পাঁচবিবি জয়পুরহাট জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
পুরুষ ৫২.৩০%,মহিলা ৪৭.৭০%। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিমি ৩৪৪৮জন। শিক্ষার হার ৫২.২%। প্রশাসন পাঁচবিবি থানা সৃষ্টি ১৮৬৮সালে । বর্তমানে এটি উপজেলা । ইউনিয়ন ৮, গ্রাম ২৫৭, মৌজা ২২২, পৌরসভা ১।
ইতিহাসঃ
পাঁচবিবি উপজেলা একটি প্রাচীন স্থান। এখানে খ্রিষ্ট পূর্ব সময়কাল থেকে বিভিন্ন সময় জনপদ তৈরী হয়েছে। নামকরণের বিভিন্ন মত রয়েছে। পূর্বে এই উপজেলার নাম ছিল লালবাজার থানা। পারস্যের বণিকেরা লালবাজার এলাকার সমৃদ্ধি দেখে পানসিভার শব্দ থেকেও পাঁচবিবি নাম করণ হতে পারে বলেও কিংবদন্তী রয়েছে। কেউ বলেছেন প্রাচীন জনপদ পঞ্চগৌড় এর রাজধানী ছিল পাঁচবিবি। পঞ্চগৌড় বিকৃত হয়ে পঞ্চগৌরীতে এবং পঞ্চগৌরী রূপান্তরিত হয়ে পঞ্চ হতে পাঁচ এবং গৌরী হতে বিবি অর্থাৎ পাঁচবিবি হয়েছে। একজন ঐতিহাসিক বলেছেন[কে?]
পাঞ্চাবিবি নামের একজন বৃদ্ধার জমিতে পাঁচবিবি রেলষ্ট্রেশন স্থাপিত হয়। ফলে রেলষ্ট্রেশনের নাম রাখা হয় পাঁচবিবি এবং সেখান থেকে পাঁচবিবি হয়েছে। নাম করণের ক্ষেত্রে বিতর্ক থাকলেও ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় আনুমানিক বাংলা ১১০০ সালে (১৭০০খ্রীঃ) বাগুড়ী (বর্তমান খাসবাগুড়ী) এলাকায় এক মুসলিম দরবেশ এর পর্যায়ক্রমে পাঁচ জন বিবি ছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকে ধর্মপরায়ন, কামেল, ও শ্রদ্ধেয়া ছিলেন। পাঁচজন স্ত্রী মৃত্যুবরণ করলে খাসবাগুড়ী ছোট যমুনা এর তীরবর্তী স্থানে তাঁদের পাঁচটি মাজার স্থাপিত হয়। তাঁদের স্মৃতি ও সম্মানার্থে তখনএলাকাবাসী সে স্থানকে ‘পাঁচবিবি দরগাহ’ পরর্বতীতে ‘পাঁচবিবি’ নামে ডাকত। খাসবাগুড়ী স্থানটি এখনও পুরানো পাঁচবিবি নামে সমাধিক পরিচিত। নদীভাঙ্গনের কারণে ১৮৬৮ সালে ১৬ই মার্চ লালবাজার থানা সদর বেল-আমলার লালবাজার স্থান হতে পাঁচবিবি দরগায় তথা পাঁচবিবিতে স্থানান্তর করা হয়। তথন থেকে এর নাম হয় পাঁচবিবি।
জনসংখ্যার উপাত্তঃ
জনসংখ্যা ২,৪০,৭৯৭ জন (প্রায়); পুরষ ১,২৩,৯০৯ জন, মহিলা ১,১৬,৮৮৮ জন ।
শিক্ষাঃ
পাঁচবিবি এল বি পি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় আছে যা অনেক সনাম ধন্য। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩০.৬%; পুরম্নষ ৩৮.১%, মহিলা ২২.৭%। মহাবিদ্যালয়(বেসরকারি) ৪, মহাবিদ্যালয়(সরকারি) ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয়(বেসরকারি) ২২, মাধ্যমিক বিদ্যালয় (সরকারি) ২, নিন্মমাধ্যমিক বিদ্যালয় ১০, মাদ্রসা ২৮, প্রাথমিক বিদালয় (সরকারি) ৫৮, মাধ্যমিক বিদ্যালয়৯বেসরকারি) ২৮, কারিগরি প্রতিষ্ঠান ১। পাঁচবিবি সরকারি এল.এল.বি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৪), মহববতপুর আমিনিয়া কামিল মাদ্রাসা (১৯৪৮) উলেস্নখযোগ্য ।
অর্থনীতিঃ
অধিকাংশ মানুষ কৃষি/জমি চাষের উপর নির্ভরশীল। ধান, ইক্ষু, পাট, কচু, গম, কচুর লতি, আলু, পটল, সবুজ শাকসবজি (বর্তমানে কচু এবং কচুর লতি বিদেশে রপ্তানীর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়)
কৃতী ব্যক্তিত্বঃ
১। আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, ২। মাওলানা মো: আব্দুল ওয়াদুদ, চেয়ারম্যান, পাঁচবিবি উপজেলা। ৩। মাওলানা মো: সাইদুল ইসলাম, খতিব, পাঁচবিবি স্টেশন জামে মসজিদ।