𝒜𝒹𝒾𝓉𝒾 𝓇𝑜𝓎
" কৃষ্ণ এক সর্বাশ্রয়-কৃষ্ণসর্ব্বধাম।
কৃষ্ণের শরীরে সর্ব্ববিশ্বের বিশ্রাম।। "
জয় রাধা দামোদর রাধা দামোদর
দয়া কর হে🙏
আজ থেকে শুভ নিয়ম সেবা ব্রত প্রারম্ভ। সবাই নিয়ম সেবা ব্রত পালন করুন দামোদর ভগবানের অপার কৃপাকটাক্ষ লাভ করুন।
জয় জয় শ্রী রাধে🙏
🌻ভগবান সুখ আর দুঃখ দিয়ে কি পরীক্ষা নেন ?
🌸ভগবান সুখ দেন পরীক্ষা নেয়ার জন্য, আর দুঃখ দেন তাকে ডাকার জন্য । এখন প্রশ্ন হলো কেন এমন ?
💐যখন আপনার কোনো কিছু প্রয়োজন হয়, শারীরিক কষ্ট হয়, মানসিক চিন্তা মাথায় আসে, অথবা আপনজন হারানোর ভয় হয়, আর্থিক সমস্যা দেখা দেয়, বিপদে পড়েন ইত্যাদি ধরনের কষ্ট আসলে বা আসার ভয়ে আপনি সর্বদা ভগবানের নাম করেন বা করতে থাকতেন। তখন ভাবেন ভগবান আপনাকে রক্ষা করবেন ।
🌹 কিন্তু যখন মানুষ সুখে থাকে, আর্থিক ভাবে অনেক টাকা পয়সা থাকে, কাছের মানুষ, প্রিয়জন আপন হয়ে যায়, পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে ফেলে,ব্যবসায় উন্নতি হয়, কোনো কষ্ট থাকে না, দেখা যায় অধিকাংশ মানুষ ভগবানের নাম নেওয়া ভুলে যায়।
🌿তখন তাদের মনেও থাকে না,
কষ্টের দিনে কাকে ডেকে উদ্ধার হয়েছিলো বা প্রাপ্তি পেয়েছিলো সে । আর সেই ব্যক্তিই সুখ আসার সাথে সাথে যাকে ডেকে উদ্ধার হয়েছিলো তাকে ভুলে যায় ।
🌼 এবার ভাবুন ভগবান আমাদের দুঃখ দিয়ে পরীক্ষা নেয় , নাকি সুখ দান করে পরীক্ষা নেয় ?
🌹ভগবান দুঃখ দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকেন, কেননা তখন তাকে তার ভক্তরা স্মরণ করবেন, কারন ভক্তের এখন উদ্ধার হতে হবে । ভক্তের ভালো কিসে হবে, এছাড়া ভক্তকে উদ্ধার করাই মূল লক্ষ্য। কিন্তু সুখ দিয়ে ভগবান চুপ করে বসে থাকেন আর দেখেন তার ভক্ত প্রকৃত সুখ পেয়ে তার নাম কতোটা স্মরণ করেন, তার কতোটা ভজন করেন ।
✨যে ব্যক্তি এই জড় জাগতিক সুখকে তুচ্ছ মনে করে ভগবানের চরণে নিজেকে উজাড় করে দেন সেই প্রকৃত সুখী হয়ে যান।
🌺তাই সুখে থাকি আর দুঃখে থাকি মুখে যেনো সর্বদা থাকে রাধেকৃষ্ণা নাম।
🌼🪻👏🏻হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে 👏🏻🌿🌼🪻
এই পৃথিবী থেকে যখন চলে যাবেন সাথে করে কিছুই নিতে পারবেন কি??
তাহলে এতো অর্থ, এতো লোভ, এতো চাওয়া পওয়া দিয়ে কি হবে।
প্রতিদিন দেখুন যে ব্যাক্তি মারা যায় তাকে যখন পোড়ানো হয়, কি নেয় সাথে করে তিনি।
শুধু পাশে বসে কৃষ্ণ নাম করেন সবাই, আর এই সোনার দেহ সবাই পোড়ায় সেটাই দেখে সবাই।
আপনি নাস্তিক, আস্তিক যাই হোন না কেনো। সাথে করে কিছুই নিতে পারবেন না।
শুধু মৃত্যুর পর সাথে যাবে আপনার কর্মফল।
যদি ধর্মে বিশ্বাস করেন তাইলে কৃষ্ণ নাম, কৃষ্ণ প্রেম, ভক্তির মাধ্যমে যে ফল লাভ করেছেন তাই নিয়ে যাবেন।
এবং কর্মফল অনুযায়ী স্বর্গ বা গোলকধামে বসে সুখ লাভ করবেন।
তাই সময় থাকতে, নিজেকে পরিশুদ্ধ করুন।
কৃষ্ণের কাছে আত্ম সমর্পণ করুন।
হরে কৃষ্ণ।
রাধে রাধে 💓🥰
#দামোদর_মাস_বা_কার্তিক_মাসের_মাহাত্ম্য 🪔
💠এই মাসে সাত্ত্বিক আহার এর বিধি রয়েছে এক কথায় নিরামিষ আহারের কথা বর্ণিত আছে
দামোদর মাস বা কার্তিক মাস সনাতন ধর্মালম্বীদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস। এই মাস ভগবান বিষ্ণুর মাস বলে খ্যাত।
💠এই মাস ত্যাগের মাস হিসেবেও পরিচিত। এই মাসে ভগবান বিষ্ণুর সেবা একগুণ করলে সহস্রগুণ ফল লাভ করা যায় । এই মাসে প্রত্যেক মন্দিরে বা তুলসী গাছের নীচে বিষ্ণুর প্রীতি লাভের জন্য দ্বীপ দান করা হয়।
💠এই পূণ্য মাস সম্পর্কে পদ্মপুরাণ, ভাগবতপুরাণ, স্কন্ধপুরাণ ও শ্রীহরিভক্তিবিলাস শাস্ত্রে অসংখ্য তথ্য বলা আছে। পদ্মপুরাণে বলা হয়েছে, এই পূণ্য মাসে ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে কেউ যদি একটি প্রদীপ দান করে তবে, তার সমস্ত পাপ নাশ হবে এবং তার পুনর্জন্ম আর হবে না।
💠তিনি সংসারে অজেয় ও অক্ষয়কীর্তি স্থাপন করবেন। নিরন্তন প্রদীপ জ্বালানো উচিত। প্রদীপটি মাটির হলে উত্তম হয়। প্রদীপটি জ্বালাতে সলিতা ও ঘি, তিলের তেল বা কর্পূর ব্যবহার করা হয়। কৃত্রিম ঘি ব্যবহার করবেন না। প্রদীপের আলোতে যেমন, চারদিক আলোকিত হয়ে সমস্ত অন্ধকার দূর করে; তেমনি ভক্তি ও জ্ঞান দ্বারা সকলের পাপ দূরীভূত হয়। অর্থাৎ প্রদীপের আলোর শিখা যত উজ্জ্বল হতে থাকবে, ততই তার পাপ ক্ষয় হতে থাকবে।
💠স্কন্ধ পুরাণে বলা হয়েছে, এই মাসে যে প্রদীপ দান না করে তারা ব্রহ্মঘাতী, গোঘাতী, স্বর্ণ অপহারী ও সদা মিথ্যাবাদী। দামোদর মাসে স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ তার মাতৃ স্নেহের বন্ধনে আবদ্ধ হন। পৌরাণিক কাহিনী মতে, কলিপ্রিয়া তার স্বামীকে বধ করেছিল এবং তার ভুল বুঝতে পেরে সে নিজের পাপের প্রায়শ্চিত্তের জন্য এই দীপ দান করেন।
💠এই পবিত্র মাসে দ্বীপ দানের জন্য তিনি দেহান্তে বিষ্ণুলোক প্রাপ্ত হন। আবার,এক স্ত্রী ইঁদুর প্রদীপের তেল খেতে এসে নিজের অজান্তেই প্রদীপের সলিতাকে উস্কে দেয় বা জ্বলতে সাহায্য করে; আর যার ফলশ্রুতিতে দেহান্তের পর সে ও বৈকুন্ঠলোক প্রাপ্ত হোন।
💠পূজা দেয়ার সময় ভগবান বিষ্ণুর চিত্রপট বা বিগ্রহের চরণে চার বার, নাভি কমলে দুই বার, মুখমন্ডলে তিনবার ও সর্বাঙ্গে সাত বার (ডানদিক থেকে আরম্ভ করে) প্রদীপ প্রদক্ষিণ করাতে হয়।
💠দামোদর মাসে সম্পূর্ণ ভক্তি ,বিশ্বাস ও প্রেম দ্বারা ভগবান বিষ্ণুর পূজা করলে দেহান্তে বৈকুন্ঠ লাভ হয়।
দুর্গা পূজার নিঘণ্ট- ২০২৩
🔱 মহালয়া - ১৪ অক্টোবর, শনিবার।
বাঙ্গালীর এক আবেগ অনুভূতি হল মহালয়া । ভোর চারটের সময় বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে ‘
আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর।
ধরণীর বহিরাকাশে অন্তর্হিত মেঘমালা।
প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী জগন্মাতার আগমনবার্তা।
শুনেই মনটা হু হু করে উঠে। গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠে। কাশের দোলনায় মন পাড়ি দেয় দেবী দুর্গার কাছে। শুরু হয় ভগবতী বন্দনার সূচনা।
🔱 ষষ্ঠী - ২০ অক্টোবর, শুক্রবার
ষষ্ঠী মানেই দেবীর বোধন। অকাল বোধনে দেবীকে আহ্বান করা হয়। মৃন্ময়ী মূর্তিতে চিন্ময়ী রূপে বিরাজ করার জন্য অধিবাস ও আমন্ত্রন।
🔱 সপ্তমী - ২১ অক্টোবর, শনিবার
ক্ষেত্রবিশেষে কুলাচার অনুসারে সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভ পূজা, নবপত্রিকা স্নান, প্রবেশ ও স্থাপন, সপ্তমীবিহীত পূজা।
🔱 মহাষ্টমী - ২২ অক্টোবর, রবিবার
সকালে মায়ের অষ্টমী পূজা ও অঞ্জলী। সন্ধ্যায় দেবীর সন্ধি পূজা। সনাতনী বাঙ্গালি এই দিনে নতুন বস্ত্র পরিধান করে ভগবতীর চরণে ফুল বেলপত্র দিয়ে ভক্তিভাব নিয়ে অষ্টমীর অঞ্জলী দিয়ে থাকে।
🔱 কুমারি পূজাঃ
সনাতন শাস্ত্রে নারীকে সম্মান ও শ্রদ্ধার আসনে বসাতে এবং দেবীর কুমারী রূপের আরাধনা করতেই এই পূজার বিধান দেওয়া হয়েছে। মনের অন্তরের পশুত্ত্বকে সংযত রেখে নারীকে সম্মান জানানোই কুমারী পূজার প্রধান ও মূল লক্ষ্য। মহাষ্টমীর দিনে অনেক জায়গায় কুমারী পূজা দেখা যায়।
🔱মহানবমী - ২৩ অক্টোবর, সোমবার
শাস্ত্র মতে, মহানবমীতেই দেবী বন্দনার সমাপ্তি। তাই ভক্তরা প্রার্থনা করতে থাকেন দেবীর উদ্দেশ্যে। যজ্ঞের মাধ্যমে দেবী দুর্গার কাছে আহুতি দেওয়া হয়। ১০৮ টি বেল পাতা, আম কাঠ ও ঘি দিয়ে এই যজ্ঞ করা হয়।
🔱বিজয়া দশমী - ২৪ অক্টোবর, মঙ্গলবার
প্রভাতে মায়ের বিদায় বেলা অর্থাৎ দর্পন বিসর্জন। দেবী ফিরে চলেন কৈলাশে। সন্ধ্যায় সিঁদুর খেলা ও মাকে তেল সিঁদুর দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে বিসর্জন করা হয়।
পঞ্জিকা অনুসারে এবারের তথা ইংরেজি ২০২৩ এবং বাংলা ১৪৩০ সনে , শ্রীশ্রীশারদীয়া দেবী মা দুর্গার আগমন এবং গমন উভয়েই ঘটবে ঘোটকে অর্থাৎ ঘোড়ায় , যার অর্থ হলো ছত্রভঙ্গ ।
গীতা কাউকে উপহার দিন, সে যতবার
পাঠ করবে সেখান থেকেও আপনি
আশির্বাদ পাবেন।
মন্দির বানানোর কাজে অংশগ্রহন করুন
আর্শিবাদ পাবেন।
শ্রেষ্ঠ ধর্ম পেয়েছি সনাতন ধর্ম।
পৃথিবীরর শ্রেষ্ঠ গুরু পেয়েছি শ্রীকৃষ্ণ।
শ্রেষ্ঠ বই পেয়েছি, শ্রীমদ্ভগবত গীতা।
যা ভগবান শ্রী কৃষ্ণের মুখসৃঃত বাণী।
আমরা সত্যিই ভাগ্যবান।
"হরে"কৃষ্ণ"হরে"কৃষ্ণ" "কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"হরে"হরে।" *"হরে"রাম"হরে"রাম"রাম"রাম"হরে"হরে।।
Hare ক্রিশ্না
পরমেশ্বর ভগবান শ্রী কৃষ্ণ শ্রীমদ্ভাগবত গীতায় ৯ ম অধ্যায়ের ২৬ নম্বর শ্লোকে বলেন ..
পত্রং পুস্পং ফলং তোয়ং যো মে ভক্ত্যা প্রযচ্ছতি ..।(০৯/২৬)
সরলার্থ : যে বিশুদ্ধচিত্ত নিষ্কাম ভক্ত ভক্তি সহকারে আমাকে পত্র ,পুষ্প ,ফল ও জল অর্পণ করে ,আমি তার সেই ভক্তিপ্লুত উপহার প্রীতি সহকারে গ্রহণ করি 🥰🙏
তার মানে ভগবান কে, প্রচুর ফল ফলাদি দিয়ে পূজা করলে তিনি খুশি নন ,তার ভক্ত নিষ্কাম ভাবে তাকে যাই দিবে ,তিনি তো পরমেশ্বর ,তিনি তাই গ্রহণ করবে 🥰🙏
শ্রীমতী রাধা রাণী সর্বদাই,,
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রেম ও সেবার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে ভালো বাসতেন ।।
সেবা ও প্রেম দিয়ে তৈরি। শ্রীমতি রাধারানী যখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাম অঙ্গ থেকে আবির্ভূত হলেন, তৎক্ষণাৎ তিনি ছুটে গিয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্য ফুল আনলেন আর তৎক্ষণাৎ ভগবানকে নিবেদন করলেন। তখনই শ্রীমতি রাধারানীর একটি নাম হলো পূজা। শ্রীমতি রাধারানী মূলত ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভেতরের সৌন্দর্য যা তিনি বাহিরে প্রকাশ করেছেন।
এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই। মানুষের হৃদয়ের বিভিন্ন সৌন্দর্য তাদের কার্যকলাপের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। যেমন কেউ ভালো গাইতে পারে, কেউ ভালো ছবি আঁকতে পারে। এগুলো তাদের হৃদয়ের সৌন্দর্য, শুধুমাত্র বাহিরে প্রকাশিত হচ্ছে। শ্রীমতী রাধারাণীর সাথে যখনই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মিলন হয়, রাধারানী তার সামনে থাকা অবস্থায়ও বিপ্রলম্ভ ভাবে থাকেন। তিনি সে কথা চিন্তা করতে থাকেন যখন কৃষ্ণ তার সামনে থাকবেন না।
শ্রীকৃষ্ণের সেবায় তিনি কখনোই সন্তুষ্ট থাকেন না, শ্রীকৃষ্ণের শ্রীচরণ দর্শনেও তিনি সন্তুষ্ট থাকেন না। তিনি চান আরও সেবা করতে, আরো দর্শন করতে। এ কারণে শ্রীমতি রাধারানী ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার সামনে উপস্থিত থাকা সত্বেও বিপ্রলম্ভ ভাবে থাকেন।
আর তাঁর প্রকৃত উদাহরণ হচ্ছে প্রেম সরোবর। একবার ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শ্রীমতি রাধারাণী কে অত্যন্ত প্রেম প্রদান করেছেন।শ্রীমতী রাধারানী ঠিকমতো ভগবানের সেবা করতে পারছিলেন না শ্রীকৃষ্ণ প্রেমের ভাবে বিভোর হয়েছিলেন।
তখন শ্রীমতি রাধারানী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা করলেন, এ প্রেম তুমি ফিরিয়ে নাও, আর আমাকে সেবা তোমার করার সুযোগ দাও।
তোমার প্রদত্ত প্রেমের কারনে, আমার তোমার সেবায় বিঘ্ন ঘটছে। সুতরাং আমি প্রেম চাইনা,
তোমার সেবা করতে চাই
এটি হচ্ছে শ্রীমতি রাধারানীর প্রকৃত স্বরূপ এবং যার একমাত্র উদ্দেশ্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সন্তুষ্টি বিধান করা।।
হরিদাস ঠাকুরের ভাগবত আশ্রয়-
হরিদাস ঠাকুর কাজির মহিস, গরু, ছাগল চড়াতেন এবং যেখানেই হরিকথা, হরিনাম হতো তা শ্রবন করতেন ।
যখন গরু, মহিস গুলো ছুটে গিয়ে অন্যের ফসল খেত তখন তাকে ধরে মারতেন ! এভাবেই তার দিন কাটতো।
একদিন এক মহত্মা ভাগবত পাঠ করতেছিলেন, হরিদাস ঠাকুর তা দেখে গরু, মহিসগুলো মাঠে ছেড়ে দিয়ে হরিকথা শ্রবনের জন্য বসে পরলেন।
যিনি পাঠ করতে ছিলেন তিনি ভাগবত আলোচনার মাঝখানে একটা কথা কয়েকবার উচ্চারণ করতে ছিলেন- যার কেহ নাই, তুমি আছ তার ! যার কেহ নাই, তুমি আছ তার ! যার কেহ নাই, তুমি আছ তার!
কথাটা হরিদাস ঠাকুরের হৃদয়ে আঘাত করলো/ গেথে গেল ! তিনি মনে মনে ভগবানরে চরনে আত্মসমর্পণ করে বলতে লাগলেন, হে প্রভু পৃথিবীতে আমার তো বাবা/মা/ভাই/বোন/ আত্মীয়স্বজন কেউ নেই ! তুমি ছাড়া তো আমার আর কেহ নাই ! তোমার চরন ভরসাই আমার একমাত্র আশ্রয় !!
সেদিন থেকে আর কোনোদিন হরিদাস ঠাকুরের গুরু মহিসের জন্য কারো মার/ আঘাত খেতে হয়নি বরং উল্টো অন্য রাখালরা তার গরু মহিসগুলো দেখে রাখতো ।
গৌড় হরি 🙏❣️
শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদ্বৈত গদাধর শ্রীবাস আদি গৌড় ভক্ত বৃন্দ 🙏❣️
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে 🙏❣️
হরিবোল 🙏❣️
একদিন শ্রীবাস অঙ্গনে বসে মহাপ্রভু তার ভক্তদের নিয়ে হরিকথা শ্রবন করতেছিলেন ।
হটাৎ মহাপ্রভু বলে উঠলেন আমার হরিদাস কোথায়, হরিদাস ! তখন অন্য ভক্তরা বললো প্রভু , সে পিছনে আছে।
তখন মহাপ্রভু বললেন হরিদাস কোন পিছনে থাকে যে তাকে আমি দেখতে পাচ্ছি না !
হরিদাস ঠাকুর অবনত মস্তকে বললেন, প্রভু!
মহাপ্রভু তখন বললেন- হরিদাস আজকে আমার মন বলছে তোমাকে কিছু দেই। তুমি একটা বড় চাও !!
তখন নামাচার্য হরিদাস ঠাকুর বললেন- প্রভু! আমি সাধনহীন- ভজনহীন,পামর! বড় চাওয়ার মতো কি যোগ্যতা আছে আমার !!
তখন মহাপ্রভু বললেন- তবুও তুমি কিছু না কিছু একটা চেয়ে নাও !!
তখন হরিদাস ঠাকুর দু'চোখের অশ্রু ছেড়ে দিয়ে মহাপ্রভুর চরনে হাত জোর করে বললেন, প্রভু বড় যদি দিতেই হয় তাহলে আমাকে এই আশীর্বাদ করো যেন পর জনমে আমি কুকুর হয়ে জন্মাতে পারি !! প্রভু এই মিনতিও রেখ, যেন বৈষ্ণবের দ্বারে থাকতে পারি !!
মহাপ্রভুও তখন অশ্রু জলে ভেসে ভেসে জিজ্ঞেস করলেন হরিদাস, তুমি এই বড় চাইলে কেন ?
হরিদাস ঠাকুর তখন প্রভুর চরনে অবনত হয়ে বললেন, প্রভু আমি পাপি,পামর আমার তো কোনো যোগ্যতা নেই তোমার থেকে বড় চেয়ে নেবার !
তবে শুনেছি বৈষ্ণবের দ্বারে হরিনাম আর উচ্ছিষ্ট প্রসাদেও নাকি কৃষ্ণ প্রেম লাভ করা যায় 🙏❣️ তাই আমাকে কুকুর করেই জন্ম দিও 🙏❣️
গৌড় হরি 🙏❣️
কারা গীতার জ্ঞান বুঝে না
এই জড়-জগতে কিছু মানুষ রয়েছে যারা ভগবদ্গীতার জ্ঞান গ্রহনের যোগ্য নয়।
তাদের ভোগলোলুপ বিদ্বেষ পরায়ন ও আসুরিক মনোভাবই এর কারন। যারা সংযমহীন এবং কখনও ধর্মাচরণ, ব্রতপালন বা তপশ্চর্যা করেনি, তাদের কাছে ভগবদ্গীতার ব্যাখা করলেও তারা তার অর্থ বুঝতে পারে না। তারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বা তার শুদ্ধভক্তের কখনও কোন সেবা করার চেষ্টা করেনি বরং তাদের বদনাম ও হিংসা করে বেড়ায়।
☛ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছেন,
”ইদং তে নাতপস্কায় নাভক্তায় কদাচন,
ন চাশুশ্রুষবে বাচ্যং ন চ মাং যোহভ্যসুয়তি”।। গীতা ১৮/৬৭
☛অনুবাদঃ যারা সংযমহীন, অভক্ত, পরিচর্যাহীন এবং আমার প্রতি বিদ্বেষ ভাবাপন্ন, তাদেরকে কখনও এই গোপনীয় জ্ঞান বলা উচিত নয়।
যারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে কেবল একজন ঐতিহাসিক চরিত্র বলে মনে করে, যাদের অন্তর শ্রীকৃষ্ণের প্রতি ঈর্ষা-বিদ্বেষে পরিপুর্ন, তাদেরকে কখনই ভগবদ্গীতা শোনানো উচিত নয়। অবিশ্বাসী লোকেদের পক্ষে ভগবদ্গীতা ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে উপলদ্বি করা অসম্ভব।
যারা ইন্দ্রিয়সুখ ভোগে আসক্ত তারা ভগবদ্গীতা বুঝতে পারে না।
যারা সংযত, সদাচারী হয়েও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত নন তারাও এই ভগবদ্গীতার জ্ঞান জানবে না।
যারা বেদের কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ও বেদের পুস্পিত বাক্যে বিমোহিত তারা গীতার জ্ঞান জানতে পারে না।
যারা বাহিরে কৃষ্ণভক্তি দেখায় কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের সেবায় যুক্ত নন তারা ভগবদ্গীতা জানতে পারে না।
যারা আসুরিক ভাবাপন্ন, কিছু অর্থ উপার্জনের জন্য গীতা পাঠ করে তারা ভগবদ্গীতার জ্ঞান জানে না।
যারা নাম, যশ ও সমাজে প্রতিষ্ঠার জন্য গীতার অপব্যাখ্যা সহ গীতা গ্রন্থ প্রকাশ করে তারা ভগবদ্গীতার তত্ত্বজ্ঞান হৃদয়ঙ্গম করেনি।
ভগবদ্গীতা কেবল শ্রদ্ধাবান ভক্তদের জন্যঃ
যিনি শুদ্ধ কৃষ্ণভক্তের কাছ থেকে ভগবদ্গীতা হৃদয়ঙ্গম করে ভগবদ্গীতার যথার্থ তত্ত্ব প্রচারের চেষ্টা করবেন, তিনি শুদ্ধ ভগবদ্ভক্তি লাভ করবেন।
এবং নিশ্চিতভাবে তিনি মৃত্যুর পর ভগবানের ধামে ফিরে যাবেন।
পৃথিবীর সমস্ত মানুষের মধ্যে এই রকম গীতা প্রচারকারী ব্যক্তি পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নিকট সবচেয়ে প্রিয়।।
জয় শ্রীকৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ হরি বল
কৃপা করে সকলে শেয়ার করুন।
রাধে রাধে 🙏
প্রশ্নঃ হরিনাম জপ করিলে কি সব রোগই দূর হয় ?
উত্তরঃ নিশ্চয়ই।
শ্রীবৃহন্নারদীয় পুরাণে বর্ণিত আছে—
অচ্যুতানন্দ-গােবিন্দ-নামোচ্চারণভাষিতাঃ।
নশ্যন্তি সকলা রোগাঃ সত্যং সত্যং বদাম্যহম্॥
"আমি সত্য সত্য বলিতেছি, "হে অচ্যুত ! হে আনন্দ ! হে গােবিন্দ ! ইত্যাদি নামােচ্চারণে রোগসমূহ ভীত হইয়া পলায়ন করে।"
শ্রীপরাশর-সংহিতায় শ্রীকৃষ্ণপুত্র শাম্বের প্রতি ব্যাসদেবের উক্তিতে বর্ণিত আছে—
ন শাম্ব ব্যাধিজং দুঃখং হেয়ং নানৌষধৈরপি।
হরিনামমৌষধং পীত্বা ব্যাধিস্ত্যাজ্যো ন সংশয়ঃ॥
টীকাঃ হেয়ং ত্যাজ্যং ন ভবতীত্যর্থঃ॥
"হে শাম্ব ! ঔষধ প্রয়োগেও যখন ব্যাধি জনিত দুঃখ বিদূরিত হয় না, তখন উহা দ্বারা রোগের প্রতিকার চেষ্টা কর্ত্তব্য নহে। এই প্রকার অবস্থায় শ্রীহরিনামরূপ ঔষধ পান করিয়াই যে রােগদূর করা উচিত, এই বিষয়ে আর সন্দেহ নাই।"
শ্রীস্কন্দপুরাণে বলা হয়েছে—
আধয়াে ব্যাধয়াে যস্য স্মরণান্নামকীর্তনাৎ।
তদৈব বিলয়ং যান্তি তমনন্তং নমাম্যহম্॥
"যাঁহার স্মরণ ও নামকীর্ত্তন করিলে আদি-ব্যাধি-সকল তৎক্ষনাৎ বিনষ্ট হয়, সেই অনন্তদেবকে নমস্কার করি।"
অগ্নিপুরাণে বলা হয়েছে—
মহাব্যাধিযমাচ্ছন্নো রাজবাধােপপীড়িতঃ।
নারায়ণেতি সংকীৰ্ত্তৈ নিরাতঙ্কো ভবেন্নরঃ॥
"মহাব্যাধিসমাচ্ছন্ন ও রাজার দ্বারা উৎপীড়িত মানব 'নারায়ণ' এই নাম-সঙ্কীর্ত্তন করিয়া নিরাতঙ্ক হয়।"
গৌরপার্ষদ শ্রীজগদানন্দ পণ্ডিত
শ্রীপ্রেমবিবৰ্ত্ত গ্রন্থে ( ২০/৪৪-৪৬ ) বলেছেন—
নামে সৰ্ব্বব্যাধিধ্বংস সৰ্ব্বশাস্ত্রে গায়।
ওগাে স্থানেশ্বরী ভক্ত বলিহে তােমায়॥
সত্য সত্য বলি, লহ বিশ্বাস করিয়া।
'অচ্যুতানন্দ' 'গােবিন্দ' এই নাম উচ্চারিয়া॥
কাঁদিয়া কাঁদিয়া ডাক শ্রীমধুসূদনে। সৰ্ব্বরোগ নাশ করে শ্রীনামকীর্ত্তনে॥
🥰🙏
🔴আমাদের জীবনের প্রধান চারটি সমস্যা ও সমাধানঃ-
⚫১. #জন্মঃ- যদি জন্মই না হয় তাহলে আর অন্য দূঃখ কিভাবে হবে? তাই এটাই প্রধান সমস্যা।
🔴২. #মৃত্যুঃ- আমরা মরতে চাই না, তবুও মৃত্যু আসে।
⚫৩. #জরাঃ- আর বৃদ্ধ হতে কেউই চাই না। সারা জীবন যুবক-যুবতী থাকবো। তা কি হয়?
🔴৪. #ব্যাধিঃ- রোগাক্রান্ত হতে কেউ চাই না, কিন্তু হয়।
আপনি যতদিন না জন্ম-মৃত্যু চক্র থেকে উদ্ধার পাচ্ছেন, ততদিন রোগ, শোক, জড়া, ব্যাধি এগুলো আসবে - যাবে। পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলে গেছেন-
🌿🌼"দূঃখালয়ম্ অশ্বাশ্বতম"
এই পৃথিবীটা দূঃখের জায়গা ও কিছু সময়ের জন্য যাওয়া আসা মাত্র। তাহলে এগুলো থাকবে না কোথায়?
আমরা সারাজীবন যা কর্ম করছি, তার পূণ্যের ফলে স্বর্গলাভ এবং পাপ কর্মের যাতনা ভোগের জন্য নরকবাস করার পরে আবার এই পৃথিবীতে ৮৪ লক্ষ জীবের কোন একরূপে জন্ম নিতে হবে। এই জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তি পেয়ে যেখানে গেলে আর জন্ম নিতে হবে না সেই কৃষ্ণলোক বা গোলক বৃন্দাবনে যাওয়ার জন্যেই ভক্তিপথ। আমাদের পাপ ও পূণ্য উভয় থেকে মুক্তি পেতে হবে, তবেই আমরা মুক্তিলাভ করে ভগবদ্ধামে প্রত্যাবর্তন করতে পারব।
🌼
হরিদাস ঠাকুরের মৃত্যুর পরে মহাপ্রভু হরিদাস ঠাকুরের মৃত দেহটাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন-
হরিদাস, আজ তোমার ইচ্ছে পূরনের দিন নয়, আজ আমার ইচ্ছে পূরনের দিন। কতো দিন আমি তোমাকে বুকে জড়িয়ে ধরতে চেয়েছি, কিন্তু পারিনি........... !!
দু-হাত দিয়ে বালি তুলে দু-চোখের প্রেমাশ্রু দিয়ে ভিজেয়ে হরিদাস ঠাকুরের গায়ে দিলেন.........!!
মহাপ্রভু সকলের কাছে আচল পেতে ভিক্ষা চাইতে লাগলেন, যাকে সামনে পাচ্ছে তার কাছেই ভিক্ষা চাইতে লাগলেন- আমার হরিদাসের জন্য ভিক্ষা দাও।
"হরিদাসের জন্য বৈষ্ণব সেবা দেয়া হবে, তোমরা আমায় ভিক্ষা দাও" 🙏❣️
হরিবোল 🙏❣️
অমৃত এই লীলা থেকে আমরা যে শিক্ষা পাই.......🙏❣️
❤️শুভ বামন দ্বাদশী ব্রত❤️।
ভগবান বামনদেবর শুভ আবির্ভাব তিথি আজ।
একাদশী ব্রত আপডেট... শ্রীরাধাকূণ্ড ব্রততালিকা অনুসারে আগামী 26-09-2023 ইং মঙ্গলবার ➤শ্রী শ্রী বামন / শ্রী বিজয়া মহাদ্বাদশী পালিত হবে।
পরবর্তী ব্রত 10-10-2023 ইং মঙ্গলবার ➤শ্রী ইন্দিরা একাদশী ।
⭐ #পারণঃ বুধবার সূর্যোদয়ের পর
#বাংলাদেশে সূর্যোদয়ের পর সকাল 09.59 মিনিটের ভিতরে।
#কলকাতা ও #নবদ্বীপে #ত্রিপুরা , #আসাম #মণিপুর #মিজোরাম #উড়িষ্যা সহ আশেপাশের রাজ্যে সূর্যোদয়ের সকাল পর থেকে সকাল 09.29 মিনিটের ভিতরে।
শ্রী কৃষ্ণের বাণী-
১।জ্ঞানীর নিকট সত্য ই পরম ধর্ম।
২।দুর্বলই কেবল ভাগ্যের দোষারোপ করে আর বীর ভাগ্যকে অর্জন করে।
৩।গোদান করে দড়ির উপর মায়া রেখে কি লাভ?যখন মোহ ত্যাগ করবে,তখন নিঃস্বার্থভাবে ত্যাগ করবে।
৪। যে ব্যক্তি কৃষ্ণভাবনায় যুক্ত নয়,তার মন সংযত নয়।
৫। সকলেই সর্বতোভাবে আমার পথ অনুসরণ করে।
৬।আমি সর্বলোকের মহেশ্বর (মহা+ঈশ্বর)।
৭। আমিই সমস্ত জগতের উৎপত্তি ও প্রলয়ের মূল কারণ।
৮।আমার থেকে শ্রেষ্ঠ আর কেউ নেই।
৯। পরমাত্মা রুপে আমি সকলের হৃদয়ে বিরাজ করি।
১০।পরমেশ্বর ভগবান রুপে আমি অতীত,বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে সম্পূূর্ণরুপে অবগত।
১১।আমাকে প্রাপ্ত হলে আর পূর্ণজন্ম হয় না।
১২। সর্বশ্রেষ্ঠ পরমেশ্বর ভগবানকে অনন্যা ভক্তির মাধ্যমেই কেবল লাভ করা যায়।
১৩। অব্যক্ত রুপে আমি সমস্ত জগতে ব্যাপ্ত আছি।
১৪।শোকের চেয়ে বড় নাশকর্তা আর কিছু নেই, শোক মানুষের সব শক্তিকেই নষ্ট করে দেয়,তাই শোক করোনা।
১৫।ব্যবহার ও চরিত্রেই বংশের পরিচয় হয়।
১৬। মিথ্যাবাদী ব্যাক্তি সর্পের চেয়েও ভয়ঙ্কর।
১৭। সত্যই এ জগতের নিয়ন্ত্রক,সত্যেই ধর্ম প্রোথিত হয়ে আছে।
১৮।মাতৃঋণ কোন সন্তানই কখনো শোধ করতে পারেনা।
১৯। চন্দ্র তাঁর সৌন্দর্য হারাতে পারে,হিমবন বরফশুন্য হয়ে পড়তে পারে,সমুদ্র বিরান হয়ে যেতে পারে কিন্তু রাম কখনো তার প্রতিজ্ঞা হতে বিচ্যুত হয়না।
২০। শেকড়হীন বিশাল বৃক্ষ ও যেমন সত্তরই নির্জীব হয়ে পড়ে ঠিক তেমনি নিরীহের ক্ষতিকারী শত শক্তিশালী হলেও সমূলে পতিত হয়।
২১। আমি নিজেই সমস্ত সৃষ্টির উৎস।
২২। এই জগৎ আমারই প্রকৃতির অধীন।
২৩। আমিই এই জগতের পিতা।
২৪। আমিই এই জগতের বিধাতা (সৃষ্টিকর্তা) ।
২৫। আমি সকলের গতি।
২৬। আমি তাপ প্রদান করি এবং আমি বৃষ্টি বর্ষণ করি ও আকর্ষণ করি।
২৭। আমিই সমস্ত যজ্ঞের ভোক্তা ও প্রভু।
২৮। আমি সকলের প্রতি সমভাবাপন্ন।
২৯। সব কিছু আমার থেকে প্রবর্তিত হয়।
৩০। মনুষ্যদের মধ্যে আমি সম্রাট।
৩১। অব্যয় অমৃতের,শাশ্বত ধর্মের এবং ঐকান্তিক সুখের আমিই আশ্রয়।
৩২। আমিই সমস্ত বেদের জ্ঞাতব্য এবং আমিই বেদান্তকর্তা ও বেদবিৎ।
৩৩। বেদে আমি পুরুষোত্তম নামে বিখ্যাত।
৩৪। সর্ব প্রকার ধর্ম পরিত্যাগ করে কেবল আমার শরনাগত হও
৩৫। উৎসাহ এর চেয়ে বড় বল আর কিছুই নেই,উৎসাহী ব্যাক্তি জগত ও জয় করতে পারে।
রাধে রাধে 🙏
শুভ রাধাষ্টমী 😍🙏
রাধাষ্টমীর শুভেচ্ছা সবাইকে 🥀
এক মহিলা মন্দিরের পূজারীকে সাফ জানিয়ে দিলেন, " আমি আর কোনদিন মন্দিরে আসবো না I"
পূজারী জিজ্ঞেস করলেন, " কারণটা কি জানতে পারি ?"
মহিলা বললেন, "মন্দিরের পরিবেশটা আমার এখন একদম ভালো লাগে না I মন্দিরে এসে মানুষের মোবাইল টেপা, প্রেম, গল্প, আড্ডা এসব দেখতে আমার একদম ভালো লাগে না I"
পূজারী কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললেন, "আপনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার আগে আমার একটা কথা মানবেন ?"
মহিলাটি বললেন, "কি বলুন" I
পূজারী বললেন, "একটি জলপূর্ণ গ্লাস হাতে নিয়ে আপনাকে দুইবার এই মন্দির প্রদক্ষিণ করতে হবে, পারবেন তো ? তবে এক ফোটা জল যেন গ্লাস থেকে বাইরে না পড়ে I"
মহিলাটি বললেন, "পারবো "I
মহিলাটি একটি জলপূর্ণ গ্লাস হাতে নিয়ে পুরো মন্দির দুইবার প্রদক্ষিণ করলেন, এক ফোটা জল গ্লাস থেকে নিচে পড়ে নি I
প্রদক্ষিন শেষ হলে পূজারী মহিলাটিকে তিনটি প্রশ্ন করলেন--
১) আপনি কি প্রদক্ষিণের সময় কাউকে মোবাইল টিপতে দেখেছেন ?
২) আপনি কি কাউকে গল্প করতে লক্ষ্য করেছেন ?
৩) কাউকে কি বাজে কোন কাজ করতে দেখেছেন I
মহিলাটি বললেন, "আমি এসব কিছুই লক্ষ্য করি নি, কারণ আমার পুরো মনোযোগ জলের গ্লাসের উপর ছিল যাতে এক ফোটা জল গ্লাস থেকে না পড়ে যায় I
পূজারী বললেন, "আপনি যখন মন্দিরে আসবেন আপনার উচিত আপনার পূর্ণ মনোযোগ ভগবানের উপর স্থাপন করা I দেখবেন একমাত্র ঈশ্বর ছাড়া বিশ্বের কোন অপ্রিয় জিনিস আপনার নজরে আসবে না।
🙏🙏
🌸আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর রোজ শনিবার রাধাষ্টমী ব্রত সকলে পালন করুন 😍🙏
পদ্ম পুরানে রাধাষ্টমীর পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে জানা যায় যে, বহু বহু কাল আগে সূর্যদেব পৃথিবী ভ্রমণ করতে এসে পৃথিবীর রূপ, সৌন্দর্য এবং অনাবিল আনন্দ দেখে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন এবং মন্দার পর্বতের গুহায় গভীর তপস্যায় মগ্ন হন। এইভাবে অনেকদিন চলে যায়, সূর্যের অনুপস্থিতিতে পৃথিবী অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। পৃথিবীবাসী হয়ে ওঠে অতিষ্ঠ।
সূর্যের আলো ছাড়া পৃথিবী কোনো ভাবেই বাঁচতে পারে না। তখন বাধ্য হয়ে ভীত – সন্ত্রস্ত স্বর্গের দেবতারা শ্রী হরির শরণাপন্ন হন সাহায্যের জন্য। শ্রী হরি অর্থাৎ শ্রীবিষ্ণু তাদের সকলকে আশা দিয়ে ফিরে যেতে বলেন। তারপর মন্দার পর্বতের গুহায় তপস্যারত সূর্যের সামনে গিয়ে তিনি উপস্থিত হন।
সূর্যদেব খুবই আনন্দিত হয়ে বলেন যে, শ্রী হরির দর্শন পেয়ে তার এতদিনের তপস্যা সার্থক হয়েছে। সূর্যদেবের সাধনায় তুষ্ট হয়ে শ্রী হরি তাকে বর দিতে চাইলে সূর্যদেব বলেন যে, আমাকে এমন একটি গুণবতী কন্যার বর প্রদান করুন, যার কাছে আপনি চিরকাল বশীভূত থাকবেন।
শ্রী হরি সূর্যদেবকে সেই বর প্রদান করেছিলেন এবং বলেছিলেন পৃথিবীর ভার কমানোর জন্য আমি বৃন্দাবনের নন্দালয়ে কৃষ্ণ রূপে জন্মগ্রহণ করব। তুমি সেখানে বৃষ ভানু রাজা হয়ে জন্মাবে। আর তোমার কন্যা রুপে জন্মগ্রহণ করবে রাধা।
এই ত্রিলোকে আমি একমাত্র শ্রীরাধিকারই বশীভূত থাকবো। রাধা এবং কৃষ্ণের মধ্যে কোন প্রভেদ থাকবে না। সকলকে আকর্ষণ করার ক্ষমতা আমার আছে, কিন্তু এই জগত সংসারে একমাত্র রাধিকাই আমাকে আকর্ষণ করতে পারবে। সেইমতো প্রতিশ্রুতি অনুসারে মর্ত্যের নন্দালয়ে জন্মগ্রহণ করেন কৃষ্ণ। সূর্যদেব বৈশ্য কুলে জন্মগ্রহণ করেন বৃষভানু রাজা হয়ে।
তারপর সময় মতো ভাদ্র মাসের শুক্ল পক্ষে অষ্টমী তিথিতে পৃথিবীর বুক পবিত্র করে রাধা রাণী আবির্ভাব গ্রহণ করেন। শ্রীরাধার এই আবির্ভাব তিথিকেই রাধা অষ্টমী বলা হয়। যেটা তার জন্মদিন হিসেবেও পালন করা হয়ে থাকে।
একদিন রাজা বৃষ ভানু নদীতে স্নান করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু স্নানের জন্য জলে নামতেই আশ্চর্য হয়ে গেলেন যে, শত সহস্র সূর্যের আলোকের মতো জ্যোতির্ময় একটি স্বর্ণপদ্ম ঠিক যেন যমুনা নদীর মাঝখানে ফুটে আছে। এরপর রাজা বৃষভানু লক্ষ্য করলেন যে সেই স্বর্ণপদ্মের মধ্যে একটি শিশু কন্যাও রয়েছে।
তিনি অবাক হয়ে গেলেন, ঠিক তখনই ভগবান ব্রহ্মা এসে রাজাকে জানালেন যে, রাজা বৃষভানু ও তার পত্নী কীর্তিদা পূর্ব জন্মের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পত্নীকে কন্যা রূপে লাভ করার জন্য কঠোর তপস্যা করেছিলেন। তাই সেই ফলস্বরূপ এই জন্মে রাজা স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পত্নীকে কন্যা রূপে পেয়েছেন।
এরপর রাজা শিশু কন্যাকে নিয়ে এসে তার স্ত্রী কীর্তিদার হাতে তুলে দেন এবং রাজার অন্দরমহল সহ সমস্ত রাজ্যে আনন্দের উৎসব লেগে গেল। রাজা উৎসবের আয়োজন করলেন সমগ্র বৃন্দাবন খুশিতে ভরে উঠল । সেই উৎসবে নন্দ মহারাজও শিশু কৃষ্ণকে নিয়ে সপরিবারে এসেছিলেন রাধা অষ্টমীর উৎসবে।
ওই অনুষ্ঠানের শিশু কৃষ্ণ যখন হামাগুড়ি দিয়ে শিশু রাধারানীর কাছে গিয়েছিলেন সেই মুহূর্তে রাধারানীর চোখ খুলে প্রথম দেখলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে। তার এই আবির্ভাবের দিনটি রাধাষ্টমী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
রাধাষ্টমীর বিশেষ মাহাত্ম্য
১. কেউ যদি রাধাষ্টমী ব্রত পালন করে তাহলে কোটি ব্রহ্মহত্যার পাপ বিনষ্ট হয়ে যায় ।
২. রাধাষ্টমী ব্রত একবার পালন করলে সহস্র একাদশী পালনের একশ গুণ ফল লাভ হয় ।
৩. পর্বত সমান স্বর্ণ দান করলে যে ফল লাভ হয় তার একশ গুণ ফল লাভ হয় একবার রাধাষ্টমী ব্রত পালনে ।
৪. একবার রাধাষ্টমী ব্রত পালনে সহস্র কন্যাদানের ফল লাভ হয় ।
৫. একবার রাধাষ্টমী ব্রত পালনে গঙ্গা আদী সর্ব তীর্থের ফল লাভ হয় ।
৬. যদি কোনো পাপি ব্যক্তি অশ্রদ্ধায় বা অবহেলায়ও রাধাষ্টমী ব্রত পালন করে তাহলে তার কোটি কূলসহ বিষ্ণুলোকে নিত্যকাল বিরাজ করবে ।
৭. একবার রাধাষ্টমী ব্রত পালন করলে গোহত্যা, ব্রহ্মহত্যাসহ সর্বপাপ বিনষ্ট হয় ।
৮. যদি কোনো মূঢ় ব্যক্তি জেনে বা না জেনে রাধাষ্টমী ব্রত পালন করে না তাহলে শতকোটি কল্পেও সে নরক যন্ত্রণা থেকে নিষ্কৃতি পাবে না ।
৯. যে নারী রাধাষ্টমী ব্রত পালন করে না সে কোটি কল্পে নরক বাস করে থাকে এবং কোনোভাবে পৃথিবীতে জন্ম নিলেও তাকে বিধবা হতে হয় ।
১০. যদি কেউ রাধাষ্টমী ব্রত মাহাত্ম্য শ্রবন করতে পারে তাহলে সে নিত্যকাল বৈকুণ্ঠলোকে বাস করার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারবে ।
পুরাকালে সত্যযুগে লীলাবতী নামে এক পতিতা বাস করতেন । একদিন সকালে নগর ভ্রমনকালে এক সুসজ্জিত মন্দিরে রাধাঠাকুরানীর পূজা উদযাপন দেখতে পেয়ে ব্রতীদের কাছে ঐ পতিতা ছুটে গেলেন । গিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, "হে পূণ্যাত্মা সকল তোমরা এত সাত সকালে অতি যত্ন সহকারে কোন ব্রত উদযাপন করছ" ? তদত্তুরে রাধাব্রতীগণ বলতে লাগলেন যেহেতু ভাদ্র মাসের সীতাষ্টমীতে শ্রীমতি রাধিকা আবির্ভুত হয়েছিলেন, আমরা সেই রাধাষ্টমী ব্রত পালন করছি ।
এই অষ্টমীব্রত গোঘাত জনিত পাপ, ব্রহ্মহত্যা জনিত অথবা স্ত্রী হত্যা জনিত পাপ সহ সকল পাপই নাশ করতে সক্ষম । তাদের কাছ থেকে রাধাষ্টমীর মহিমা শ্রবণ করে সেই পতিতাও স্বেচ্ছায় ব্রত পালনে সংকল্প বদ্ধ হলেন এবং ভক্তগণের সহিত যথাযথভাবে ব্রত পালন করলেন । পরদিন সর্পদংশনে সেই পতিতার মৃত্যু হল । যমদূতেরা ক্রুদ্ধচিত্তে তাকে বন্ধন করে সাথে নিয়ে যমালয়ের দিকে যাত্রা শুরু করলেন ।
পথিমধ্যে শঙ্খ, চক্র, গদ, পদ্মধারী ভগবান বিষ্ণুর দূতগণ উপস্হিত হয়ে লীলাবতীর সকল বন্ধন ছেদন করে দিলেন এবং তাকে সঙ্গে করে রাজহংসযুক্ত দিব্য বিমানে বৈকুণ্ঠলোকে গমন করলেন । এই ভাবে অধঃপতিত বেশ্যাও কেবল মাত্র রাধাষ্টমী পালন করার ফলে সকল পাপ থেকে মুক্ত হয়ে সরাসরি বৈকুণ্ঠ ধামে গমন করলেন । যে এ রাধাষ্টমী ব্রত পালন করেন না শতকোটি কল্পেও তার নরক হতে নিষ্কৃতি নেই । তারা চিরতরে নরকে পতিত হবেন । পরবর্তীতে জন্ম হলেও বিধবা হয় ।
সবাই ছেড়ে চলে যায় কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ কখনও আপনার সঙ্গ ত্যাগ করেন না। আপনি ভালো কাজ করছেন সেখানেও তিনি খারাপ কাজ করলে সেখানেও তিনি। পরম মিত্র রূপে তিনি আপনার সাথেই আছেন। আমরা কী কখনো সেই মিত্রের কথা ভাবি। যখন আমাদের কোনো সংকট উপস্থিত হয় বা আমাদের কোনো মনের আশা পূরণ হলো না ঠিক তখনই তার কথা মনে পড়ে। সেই অনাদিকাল ধরে তিনি দু বাহু প্রসারিত করে আছেন আমাদের সাথে আলিঙ্গন করার জন্য। কবে আমরা তাকে আপন বলিয়া জড়িয়ে ধরবো। সেই মুহূর্ত আর হয়ে ওঠে না আমাদের জিবনে। আমরা হেরে যাই আমাদের মনের অবাঞ্ছিত লোভ- লালসার কাছে। যার ফল স্বরূপ আমাদের বিভিন্ন যোনীতে ভ্রমণ করতে হয়। কখনও কিট, কখনও বা পতঙ্গ, পশু, পক্ষী, বৃক্ষ এভাবে চলতে থাকে আমাদের জীবন পথ। শাস্ত্রে কথিত আছে মনুষ্য জনম নাকি দূর্লভ। তাই এই মনুষ্য জনম পেয়ে যদি তার সদ্ব্যবহার করতে না পারি তাহলে পরবর্তী অন্ধকারময় জীবনের জন্য প্রস্তুত থাকুন।
হরি হরি! বিফলে জনম গোয়াইনু।
মনুষ্য জনম পাইয়া, রাধাকৃষ্ণ না ভজিয়া,
জানিয়া শুনিয়া বিষ খানু।।
গোলোকের প্রেমধন হরিনাম সংকীর্তন
রতি না জন্মিল কেনে তায়।
সংসার বিষয়ানলে দিবানিশি হিয়া জ্বলে
জুড়াইতে নাহিক উপায়।।
ব্রজেন্দ্র-নন্দন যে শচীসুত হলো সেই
বলরাম হইলো নিতাই ।
দীনহীন যত ছিল হরিনামে উদ্ধারিল
তার সাক্ষী জগাই মাধাই।।
হাহা প্রভু নন্দসুত বৃষভানু-সুতাযুত
করুণা করহ এইবার।
নরোত্তম দাসে কয় না ঠেলিহ রাঙ্গা পায়
তুয়া বিনে কে আছে আমার।।
জয় শ্রীকৃষ্ণ
বিশ্বকর্মা পূজা❤️🙏🏻
বিশ্বকর্মা পূজা বা বিশ্বকর্মা জয়ন্তী হচ্ছে একটি হিন্দুধর্মীয় উৎসব। হিন্দু স্থাপত্য দেবতা বিশ্বকর্মার সন্তুষ্টি লাভের আশায় এই পূজা করা হয়।তাকে স্বয়ম্ভু এবং বিশ্বের স্রষ্টা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি দেবতা কৃষ্ণের রাজধানী দ্বারকা শহরটি নির্মাণ করেছিলেন। এছাড়াও তিনি রামায়ণে বর্ণিত লঙ্কা নগরী, পাণ্ডবদের মায়া সভা, রামায়ণে উল্লিখিত ব্রহ্মার পুষ্পক রথ, দেবতাদের বিভিন্ন গমনাগমনের জন্য বিভিন্ন বাহন, দেবপুরী এবং বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, শিব এর ত্রিশূল, কুবের এর অস্ত্র, ইন্দ্রের বজ্র, কার্তিকের শক্তি সহ দেবতাদের জন্য বহু কল্পিত অস্ত্রের স্রষ্টা। বিশ্বকর্মার ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে তিনি এই বিশ্বের সব কর্মের সম্পাদক। তিনি সব ধরনের শিল্পের প্রকাশক। শিল্পবিদ্যায় বিশ্বকর্মার রয়েছে একচ্ছত্র অধিকার। তিনি নিজেই চতুঃষষ্টিকলা, স্থাপত্যবেদ এবং উপবেদ এর প্রকাশক। কথিত আছে, পুরীর বিখ্যাত জগন্নাথমূর্তিও তিনিই নির্মাণ করেন। তাকে স্বর্গীয় সূত্রধরও বলা হয়।
বিশ্বকর্মা পূজা মূলত কারখানা শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পালন করা হয়। প্রায়ই দোকানের মেঝেতে পূজার আয়োজন করা হয়। কখনো কখনো বিশ্বকর্মার মূর্তি স্থাপন করে কিংবা কখনও কখনও পটে আঁকা চিত্র সামনে রেখে তার পূজা করা হয়। এসময় দোকান কিংবা শিল্প প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মী একসাথে এক জায়গায় জড়ো হয়ে তার পূজা করে।
বিশ্বকর্মার সন্তুষ্টি অর্জন ও তার প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে কেবল প্রকৌশলী কিংবা স্থপতি সম্প্রদায় নয়, সব ধরনের কারিগর, সূতার, মিস্ত্রি, কামার-কুমার, স্বর্ণকার, শিল্প কর্মী, কারখানার শ্রমিক, ঢালাইকর সহ অনেক ধরনের পেশার মানুষ এদিন তাঁর পূজা করে। তারা আরও উন্নত ভবিষ্যতের জন্য, নিরাপদ কাজের পরিস্থিতি এবং নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সর্বোপরি নিজ নিজ ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করে। আবার শ্রমিকেরা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রার্থনা করে। কখনো কখনো কারিগরেরা এসব যন্ত্রপাতি বিশ্বকর্মার নামে সমর্পন করে এবং ওই সময় সেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহারে বিরত থাকে। আধুনিক ইলেকট্রনিক সার্ভারগুলিও যাতে সুষ্ঠুভাবে কাজ করে সে জন্যও কেউ কেউ তার উপাসনা করে।
রাধা কথার অর্থ কি ?
রাধা ও কৃষ্ণের সম্পর্ক কি ?
রাধাকে কৃষ্ণের মামী বলা হয় এর অর্থ বা কি ?
শ্রীচৈতন্য চরিতামৃতে বলা হয়েছে --------
কৃষ্ণবাঞ্ছা - পূর্তি হেতু করে আরাধনে।
অতএব রাধিকা নাম পুরাণে বাখানে।।
পুরাণে বলা হয়েছে, শ্রীকৃষ্ণের বাম পার্শ্ব থেকে আবির্ভূত হয়ে সহসা তাঁর শ্রীপাদপদ্ম সেবার জন্য যিনি ধাবিত হয়ে পুষ্পচয়ন করে শ্রীকৃষ্ণর প্রথম আরাধনার বিধান করলেন, তিনি হচ্ছেন রাধা।
শ্রীমতী রাধারাণী সম্বন্ধে শ্রীচৈতন্য চরিতামৃতে শ্রীল কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী লিখেছেন-----
মহাভাবস্বরুপ শ্রীরাধাঠাকুররাণী।
সর্বগুণখনি কৃষ্ণকান্তা-শিরোমণি।।
অর্থাৎ, "মহাভাব-স্বরুপিণী শ্রীমতী রাধারানী হচ্ছেন সমস্থ গুণের আধার এবং শ্রীকৃষ্ণের প্রেয়সীগণের শিরোমণি"।
গোলকে শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীরাধা নি্ত্য কান্ত ও কান্তারুপে বিরাজমান। সেই কথা শ্রীব্রহ্মা ব্রহ্মসংহিতায় (৫/৩৭ শ্লোকে) বর্ণনা করেছেন ----
" পরম আনন্দদায়িনী শ্রীমতী রাধারাণীর সঙ্গে যিনি স্বীয় ধাম গোলকে অবস্থান করেন এবং শ্রীমতী রাধারাণীর অংশ-প্রকাশ চিন্ময় রসের আনন্দে পরিপূর্ণ ব্রজগোপিরা যাঁর নিত্য নীলাসঙ্গিনী, সেই আদিপুরুষ গোবিন্দকে আমি ভজনা করি । "
ভগবানের ভক্ত পার্ষদগণ কত সুন্দর ভাবেই শ্রীশ্রীরাধা কৃষ্ণের কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু জড়বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষেরা সেই সব সুন্দর সরল কথাগুলি জেনেও ' সাতকান্ড রামায়ণ পড়ে সীতা রামের মাসী " বলে চিন্তা করতে থাকেন। জটিল আর কুটিল মানসিকতা সম্পন্ন লোকেরাই রাধারাণীকে কৃষ্ণের মামী বলে ব্যাখ্যা করতেই পারে। কারণ আপন লম্পট্য ভাবধারা দিয়ে ভগবানের চরিত্র ব্যাখ্যা করে তাঁরা আমোদ পেতে আগ্রহী। ষড় গোস্বামীর গ্রন্থ অধ্যায়ন করলে তাঁরা অনর্থক কথাগুলি বলতে পারেন না।
শ্রীরাধারাণী হচ্ছেন কৃষ্ণপ্রিয়া আর শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন রাধানাথ।
হরে কৃষ্ণ🙏🙏
কোন ভুল ভ্রান্তি হলে ক্ষমা করবেন🙏
মৃত্যুর অর্থ কী,,,,,,,?
অধিকাংশ লোকের কাছেই মৃত্যু এক ভয়ঙ্কর বিষয়,,, ।।
শ্রীমদ্ভাগবদ্গীতায় শ্রীকৃষ্ণ ব্যাখ্যা করেছেন,,,,মৃত্যুকে আমাদের নিত্যসঙ্গি বলেই মনে হয়। গীতা অনুসারে,,,, আমাদের জীবনে আমরা প্রতিনিয়তই মারা যাচ্ছি । কারণ,, মৃত্যু বলতে শরীর পরিবর্তনকে বোঝায় এবং এই শরীর পরিবর্তন আমাদের জীবনে আমুল পরিবর্তন আনে।।
যেমন ধরুন,, ছয় মাস বয়সে যাকে দেখেছেন তাকে যদি পাঁচ বছর বয়সে দেখেন,, তাহলে খুব সম্ভব তাকে আপনি চিনতে পারবেন না। ছয় মাস বয়সে আপনি যে শরীর দেখেছেন,, তা সম্পুর্ণরুপে পরিবর্তিত হয়েছে,,, এমনকি দেহকোষগুলোও পরিবর্তিত হয়েছে। এভাবে শিশুকাল থেকে বৃদ্ধকাল পর্যন্ত প্রতিটি শরীরই নিরন্তর পরিবর্তিত হচ্ছে।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন,, শরীরের এই পরিবর্তনকে মৃত্যু বলে জানবে। ঠিক যেমন কেউ শৈশব থেকে যৌবন,, যৌবন থেকে বার্ধক্য এবং একই ভাবে মৃত্যুর সময় এক দেহ ত্যাগ করে অন্য দেহ গ্রহণ করে।।
যেমন,,, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পরিবারের অনেক সদস্য নিহত হবেন ভেবে অর্জুন এতোই বিমর্ষ হয়ে পড়েন যে,, তিনি যুদ্ধ করার ইচ্ছাই হারিয়ে ফেলেন। তাই তিনি বলেন ,, ''এমন কি আমি যদি ত্রিভুবনও লাভ করি,, তবু তাদের হত্যা করে আমি সুখী হব না। অর্জুনের মতো প্রত্যেক জীবই মৃত্যু নিয়ে চিন্তিত। পরিবারের সদস্যদের আসন্ন মৃত্যু নিয়ে চিন্তিত অর্জুনকে মুক্ত করার জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাকে মৃত্যু সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছেন।
মৃত্যু বলতে আসলে কী বোঝায়,,? কিছু মানুষ মনে করে মৃত্যু মানে সবকিছু শেষ হওয়া। জড় দৃষ্টিকোণ থেকে এ জীবন এবং এ দেহ শেষ হওয়াকেই মৃত্যু বলে,, কিন্তু নিত্য আত্মার মৃত্যু হয় না ।।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Telephone
Website
Address
Sylhet
Sylhet
3000
Sylhet
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোট, জকিগঞ্জ উপজেলা শাখা, সিলেট।
Sylhet, 3100
If you claim yourself Muslim, but you do not pray five times a day. There is a very simple Question: Why don't you pray? You should know the answer.
Sylhet
My aim is to work against misculture for the sake of truth and religion. Joy Hindhu religion!
Sylhet
"What destroys a man more quickly than to work, think and feel without inner necessity."