ সালে ঢাকার বিমানে চড়ার মুহূর্তে ক্যাথেরিনের কল্পনাতেও ছিল না, যেখানে তিনি যাচ্ছেন, সেই দেশ, সেদেশের মানুষজনের সাথে তার একটা আত্মার সম্পর্ক তৈরি হয়ে যাবে, মায়ার বন্ধনটা তিনি কাটাতে পারবেন না কখনও।

বাংলাদেশে আসার পরে ঘটনাক্রমে আহমেদ ছফার সঙ্গে পরিচয় হলো ক্যাথরিনের। স্পষ্টভাষী এবং প্রখর বুদ্ধিমত্তার এই মানুষটির বাগ্মিতায় ক্যাথরিন মুগ্ধ। ছফার বাসাটাকে আশেপাশের লোকজন বলতো পাগলের আড্ডা। কারণ সারাদিন নানা কিসিমের লোকজন আসছে সেখানে, খাওয়াদাওয়া হচ্ছে, তর্ক জমছে, আড্ডা বাড়ছে- সেই পাগলের আড্ডার নিয়মিত সদস্য হয়ে উঠলেন ক্যাথরিন।

ক্যাথরিনের জন্ম আর বেড়ে ওঠা আমেরিকার শিকাগোতে। তার পরিবারটা ভীষণ বনেদি, অজস্র ইতিহাস আর ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে তাদের পরিবারের সঙ্গে। ক্যাথরিনের দাদার বাবা ছিলেন বিখ্যাত আর্কিওলজিস্ট, পেরুর ইনকা সভ্যতার অজস্র নিদর্শন আবিস্কার করেছিলেন তিনি, অভিযান চালিয়েছিলেন আমাজনের গহীন রেইন ফরেস্টে। ইন্ডিয়ানা জোন্স নামের সিনেমাও বানানো হয়েছে তার জীবনকাহিনী অবলম্বনে। পরিবারের সদস্যরা সবাই ছিলেন ভীষণ উচ্চশিক্ষিত। কেউ প্রফেসর, কেউ বিজ্ঞানী, কেউবা ডাক্তার- কেউ আবার আবিস্কার আর গবেষণায় মত্ত। ক্যাথরিন জানতেন, তাকেও পড়ালেখাতেই মন দিতে হবে, সেভাবে তিনি এগিয়েও যাচ্ছিলেন। মিশনে বাধ সাধলো তার বাংলাদেশ অধ্যায়।

আহমদ ছফা একদিন ক্যাথরিনকে পরিচয় করিয়ে দিলেন লম্বাটে এক যুবকের সঙ্গে, বললেন, 'ক্যাথরিন, মিট মাই ফ্রেন্ড তারেক। হি ইজ এ ফিল্মমেকার।' 'নাইস টু মিট ইউ' বলে হাত মেলালেন ক্যাথরিন, সেদিন ভাবতেও পারেননি, তারেক মাসুদ নামের এই মানুষটার সাথে তার জীবনের গল্পটা জড়িয়ে যাবে ওতপ্রোতভাবে, সাত সাগর তেরো নদীর এপাড়ের এক অজানা তরুণকে তিনি ভালোবেসে ফেলবেন হৃদয়ের সবটুকু অনুভূতি উজাড় করে দিয়ে।

ছোটবেলা থেকেই চিত্রাঙ্কনের প্রতি ক্যাথরিনের ঝোঁক ছিল। নিজেও আঁকাআঁকি করতেন। তারেক মাসুদ তখন কিংবদন্তী চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ওপর একটা ডকুমেন্টরি বানাচ্ছেন, নাম আদম সুরত। সেটার কাজের জন্য আজ ঢাকা, কাল নড়াইল দৌড়ে বেড়াচ্ছেন। তারেক মাসুদ ঢাকায় এলে তার সঙ্গে দেখা হয় ক্যাথরিনের, রাত বাড়ে, আড্ডা জমে। তারেক মাসুদ খুব ভালো রান্না করতে পারেন, তার হাতের রান্না খেয়ে ক্যাথরিনের মুগ্ধতা বাড়ে। আহমদ ছফা খানিকটা টের পান সেটা। এটা সেটা অজুহাত দিয়ে তিনি উঠে যান আড্ডা থেকে, দুজনকে সুযোগ দেন নিজেদের জেনে নেয়ার, বুঝে নেয়ার।

তবে সংস্কৃতি আলাদা হবার কারণেই কিনা, ছফা উঠে গেলে দুজনই একটু আড়ষ্ট হয়ে যান। আহমদ ছফার নজর এড়ালো না সেটাও। তিনি দুজনের সাথেই মজা করেন। ক্যাথরিনকে বলেন, 'ডু ইউ নো, তারেক রিয়েলি লাইকস ইউ!' আর তারেক মাসুদকে বলেন, 'ক্যাথরিন তো তোমার প্রেমে হাবুডুবু খাইতেছে মিয়া, কি জাদু করলা!' লজ্জা পেয়ে দুজনই প্রসঙ্গটা সন্তর্পণে এড়িয়ে যান। ছফা একদিন ক্যাথরিনকে প্রস্তাব দিলেন, 'আর্টের প্রতি তোমার এত আগ্রহ, তুমি তো তারেকের ডকুমেন্টরিতে কাজ করতে পারো?' ক্যাথরিন আকাশ থেকে পড়লেন। ফিল্ম নিয়ে তার কোন জানাশোনা নেই, আগ্রহও নেই খুব একটা। তারেকের মুখে এসএম সুলতানের বৈচিত্র‍্যময় জীবনের গল্প শুনতে তার ভালো লাগে সত্যি, কিন্ত এই প্রোজেক্টে কিভাবে অবদান রাখবেন তিনি?

উত্তর দিলেন তারেকই, বললেন, 'আমাদের তো এডিটিং শুরু হয়েছে, তুমি চাইলে সাবটাইটেলের কাজে আমাকে সাহায্য করতে পারো।' ক্যাথরিন সানন্দে রাজী হলেন। শুরু হলো অন্যরকম একটা দুনিয়ায় ক্যাথরিনের পথচলা। আদম সুরতের কাজ করতে করতেই কখন যে ফিল্ম আর তারেক- দুটোর প্রেমেই পড়ে গেছেন, সেটা জানেন না ক্যাথরিন। ভনিতা না করে তারেককে খুলে বললেন তিনি সবটা। তারেক জানালেন, ক্যাথরিনকেও তিনি বন্ধুর চেয়ে বেশি কিছু ভাবেন। প্রণয়ের সূত্রপাত হলো দুজনের মধ্যে। তবে সেটা পরিণয়ে গড়ালো খুব অদ্ভুতভাবেই।

১৯৮৮ সালের কথা, ক্যাথরিন বাংলাদেশে এসেছেন দু'বছর হয়ে গেছে তখন। এতসব কাণ্ডের মধ্যে ক্যাথরিনের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল দুইবার, প্রতিবারই রিনিউ করানো হয়েছে। তৃতীয়বার আর অনুমতি মিললো না, কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করেন না ক্যাথরিন, সেখান থেকে ছাড়পত্র মিললো না। উদ্দেশ্য ছাড়া অকারণে তো অন্য একটা দেশে পড়ে থাকতে পারবে না কেউ। উপায়ন্তর না দেখে তারেক বললেন, 'তোমার যদি আপত্তি না থাকে, চলো আমরা বিয়ে করে ফেলি। তাহলে ভিসা-পাসপোর্টের ঝামেলায় আর যেতে হবে না, আমার স্ত্রী হিসেবে বৈধভাবেই তুমি বাংলাদেশে থাকতে পারবে।'

ক্যাথরিন রাজী হলেন এক কথায়। পরিবারের কাউকে জানালেন না, এক দুপুরে রিক্সায় চড়ে চলে গেলেন পল্টনের এক ম্যারেজ রেজিস্ট্রার অফিসে, কোর্ট ম্যারেজ করতে। সেখানে গিয়ে শুনলেন বিয়ে করতে ছবি লাগবে, বের হয়ে স্টুডিও খুঁজে বের করলেন, ছবি তুলে সেগুলো ওয়াশ করে ফিরতে ফিরতে বিকেল গড়িয়ে গেল। কোন আয়োজন ছিল না, পরিকল্পনাও তো ছিল না, এক কাপ চা'ও খাওয়াতে পারেননি সেদিন কাউকে, এমনই অনাড়ম্বর একটা অবস্থা ছিল। বিয়ের কথা বাড়িতে জানাননি তারেক মাসুদও। ক্যাথরিন পরে চিঠি লিখে পরিবারকে জানিয়েছেন বিয়ের কথা। তারেক মাসুদের পরিবারে জানানোর পরে তারা মন খারাপ করেছে, তবে সময় গড়ানোর সাথে সাথে মেনেও নিয়েছে সবকিছু।

পরের দুই যুগ এই দম্পতি হাতে হাত ধরে ছুটে বেড়িয়েছেন গোটা দেশজুড়ে। ডকুমেন্টরি বানিয়েছেন, সিনেমা বানিয়েছেন, গল্পের জন্য, শুটিং স্পট খোঁজার জন্য ঘুরেছেন টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া। ধীরে ধীরে সিনেমা জিনিসটা বুঝতে শিখেছেন ক্যাথরিন, পরিচয় হয়েছে তারেকের অন্যান্য নির্মাতা এবং কলাকূশলী বন্ধুদের সঙ্গে। যোগাযোগের প্রয়োজনে নিজ তাগিদেই বাংলা ভাষাটা রপ্ত করেছেন ক্যথেরিন, যাতে তার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কেউ বিড়ম্বনায় না পড়ে। শীতের দেশের মানুষ তিনি, ঢাকার গরমে হাঁসফাস করতেন, তার ওপর শুটিংয়ের কাজে তাকে ছুটতে হতো তপ্ত রোদের মধ্যে, গ্রামে গঞ্জে। কোনদিন এক বিন্দু অভিযোগ করেননি তিনি, সহ্য করেছেন সব, মানিয়ে নিয়েছেন।

একটা ইন্টারভিউতে ক্যাথরিনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এই যে এমন দূরদেশে পড়ে আছেন বাবা-মা-ভাইকে ছেড়ে, পরিবেশ, আবহাওয়া, খাবার, ভাষা- সবই তো অচেনা প্রায়। খারাপ লাগে না? ক্যাথরিন চটজলদি জবাব দিয়েছিলেন, 'খারাপ লাগবে কেন? আমি তো আমার ভালোবাসার মানুষটার সাথে আছি। এদেশের কত মানুষ বিদেশে কাজ করে, একা থাকে, পাঁচ-সাত বছরে একবার দেশে আসে, তাদের বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তান সবাই এখানে। তবুও তারা থাকছেন না বিদেশে? আমি তো তাদের চেয়ে ভালো আছি, আমার স্বামী আমার পাশে আছেন। চাইলেই আমি আমেরিকায় যেতে পারছি বাবা-মায়ের কাছে। খারাপ থাকার কারণ নেই।'

ক্যাথরিন মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। তারেক মাসুদের সাথে পরিচয়ের পরেই বাঙালীর স্বাধীনতা সংগ্রামের এই গৌরবের অধ্যায়টা সম্পর্কে জেনেছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারেক মাসুদের বয়স ছিল কম, যুদ্ধে অংশ নিতে পারেননি তিনি। পরিণত বয়সে তাই তিনি ক্যামেরা নিয়ে যুদ্ধ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধকে নিজের আঙ্গিকে ফুটিয়ে তুলেছেন সেলুলয়েডে। তারেকের সঙ্গে থাকতে থাকতে, মুক্তির গান, মুক্তির কথা বা মাটির ময়নায় কাজ করতে করতে মুক্তিযুদ্ধ বড্ড আপন হয়ে গেছে ক্যাথরিনেরও। ভীনদেশ থেকে আসা এই তরুণী তার হৃদয় দিয়ে যেভাবে ত্রিশ লাখ শহীদ বা দুই লক্ষ বীরাঙ্গনার আত্মত্যাগকে অনুভব করেছেন, আমি বাজি রেখে বলতে পারি, কোটি কোটি বঙ্গসন্তান মুক্তিযুদ্ধকে ক্যাথেরিনের মতো করেও কখনও অনুভব করার চেষ্টা করেনি।

তারেক মাসুদ এবং ক্যাথরিন মাসুদ- দুজনের মধ্যে মিল ছিল প্রচুর। স্বভাবে, অভ্যাসে, ভালোলাগায়, মন্দ লাগায়। আবার কিছু অমিলও ছিল, যেখানে তারা একে অন্যের পরিপূরক হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। খেয়ালি, ইমোশনাল তারেক মাসুদকে আগলে রেখেছিলেন ক্যাথেরিন। যেসব সাহসী নির্মাণ তারেক মাসুদের হাত থেকে বেরিয়ে আসছিল, হুমকি দেয়া হচ্ছিল প্রতিনিয়ত, সিনেমা হল নিচ্ছিল না তার সিনেমা। ক্যাথরিন তখন স্বামীর কাঁধে ভরসার হাত রেখেছেন। টাকা পয়সা যা আয় করেছেন, সব সিনেমার পেছনে ঢেলেছেন, বাসা ভাড়া বাকি পড়েছে, পরনের কাপর পুরনো হয়েছে, সেসবকে পাত্তা না দিয়ে দুজনে মিলে ছুটেছেন শহরে শহরে, প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন, দর্শকের কাছে নিয়ে গেছেন সিনেমাকে। রূপকথার গল্পের মতোই ছিল তাদের বিচরণ।

তারপর তেরোই আগস্টের দিনটা এলো। কাগজের ফুল সিনেমার শুটিং স্পট দেখতে মানিকগঞ্জ গিয়েছিলেন সবাই। ফেরার পথে তাদের মাইক্রোবাসের ড্রাইভার একটা গাড়িকে ওভারটেক করতে গেলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলো অপরপাশ থেকে আসা একটা বাসের সঙ্গে। নিকষ কালো অন্ধকার নেমে এলো ক্যাথরিনের সামনে। হাসপাতালে যখন জ্ঞান ফিরলো, তখন জানতে পারলেন তার ভালোবাসার মানুষটা আর নেই, মারা গেছেন তারেক মাসুদ। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ফিরে এলেন ক্যাথরিন, ছোট্ট বাচ্চাটার জন্য তাকে যে বেঁচে থাকতেই হতো!

ক্যাথরিন এখন আমেরিকায় থাকেন, তাদের সন্তান সেখানে পড়াশোনা করছেন। তবে নিয়ম করে তিনি প্রতি বছর বাংলাদেশে আসেন। এদেশের একটা মানুষকে তিনি সর্বস্ব উজাড় করে ভালোবেসেছিলেন। নিয়তি তার কাছ থেকে মানুষটাকে কেড়ে নিয়েছে। তার স্মৃতিগুলো তো কেড়ে নিতে পারেনি। রাজধানী শহরজুড়ে, দেশের আনাচেকানাচে তারেকের স্মৃতি ছড়িয়ে আছে। বাংলাদেশে এসে ক্যাথরিন সেসব জায়গায় যান, বন্ধুদের আড্ডায় যোগ দেন। তার মনে হয়, ছায়ার মতো তারেক মাসুদ যেন তার পাশে আছেন, এক্ষুণি তার হাত ধরে চিরচেনা হাসিটা দেবেন, কিন্ত কাঙ্ক্ষিত সেই স্পর্শটা পাওয়া হয়না ক্যাথরিনের।

এই দেশ, এদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তারেক মাসুদকে হারিয়েছে, তার মতো গুণী নির্মাতার অভাব কখনও পূরণ হবে না। ১৩ই আগস্টের দিনটাতে সবাই তারেক মাসুদকে স্মরণ করে। আমি আজ ক্যাথরিন মাসুদকে স্মরণ করলাম, যিনি আমাদের চেয়ে অনেক বেশি, অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু হারিয়েছেন, যিনি ভালোবাসার মানুষটাকে হারিয়ে ফেলেছেন চিরতরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রাখা মাইক্রোটার ধ্বংসস্তুপের সামনে দাঁড়ানো ক্যাথরিনের ছবিটা আমি দেখি, ক্যাথরিন হয়তো মনে মনে আরণ্যক বসুর কবিতা আবৃত্তি করেন- 'এই জন্মের দূরত্বটা পরের জন্মে চুকিয়ে দেব...' আমি তার কষ্ট, শূন্যতা, তার যন্ত্রণাটা উপভোগ করতে পারি না, তবু আমার হৃদয় অদ্ভুত রকমের একটা হাহাকারে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ক্যাথরিন মাসুদ, এদেশের কেউ না হয়েও যিনি দেশটাকে আমাদের মতোই ভালোবেসেছেন, আপন করে নিয়েছেন, সেই মানুষটার ব্যথায় মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক...

ঢাকা, টিএসসির মোড়ে এই মাইক্রোবাসের ধ্বংসস্তুপটি আমরা সবাই দেখি কিন্তু পেছনের গল্পটি কতজনের জানা?

#কালেক্টেড

04/01/2022

ইংরেজি সাহিত্যে নিউ-ক্ল্যাসিক্যাল ও রোমান্টিক পিরিয়ডের মধ্যে দা-কুমড়াের সম্পর্ক। নিউ-ক্ল্যাসিক্যাল পিরিয়ডের সাহিত্যিকরা যে বিষয় নিয়ে লিখালিখি করতেন; রোমান্টিক পিরিয়ডের সাহিত্যিকরা সেসব বিষয়কে উপেক্ষা করেছেন। নিউ-ক্ল্যাসিক্যাল পিরিয়ডের সাহিত্যিক যেমনঃ ড্রাইডেন, পোপ, ডিপো, সুইফট প্রভৃতি ছিল অনেকটা বাস্তববাদী লিখক।

তাদের রচিত সাহিত্যে রোমান্টিকতার লেশমাত্র চিহ্ন ছিলোনা অর্থাৎ তারা ছিল "আউট অব রোমান্টিসিজম।" তাদের স্লোগানটা ছিল, "Art for art's sake" অর্থাৎ, শিল্পের জন্য সাহিত্য। তাদের মতে, শিল্প মানুষের জন্য নয় কিন্তু মানুষ শিল্পের জন্য। তাদের এ তত্ত্বটা অনেকটা এরিস্টটলের রাষ্ট্রচিন্তার মতো। এরিস্টটল বলেছেন, "রাষ্ট্রের জন্য নাগরিক কিন্তু নাগরিকের জন্য রাষ্ট্র নয়।" ব্যক্তিগতভাবে এই তত্ত্বটা আমার কাছে অনেকটা হিপোক্রেসির মতো মনে হয়।

অন দ্যা আদার হ্যান্ড, রোমান্টিক পিরিয়ডের কবিরা ছিল নিউ-ক্ল্যাসিক্যাল পিরিয়ডের কবিদের থেকে সম্পূর্ণ অলটারনেটিভ। তারা শিল্পের চেয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। রোমান্টিক পিরিয়ডের অগ্রদূত ওয়ার্ডসওয়ার্থ তার বিখ্যাত গ্রন্থ "লিরিক্যাল ব্যালেড" (৩য় বর্ষের সিলেবাসভুক্ত) এ বলেছেন, "কবিতার বিষয় হবে সাধারণ মানুষ এবং ভাষা হবে সাধারণ।" রোমান্টিক পিরিয়ডের সকল কবিদের কবিতাগুলো ছিলো ব্যাক্তি, সমাজ ও পারিবারিক জীবন কেন্দ্রিক। তারা শিল্প, বাণিজ্যকে প্রাধান্য দেননি। এককথায় তাদের কবিতার উপজীব্য ছিল "Art for men's sake" অর্থাৎ মানুষের জন্য সাহিত্য।

"ব্যক্তিগত মতামত"
কলমেঃ মাঈন উদ্দীন

Photos from Literary Podium's post 01/01/2022

"লাস্ট ইয়ার" 🖤🖤

31/12/2021

"Nobody can give you
wiser advice than yourself."

26/12/2021

"Happiness and Perfection begins from the moment when you do something for others."

Really! the day was full of delight. 🖤🖤

24/12/2021

Literary Terms: Dramatic Irony, Soliloquy,
Comedy, Tragedy, Tragi-Comedy, Revenge
Tragedy, Machiavellian Characters etc.

23/12/2021

সালতামামি বলতে কি বুঝায়?

সাল শব্দের অর্থ হলো- বছর। আর তামামি মানে হলো সমাপ্তি, শেষ। এক কথায় বছরের সমাপ্তিকে কেন্দ্র করে বিশেষ কিছু আয়োজন-উপলক্ষকে মূলত সালতামামি বলা হয়। সারা বছরের আলোচিত, বা উল্লেখযোগ্য, ভালো-মন্দ খবর বা দিক গুলোকে কেন্দ্র করে রচিত কোন বই, সিডি-ডিভিডি অথবা ম্যাগাজিনকে সংক্ষেপে সালতামামি বলে।

22/12/2021

আজ ২২ই ডিসেম্বর, পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে সবচেয়ে ছোট দিন। ২১শে ডিসেম্বর সূর্য মকরক্রান্তি রেখার ওপর অবস্থান করায় এবং উত্তর মেরু সূর্য থেকে কিছুটা দূরে হেলে থাকায় উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম রাত্রি ও ক্ষুদ্রতম দিন হয়ে থাকে। গতকাল রাতটা ছিল উত্তর গোলার্ধের দেশের (আমাদের) জন্য সবচেয়ে বড় রাত। আর আজকের দিনটা ছিল সবচেয়ে ছোট।

ঠিক এর বিপরীতটা ঘটে দক্ষিণ গোলার্ধে। দক্ষিণ গোলার্ধে ২১শে ডিসেম্বর রাতটি ক্ষুদ্র হয়ে থাকে। আর ২২ই ডিসেম্বর সবচেয়ে বড় দিন হয়ে থাকে। সেই হিসেবে দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলো আজকে সবচেয়ে বড় দিন অতিবাহিত করতেছে।

21/12/2021

Welcome to my new page. 🖤🖤

Want your school to be the top-listed School/college in Feni?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

Department of English (Chattogram University)

Telephone

Website

Address


Nazir Road
Feni

Other Education & Learning in Feni (show all)
PUSAC - Public University Students' Association of Chhagalnaiya PUSAC - Public University Students' Association of Chhagalnaiya
Chhagalnaiya
Feni, 3910

'পুসাক' ছাগলনাইয়াস্থ পাব্লিকিয়ান শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত একটি স্বেচ্ছাসেবী, অরাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন।

Learn With GSarwar Learn With GSarwar
Trunk Road
Feni, 3900

Full Stack Web Developer

Nipun Mazumder 2022 Nipun Mazumder 2022
(Permanent): Sonagazi
Feni, 3393

Labour Inspector (General), DIFE, Ministry of Labour and Employment, Bangladesh.

মাদরাসাতুল বানাত আস সালাফিয়্যাহ -Madrasatul Banat As-Salafiyah,Feni মাদরাসাতুল বানাত আস সালাফিয়্যাহ -Madrasatul Banat As-Salafiyah,Feni
Feni, 3900

একটি সহি আকীদার দ্বীনি প্রতিষ্ঠান যে

Government Teachers' Training College, Feni Government Teachers' Training College, Feni
Feni Sadar
Feni, 3900

This is a government college offers BEd (Professional), MEd (Prof.) & 4 year BEd (Honours)