Jaan Chummma dibaa

গল্প পরতে ভালোবাসলে পেজটি ফলো করুন।🖤

10/04/2024

Tasrif Khan এমন ভালো কাজের ব্যাবসা সবাই করুক🙂🖤🫡।

10/04/2024

😊হঠাৎ করে ছেলে মাকে বলে,❤️
🙍মা আমি তোমার বুকের দুধের ঋণ শোধ করতে চাই । তুমি আমার থেকে কি চাও বলো ।🥰🥀

(তখন মা একটু কষ্ট পেয়ে চুপ করে থেকে বললো)😢🌹
🤱বাবা তুই তো বাজার থেকে রাতে আসবি আসার সময় আমার জন্য একটা কলা নিয়ে আসিস ।🥰🙏❤️
(ছেলে রাতে বাড়ি ফেরার সময় মায়ের জন্য একটা কলা নিয়ে আসে সুন্দর দেখে, তখন মাকে সেই কলাটি দিয়ে বলে )
নাও মা কলা ।🍌🙏❤️
🤱তখন মা বলে, না বাবা কলাটি তোর কাছেই রাখ 😊। আমি যখন চাইবো তখন আমাকে দিস। আর হ্যা রাতে ঘুমানোর সময় কলাটি বুকের নিয়ে ঘুমাইও বাবা ।🙄🌺💥
( তখন ছেলেটি বুকের ওপর কলা রেখে ঘুমিয়ে পড়ে)

🌄(🤱সকাল বেলা মা কলাটি চায়)💥
🙍তখন ছেলেটি বলে, মা আমি তো এই কলাটি বুকের ওপর রেখে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম । আমার পেটের নিচে পরে কলাটি চেপ্টা হয়ে গেছে । 😔😒🙄
🤱তখন মা বলে, দেখ বাবা সাধারণ একটি কলা বুকের ওপর নিয়ে ঘুমাতে পারিসনি ।🙄চেপ্টা করে ফেলছিস 😒।আর আমি মা নয় মাস তোরে গর্ভে রাখছি তারপর পৃথিবীতে আসছিস ।😭 ডান পাশে প্রসাব করে দিছস তোকে বাম পাশে সোয়াইছি।🥺😭
বাম পাশে প্রসাব করে দিছিস তারপর তোকে বুকের ওপর সোয়াইছি🥺😭। বুকের ওপর প্রসাব করে দিছিশ।😔😢 আমি মা নিজেই ভেজা জায়গায় শুয়ে তোরে শুকনা জায়গায় সোয়াইছি।😭
কোই আমি তো তোকে চেপ্টা করে ফেলিনি কখনো পেটের নিচে ফেলে ।😔
(তখন ছেলেটি মায়ের পা ধরে কেঁদে দিয়ে বলে)🙇🤱🙏
🙏মা আমি তোমার ঋণ কখনো শোধ করতে পারবো না । 🙏

🤱🙍মা ও ছেলের গল্পটি ভালো লাগলে শেয়ার করবেন ।
ধন্যবাদ সম্পূর্ন পড়া

বি দ্রঃ কপি করা নিষেধ, সেয়ার করতে পারেন ।

লেখক মঙ্গল ✌️✌️

যারা আইডি ফলো না করে গল্প পরছেন নীল লেখায় চাপ দিয়ে আইডি ফলো করেন 👉👉 Jaan Chummma dibaa

10/04/2024

আমার বয়স যেখানে ১৫ সেখানে ত্রিশ উর্ধ্ব বয়সী এক লোকের সাথে আমার বিয়ে হলো।বাবা প্রায় জোর করেই বিয়েটা দিয়েছেন।

বাবার একটাই কথা " ছেলে তো সরকারি চাকরি করে,ভালো টাকা কামায়।বিয়ে করবি না কেন? "

" বাবা আমি কেবল ক্লাস নাইনে।আর ওনার বয়স তো তোমার সমান "

বাবা দাঁত কিটিমিটি করে বললো " মে"রে গা"ল লাল করে দিবো ফাজিল মেয়ে।আমার বয়সী কে বলছে? জব করলেই বয়স বেশি হয় নাকি? "

" বাবা উনি দেখতে ভালো না।কালো,খিটখিটে চেহারা "

" বিয়ের পর প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে নিবি।ছেলের টাকার অভাব নাই "

ওনার সত্যিই টাকার অভাব নেই।বাবার ব্যবসা থেকে যে টাকা আসে সেটাই আকাশচুম্বী।তবে লোকটা আমায় প্রচন্ড ভয় পায়।কিন্তু ভয় তো আমার পাবার কথা!

বিয়ের সপ্তাহ খানিক বাদে উনি ফোনটা বিছানায় ফেলেই অফিসে গেলেন।কৌতূহলী হলে ফোনটা হাতে নিলাম।ইউটিউব,গুগলে তার সার্চ হিস্ট্রি দেখে রীতিমতো আমি হতভম্ব।ওনার সার্চের নমুনা

" বউকে ভালোবাসবো কিভাবে? "

" মেয়েদের মন বুঝার উপায় কি? "

সবশেষে যে সার্চটা দিয়েছেন সেটা দেখে আমি হাসবো না কাঁদবো বুঝে উঠতে পারলাম না।তিনি লিখেছেন

" কি করলে বউ খুশি হবে? "

এটা লেখার পর আবার ব্রাকেট দিয়ে লিখেছে " বউয়ের বয়স অল্প,বাচ্চা মেয়ে "

গল্প বউ_পাগল
লেখক জয়ন্ত_কুমার_জয়

যারা আইডি ফলো না করে গল্প পরছেন নীল লেখায় চাপ দিয়ে আইডি ফলো করেন 👉👉 Jaan Chummma dibaa

10/04/2024

#বক্ষপিঞ্জিরায়_শুধু_তুই
#পর্ব_৬
#লাইবা_ইসলাম

শার্লিন সিআইডি হেডকোয়ার্টারে আসলো। কমিশনারের রুমে গিয়ে বললো,
-"মে আই কাম ইন স্যার?"
-"কিরে তোকে না কত বার করে বলেছি আমাকে স্যার ডাকবিনা। বাবাকে কি কেউ স্যার ডাকে?"
-"ওফফ মাই ডিয়ার কমিশনার আব্বু আপনার বুঝতে হবে এটা অফিস।" শার্লিন হাসতে হাসতে বললো।
-"হয়েছে রে হয়েছে। অজুহাতের গোডাউন তোর কাছে।" শার্লিন হাসতে লাগলো তার কথা শুনে।

সিআইডি কমিশনার রায়হান আজাদ। শার্লিনের সাথে তার সম্পর্ক বাবা মেয়ের মতই। মি. এবং মিসেস. আজাদ নিঃসন্তান। অতীতে এক অপারেশনে শার্লিন রায়হান আজাদ কে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচায়।তারপর থেকেই রায়হান আজাদ এবং তার স্ত্রী নাজমা আজাদ তাকে মেয়ের মত আদর করে। শার্লিন তাদেরকে আব্বু আম্মু বলেই ডাকে। তাদের অনেক বলার পরে মাঝে মাঝে শার্লিন তাদের ওখানে গিয়ে থাকে। শার্লিনের মামা মামির সাথেও তাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। তার মামা মামি অনেক খুশি যে তাদের পর কেও শার্লিন কে এত ভালোবাসে।

-"কি খাবি বল? কাচ্চি নাকি পিৎজা?" রায়হান আজাদ জিজ্ঞাসা করলে।
-"পিৎজা।" রায়হান আজাদ কাকে যেন ফোন করে অর্ডার দিলেন। শার্লিন বললো,
-"বলো কি হয়েছে এবার কি ইমার্জেন্সি তোমার।"
-" তুই তো জানিস সব কেনও তোকে আনিয়েছি বাংলাদেশে। কাজটা যত তাড়াতাড়ি হবে তত ভালো, নাহলে ক্ষতি বাড়তেই থাকবে।"
-"তুমি নাকে তেল ঘুমাওতো। আমি সব করে ফেলব। কিন্তু একটু সময় দাও প্লিজ, আসলে এবারের ব্যপারটা একটু ক্রিটিকাল।"
-" সবই জানিরে মা আমি। তাও একটু খেয়াল রাখিস যাতে তোর কোনও ক্ষতি না হয়, যদিও তোর মত ধানি মরিচ কে কেউ কিছু করতে পারবেনা হাহাহা।" বলেই রায়হান আজাদ হাসতে লাগলে।
-" হুহ হয়েছে হয়েছে। চলো আমরা ঘুরি আজকে তুমি, আমি আর আম্মু।"
-"বলছিস??? চল তাহলে। তোর মাকে গিয়ে সারপ্রাইজ দেই হাহাহা।" কিছুক্ষণ হাসাহাসির পর শার্লিন তার মামা মামির সাথে কথা বললো, রায়হান আজাদও বললেন। তারপর তারা ঘুরতে বের হলো।

পরেরদিন,
আবরার শার্লিন কে ধন্যবাদ জানানোর জন্য খুঁজছে। ওইযে শার্লিন! বাইক নিয়ে ঢুকছে ক্যাম্পাসে। শার্লিন বাইক পার্ক করে আবরার আর তার গ্যাং এর সামনে দিয়ে যাচ্ছে। আবরার ডাক দিলো,
-"এই মেয়ে শোনো!" শার্লিন কাছে এসে নির্লিপ্ত গলায় বললো,
-"আমার একটা নাম আছে!" আবরার বেশ ইগো এবং ভাব দেখিয়ে বললো,
-"সে যাই হোক!উমম... কালকে আমাকে বাঁচানোর জন্য ধন্যবাদ। আসলে কি জানো তো আবরার খান জিহানের জন্য যে কোনও মেয়ে তার কলিজাও কেটে দিতে পারে।" বলেই আবরার অহংকারের সহিত হাসতে লাগলো। শার্লিন হাসতে হাসতে বললো,
-"ফার্স্ট অফ অল, মানুষ বা যেকোনো প্রাণী কে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব। সেকেন্ড, আমি আপনাকে বাঁচিয়েছি এই কারণে যে আমি চাইনা কোনও বাবা মা এর কোল খালি হোক; এন্ড লাস্ট!! আপনার মত একজন আজাইরা, অহংকারী আর অকৃতজ্ঞ মানুষকে বাঁচালাম তাহলে যদি আপনাকে আল্লাহ হেদায়েত করে!!"
মূহুর্তেই আবরারের মাথায় দপ করে আগুন জ্বলে উঠলো। চোখমুখ শক্ত করে বললো,
-"শার্লিন হাসান! ভেবেছিলাম তোকে আমি মাফ করে দিব! কিন্তু নাহ, তোকে শেষ না করলে আমি শান্তি পাবোনা। তোকে শেষ বারের মত সুযোগ দিচ্ছি, এখান থেকে তুই চলে যাবি। নাহলে তুই দেখবি এই আবরার খান জিহান কি জিনিস!"
-"আমি এখান থেকে এক পা ও বের করবনা! আর হ্যাঁ দেখার জন্য তো আমি বসেই রয়েছি, আপনিই তো দেখাতে দেরি করছেন হাহাহা..." শার্লিন হাসিমুখে কথা গুলো বলে চলে গেল সেখান থেকে।
-"ঝানসি কি রাণী রে! উফফফ কি সুন্দর! যেমন রূপের আগুন তেমনি তার তাপ!" চোখ বন্ধ করে বললো রাজ। ওর সাথে তাল মেলালো সুমাইয়া,
-"ঠিক বলেছিস রে! মেয়েটা যেমন সুন্দরী তেমনি ওর তেজ! এই মেয়েই পারবে সব শয়তান কে ঠিক করতে!"
আবরার গর্জন করে উঠলো। টেবিলে বাড়ি মেরে বললো,
-"ওই মেয়েকে যদি আমি শেষ না করে দিয়েছি আমার নাম ও আবরার খান জিহান না! "
-"কি করবি তুই? আবরার তোর মনে হয়না তুই একটু বেশি বেশি করছিস?" সুমাইয়া রেগে বললো। আবরার কিছু বললোনা, শুধু কি যেন ভেবে কেমন একটা চাহনিতে বাঁকা হাসলো।


লাঞ্চ টাইমে শার্লিন যখন হলরুমের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো সে শুনতে পেল কয়েকজন ফিসফিস করে কথা বলছে অন্ধকার হলরুম থেকে, দরজাটা একটু খোলা। শার্লিন অতি সাবধানে কান পাতলো,
-"কিরে সব সাপ্লাই করা শ্যাষ?"
-"হ ভাই, কিন্তু আমাগো কাস্টমার বেশিরভাগই এই ভার্সিটির পোলাপান ছিলো বুজছেন।"
-" হাহাহা হ, বস এর টার্গেট তো এইডাই আছিলো। তবে, বাকি আশেপাশের এলাকায়ও ভালো বেচা হইতাছে।"
-"এক্কেরে ভাই একখান ভালা কথা। এই জায়গার স্টুডেন্ট সাইজ্জা ভালোই কামাইতাছি এহন।চলেন বসের কাছে যাই।"
-"হ চল। কিন্তু, খুব সাবধান।একবার ধরা পড়লে বস কিন্তু আমগো খুন কইরালাইবো। অহন চল, পরে আইয়া বাকি টেবলেট গুলান প্যাকেট করতে হইব।" এই বলে লোকগুলো বের হয়ে গেল, তারা বের হবার আগেই শার্লিন লুকিয়ে পড়ল। শার্লিনের কাছে এখন সব পানির মত পরিষ্কার। সে ভাবলো, আগে এদের ধরতে হবে তারপর তাদের বস কে। তারপর শার্লিন চলে গেল ক্লাসে।


পুরো ক্যাম্পাস কে সাজানো হয়েছে। সব প্রস্তুতি পরিপূর্ণ। পুরো ক্যাম্পাস কে এক স্বপ্নপুরী মনে হচ্ছে! সবাই বেশ খুশি।শুক্রবার, শনিবার এবং রবিবার ক্যাম্পাস বন্ধ থাকবে। সোমবার দিন নবীন বরণ অনুষ্ঠান। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবে শিক্ষামন্ত্রী। থাকবে পুলিশি পাহাড়া। কার্যক্রম হিসেবে থাকবে নতুন দের বরণ করা, নব নির্বাচিত ভি.পি. কে সংবর্ধনা দেওয়া, নাচ গান সহ আরোও অনেক কিছু!! অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল আটটা থেকে। প্রধান অতিথি দের কার্যক্রম শেষ হলে শুরু হবে নবীনদের বরণ করা এবং বাকি আনন্দপূর্ণ অনুষ্ঠান। নবীনদের বরণ করা হবে ফুল এবং চকলেট দিয়ে। সিনিয়র ছেলেরা বরণ করবে মেয়েদের এবং সিনিয়র মেয়েরা বরণ করবে ছেলেদের। নবীন মেয়েদের জন্য আলাদা গেইট এবং ছেলেদের জন্য আলাদা গেইট সাজানো হয়েছে ফুল দিয়ে। ভি.পি. রা আলাদা ভাবে দায়িত্বে থাকবে নবীনদের বরণের জন্য। শার্লিন হাজার মানা করার পরও অধ্যক্ষ তার নাম নবীনদের লিস্টে দিয়েছেন। তাই, সে হিসেবে সেও নবীন। যদিও সে নতুন স্টুডেন্ট কিন্তু, দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি হয়েছে বলে শার্লিনের কাছে বিষয়টা অনেকটা অবান্তর লাগে।

শার্লিন প্ল্যান করছে অনুষ্ঠানের দিনই তাকে সব জায়গায় ঢুঁ মারতে হবে যদি কোনও ক্লু পায় কারণ সবার ব্যস্ত থাকার সুযোগ নিয়ে অপরাধীরা আরোও গর্জে উঠবে। শার্লিন গোপনে কিছু বিশেষ পুলিশদের রাখবে অতিথি হিসেবে এবং তাদের সাহায্য করবে তাদের অধ্যক্ষ।

শার্লিন বাসায় আসলো।গোসল করে,খেয়ে, নামাজ পড়ে বেরিয়ে গেল তার বাবা মায়ের কাছে। শার্লিন তার বাবা মায়ের কবরের মাঝখানে বসলো। তার চোখ দিয়ে অঝরে অশ্রু গড়ছে। তার খুব একা লাগছে। শার্লিন খুব খুব করে কান্না করছে। তার কাছে মনে হয় সে যদি অনেক কান্না করে তাহলে তার কষ্ট দেখে হয়তো তার বাবা মা ফিরে আসবে!! সে এখন অনেক বড় হলেও তার মন টা এখনও অবচেতন! তার খুব করে মন চাচ্ছে কবরের ভিতরে ঢুকে যেতে। যার বাবা মা নেই সে বুঝে কি কষ্ট!! কি নিদারুণ কলিজা ছিঁড়া কষ্ট!! শার্লিন যদি তার কলিজা দান করেও যদি তার বাবা মা কে ফেরত পেত! শার্লিন তার ভিতরে অনেক কষ্ট পুষে রেখেছে যা কোনওদিন কখনো কাওকে জানতে দেয়না!! তার বেশিরভাগ রাতই কাটে তার বাবা মায়ের ছবি দেখে এবং তাদের জন্য চোখের পানি ফেলে।সে দোয়া করল তার বাবা মায়ের জন্য এবং আল্লাহ কে বলে তার শত্রু কেও যেন আল্লাহ এতিম না বানায়! একমাত্র একজন এতিম ই জানে বাবা মা না থাকলে কত কষ্ট হয়....!

#চলবে....

( এই পর্বের শেষ অংশ লিখতে গিয়ে নিজেই কেঁদে ফেলেছি। কমেন্ট করে জানাবেন আপনাদের কেমন লাগছে গল্পটি)

10/04/2024

#বক্ষপিঞ্জিরায়_শুধু_তুই
#পর্ব_৫
#লাইবা_ইসলাম

আজ বুধবার। সোমবার এসে পড়ছে। আসছে নবীন বরণ। তাই প্রস্তুতি চলছে খুব তোড়জোড় ভাবে। আবরার সবাইকে দায়িত্ব দিয়ে নিজেও সবকিছু সামলাচ্ছে। রিয়ান ও কাজ করছে, মাঝে মাঝে আবরারের দিকে রক্তচক্ষুতে তাকাচ্ছে। আবরারও সেটা ইনজয় করছে এবং রিয়ান কে উদ্দেশ্য করে খোঁচা মারা কথা বলছে।
-"কিরে সারাজীবন তো বসেই থাকিস তোরা, পড়ালেখা তো করিস না বুঝিনা কি করে এই ইউনিভার্সিটি তে চান্স পেলি। এখন একটা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটাও পারিস না। পারিস খালি বসে বসে মানুষের ওপর অত্যাচার চালাতে।" রিয়ান এটা শুনেই রাগে জ্বলে উঠলো। আবরারের সামনে গিয়ে বললো,
-"সাহস থাকলে সরাসরি বলে দে যে তুই রিয়ান আহমেদের সাথে গেম খেলতে চাস।" আবরার ফিক করে হাসলো,
-"এত তাড়া কিসের বন্ধু! আর তুই তো আমার জানের দোস্ত তাইনা তোকে কিভাবে নিজের ভয়ংকর রূপ দেখাই?" বলেই আবরার হাসতে লাগলো, রিয়ান রাগে কাঁপছে।

রিয়ান আহমেদ শীর্ষ ড্রাগ ডিলার সুলতান আহমেদের ছেলে। তার বাবা একসময় কোনও এক বুদ্ধিমান পুলিশের হাতে পড়ে যায়। মারা যায় সে। রিয়ান তার পরিচয় খুব কঠোরভাবে গোপন রেখে বাবার ব্যবসা টা আবার ধরে এবং চালিয়ে যায় এবং লোক লাগিয়ে রেখেছে বাবার হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। আবরার কয়েকবারই রিয়ানের কাজ নষ্ট করে দিয়েছিলো, কিন্তু আবরার এখনও পরিষ্কার নয় রিয়ান টা আসলে কে। তার কুকর্মের কথা আবরার সহ অল্প কয়েকজনই জানে। তার টার্গেট এখন এই ইউনিভার্সিটি এবং আশে পাশের এলাকা, ড্রাগ ডিলিং করা। তাছাড়া, ইউনিভার্সিটি তে সবাই আবরার কে যত পছন্দ করে রিয়ান কে সবাই ততই অপছন্দ করে এবং এড়িয়ে চলে। রিয়ানের রেকর্ডে অনেক মেয়েলি ঘটিত অপরাধও রয়েছে। বার কয়েক আবরার ভি.পি. নির্বাচিত হওয়ায় রিয়ানের অনেক ক্রুদ্ধ, সে অনেক চেষ্টা করে আবরার কে হারানোর। তাই, আবরার এবং রিয়ান একে অপরের শত্রুও বলা যায়।

সবাই তাকিয়ে দেখছে আবরার এবং রিয়ানকে আর ভাবছে আবার কোনও বড় গ্যাঞ্জাম লাগতে চলেছে। আবরার আর রিয়ানের মধ্যকার দূরত্ব এখন পাঁচহাত।
হঠাৎ করে দুইজনেই খেয়াল করলো শার্লিন খুবই দ্রুত দৌড়ে তাদের দিকেই আসছে কিন্তু, দুইজনের একজনও বুঝতে পারছেনা শার্লিন ঠিক কার কাছে আসছে। কিছু বুঝে উঠার আগেই শার্লিন খুব জোরে আবরার কে ধাক্কা মেরে নিজেও পড়ে যায়, পিছিয়ে যায় রিয়ানও। আবরার একটু দূরে গিয়ে পড়ে যাওয়ার সাথে সাথেই দেখতে পায় সে যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলো সেখানে খুব শব্দ করে গাছের বিশাল একটা মোটা মগডাল ভেঙে পড়ে। মুহুর্তেই চারদিকে লোকজন জড়ো হয়ে গেল; সব স্টুডেন্ট, প্রফেসর এবং শিক্ষকরা ছুটে এলো। আবরারের মাথায় মাত্র ঢুকলো কি হয়ে গেলো এতক্ষণে, ভয়ে তার শরীর কাঁপছে এবং চোখমুখ লাল হয়ে গিয়েছে। রিয়ানও উঠে দাড়াঁলো ভয়ে কিন্তু শার্লিন তখনও মাটিতে শুয়ে বড় বড় নিঃশ্বাস নিচ্ছে, হাঁপাচ্ছে সে। তার যেন সব শক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে সে না আসলে এতক্ষণে কি হত সেটা ভেবে, এখনই এক বাবা মায়ের কোল খালি হতে যাচ্ছিলো কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে!!!! সে বার বার আল্লাহর নাম নিচ্ছে আর হাঁপাচ্ছে।

আবরারকে পানি খাওয়ানো হলো, কেও তাকে বাতাস করছে। রিয়ানের এসব সহ্য হলোনা, তাই সে চলে গেল সেখান থেকে। শার্লিন উঠে দাড়াঁলো। তার যেতে হবে হেডকোয়ার্টারে, একটা ইমার্জেন্সি কল এসেছে। সবাই শার্লিন কে ঘিরে ধরলো, আবরার তাকিয়ে আছে তার দিকে এবং ভাবছে সে না থাকলে আজ তার কি হত! শার্লিন উঠতেই মায়া এসে তাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলো।
-"আরে আমার তো কিছুই হয়নি। তোমাদের ভি.পি. কে চেক করে দেখ সে ঠিক আছে নাকি।"
-"তুমি তো আবরার ভাইকে সরিয়ে দিয়েছো। তোমার ওপরে যদি ডালটা পড়ত তাহলে কি হত!"
-"কিছুই হতোনা মায়া! কেউ নেই যে আমার জন্য কাদঁবে। হয়তো পৃথিবী থেকে কোনও আপদ বিদেয় হত!" বলেই শার্লিন চলে গেলো অধ্যক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে। সবাই তাকিয়ে আছে শার্লিনের চলে যাওয়ার দিকে।

#চলবে...

10/04/2024

#মায়াপরি
#সাদিয়া_আহমেদ_রোজ
#শেষ_পর্ব

- " জ্বীনহুজুর শুনছেন? এখানে গোসল করার জায়গা কোনটা? গোসলখানার মতো কোনোকিছুই তো চোখে পড়ছে না। "

মায়ার কথায় পেছন ঘুরে তাকালো মুহিব। এতক্ষন সামনে থাকা ঝর্ণার দিকে চেয়ে ছিলো ও।

- " ঝর্নায় করতে পারো। এদিকটায় কেউ আসবে না।"

মায়া নিচে তাকিয়ে দু পা পিছিয়ে গেলো ভয়ে।
- " এতো নিচে? আপনিও চলুন। একা গোসল করতে যাবো না। আচ্ছা আপনি গোসল করবেন না? "

- " গোসল? "

মুহিব কিছু একটা ভেবে মায়াকে কোলে তুলে নেয়। মায়া চোখ বুজে মুহিবের গলা জরিয়ে ধরে। মুহিব মায়াকে কোলে নিয়ে ঝর্ণার একেবারে কাছে চলে আসে। ছিটে ছিটে পানি এসে পড়ছে মায়ার মুখে। ঝর্ণার পানি মায়ার শরীরের যে অংশে পড়ছে সে অংশটুকু ক্রমোশ নীল হচ্ছে। পানিতে মায়ার ছাঁয়া ছটফট করছে। মায়া আধুবুলিতে বলে

- " আমার হাতে আর কতটুকু সময় আছে মুহিব? আমি আর কতদিন এখানে থাকতে পারবো? "

মায়ার কথায় ভড়কে যায় মুহিব। নিজেকে সামলে উত্তর দেয়।

- " রাদ আর ছাঁয়ার বিনাশের পর আমরাও শেষ হয়ে যাবো। তোমার আর আমার জন্ম হয়েছে জ্বীন জাতিকে রক্ষা করার জন্য। তাই আমাদের এইটুকু ত্যাগ স্বীকার করতেই হবে। "

মায়া হাসলো মুহিবের কথায়। মুহিবের কোল থেকে নেমে পানিতে পা রাখলো। পা দুটো অসম্ভব জ্বলছে তবুও মায়া পা সড়ালো না। মুহিব এসে মায়ার পাশে বসে।

- " তবে কেন বলেছিলেন আমাদের তাজওয়ার আসছে? আপনি কি অভিশাপটার কথা ভুলে গেছেন? আমার বাবা নিজে আমাকে অভিশাপ দিয়ে গেছে আমার ছেলে জ্বীন হয়ে জ্বীনজাতিকে ধ্বংস করবে, আমার বোন বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেবে আর আপনার ভাই জ্বীনরাজ্যে হাসিনের শাষন চালাবে। "

- " জানতাম তোমার সব মনে পড়ে যাবে। "

- " স্বাভাবিক নয় কি? আমি সেই মায়া যে নিশিষে সবটা শেষ করতে পারে আবার রক্ষা করতেও পারে। আমি সেই মায়াজান যে শুধু ধ্বংসে খুশি হয়। আমি কোনো মায়াপরি নই যে ভালোবাসা দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে পারে। কাউকে ভালোবাসি না আমি। শুধু নিজেকে ছাড়া। তাই আজ থেকে এটা মায়ারাজ্য হবে। মায়াজানের মায়ারাজ্য। "

মায়ার কথায় মুহিব বিষ্ময়ের ঘোর কাটিয়ে উঠতে পারে না। এতোবছরের এতো কিছু কি তবে বৃথা হয়ে গেলো? মায়া কি আগের মতোই আছে?

মায়া নিজের চোখ রাখলো প্রাসাদের দিকে। সাথে সাথে সেখান দিয়ে আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়ে । মুহিব মায়ার কাজে হকবাক। জ্বীন আগুনের তৈরি হলেও প্রাসাদের আগুন নেভানোর ক্ষমতা ওদের নেই। এটা একমাত্র তাজওয়ারের মা'ই নেভাতে পারবে।

- " মায়া আগুন নেভাও। দয়া করে আগুন নেভাও মায়া। "

মায়া শব্দ করে হাসে। পানির নিচ থেকে ছাঁয়াকে উঠিয়ে নিজের পাশে বসিয়ে দিলো মায়া। তারপর সদর দরজায় ইশারা করলো। রাদ দাড়িয়ে আছে।

- " ভেতরে আসুন রাদ। নিজের প্রাসাদ, নিজের রাজ্যে প্রবেশ করুন।"

- " ধন্যবাদ তোমাকে মায়াজান। "

মায়া উঠে রাদকে হুকুম করে।
- " সবাইকে বন্দি বানিয়ে রাখো। কাল আমার তাজ অভিষেকের পর এদের শেষ করবো আমি। "

মুহিবের চোখ জ্বলছে। মায়া কি করতে যাচ্ছে? তবে কি রাদের অশুভ শক্তি মায়ার ভেতরে চলে এসেছে? মায়াও দুষ্টুপরিতে পরিনত হয়েছে।

আয়নার সামনে দাড়িয়ে চুল ঠিক করছে মায়া। রাদ পেছন থেকে মায়ার কোমর জরিয়ে ওর কাধে নিজের চিবুক রাখে। মায়া কিছু বলছে না। শুধু নিজের সাজসজ্জা নিয়ে ব্যস্ত থাকছে। রাদ মায়ার ঘাড়ে নিজের ঠোট রাখলো।

- " রাদ বাইরে যাও। আমার সাজতে অসুবিধা হচ্ছে। বিরক্ত লাগছে তোমার এই স্পর্শ। "

- " কাল থেকে তুমি আমার হবে মায়াজান,, আমার স্বপ্ন সত্যি হবে। আমার মন আজ খুব ভালো। মুহিবকে শেষ করবো আমি। "

- " হুম। শেষ করো সবাইকে। এতোগুলো বছর আমাকে অন্ধকারে রাখার জন্য ওদের শাস্তি পেতে হবে। আমার বোনকে ওরা রাজ্য থেকে বের করে দিয়েছিলো, তোমাকে বের করে দিয়েছিলো এই সবের শাস্তি পাবে ওরা । "

- " আমি গিয়ে দেখি ওদের কি অবস্থা। "

রাদ চলে যেতেই মায়া নিজের কোমরে ছুরি গুজে দিলো। রক্ত আটকে দিলো ওরনা দিয়ে বেধে। পেট ব্যাথায় পা দুটো থরথর করে কাঁপছে। বিছানায় বসে পা দুটো নাড়াতে নাড়াতে আয়নায় তাকালো মায়া। ছাঁয়াপরিও একই যন্ত্রণায় কাঁপছে।

- " তুই ভুল করছিস মায়া। তুই কিছুতেই ওকে মারতে পারিস না। আমাদের বাবার স্বপ্নের কথা ভুলতে পারিস না। এতোটা স্বার্থপর হতে পারিস না তুই। "

- " মায়াজান হলো পরিলোকের সব থেকে খারাপ পরি। তোর থেকেও খারাপ। আর আমি যেটা চাই সেটা যেকোনো মুহূর্তেই আমি পূরন করবো। "

- " ওদের মেরে পস্তাবি তুই। "

ছাঁয়ার চোখের দিকে তাকালো মায়া। তারপর নিজের শক্তি দিয়ে ছাঁয়ার বাকশক্তি কেড়ে নিলো।

- " তোকে কিছুক্ষন চুপ থাকতে হবে বোন। নাহলে যে তুই'ই আমার পথের কাটা হয়ে উঠবি। সেটা মায়াজান কিভাবে হতে দিতে পারে? "

ছাঁয়া ছটফট করছে মায়ার কথা শুনে। মায়া একটা চাদর এনে আয়না ঢেকে দিলো।

মুহিবকে মায়াজাল দিয়ে বেধে রাখা হয়েছে। রাদ মায়াচাবুক দিয়ে আঘাত করছে মুহিবকে। মায়া ওখানে গিয়ে রাদের হাত থেকে চাবুকটা ছিনিয়ে নেয়।

- " এবার আমি। তুমি গিয়ে বিশ্রাম নাও রাদ। "

- " যেমন তোমার ইচ্ছা। তবে একেবারে মেরো না। কাল আমি নিজে শেষ করবো ওকে। "

মায়া মুচকি হাসলো। রাদ চলে যেতেই মুহিব মায়ার দিকে অসহায় চোখে তাকালো।

- " তুমি যাই করো না কেন মায়া, মুহিব কখনো তোমাকে ঘৃণা করবে না। শেষ হয়ে যাবে মুহিব তবুও তার মায়াপরিকে সে ভালোবেসে, ভালো দেখে, ভালো রেখে যাবে। "

- " অতি উত্তম কথা। তবে মায়াপরি না, মায়াজান আমি। আর এখানে আসার কারন টা হলো তোমাকে একটা কথা জানানোর ছিলো। "

- " কি কথা? রাদ কি তোমাকে কোনো ভয় দেখিয়েছে? তার জন্য তুমি এমন করছো? আমাকে বলো আমি সব ঠিক করে দিবো। "

- " জ্বি না। কথাটা হলো আপনি যে সন্তানকে আমার গর্ভে দিয়েছিলেন? সে এখন নিশ্চিন্তে জান্নাতে বসে খেলছে। "

মায়ার কথা শুনে কয়েক মুহূর্ত স্তব্ধ হয়ে গেলো মুহিব। মায়া কি করে পারলো বাচ্চাটাকে শেষ করে দিতে? এটা কি সত্যিই সেই সাদিয়া যে একটু কষ্ট পেলেই কাঁদতো, ভয় পেতো, বাচ্চা ভালোবাসতো।

- " আমি সাদিয়া নই মুহিব আমি মায়াজান,, যার ভেতরে কোনো মায়া নেই। আছে শুধু রাগ, ধ্বংস। "

- " তোমার শত্রুতা তো আমাদের সাথে ছিলো মায়া। আমার বাচ্চার সাথে না। "

- " তোমারই তো বাচ্চা। তাই শত্রুতা সরাসরি তৈরি হয়ে গেলো। জানোই তো মায়াজান নিজের কোনো শত্রুকেই রেহাই দেয় না। "

মুহিব ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নিলো। মায়া শব্দ করে হাসছে। তারপর মায়াচাবুক তুলে মুহিবকে আঘাত করতে শুরু করে।

আজ মায়াজানের অভিষেক। মায়াকে তাজ পড়াবে ফারহান তাজওয়ার, আর তারপরেই মায়া হয়ে উঠবে সবচেয়ে শক্তিশালি পরি। রাদ তাজ হাতে নিয়ে দূরে দাড়িয়ে আছে। ফারহানকে মায়ার পায়ের কাছে বসিয়ে রাখা হয়েছে।

মায়া হাতের ইশারায় তাজ আনতে বলে।
- " মুহিব তাজ পড়িয়ে দাও আমাকে। "

- " অসম্ভব। আমার সন্তানের খুনিকে আমি তাজ পড়াবো না। কিছুতেই না। "

- " মায়াচাবুক আনো। "

মুহিবকে মায়াচাবুকের বারি দিতেই আৎকে ওঠে মুহিব।মায়া মুহিবের গাল চেপে ধরে ওর হাতে তাজের স্পর্শ করালো।

- " স্পর্শেই হবে। এখন তাজ আমি নিজেই পড়ে নিতে পারবো। "

কথাটা বলে মায়া তাজ নিজের মাথায় রাখলো। মুহিব চিৎকার দিয়ে মায়াকে থামতে বলছে। মায়া তাজ পড়ে শূণ্যে ভেসে ওঠে। সারা শরীরে সোনালি আভা ফুটে উঠছে। মায়ার চোখের পুরো অংশটা কালো হয়ে গেছে।

- " আম্মুজান কষ্ট হচ্ছে আমার। "

একটা বাচ্চাকন্ঠ শুনে চমকে আকাশের দিকে তাকালো সবাই। মায়ার পাশে ছাঁয়া ভাসছে। সেহের আর রিফাতকে আনা হয়েছে। সেহের নিজের খঞ্জর বের করে শূণ্যে উঠে আসলো। মায়াজান নিজের মায়া দিয়ে সেহেরকে নিচে নামিয়ে দেয়। তারপর সেহেরের দিকে তাকিয়ে একটা তীর্যক রশ্মি ছুড়ে দেয়।

- " রাদ বিবাহ করবে না আমাকে? "

রাদ খুশিতে আটখানা হয়ে উত্তর দিলো।
- " কবুল। "

- " কবুল। "

মুহিবের শক্তি কমে আসছে। মুহিব মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে কেঁদে উঠলো। মায়া রাদকে নিজের পাশে দাড়াতে বললো। তারপর মুহিবের দিকে তাকালো।

- " মুহিব! আপনার মায়াপরি আজ অন্যকারোর হয়ে গেলো। আপনি কিছু করতেই পারলেন না? আফসোস আপনার বাচ্চাটা এগুলোর স্বাক্ষী হতে পারলো না। "

মুহিব রেগে মায়াজাল থেকে নিজেকে ছাড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে। সফলও হয়। মুহিব নিজের সব শক্তি কাজে লাগিয়ে উঠে দাড়ায়।

- " মায়াজান আর রাদকে শেষ করার দায়িত্ব আমাকেই দিয়েছিলো আব্বুজান। যদিও আমি আমার মায়াপরিকে কখনো আঘাত করতে পারতাম না। তবে মায়াজানকে শেষ করতে পারবো, আমার বাচ্চার খুনিকে শেষ করতে হাত কাঁপবে না আমার। "

বলেই নিজের তরবারি প্রদর্শন করলো মুহিব। রাদের দিকে মুহিব এগিয়ে আসতেই মায়া মুহিবের পথ রোধ করে। মুহিব মায়ার হাতে তরবারি দিয়ে আঘাত করে। মায়া লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। মুহিব নিজের তরবারির এক আঘাতে রাদের মস্তক কাধ থেকে আলাদা করে ফেলে। মুহিব পেছনে ফিরে ছাঁয়ার দিকে তাকাতেই মায়া উঠে দাড়ায়। মায়ার হাত বেয়ে রক্ত পড়ছে। মুহিব অবাক হয় এটা দেখে, কারন পরিকন্যাকে একমাত্র তার স্বামী মারতে পারবে, তবেই সে আঘাতপ্রাপ্ত হবে। কিন্তু মায়া তো এখন রাদের স্ত্রী। মায়ার চোখের ইশারায় সেহেরের হাতের খঞ্জর মায়ার হাতে চলে আসে। ছাঁয়া চিৎকার দিয়ে বলে।

- " তুই এটা ঠিক করলি না মায়া। এর জন্য তোকে পস্তাতে হবে। তোকেও শেষ হতে হবে। রাদকে মারার ফল তুই তোর জীবন দিয়ে পাবি। কিভাবে বাঁচাবি এই রাজ্য? নিজের সন্তান? "

মায়া আলোর বিপরীতে দাড়ালো। যার কারনে ছাঁয়া ঠিক মায়ার সামনে উপস্থিত হয়। মায়া ছাঁয়ার গলা চেপে ধরে ওর বুকের বা-পাশে খঞ্জর ঢুকিয়ে দেয়। নিমিষে হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো ছাঁয়া।

মুহিব মায়ার কাছে আসতেই মায়া আকাশের দিকে উঠে যায়। চারপাশ থেকে কালো ধোয়া এসে মায়াকে আষ্টেপিষ্ঠে বেঁধে ফেলছে। সেহেরের পেট থেকে কান্নার আওয়াজ আসছে।

- " আম্মুজান। আমাকে আপনার সঙ্গে নিয়ে যান। "

আবারও বাচ্চাকন্ঠ শুনে সেহের নিজের পেটের দিকে তাকায়। পেটটা ফুলে আছে। রিফাত অবাক হয়ে সেহেরকে ধরে আসনে বসিয়ে দিলো। মুহিবের হাত-পা কাঁপছে। মায়াকে নিচে পড়তে দেখে মুহিব ছুটে যায় মায়ার কাছে। মায়ার সারা শরীর কালোবর্ণ ধারন করেছে।

- " আপনার বাচ্চা সুরক্ষিত আছে মুহিব। সেহেরের গর্ভে আছে। আপনার মায়াপরি কখনো মায়াজান হতে পারবে না। কারন আপনার ভালোবাসায় সিক্ত সে। আপনাকে যত আঘাত করেছি তার দশগুন আঘাত নিজে সহ্য করেছি। আপনি ভাবলেন কিভাবে একজন মা তার সন্তানকে মারবে? যদিও ভেবে ভালোই করেছেন।মায়া পরির তো নিজের স্বামীর আঘাত আর ঘৃণার প্রয়োজন ছিলো। আজ সেটা নিয়েই আমার সমাপ্তি হোক। ' মাহতাব ' কোনো শক্তি পাবে না। একজন মানুষের মতো হবে ও। দয়া করে ওকে পৃথিবিতে আব্বু আম্মুর কাছে রাখবেন। আমার অপূর্ণতা ও পূরন করবে। আসছি আমি। "

- " মায়াপরি!!!! "

- " একবার ভালোবাসি বলবেন? শেষ মুহূর্তে খুব ইচ্ছে করছে এটা শুনতে।"

- " ভালোবাসি মায়াপরি,, খুব ভালোবাসি তোমাকে। দয়া করে আমাকে ছেড়ে যেওনা। আমি তোমাকে ঠিক করবো। "

- " রাদের সব অশুভ শক্তি যাদের মধ্যে রেখে গিয়েছিলো তাদেরকে মুক্ত করে দিয়েছে আপনার মায়াপরি। আর এখন মায়াপরির যাওয়ার সময় হয়েছে। নিজের সাথে সাথে সব অশুভ শক্তিকে শেষ করতে হবে। সবাইকে রক্ষা করতে হবে তো। "

- " তুমি এমন করতে পারো না মায়াপরি। তোমার মাহতাব তোমাকে চায়। "

- " ওর জন্য সবাই আছে। সবার ভালোবাসা পাবে ও। তখন ও ভুলেই যাবে আমার কথা। আল্লাহ হাফেজ।"

- " মায়াপর "

মুহিবের কথা শেষ হবার আগেই মায়ার শরীর অদৃশ্য হতে শুরু করে। মুহিব মায়াকে নিজের বুকের সাথে শক্ত করে জরিয়ে ধরে।

🥀🥀🥀

পরিশিষ্ট:-

ছোট ছোট পাঁচটা পৃষ্ঠা হাতের ভাজে নিয়ে গুটি গুটি পায়ে সাফিন চললো ওর মায়ের কাছে। রান্নাঘরে না ঢুকে মন খারাপ করে বললো।

- " আম্মু আমি তো এখন বড় হয়েছি। তাহলে বলো না মায়াপরি কেন, কিভাবে এসব করেছে? মায়াপরির এই গল্পটা পড়লে কেন আমার এতো কান্না আসে?"

সাফিনের কথা শুনে ওর মা গ্যাসের চুলা বন্ধ করলো। সাফিনকে কোলে নিয়ে ঘরে এসে খাটে বসিয়ে দিলো। সাফিন ওর মায়ের কোলে গুটিসুটি মেরে বসে আছে।

- " সত্যি তো আমার সাফিন তো অনেক বড় হয়ে গেছে। তা আমার সাফিন বাবু কি জানতে চায়?"

- " মায়াপরি কেন মারা গেলো? পুরোটা বলবা। অর্ধেক শুনতে চায় না সাফিন। "

- " মায়াপরিকে অভিশাপ দিয়েছিলো ওর বাবা,, যে ওর ছেলে জ্বীনদের ধ্বংস করবে। সেই শক্তি ওর ছেলের মধ্যে থাকবে। মায়াপরি চেয়েছিলো সবার খারাপ শক্তি নিজের ভেতর নিয়ে পুরো রাজ্যকে সুরক্ষিত করতে। "

- " তাহলে ওর বাবু ও সেহেরকে কেন দিলো? "

- " কারন মায়াপরি মারা যাবে। মা যদি মারা যায় তাহলে কি বাবু বাঁচে? বাবুও তো দম আটকে মারা যাবে। তাইনা? "

- " হ্যা তাই তো। আচ্ছা ও কেন মুহিবকে কষ্ট দিলো? মুহিব কেন ওকে মারলো? মুহিব পচা। "

- " কে বলেছে মুহিব পচা? মুহিবও ভালো। মায়াপরিও ভালো। মায়াপরি তো মুহিবকে মিথ্যা বলেছিলো। বলেছিলো ও বাবুটা মেরে ফেলেছে। পরিরা মিথ্যা বললে পাপ হয় তাই মুহিব রেগে গিয়ে মায়াকে ঘৃণা করে।"

- " ওহ,, রেগে গেলে বুঝি মানুষ ঘৃণা কররে? আমি কখনো কারোর ওপর রাগ করবো না। রেগে গিয়ে ঘৃণা করলে তো তাকে মেরে ফেলবো আমি। "

- " আমার সাফিন বাবু তো খুব সুইট। ও কারোর ওপর একটুও রাগ করে না। "

- " কিন্তু ওখানে কেন বলা হয়েছে? স্বামী মারলে মায়াপরি মরে? মুহিব তো ওর স্বামী না।রাদ ওর বর। "

- " এখানে মায়াপরি নিজের মায়ার সাহায্য নিয়েছিলো। মায়াপরি মায়া দিয়ে রাদকে বশ করে রেখেছিলো। তাই মায়া নিজেই রাদের মুখ দিয়ে কবুল বলেছে। "

- " তার মানে ওদের বিয়ে হয়নি। মুহিবই মায়ার বর? "

- " আমার ইন্টেলিজেন্ট সাফিন বাবু সব বুঝে গেছে। "

- " আমি ইন্টেলিজেন্ট যে তাই। আচ্ছা মায়াপরি নীল কালো হয়েছে কেন? "

- " নীল হয়েছিলো কারন তখন মায়ার মধ্যে ছাঁয়া ছিলো। আর কালো হয়েছিলো কারন অশুভ লক্ষনের চিহ্ন কালো, মায়াপরি তখন পরিলোকের জ্বীন রাজ্যের সবার খারাপ শক্তি নিজের মধ্যে নিয়েছিলো তাই ও কালো হয়ে গিয়েছিলো। "

- " আচ্ছা মায়াপরি বাবুটাকে মারেনি কেন? তাহলেই তো সব মিটে যেতো। "

- " তুমি বুঝবে না সাফিন। এটা মায়ের ভালোবাসা। প্রতিটা মা নিজের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও নিজের সন্তানকে রক্ষা করে। যদি তার প্রাণও চলে যায় তবুুও আফসোস করে না। তুমি বড় হয়ে যখন বাবা হবে তখন বুঝবে সন্তানদের মা-বাবা কতটা ভালোবাসে। "

হঠাৎ সাফিন খিলখিল করে হেসে ওঠে। মুখ হাত দিয়ে ঢেকে বলে।
- " একটা জিনিস দেখেছো আম্মু। আমার নাম সাফিন মাহতাব। তুমি সেহের, বাবা রিফাত আর বড়আব্বু মুহিব। আমাদের নামের অনেক মিল তাইনা? শুধু একটা মায়াপরি নেই। "

মুহিব দরজা বাইরে থেকে এটা শুনেই দাড়িয়ে যায়। সেহেরের চোখে পানি চলে এসেছে। রিফাত নিচ থেকে সাফিন সাফিন বলে ডাকতেই সাফিন দৌড়ে নিচে চলে যায়। মুহিব ঘরে ঢুকে সেহেরের দিকে একনজর তাকালো।

- " মায়াপরি আছে। সাফিনের মধ্যেই আছে।মাহতাবের মা হয়ে। আর সর্বদা এভাবেই থাকবে। মায়াপরি কোথাও যায়নি, কোথাও না। "

মুহিবের কাঁপাকন্ঠের কথাটা যেন দেওয়ালের সাথে বার বার বারি খেয়ে ফিরে আসছে। চারপাশ থেকে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।

- " মায়াপরি কোথাও যায়নি। মায়াপরি আছে। মিশে আছে, মাহতাবের সাথে। "

❤️সমাপ্ত❤️

[ 💙💙
আপনাকে আমি যতবার দেখেছি ততবারই আমার হৃদয়স্পন্দন বেড়ে বেড়ে লাস্ট ডিগ্রী ছাপিয়ে গেছে। যদি আমি হার্টএট্যাক করতাম? তখন সে দায় কে নিতো? আপনি নিশ্চই নিতেন না। আপনার চোখদুটো অসম্ভব রকমের সুন্দর এটা কি জানেন? যখন আপনি রেগে চোখ গোল গোল করে তাকান কিংবা ভ্রু কুচকে তাকান তখন আপনাকে সবথেকে বেশি কিউট লাগে। আপনার হাসি যে মারাত্মক ভয়ংকর সেটা কি জানেন? এ পর্যন্ত একবারই আপনার হাসি দেখার সুযোগ পেয়েছি। যেদিন আমি চলে আসছিলাম ঠিক তার আগের দিন। কেন আমি থাকাকালীন হাসেন নি? এটা অনেক বড় অন্যায়। বুঝেছেন?

শুনুন আর সিগারেট খাবেন না। জানেন না? সিগারেট স্বাস্থের পক্ষে ক্ষতিকর। তবুও সকালে বিকালে কিসের এতো সিগারেট টানা? ছ্যাকা খেয়েছেন বুঝি? যে ছেড়ে যাওয়ার সে গেছে। তাকে ভেবে নিজেকে এভাবে কষ্ট দিচ্ছেন কেন? শুনুন বাড়ির সবার খেয়াল রাখবেন। বাবামায়ের একমাত্র আদরের ছেলে বলে কি হাতির পাঁচ পা দেখেছেন? রাতবিরাতে বাইরে ঘুরাঘুরি করেন কেন? জানেন আপনার টেনশনে আমার ঘুম হতো না। যতক্ষন না আপনি আসতেন ততক্ষন জানালার দিকে তাকিয়ে থাকতাম আমি। আপনার জন্য আমার চোখের নিচে কালি পড়েছে। যে আপদটা এতোকাল ছিলো না সেই ব্রণ বেড়িয়েছে আমার গালে। অবশ্য একটা বেড়িয়েছে তাতে কি? বেড়িয়েছে তো। এখন তো আমি আরও খারাপ দেখতে হয়ে যাবো। সব দোষ আপনার। ইশ দু পৃষ্টা হয়ে গেছে। বাকিটা আবার পরের চিঠিতে

আল্লাহ হাফেজ ❤️❤️

10/04/2024

#মায়াপরি
#সাদিয়া_আহমেদ_রোজ
#পর্ব_০৪

বন্ধঘরে ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠছে মায়া। ব্যাথায় সারা শরীর অবশ হয়ে আসছে। কিছুক্ষন আগে মুহিব এসে মায়াকে বেল্ট দিয়ে বেধরম পিটিয়েছে। যার ফল ভোগ করছে মায়া। অথচ কস্মিনকালেও মুহিব এটা কল্পনা করতে পারেনা। কিন্তু কে বোঝাবে মায়াকে যে ওটা মুহিব না, রাদ ছিলো। মধ্যরাতে বাড়ি ফেরে মুহিব। আর সেহের মুহিবকে দেখামাত্র সবটা জানিয়ে দেয়। মুহিবের সারা শরীর লাল বর্ণ ধারন করছে রাগে।

- " ভাইজান বিশ্বাস করো আমি রাদ কে আটকানোর চেষ্টা করেছি, তোমাকে জানানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু আমার কোনো শক্তিই কাজ করছিলো না। আমি নিস্তেজ হয়ে পড়ছিলাম। মায়াপরিকে রাদ প্রচন্ড মেরেছে। এমনকি মারার পর ওর কাটা জায়গা দিয়ে নিজের অশুভ শক্তি ওর ভেতর প্রবেশ করানোরও চেষ্টা করেছে। জানি না এখন মায়াপরি কেমন আছে। ভয় করছে ওর কাছে যেতে। "

মুহিব কিছু না বলেই ঘরে ঢুকে যায়। লাইট অন করতেই দেখে মায়া দেওয়ালের কোনে গুটিসুটি মেরে শুয়ে আছে। মুহিবকে দেখে ফুপিয়ে কেঁদে ওঠে মায়া। মুহিব মায়ার পাশে এসে মায়াকে দেখতে লাগলো। সারা শরীরে দাগ বসে গেছে। মুখটুকুও ছাড়েনি। চোখের নিচে, ঠোটে সব জায়গা কেটে রক্তে মাখামাখি হয়ে গেছে।

- " তোমাকে স্পর্শ করার অনুমতি চাই আমার। স্বামীর অধিকার চাই। দয়া করে অনুমতি দাও।"

মুহিবের কথায় রাগে, ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নেয় মায়া। মেরে শরীরের এমন অবস্থা করার পরও আবার শরীরটাকেই চাচ্ছে মুহিব? ভাবতেই গা গুলিয়ে ওঠে ওর। ওদিকে মুহিব চাচ্ছে মায়ার শক্তি নিজের মধ্যে নিতে যেন ওরা আর মায়ার ক্ষতি না করে। কিন্তু মায়ার অনুমতি ছাড়া তো ও মায়াকে স্পর্শ করতে পারবে না।

- " কিছু বলো সাদিয়া। "

মায়া বালিশে মুখ গুজে আরও জোরে কেঁদে ওঠে। কোনো উপায় না দেখে মুহিব, ফারহান তাজওয়ার হয়ে ওঠে। জ্বীন কন্ঠে বলে ওঠে

- " আপনাকে স্পর্শ করার অধিকার কি আমি পাবো না মায়া? "

জ্বীনকন্ঠ শুনে পেছন ফিরে তাকালো মায়া। আর মুহিবের মুখশ্রী দেখে স্থীর হয়ে গেলো। মুহিব শূণ্যে ভাসছে পরনে সাদা জুব্বা আর টুপি। সারা ঘর মিষ্টি আতরের ঘ্রানে ম'ম করছে।

- " আপনি? "

- " আমিই ফারহান তাজওয়ার মুহিব। জ্বীনের বাদশাহ। আমিই রোজ আপনার কাছে আসতাম। আমাকে পাঠিয়েছেন আমার পিতা ওরফে আপনার মামাজান।আর যে মুহিব আপনাকে কষ্ট দেয় সে আর কেউ না আমারই যমজ ভাই রাদ। আপনি পরিকন্যা মায়া। কিছু মনে পড়ছে আপনার? "

মায়া কঠিন গলায় বললো।
- " নাহ। "

- " এখনও কি আমাকে বিশ্বাস করা যায় না? "

- " আপনি সত্য বলছেন তার প্রমাণ কি? হতে পারে আপনিই সেই দুষ্টু জ্বীন। "

তখনই রাদ কক্ষে প্রবেশ করে। একসাথে দুটো মুহিবকে দেখে ভয়ে দেওয়ালের সাথে মিশে যায় মায়া।রাদও মুহিবকে দেখে অবাক হয়। ওদিকে মুহিবের শরীর ক্রমোশ আগুন হতে শুরু করে। মানুষ থেকে আগুনে রূপান্তর হয় মুহিব। সেই সাথে রাদও আগুন হয়ে যায়। মুহিব রাদকে মায়ার থেকে সড়িয়ে বাইরে নিয়ে যায়। সেহের সেই সুযোগে ঘরে আসে।

- " ভাবি দয়া করে ভাইয়াকে তোমার কাছে আসার অনুমতি দাও। আজকের রাত টা পার হয়ে গেলে রাদের শক্তি তোমার ভেতরে চলে আসবে। তুমি খারাপ পরিতে পরিনত হবে। একবার বিশ্বাস রাখো ভাইয়ার ওপর তোমার সব কষ্ট দূর করে দেবে ভাইয়া। "

- " তুমি ঘরে যাও সেহের। তুমি ছোট ভয় পাবে। "

- " আমি তোমার ৬বছরের ছোট তবে তুমি শক্তিহীন বলে আমাদের থেকে কম ম্যাচিউর। রাজকন্যা আমি। ভয় আমাকে শোভা দেয় না। "

- " তুমি? "

- " জ্বীন কন্যা। তুমিও জ্বীন এবং পরিকন্যা ভাবি। মনে করার চেষ্টা করো সবকিছু, ঠিক মনে পড়বে। তুমি ভাইজানকে ভুল বুঝো না। দয়া করে ওকে আর কষ্ট দিও না। "

- " একি তুমি কাঁদছো কেন? আরে বোকা মেয়ে কাঁদছো কেন? আমার তো এটাই প্রাপ্তি যে আমি যাকে চেয়েছি তাকেই পেয়েছি। কিন্তু এর বাইরেও কিছু আছে যেটা আমি জানি না। "

- " সবটা জানতে পারবে। কাল সকালে তোমার সবটা মনে পড়ে যাবে। তারপর তুমি সবথেকে শক্তিশালী পরিতে পরিণত হবে। এটাই ছিলো সেই অভিশাপ। "

- " কোন অভিশাপ? "

- " ভাইয়া চলে এসেছে। তুমি থাকো আমি যাই। "

সেহের চলে যায়। মুহিব ধীরে ধীরে এগিয়ে আসে মায়ার দিকে। যুদ্ধ করে ক্লান্ত সে। মায়া মুহিবকে এভাবে দেখে উঠে দাড়ায়। মুহিব দ্রুত এসে মায়াকে ধরে কাতর কন্ঠে বলে।

- " আরে আরে উঠছো কেন? দূর্বল তুমি। তুমি গিয়ে ঘুমাও আমি ঠিক আছে।। আর কিছু লাগলে ডেকো। "

- " আমি আপনাকে আপনার অধিকার দিতে চাই মুহিব। আমি দাড়িয়েছি শুধু এটা দেখার জন্য যে আপনি আমার মুহিব কিনা? আমার মুহিব কখনো আমাকে কষ্ট দিতে পারে না, কষ্টে দেখতে পারে না। আর যে আমাকে মেরেছে সে তো আপনি নন। তাহলে আপনি কেন আপনার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন? আমার স্বামী আপনি তাই আমার ওপর সম্পূর্ণ অধিকার আছে আপনার। আমি নিজে আপনার কাছে ধরা দিয়েছি তার একটাই কারন ' আমার অতিত ও অভিশাপ সম্পর্কে জানতে চাই আমি।' আপনি আগে রেস্ট নিন। আমি আপনার জন্য পানি আনছি। "

- " পানি লাগবে না। তুমি আমাকে স্পর্শ করলেই আমার সব শক্তি ফিরে আসবে। আর ধন্যবাদ আমার কথা রাখার জন্য। "

মুহিবের কথা শুনে রেগে যায় মায়া। এভাবে বেহায়ার মতো আত্মসমর্পণ করেছে কি ধন্যবাদ শোনার জন্য? এই মুহূর্ত মুহিবকে জ্বীন নয় এলিয়েন মনে হচ্ছে মায়ার কাছে। কিন্তু মায়াও কম বুদ্ধিমতী নয়, সে পাল্টা উত্তর দেয়

- " ধন্যবাদ আমাকে তার মতো করে ভালোবাসার জন্য।জ্বীনহুজুর। "

মায়ার কথায় মুচকি হাসে মুহিব। মায়ার দুগাল ধরে নিজের কাছে নিয়ে আসে মায়াকে। ১৫বছরের অপেক্ষার ফল এই রাত। আকাশ থেকে একফাঁলি চাঁদের স্নিগ্ধ আলো ছড়িয়ে পড়ছে সারা ঘরে। পরিপূর্ন হচ্ছে দুটি মন, আর আসতে চলেছে জ্বীনজাতির ভাবি তাজওয়ার।

সকালে ঘুম ভাঙতেই নিজেকে মুহিবের সাথে লেপ্টে থাকা অবস্থায় দেখতে পায় মায়া। লজ্জায় মুখ নীল বর্ণ ধারন করেছে। মুহিবের রোমশ বুক যে মায়ার দূর্বলতা এটা বোধ হয় মুহিব জানে তাই গোসল করে নামায পড়ে খালি গায়েই শুয়েছে। মায়াও নামায পড়ে নিলো।বিছানার কাছে আসতেই মায়া দেখতে পায় মুহিব ওর দিকে তাকিয়ে আছে।

- " কি দেখছেন জ্বীনহুজুর? "

- " আমার ভাবি সন্তানের মা'কে। আমি সত্যিই ভাবিনি মায়া তুমি আমাকে ভালোবাসবে। ছোটবেলায় তো কম কষ্ট দেইনি আমি। তুমি ভুল করলে, আমার কষ্ট হলেও আমি তোমাকে মারতাম। তোমাকে একা পরিরাজ্য থেকে জঙ্গলে ছেড়ে আসতাম। তুমি কাঁদতে তবুও নিয়ে আসতাম না। বিশ্বাস করো আমি ইচ্ছা করে কিছু করতাম না। নিরুপায় ছিলাম আমি। কিন্তু সবকিছুর মাঝে একটা সত্যি হলো আমি তোমাকে দেখার প্রথমদিন থেকে তোমাকে ভালোবেসেছি, তোমার পাশে থেকেছি। আর আজও তোমাকেই ভালোবাসি। "

- " তাই? তাহলে আজ আমাকে কুরআন তিলাওয়াত করে শোনান। "

- " আজ নাহ। কাল। "

- " কেন কাল কেন? আজ শুনতে চেয়েছি আজ শোনাবেন।"

- " তোমার ভেতরে রাদের শক্তি আছে। আল কুরআনের আলো ও বাণী তুমি সহ্য করতে পারবে না। তোমাকে আগে পরিলোকে যেতে হবে। সেখানে তোমাকে তাজ পড়ানো হবে। তোমার ভাই রিফাত অপেক্ষা করছে তোমার জন্য। "

- " রিফাত? "

- " হুম। তুমি আসার পর একদুষ্টু পরির একটা ছেলে হয়। পরিটাকে মেরে ফেলে এক হুজুর। তারপর থেকেই রিফাত তোমার মায়ের কাছেই থাকতো।"

- " আমার কিছু মনে পড়েনি। "

- " কোনো ব্যাপার না। আচ্ছা মায়া কখনো যদি জানতে পারো আমি অনেক বড় একটা ভুল করেছি। তখন কি করবে? "

মায়া উত্তর দেয়।
- " ক্ষমা করে দিবো। "

- " যদি জানতে পারো তোমার সাথে অন্যায় করেছি? "

- " তাহলেও ক্ষমা করে দেবো।"

মুহিব কিছু বলতে গিয়েও থেমে যায়। মায়া নিজের পেতে হাত বোলাচ্ছে। কেমন জানি লাগছে ওর। মনে হচ্ছে পেটে কিছু আছে।

- " কি হলো? "

- " পেটে কেমন জানি লাগছে। "

- " সে আসছে। তাই এমন লাগছে। দাড়াও ব্যাথা কমিয়ে দিচ্ছি। "

মুহিব চোখ বুজে মায়ার পেট স্পর্শ করে। শীতল হাতের স্পর্ষে কেঁপে ওঠে মায়া। শিহরণে চোখ বুজে নেয়। আস্তে আস্তে ও অনুভব করে ব্যাথাটা আগের মতো নেই। মুহিব মায়ার চোখ বোজা দেখে মৃদু হাসলো।

- " নিন মায়াপরি হয়ে গেছে। আপনার ছেলেটা ভীষন দুষ্টু হবে বুঝলেন? "

- " এতো তাড়াতাড়ি? কিভাবে কি? "

- " আপনার প্রেমিকের পাওয়ার। দেখলেন তো একরাতের মধ্যেই মা বানিয়ে দিলাম। "

মায়া চোখ খুললো না। ও ভালো করেই জানে মুহিব এখন ওর দিকেই তাকিয়ে ঠোট বাঁকিয়ে হাসছে। যা দেখলে ও আরও বেশি লজ্জা পাবে। সেহের রুমে এসে ওদের এভাবে দেখে লজ্জা পেয়ে যায়। তবুও নক করে।

- " আসতে পারি? ভাবি তাজওয়ারের মাতাপিতা? "

মুহিব সড়ে দাড়িয়ে সেহেরকে ঘরে আসার অনুমতি দেয়। সেহের ঘরে ঢুকে মুহিবকে কিছু একটা বলে। মায়া চুলে বেনি করছে।

- " ভাবিজান বেনি করো না। ছাড়াই ভালো লাগছে। তোমরা বসো আমি সবাইকে জানিয়ে আসি যে আমরা কিছুদিনের জন্য আমাদের বাড়ি যাচ্ছি।"

- " মিথ্যা বলবা? জ্বীনপরিরাও কি মিথ্যা বলে? "

- " মিথ্যা কোথায় বললাম? মানুষের কাছে থাকার সুবাদে আরেকটা বাড়ি পেয়েছি কিন্তু আসল বাড়ি তো পরিরাজ্যে। "

- " ওহ। "

- " বুঝলে ভাইজান, ভাবিজান কিন্তু এখনো বোকাই রয়ে গেছে। কিচ্ছুটি বোঝে না। তাড়াতাড়ি তাজ পড়াতে হবে। তখন চট করে বড় হয়ে যাবে। "

সেহেরের কথায় হাসলো মুহিব। তারপর সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বেড়িয়ে পড়লো। মায়া শুধু দেখলো ওদের গাড়িটা আস্তে আস্তে হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে। ওরা মেঘের ওপর ভাসছে। পড়ে যাওয়ার ভয়ে ও দ্রুত মুহিবের হাত চেপে ধরে। মুহিব মায়াকে নিজের সাথে মিশিয়ে একহাতে আগলে রাখে।

- " ভয় নেই পড়বে না তুমি। তোমার মুহিব তোমাকে আগলে রাখবে সবসময়। "

সেহের হেসে বলে
- " আজ একটা বর নেই বলে। "

- " রিফাতের সাথে কি চলছে তোর? সব খবরই কিন্তু আমার কানে আসে। "

- " ইশ ওটা মোটেই সেহের না ওটা আয়েশা। "

মায়া চমকে তাকায় সেহেরের দিকে। মায়ার এমন চাহুনিতে ঘাবড়ে যায় সেহের। মায়া প্রশ্ন করে

- " তোমারও যমজ বোন আয়েশা আছে? পরিরাজ্যে কি সব দু-টো দু-টো? আমার যমজ বোন নেই? "

- " আরে না। পরিরাজ্যে আমার নাম আয়েশা আর ভাইয়াকে সবাই তাজওয়ার বলে ডাকে। যেমন পরিলোকে তুমি মায়াজান। "

- " মায়াজান? আমি না মায়াপরি? "

- " মায়াপরি নামে শুধু ভাইয়া ডাকে তোমাকে। এ নামে ডাকার অধিকার ভাইয়া বাদে মাত্র পাঁচজনের আছে,, ১. আমার আম্মু ২. তোমার আম্মু ৩.আমার আব্বু ৪. আমার ৫. রিফাতের। "

- " কতক্ষন লাগবে যেতে? বাতাসে ভাসতে ভালোই লাগছে। দেরি করে চলো না। "

মায়ার কথায় হাসলো মুহিব। দূরে পরিরাজ্যের সদর দরজা দেখা যাচ্ছে। স্বর্ণের তৈরি দরজা। দরজার কাছাকাছি আসতেই দরজাটা খুলে যায়। সামনে তাকাতেই ভয় পেয়ে যায় মায়া। লম্বা লম্বা ফর্সা মানুষ। মেয়েগুলোর পিঠে জামার সাথে ম্যাচিং করা পাখনা। মায়া দরজার ভেতর পা রাখতেই ওর শাড়ি গায়েব হয়ে যায়। শূণ্যে সাদা কাপড়ের আবরণে ভাসছে ও। একসময় নিচে নেমে আসে মায়া। সাদা গাউন পড়ে। সামনের ছেলে আর মেয়েগুলোও এখন স্বাভাবিক। মুহিবের দিকে তাকাতেই মায়া দেখতে পায়,, সোনালী রং এর রাজকীয় পোশাকে সজ্জিত মুহিব তার পাশে গোলাপি গাউনে সেহের।

- " এসব কি হচ্ছে? "

মুহিব উত্তর দেয়।
- " মায়াজানের স্বাগতমের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। "

মুহিব মায়ার একহাত ধরে সামনের দিকে পা বাড়ালো। স্বর্ণের তৈরি নরম ফুলের বর্ষন হচ্ছে পরিরাজ্যের তাজওয়ারও ও মায়াজানের ওপর। মেঘের ওপর দিয়ে হেটে যাচ্ছে ওরা। দুপাশে ঝর্ণা।

- " কেমন লাগছে মায়াপরি? "

- " স্বপ্ন স্বপ্ন মনে হচ্ছে। এতোসুন্দর একটা জায়গা। আমি আগে কখনো দেখিনি। "

চারপাশ থেকে উচ্চস্বরে প্রতিধ্বনিত হতে লাগলো।
- " স্বাগতম মায়াজান। পরিরাজ্যে আপনাকে স্বাগতম।"

সামনে বিশাল বড় একটা স্বর্ণের প্রাসাদ। আর প্রাসাদের সদর দরজার সামনে দাড়িয়ে আছে চারজন। দুজনের মাথায় মুকুট আর একজনকে দেখেই মনে হচ্ছে সেও রাজকন্যা কারন সে সেহেরের মতো জামা পড়েছে। আর একটা সূদর্শন ছেলে।

- " ওরা কারা? "

- " আম্মুজান, আব্বুজান, ফুপিজান আর রিফাত। হালকা গোলাপী গাউনে তোমার আম্মু। "

সেহের দৌড়ে গিয়ে মরিয়মকে জরিয়ে ধরে। মায়া সবার সামনে গিয়ে মাথা নিচু করে সালাম দেয়। সালামের উত্তর দিলো সবাই। সাফিয়া নিজের মেয়েকে বুকে টেনে নিলো।

- " কেমন আছো আম্মুজান? "

- " ভালো। আপনি? "

- " তোমাকে দেখে অনেক ভালো লাগছে। ভেতরে চলো। আয়েশা ওদের নিয়ে আসো "

- " জি ফুপিজান। "

চলবে।

[ নাম নিয়ে অনেকের সমস্যা হতে পারে তাই নামটা ক্লিয়ার করে দিচ্ছি।

সাদিয়া -> মায়াপরি এবং পরিরাজ্যে মায়াকে মায়াজান বলে ডাকা হয়।

মুহিব -> ফারহান তাজওয়ার। জ্বীনের বাদশাহ। পরিরাজ্যে সবাই তাজওয়ার ডাকে ওকে।

সেহের -> পরিরাজ্যে সেহেরকে আয়েশা বলে ডাকা হয়। রাজকন্যা ও।

মরিয়ম ->মুহিব ও আয়েশার আম্মু। পরি-রানি।

আবরার -> মুহিব ও আয়েশার আব্বু। জ্বীনের বাদশাহ ছিলেন।

সাফিয়া -> মায়ার আম্মু। রাজকন্যা।

হাসিন -> মায়ার আব্বু। দুষ্টু জ্বীন।

রিফাত -> মায়ার ভাই। এক দুষ্টু পরির পুত্র। দুষ্টু পরি মারা যাওয়ার পর সাফিয়া ওকে নিজের কাছে রাখে।

ছাঁয়াপরি -> মায়ার যমজ বোন। দুষ্টু পরি।

রাদ শাহামাত -> মুহিবের যমজ ভাই। সব থেকে খারাপ জ্বীন।

♣♣
আজ থেকে আবার রেগুলার গল্প পাবেন। ]

Want your public figure to be the top-listed Public Figure in Narayanganj?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

#islamicreminders #muslimcommunity #ramadankareem

Category

Telephone

Website

Address


Sanarpar
Narayanganj

Other Writers in Narayanganj (show all)
LOST STORY LOST STORY
Narayanganj, 1400

@loststory.97

Simanta Prodhan Simanta Prodhan
Shayesta Khan Road
Narayanganj, 1400

I am a very ordinary person. I like to write. If you don't have the patience to read my writing,

Last Expect Last Expect
ঢাকা, বাংলাদেশ
Narayanganj

Love Is Not Mean For Everyone

Emotion Emotion
Narayanganj

সব কিছুরই দাম বাড়ে শুধু তোমার কাছে আমার দাম ছাড়া!�

هذه هي النفسHadhih-hi-alnafs هذه هي النفسHadhih-hi-alnafs
Narayanganj

هذه هي النفس hadhih hi alnafs Purification of the soul আত্মার পরিশ?

Tarana Afrin Tarana Afrin
Narayanganj

Biplob Hossain munna Biplob Hossain munna
Dhaka Highway
Narayanganj

নিজেকে কবরে রেখে দুনিয়াকে কল্পনা করো

𝑒𝑚𝑜𝑡𝑖𝑜𝑛シ︎ -আবেগ 𝑒𝑚𝑜𝑡𝑖𝑜𝑛シ︎ -আবেগ
Narayanganj

ছোট লেখায় হাজারো অনুভূতি।।

Nasima Akter Nasima Akter
Narayanganj

Life is a beautiful place, here we live to over come, when we lose something that time we earn learn

Md Siam Md Siam
তুমি
Narayanganj, HHDDCF

❤️❤️❤️❤️❤️

S.S  Zoon S.S Zoon
Narayanganj

গল্প পড়তে ভালোবাসি, যারা গল্প পড়তে ভালোবাসেন আমার পেজে লাইক ফলে দিয়ে রাখবেন ❤️❤️❤️❤️❤️

Muhammad Rubel Muhammad Rubel
Bandar Kolabag, Bus Stand/rail Line Road
Narayanganj, 1410

লিখনিতে যদি মানুষের মঙ্গল সাধিত হয় তাহলে এর মাঝে বেঁচে থাকা যায় অনন্ত কাল।