Dr. D M Nurul Amin Utpal - BPT Physiotherapist
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন বি
বিএমডিসি এক্ট-২০১০ আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ফিজিওথেরাপি ডাক্তারদের ব্যাপারে তাহা প্রযোজ্য নয়। অর্থাৎ ফিজিওথেরাপি ডাক্তারদের ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিএমডিসির কোন আইনি এখতিয়ার নেই।
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক
গন নামের পূর্বে ডাক্তার ব্যবহার করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে নিচের গণ বিজ্ঞপ্তি পড়ুন
আজ বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য
"বাতের সমস্যায় ফিজিওথেরাপি"।
বিশ্বের ১২৬ টি দেশে একযোগে দিবসটি বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে উদযাপিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি এসোসিয়েশন (বিপিএ) এবং বিভিন্ন সংগঠন দিবসটি উদযাপন করছে। কার্যক্রমের মধ্যে র্যালী, কনফারেন্স, টেলিভিশন মিডিয়ায় বিভিন্ন সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান আয়োজন উল্লেখযোগ্য।
দিবসটি উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
গবেষনার ফলাফল অনুযায়ী, বিভিন্ন ধরনের বাতের সমস্যায় ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি। অস্টিওআর্থ্রাইটিস, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসসহ বিভিন্ন ধরনের বাতের সমস্যায় ফিজিওথেরাপি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পদ্ধতি, কোন কোন ক্ষেত্রে একমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতিও বটে।
আসুন আমরা বিভিন্ন ধরনের বাত সম্পর্কে সচেতন হই এবং সঠিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নেই।
সকলকে ফিজিওথেরাপি দিবসের শুভেচ্ছা
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী লাইফ সাপোর্টে।
সবাই দোয়া করবেন
5 Best District Hospitals in Bangladesh
কোন সময়ের রোদে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়?
উত্তর : সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত রোদ সবচেয়ে ভালো। এই সময় সূর্যের যে আলো আসে, সেটি ভালো। কেবল শীতকাল নয়, সব ঋতুতেই যদি আমরা কিছুক্ষণ রোদে বসি, পাঁচ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টা পর্যন্ত সপ্তাহে দুবার, তাহলে উপকৃত হওয়া যায়।
আর ভিটামিন ডি হলো ফ্যাট সলিউবল। সে জন্য চর্বিযুক্ত মাছে ভিটামিন ডি থাকে। স্যামন, ম্যাকারল, মাংসের লিভার, মাছের তেল, পনির, সয়া, কমলার জুস ইত্যাদিতে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এ ধরনের খাবার যারা নিয়মিত নিতে পারে না, তাদের জন্য সাপ্লিমেন্ট দরকার। প্রতিদিন যদি ১০০ থেকে ৪০০ ইন্টারন্যাশনাল লিমিট দিয়ে থাকি, বাচ্চা থেকে ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত, তাহলে সেই রোগ হবে না। সেটা হলো স্বাভাবিক সাপ্লিমেন্ট। যখন ভিটামিন ‘ডি’র অভাব হয়ে যায়, তখন এর চেয়ে বেশি বাড়িয়ে দিতে হয়। অনেক সময় দেখা যায়, পাঁচ হাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট আমরা দিই। ভিটামিন ‘ডি’র অভাব হলে হাড়গুলো নরম হয়ে যায়। তাই ভিটামিন ডি খুব দরকার।
"এখন থেকে দেশের ৫০০ টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মায়েদের প্রসবকালীন কঠিন সময়ে সেবা দিতে দৈনিক ৮ ঘণ্টার পরিবর্তে দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই খোলা রাখা হবে। ইনশাআল্লাহ খুব দ্রুতই আরো ৫০০ টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই সেবা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এভাবে আমরা দেশের একটি মা'কেও আর প্রসবকালীন কষ্ট পেয়ে পেয়ে মারা যাতে দিবোনা।"
গ্রামের মায়েদের জন্য এই সুন্দর খবরটি গতকালের অনলাইন মিডিয়ায় এবং আজকের প্রিন্ট মিডিয়ায় যে সংবাদ মাধ্যমগুলো প্রচার করেছে তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
তথ্যসূত্র: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সুস্থতার জন্য প্রয়োজন মেরুদন্ডকে ভালো রাখা: আজ বিশ্ব মেরুদণ্ড দিবস
কোমরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ঘাড় কোমর এবং পিঠ। গাড়ি এবং কোমরে ব্যথা হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই মুশকিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, অনির্দিষ্ট ব্যাকপেইন শিল্পোন্নত দেশগুলোতে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ লোকের হয়ে থাকে। এই ব্যাকপেইনের অন্যতম প্রধান কারণ মেরুদণ্ডের সমস্যা। মেরুদণ্ড মূলত বিভিন্ন ধরনের কশেরুকা, মাংসপেশি, লিগামেন্ট এবং কশেরুকার মধ্যবর্তী নরম জেলির মতো পদার্থ বা ডিস্কের সমন্বয়ে গঠিত। কশেরুকা, মাংসপেশি, লিগামেন্ট এবং ডিস্ক—এগুলোর সজীবতা রক্ষা করার জন্য দরকার সঠিক রক্ত চলাচল ব্যবস্থা। কোনো কারণে ডিস্কের ওপরে চাপ পড়লে সেটি পরবর্তী সময়ে আমাদের শরীরকে নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ুর ওপর চাপ প্রয়োগ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে তীব্র ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
মেরুদণ্ডের ক্ষতির কারণগুলো
[১] আঘাতের কারণে মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে
[২] মেরুদণ্ডে কোনো টিউমার হলে অথবা অন্য জায়গার কোনো টিউমার মেরুদণ্ডে এলে মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে
[৩] জন্মগত অথবা অন্য কোনো কারণে মেরুদণ্ড অস্বাভাবিক বাঁকা হয়ে গেলে
[৪] যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত ভার বহনের কাজ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে
মেরুদণ্ড সুস্থ রাখার কৌশল
[১] ঘুমের সঠিক পদ্ধতি যেমন ঘুমের সময় বেশি উঁচু বালিশ ব্যবহার না করা
[২] নিয়মিত থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ মেরুদণ্ডের মাংসপেশিকে স্বাভাবিক রাখতে এবং অতিরিক্ত ভার নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ সাহায্য করে
[৩] সঠিক মাপের জুতা ব্যবহার করা
[৪] যাঁরা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে সঠিক নিয়মে বসে কাজ করাটা খুবই জরুরি বিশেষ করে ঘাড় কোমর যথাসম্ভব সোজা রেখে বসা
[৫] শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
[৬] সুষম খাদ্য গ্রহণ
[৭] ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা
[৮] নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করা
[৯] নিজের শরীরের ওজনের চার ভাগের এক ভাগের (২৫ শতাংশ) বেশি ওজন বহন না করা
[১০] মাঝেমধ্যে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া
[১১] স্বাভাবিক মাত্রায় পানি পান করা
মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত পেলে, ব্যথা পেলে জরুরি ভিত্তিতে ফিজিওথেরাপ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বাচ্চারা গর্ভে থাকতেই খাবারের স্বাদ আর গন্ধ পায়
অন্তঃসত্ত্বা নারীকে কোন উপদেশটা দেওয়া হয় সবচেয়ে বেশি? হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। দ্বিগুণ খেতে বলা। কেউ অন্তঃসত্ত্বা হলেই আশপাশের মানুষ বলতে শুরু করে, ‘এখন তো তোমাকে দুজনের খাওয়া খেতে হবে।’ প্রশ্ন হলো, একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী যা খান, গর্ভের সন্তান কি তার স্বাদ–গন্ধ পায়?
গাজরের জুস খাওয়ার পর দেখা গেছে, বাচ্চাদের মুখের ভঙ্গি হয় অনেকটা হাসিমুখের মতোগাজরের জুস খাওয়ার পর দেখা গেছে, বাচ্চাদের মুখের ভঙ্গি হয় অনেকটা হাসিমুখের মতো
এ প্রশ্ন নিয়েই যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। এ গবেষণায় অংশ নেন ৮ ও ৯ মাসের গর্ভবতী ১০০ নারী। এই নারীদের বিভিন্ন স্বাদের ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। আর দেখা হয়, গর্ভের বাচ্চার মুখভঙ্গি। পরে এই নারীদের গাজরের জুস আর পাতাকপির জুস দেওয়া হয়। গাজরের জুস খাওয়ার পর দেখা গেছে, বাচ্চাদের মুখের ভঙ্গি হয় অনেকটা হাসিমুখের মতো। আর পাতাকপির জুস খাওয়ানোর পর তারা ‘ক্রাইং ফেস’ বা কান্নার মতন চেহারা করে।
পাতাকপির জুস খাওয়ানোর পর তারা ‘ক্রাইং ফেস’ বা কান্নার মতন চেহারা করেপাতাকপির জুস খাওয়ানোর পর তারা ‘ক্রাইং ফেস’ বা কান্নার মতন চেহারা করে
গবেষণা দলের প্রধান গবেষক বেইজা উসতুন বলেন, ‘একাধিক গবেষণা একটা দিকেই নির্দেশ করে। গর্ভে থাকা অবস্থায়ও বাচ্চারা খাবারের স্বাদ আর গন্ধ পায়।
তারা কী খাবার খেতে ভালোবাসে, গর্ভে থাকতেই তারা তা জানে। আমরা সেটি বুঝতে পারি জন্মের পর।’ এই নারী গবেষক আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, বাচ্চারা হয়তো জন্মের পর প্রথমবারের মতো নানা কিছুর স্বাদ পায়। তবে বাস্তবতা হলো অন্তত অষ্টম মাস থেকেই মা যা কিছু খায়, সেসব খাবারের গন্ধ আর স্বাদ পায় তারা। তাই জন্মের পর প্রথমবার নয়, জন্মের আগে থেকেই তারা জানে কী খাবার তাদের পছন্দ, আর কী অপছন্দ।’ এই গবেষক আরও বলেন, হবু মায়ের উচিত অন্তত শেষ সময়ে বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার না খেয়ে ঘরের বানানো স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। কেননা, সেই সময় থেকেই বাচ্চার খাদ্যাভ্যাস তৈরি হয়। আর বাচ্চার খাবারের অভ্যাস তৈরিতে এভাবে জন্মের আগে থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মা।
এ গবেষণা ‘সাইকোলজিক্যাল সায়েন্স’-এ প্রকাশিত হয়েছে। আর এটি নিয়ে প্রতিবেদন করেছে টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
বাংলাদেশে মোট প্রতিবন্ধী জনসংখ্যা প্রায় ২ কোটির কাছাকাছি যাদের মধ্যে প্রায় ৪৬% আবার শারীরিক প্রতিবন্ধী। এই বিশাল প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য স্বীকৃত চিকিৎসা পেশাজীবী ফিজিওথেরাপিস্টের সংখ্যা অত্যন্ত অপ্রতুল।
প্রতিবন্ধিতা সারাতে এবং প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূল স্রোতধারার অন্তর্ভুক্ত করতে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার গুরুত্ব অপরিসীম।
বিস্তারিত জানতে নিচের প্রবন্ধটি পড়ার অনুরোধ রইলো এবং লেখাটি যদি উপকারী মনে হয়, ভালো লেগে থাকে তাহলে এই পেজটিকে লাইক দিন এবং শেয়ার করে অন্যকে জানার সুযোগ করে দেওয়ার অনুরোধ রইলো।
সূত্র: বণিক বার্তা
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
"বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস"
১৯৯৬ সালে ওয়ার্ল্ড কনফেডারেশন ফর ফিজিক্যাল থেরাপি (WCPT) ৮ সেপ্টেম্বরকে বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। বর্তমানে এই সংস্থাটি World Physiotherapy নামে পরিচিত। বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) ২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ দিবসটি পালন করে আসছে।বিশ্বের ১২১টি দেশে একযোগে এই দিনে ফিজিওথেরাপি দিবস পালন করা হয়। প্রতিটি দেশে এবার ২৬তম বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি এসোসিয়েশন ছাড়াও সারাদেশে বিভিন্ন সংগঠন দিবসটি ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এবারে পালন করেছে।
এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয়ঃ ‘অস্টিওআর্থাইটিস চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপি সবচেয়ে কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি’।
দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা, অস্টিওআথ্রাইটিস এ ধরনের রোগ নিরাময়ে বিশ্বব্যাপী ফিজিওথেরাপি একটি স্বীকৃত, কার্যকরী ও গবেষণালব্ধ বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা পদ্ধতি।
বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস সফল হোক
চিকিৎসার অভাবে গর্ভবর্তী মৃত্যুর জেরে পদত্যাগ করলেন পর্তুগালের স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বর্তমানে দেশে সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারির হার ৬৯ শতাংশ ও সিজারিয়ান ডেলিভারির হার ৩১ শতাংশ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
নিচের ফিল্মে, মেরুদন্ডের L5-S1 ডিস্ক সরে যাওয়াকে ডিম্বাকৃতির চিহ্ন দ্বারা আটকে দেওয়া হয়েছে। এখানে এই ডিস্ক সরে যাওয়াটিই হচ্ছে সমস্যা যা নার্ভের গোড়ায় চাপ দেয় এবং কোমরে ব্যথা হয়। অনেক ক্ষেত্রে, এই ব্যাথা এক পায়ে কিংবা দুই পায়ে একসাথে এমনকি পায়ের পাতা পর্যন্ত চলে যেতে পারে।
তাই কোমর ব্যথায়, প্রকৃত কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিশ্চিত করতে একজন বিপিটি ডিগ্রি সম্পন্ন ফিজিওথেরাপি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে পারেন।
কোমর ব্যথা হলেই কি কোমরের বেল্ট পরতে হবে?
না, কোমরের ব্যথা হলেই কোমরে বেল্ট পড়তে হবে এমনটি নয়। আগে কোমর ব্যথার কারণ নির্ণয় করতে হবে কি কারনে হচ্ছে কোমর ব্যথা। যদি সামনের দিকে অতিরিক্ত ঝুঁকে বসা কিংবা ঝুকঝুকি জনিত কোন কারনে কোমর ব্যথা হয় সেই ক্ষেত্রেই কোমরের বেল্ট ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকি।
কোমর ব্যথা রোগীদের জন্য একটি কার্যকরী বেল্ট। এটি মেরুদন্ডের নিচের অংশকে যেকোন ধরনের চাপ, আঘাত থেকে রক্ষা করে। একই সাথে সামনের দিকে অতিরিক্ত ঝুকে যাওয়াকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে।
এই বেল্টটি দৈনন্দিন ভারী কাজকর্ম ও ভ্রমণের সময় ব্যাবহার করতে হয়। অন্য সময় খুলে রাখতে হয়।
দীর্ঘ সময় এটি পরে থাকলে কোমরের মাংসপেশি দূর্বল হতে পারে। তাই সারাক্ষণ বেল পরে থাকা যাবে না।
বেল্টের ব্যবহার কিংবা কোমর ব্যথা সম্পর্কিত আরো বিস্তারিত জানতে, বুঝতে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের সাথে কনসাল্ট করুন।
পোস্টটি উপকারী মনে হলে লাইক শেয়ার দিয়ে অন্যদেরকে দেখার সুযোগ করে দিন।
...........
ডা: ডি এম নুরুল আমিন উৎপল, বিপিটি
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক
একজন স্ট্রোক রোগীর অভিজ্ঞতা এবং কিছু সতর্কীকরণ পরামর্শ
এই ডাক্তারি পরামর্শটির বাস্তব উদাহরণ আমি নিজে!!!
গত মার্চের ৬ তারিখের গভীর রাতে আমার ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিল! দ্রুত ওঠে বাথরুমে পেসাব করে বোতলে পানি খেয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ি। তার দুইদিন পর সিমটম শুরু হলে নিউরোসাইন্স হাসপাতালে যাই। যথারীতি সিটিস্ক্যান! ধরা পড়ে মাইনর স্ট্রোক!
পরামর্শ:
যারা রাত্রে বা ভোরে বাথরুমে যাবার জন্য ঘুম থেকে ওঠেন তাদের জন্য ডাক্তারদের একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ:
আমরা প্রায়ই শুনতে পাই একেবারে সুস্থ একজন মানুষ রাতের বেলা হঠাৎ মারা গেছেন। এটার একটা কারন হচ্ছে রাতে বাথরুমে যাবার জন্য ঘুম ভেঙ্গে গেলে আমরা তাড়াহুড়ো করে হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে পড়ি, যা ব্রেইনে রক্তের প্রবাহ হঠাত কমিয়ে দেয়। এটা আপনার ইসিজি প্যাটার্নও বদলে দেয়।
হুট্ করে ঘুম থেকে উঠেই দাঁড়িয়ে পড়ার দরুন আপনার ব্রেইনে সঠিক ভাবে অক্সিজেন পৌছাতে পারেনা, যার ফলে হতে পারে হার্ট এ্যাটাকের মত ঘটনাও।
ডাক্তাররা ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যাবার আগে সবাইকে 'দেড় মিনিট' সময় নেয়ার একটি ফর্মুলা দিয়েছেন।
এই দেড় মিনিট সময় নেয়াটা জরুরি কারন এটা কমিয়ে আনবে আপনার আকস্মিক মৃত্যুর সম্ভাবনা।
হঠাৎ এই উঠে পড়ার সময়ে এই দেড় মিনিটের ফর্মুলা বাঁচিয়ে দিতে পারে আমাদের জীবন।
১। যখন ঘুম থেকে উঠবেন, হুট করে না উঠে মিনিমাম তিরিশ সেকেন্ড বিছানায় শুয়ে থাকুন।
২। এরপর উঠে বিছানায় বসে থাকুন তিরিশ সেকেন্ড।
৩। শেষ তিরিশ সেকেন্ড বিছানা থেকে পা নামিয়ে বসুন।
এই দেড় মিনিটের কাজ শেষ হবার পর আপনার ব্রেইনে পর্যাপ্ত পরিমানে অক্সিজেন পৌছাবে যা আপনার হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি একদম কমিয়ে আনবে।
খুবই গুরুত্তপুর্ন এই স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্যটি ছড়িয়ে দিন আপনার পরিবার, বন্ধু এবং পরিচিত লোকজনের মাঝে। নিজে এই ফর্মুলাটি মেনে চলুন এবং অন্যদেরকেও মানতে বলুন।
হাঁটাহাটি যেসব রোগের ঝুঁকি কমায়
[১] শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমে। ভালো কোলেস্টেরল
বা এইচডিএল বাড়ে, মন্দ কোলেস্টেরল বা
এলডিএল কমে।
[২] ওজন কমে। ওজন কমার যেসব সুবিধা, সেগুলো
পাওয়া যায়। হাঁটুব্যথা, কোমরব্যথা কমে।
[৩] স্তন ক্যানসারসহ অন্য অনেক ক্যানসারের ঝুঁকি
কমে।
[৪] হাঁটলে শরীরের পেশিতে ইনসুলিনের কার্যকারিতা
বাড়ে। ফলে রক্তের গ্লুকোজ কমে। ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে থাকে।
[৫] উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের
(স্ট্রোক) ঝুঁকি কমাতেও প্রতিদিন হাঁটুন। করোনারি
ধমনিতে ব্লক থাকলেও নিয়মিত হাঁটার কারণে
আশপাশের ছোট রক্তনালিতে রক্ত সরবরাহ বাড়ে।
ফলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে।
[৬] মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে।
হাঁটার সময় হৃৎস্পন্দন আর শ্বাস–প্রশ্বাসের গতি
বাড়ে। ফলে হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসে রক্ত সরবরাহ
বাড়ে।
[৭] যারা নিয়মিত হাঁটেন, তাঁদের অস্টিওপোরোসিস
(হাড়ের ক্ষয়জনিত একটি রোগ) কম হয়। হাড়ের
জোড়া বা গিঁট সুস্থ থাকে।
কি কি কারণে হাঁটু ব্যথা হয়ে থাকে?
[০১] আঘাতে
লিগামেন্ট ও মেনিস্কাস, টেন্ডন ইনজুরি, এমনকি
হাড় ভেঙে যেতে পারে। প্যাটেলা অবস্থানচ্যুত হয়ে
ব্যথা হতে পারে।
[০২] অস্টিও আর্থ্রাইটিস বা বাত।
[০৩] অস্টিও পেরোসিস বা হাড়ের ক্ষয়।
[০৪] রিউম্যাটিক বাত।
[০৫] জয়েন্টে ইনফেকশন।
[০৬] অনেক সময় কোমরে বা পায়ের গোড়ালির নিচে
ব্যথা হলেও সেই ব্যথা হাঁটুতে অনুভূত হতে পারে।
চিকিৎসা কি?
হাঁটু ব্যথার প্রকৃত কারণ চিহ্নিত করণের পর চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণ ভাবে এই ব্যথা নিরাময় করা সম্ভব।
আর এ জন্য নিকটস্থ একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শুধু ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা কিংবা আরো কিছু ভিন্ন চিকিৎসকের সাথে সমন্বিত চিকিৎসা করতে হবে।
প্রতিরোধ ব্যবস্থা কি?
[০১] নিয়মিত হাঁটুন।
[০২] শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
[০৩] পর্যাপ্ত ভিটামিন, মিনারেলস ও আঁশযুক্ত খাবার খান।
[০৪] খেলাধুলার আগে ওয়ার্মআপ করে নিতে হবে।
[০৫] নিয়মিত হালকা ব্যায়াম ও সঠিক চিকিৎসার
মাধ্যমে
হাঁটুব্যথা নিরাময় সম্ভব।
পারকিন্সন ডিজিজ
বিজ্ঞানীরা বলছেন, পারকিনসন্স রোগ কেনো হয় - সেটা বোঝার ক্ষেত্রে তারা বড় ধরনের অগ্রগতি সাধন করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির একদল বিজ্ঞানী এই রোগের উপর গবেষণা চালিয়ে বলেছেন, মানুষের পেটের ভেতরে পরিপাক নালীর ভেতরে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থেকে এই রোগের সৃষ্টি হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, এসব ব্যাকটেরিয়া থেকে কিছু রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয় যা মস্তিষ্কের কিছু অংশকে অত্যন্ত উদ্দীপ্ত করে তোলে যার ফলে মস্তিষ্কের ওই অংশের মারাত্মক ক্ষতিও হতে পারে।
পারকিনসন্স হচ্ছে এমন এক শারীরিক অবস্থা যাতে মস্তিষ্ক আক্রান্ত হয়।
এটা তখনই হয় যখন মস্তিষ্কের একটি অংশ ঠিকমতো কাজ করা বন্ধ করে দেয় এবং সময়ের সাথে এসব স্নায়ু কোষের মৃত্যু হয়।
মানুষের মস্তিষ্কে আছে অগণিত বহু স্নায়ু-কোষ। এসব থেকে তৈরি হয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক রাসায়নিক উপাদান - ডোপামিন।
হাঁটাচলায় সহায়তা করতে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে বার্তা পাঠানোর কাজে এই ডোপামিনকে ব্যবহার করে মানুষের মস্তিষ্ক।
হাঁটতে, কথা বলতে, লিখতে এমনকি হাসি দিতেও।
কিন্তু এই ডোপামিনের উৎপাদন যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন সে ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। আর তখনই বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে।
আপনার আপনজন পারকিন্সন ডিজিজে আক্রান্ত হলে একজন নিউরোলজি চিকিৎসক এবং একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
ভারতের চিকিৎসা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি যারা অন্ধ তাদের নিচের তথ্যটি জানা উচিৎ।
তাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া যারা সাধারন হাঁচি কাশি হলেও ভারতে যান চিকিৎসা করাতে
ডা. আবুল হোসেন চৌধুরীর মরদেহ ২ দিন ধরে পড়ে ছিলো সেগুনবাগিচার নিজ বাসায় ;
স্ত্রী-সন্তান থাকেন কানাডায় উন্নত জীবনের আশায়
সূত্র: স্বাস্থ্য অধিদফতর
কেমন বালিশে ঘুমানো ঘাড়ের ব্যথা প্রতিরোধে সহায়ক?
অতিরিক্ত উঁচু বা একদম নিচু বালিশ স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভাল নয়। বালিশের উচ্চতা হওয়া উচিত মাঝারি। বালিশের উচ্চতা এমন হওয়া উচিত, যাতে কাঁধ বা ঘাড় না বাঁকিয়ে মোটামুটি সোজা বা সমান্তরাল রেখে শোয়া যায়। যদি এক পাশে ফিরে শোয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে বিছানায় শোয়ার পরে কাঁধের সঙ্গে গলার উচ্চতা যত টুকু তত টুকুই হওয়া উচিত বালিশের উচ্চতা।
আর যদি আপনি চিৎ হয়ে শুতে পছন্দ করেন, তাহলে আপনার ঘাড় এবং বালিশের উচ্চতা সমান্তরালে থাকা উচিত।
ব্রেইন ফাংশন (Brain Function)
মানুষের মস্তিষ্ক যাতে ভালোভাবে চিন্তা, বিশ্লেষণ এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারে তার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন।
যদি কম ঘুমানোর অভ্যাস করেছেন কিংবা করছেন তাহলে নিজেই নিজের অজান্তে নিজেকে ক্ষতি করছেন।
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষকে কমপক্ষে ৬/৭ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। একটি ভালো ঘুমের পরে মস্তিষ্কের কোষগুলো ক্লান্তি কাটিয়ে আবার ফুললোড দিয়ে কাজ করতে পারে।
তাই আজ থেকেই ঘুম নিয়ে অবহেলা নয়।
একটানা লম্বা সময় বসে থাকা ঘাড়,কোমরের জন্য ক্ষতিকর
লম্বা সময় বসে থাকা ঘাড় এবং কোমরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। অনেকের ব্যথার কারন এটি। লম্বা সময় বলতে কমপক্ষে ৩০ মিনিট সময়কে বুঝানো হচ্ছে।
তাই ৩০ মিনিটের মধ্যেই একবার দাঁড়িয়ে সোজা হয়ে নিন। সুযোগ থাকলে ২/১ মিনিট হেঁটে আবার বসুন।
প্রতিবন্ধিতা কোনো অভিশাপ নয়
প্রতিবন্ধীদের জন্য সমসুযোগ, সমঅধিকার, শিক্ষা, বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রদানের সুযোগ করে দিলে তারাও সমাজে, অর্থনীতিতে ও সংস্কৃতিতে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক অবদান রাখতে সক্ষম।
আমাদের পশ্চাৎপদ সমাজব্যবস্থা তাদেরকে বোঝা, অবমূল্যায়ন ও অনুগ্রহের পাত্র বানিয়ে রেখেছে। প্রতিবন্ধীরা আমাদের পরিবারের সদস্য, সমাজের মানুষ ও রাষ্ট্রের নাগরিক। তাদের সব নাগরিক অধিকার দেওয়া রাষ্ট্রের কর্তব্য। তাদের ভিন্ন চোখে দেখার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।
ব্যথা শরীরের একটা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
এর মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিকর পরিস্থিতি বা অবস্থা এড়াতে পারে। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্যে ব্যথা বুঝতে পারার অনুভূতি থাকা অত্যাবশ্যক।
হাড়ভাঙ্গা প্রতিরোধে থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ অত্যন্ত কার্যকর যা একজন ফিজিওথেরাপি ডাক্তার প্রেসক্রিপশন করে থাকেন
হাড়ের মূল উপাদান আমিষ, কোলাজেন ও ক্যালসিয়াম। প্রাকৃতিক নিয়মেই ৪০ বছর ক্ষেত্র বিশেষে ৩০ বছরের পর থেকে হাড়ের ঘনত্ব ও পরিমাণ কমতে থাকে। ৫০ থেকে ৬০ বছরের দিকে হাড় অনেক দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।
পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যেই হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া জনিত হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার প্রবনতা বেশি থাকে। বোন হেলথ অ্যান্ড অস্টিওপোরোসিস ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্তদের মধ্যে ৮০ শতাংশই নারী। পঞ্চাশোর্ধ নারীর বেলায় প্রতি দুই জনে একজন হাড় ভাঙ্গা সমস্যায় ভোগেন এই অস্টিওপোরোসিস থেকেই।
নারীদের এ রোগের ঝুঁকি বেশি কেন?
নারীর হাড় পুরুষের চেয়ে ছোট ও সরু হয়। ইস্ট্রোজেন হরমোন নারীর হাড়কে সুরক্ষা দেয়। কিন্তু মেনোপজের পর অর্থাৎ প্রায় ৫০ বছরের পর নারীর এই হরমোন খুব দ্রুত কমে আসতে থাকে। তখনই হাড় ক্ষয় বাড়তে শুরু করে। বয়স্করাই মূলত এতে বেশী আক্রান্ত হলেও ২০, ৩০ এবং ৪০ বছরের নারীরাও অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত হতে পারেন। তরুণীদের মধ্যে যাদের হাড়ের ঘনত্ব কম, তাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে অস্টিওপোরোসিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
করণীয় কী?
ক্যালসিয়াম ও ফসফেট খনিজ উপাদান দুটি বাড়ন্ত বয়সে ও যৌবনে শরীরের হাড় গঠন করতে কাজ করে।
এজন্য মেনোপজ হওয়ার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হাড়ের ঘনত্ব, হাড়ে খনিজের পরিমাণ পরীক্ষা করে দেখতে হবে। গর্ভবতী নারীকে অবশ্যই তার সন্তানের সুগঠিত হাড়ের জন্য ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি খেতে হবে। ভালো খাবারের পাশাপাশি মজবুত হাড়ের জন্য নিয়মিত শরীরচর্চার বিকল্প নেই।
চিকিৎসাবিজ্ঞানে একটি কথা আছে— প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। প্রতিরোধ শুরু করতে হবে শিশুকাল থেকেই। যাতে শিশুকাল থেকে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত আমাদের হাড়ের ঘনত্ব অনেক বেশি থাকে।
তারপরেও কারো সমস্যা হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
হাড় হচ্ছে একটি কঠিন অঙ্গ, যা মেরুদণ্ডী প্রাণীর কঙ্কাল তৈরি করে।
হাড়গুলি দেহের বিভিন্ন অঙ্গকে সুরক্ষা দেয়, লোহিত এবং শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি করে, খনিজ পদার্থ জমা রাখে, শরীরের কাঠামো তৈরি করে, এবং চলনে সহায়তা করে।
দেহের হাড় বিভিন্ন আকারের হয় এবং এর একটি জটিল অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক কাঠামো থাকে। এগুলি হালকা হলেও শক্ত হয়, এবং একাধিক কাজ সম্পন্ন করে।
তাই হাড়ের যত্ন করতে হবে এবং বিশেষ কোন সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
#ক্যালসিয়াম :
প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের (১৮-৫০ বছর পর্যন্ত) দৈনিক ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এবং ৫১ বছর বা তদূর্ধ্বে ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম খাবার থেকে গ্রহণ করা উচিত। দুধ, শাকসবজি, হাড়সহ ছোট মাছ, ফলমূল, সরিষার তেল ইত্যাদি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার।
#ভিটামিন_ডি:
ভিটামিন ‘ডি’-এর অন্যতম উৎস হল সূর্যালোক। মানবদেহের অভ্যন্তরে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি হওয়ায় একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সূর্যালোক দেহের সংস্পর্শে আসা প্রয়োজনীয়। সামুদ্রিক মাছ (যেমন- টুনা, সার্ডিন, স্যালমন ইত্যাদি), কড লিভার তেল, ডিম, দুধ, গরুর কলিজা, মাখন ইত্যাদি ভিটামিন ‘ডি’ সমৃদ্ধ খাবার।
সিজোফ্রেনিয়া এক ধরনের মানসিক রোগ যা বেশ জটিল। উন্নয়নশীল দেশগুলোতেই এই রোগীর সংখ্যা বেশী দেখা যায় সাধারণত। গবেষণায় দেখা গেছে পুরুষদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবনতা নারীদের তুলনায় দেড়গুণ বেশি।
বর্তমান আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, সঠিক সময়ে এ রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা দেওয়া হলে এটি নিরাময়যোগ্য। সুতরাং সিজোফ্রেনিয়া মানেই জীবনের শেষ নয়।
নতুন রোগ শনাক্ত "মানকি পক্স; ইউরোপেই শনাক্ত ১০০ ছাড়িয়েছে
নিষিদ্ধ করা হলো দেশের বহুল প্রচলিত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ
RABEPRAZOLE 10mg 20mg
Kontab
Finix
Rabe 20
Rebeca 20
Acifix 20
Paricel 20
Xorel 20
(Rabeprazole )
কারণ
১. ৬০০০০ patients এর উপর trial এ দেখা গেছে Rabiprazole - Stomach cancer এর ঝুঁকি double করে দেয়।
২. ৬-৮ সপ্তাহের বেশী use করা যায়না।
৩. Rabiprazole এর Drug drug interection অনেক বেশী।
এবং
ASTAXANTHIN 2mg 4mg
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ০৯/০৫/২০২২
স্বারক নং ৮০৯১ মহাখালী ঢাকা।
Rabeprazole , Astaxanthin, ও Bromelain+Trypsin গ্রুপের তিনটি ঔষধ কে নিষিদ্ধ করেছে ঔষধ প্রশাসন।
ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ার কারনে এই নিষেধাজ্ঞা।
Finix, Acifix, Xorel, Rabepres, Rabeca, Rabepes, Prompton, Rasonix,Rabe, Paricel, Rabifast ইত্যাদি এই ঔষুধগুলো Rabeprazole গ্রুপের।
Zanthin, Aztacap, Astasoft, Avanza ইত্যাদি ঔষুধগুলো Astaxanthin গ্রুপের।
Kontab ঔষধ (Bromelain+Trypsin) এই গ্রুপের।
তাই আপনি এই গ্রুপের কোন ঔষুধ খেয়ে থাকলে আজকে থেকে বন্ধ করে দিন এবং অন্য গ্রুপের ওষুধ সেবন করুন।
ঈদের ছুটিতে যতো মানুষের মৃত্যু হয় তার ৪৮% হয় মোটর বাইকে
ঈদের ছুটিতে হঠাৎ অসুস্থতা
করোনাকালের এই ঈদের ছুটিতে পরিবার, পরিজন ও স্বজনদের সঙ্গে কে না আনন্দঘন মুহূর্ত কাটাতে চান। তবে অসুখ-বিসুখ তো আর উৎসব বোঝে না। এ সময়ে নিজের বা পরিবারের জরুরি স্বাস্থ্য সমস্যা হলে কী করব, তা ভেবে আমরা প্রায়ই দিশেহারা হয়ে যাই। আসুন জেনে নিই জরুরি কিছু স্বাস্থ্য সমস্যায় করণীয় সম্পর্কে।
বুকে ব্যথা
নানা কারণে বুকে ব্যথা হতে পারে। যেমন, পেপটিক আলসার ডিজিজ (অম্লতা বা অ্যাসিডিটি), হার্ট অ্যাটাক, বুকের মাংসপেশির প্রদাহ, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। তবে প্রতিটি রোগেই বুকে ব্যথার নির্দিষ্ট ধরন থাকে। রোজার পর হঠাৎ অনেক খাওয়াদাওয়া করলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হতেই পারে। অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে বুকে জ্বালাপোড়া, সঙ্গে গলায় টক ঢেকুর হতে পারে। এ ক্ষেত্রে অমিপ্রাজল বা অ্যান্টাসিড–জাতীয় ওষুধ দ্রুত কার্যকরী। মাংসপেশির প্রদাহ হলে নড়াচড়ায় ব্যথা লাগে। ঈদের কাজকর্ম রান্নাবান্নার পর পাঁজরের মাংসপেশির টান লাগা বা ব্যথা হলে ঘাবড়াবেন না। এ ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল বা চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।
নিউমোনিয়া হলে বুকের ব্যথার সঙ্গে জ্বর, কাশি ও কোনো ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট থাকবে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। সবচেয়ে জরুরি অবস্থা হলো হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা। যদি বুকে চাপ ধরনের ব্যথা (বিশেষ করে মাঝখানে) হয় এবং তা পাঁচ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়, কাঁধ বা বাহুতে ছড়াতে শুরু করে, সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, ঘাম, অস্থিরতা অনুভূত হয়, বমি হতে পারে, তবে সময়ক্ষেপণ না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। কারণ, হার্ট অ্যাটাকের পর যত সময় যেতে থাকে, তত মৃত্যুহার বাড়ে। সঙ্গে সঙ্গে রোগী যদি বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি হয়, তবে জীবন রক্ষাকারী প্রাইমারি অ্যানজিওপ্লাস্টি করাসহ অন্যান্য চিকিৎসা করা সম্ভব।
মনে রাখবেন, ঈদ ও অন্যান্য ছুটিতেও ঢাকার জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, সব সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এবং বেসরকারি হাসপাতালের কার্ডিয়াক ইমার্জেন্সি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে।
হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
এ ক্ষেত্রে প্রথম কাজ হবে অচেতন ব্যক্তিকে ভালোভাবে নিরাপদ স্থানে শুইয়ে দেওয়া। রোগীর চেতনা আছে কি না, বুকের শ্বাসের উঠানামা হচ্ছে কি না, তা লক্ষ করুন। সম্ভব হলে রক্তচাপ পরীক্ষা করতে হবে। হঠাৎ খিঁচুনি শুরু হলে আতঙ্কিত না হয়ে রোগীকে একপাশ করে শুইয়ে দিতে হবে, যতক্ষণ খিঁচুনি না থামে।
ডায়াবেটিসের রোগী হলে গ্লুকোমিটার দিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে হবে রক্তে শর্করা কমে গেছে কি না। শর্করা কমে গেলে শিরায় গ্লুকোজ দেওয়ার জন্য কাছাকাছি যেকোনো হাসপাতালে নেওয়া যায় বা অভিজ্ঞ লোক ডেকে বাড়িতেই দেওয়া যাবে। অনেক সময় রক্তে ইলেকট্রোলাইট কমে যাওয়ার কারণে অজ্ঞান হতে পারেন। সে ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
বয়স্ক ব্যক্তি বিশেষ করে যাঁদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি রোগ বা এই ধরনের জটিলতা আছে, তাঁদের স্ট্রোকের কারণে হঠাৎ অজ্ঞান হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এসব ক্ষেত্রে শরীরের একাংশ অবশ বা দুর্বল মনে হবে, মুখ বেঁকে যাওয়া বা খিঁচুনি হতে পারে। তা হলে অতি দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া উচিত। অচেতন হওয়ার সঙ্গে জ্বর থাকলেও জরুরি বিভাগে নিতে হবে।
দুর্ঘটনা
দুর্ঘটনা যেকোনো জায়গায় হতে পারে, সড়কে বা বাড়িতে। সাধারণ দুর্ঘটনার মধ্যে রয়েছে শরীরে কাটা, ছেঁড়া, মাংসপেশিতে আঘাত পাওয়া ইত্যাদি। এ ছাড়া গুরুতর দুর্ঘটনায় জটিল শারীরিক সমস্যা হতেই পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই কালক্ষেপণ না করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জরুরি। বাড়িতে সাধারণ কাটা–ছেঁড়া হলে পরিষ্কার ঠান্ডা পানিতে জায়গাটা ধুয়ে ফেলতে হবে।
রাস্তাঘাটে আঘাত পেলে বা কেটে গেলে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা বেশি। সে ক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করা আবশ্যক। ধোয়ার পরে দেখতে হবে, ক্ষত থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে কি না। রক্তপাত হতে থাকলে কাটা জায়গায় হাত দিয়ে এক টুকরো পরিষ্কার গজ দিয়ে চেপে ধরতে হবে। সাধারণত কয়েক মিনিটের মধ্যেই রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে যায়, তা না হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। মাংসপেশিতে ব্যথা থাকলে প্যারাসিটামল বা চিকিৎসকের পরামর্শে স্বল্পমাত্রায় বেদনানাশক ওষুধ সেবন করতে পারেন। তবে তীব্র ব্যথায় বা ব্যথা স্থানে ফুলে যাওয়া বা অস্বাভাবিক কিছু পরিলক্ষিত হলে অচিরেই হাসপাতালে যাওয়া উত্তম। মাথায় আঘাত পেলে অবশ্যই হাসপাতালে নিতে হবে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া
নারীদের শরীরে আগুন লাগার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে রান্নাঘরে। পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনায়, গ্যাস সিলিন্ডার, বিদ্যুতায়িত হয়ে শরীরের অনেক জায়গা পুড়ে যায়। পোড়া জায়গায় পরিষ্কার ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে ২০ থেকে ৩০ মিনিট। কোনো ধরনের টুথপেস্ট, গাছের বাকল, মসলা বা ডিম লাগানো যাবে না। যদি পোড়ার জায়গাটা অল্প হয়, তবে পরিষ্কার করার পর বার্না, বার্নল বা সিলক্রিম লাগিয়ে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে হাসপাতালে নিতে হবে। শরীরের বেশি জায়গা বা শ্বাসনালি আক্রান্ত হলে দেরি না করে হাসপাতালে আনতে হবে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকলে
করোনা অতিমারির এই সময়ে অনেকেই বাসায় করোনার চিকিৎসা নিচ্ছেন। কোভিড রোগীকে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে। নিয়মিত জ্বর ও শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের (বয়স্ক রোগী, ফুসফুসের জটিলতা, হার্টের বা কিডনির সমস্যা) ক্ষেত্রে বাসায় অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর বা সিলিন্ডারের সরবরাহ রাখা যেতে পারে। শরীরে অক্সিজেন ৯৪ শতাংশের কম হলে দ্রুত কোভিড হাসপাতালে যেতে হবে। কোনো কারণে হাসপাতালে যেতে না পারলে ওই সময়ের জন্য বাসায় অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, সঠিক সময়ে যথোপযুক্ত চিকিৎসাই দিতে পারে কোভিড রোগীর সম্পূর্ণ সুস্থতা।
লিখেছেনঃ ডাঃ দেবাশীষ কুমার সাহা
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the practice
Telephone
Website
Address
Dhaka
1229
House 2 Road 17 Block C Banani, Kakoli, Behind UAE Market
Dhaka, 1213
Implant, Cosmetic Dentistry and orthodontics
Shaheed Suhrawardy Medical College Hospital
Dhaka, 1207
আমি ডাঃ রাজীব একজন জেনারেল ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জারী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
Resident Physician Dhaka Medical College And Hospital Dhaka. Chandpur Chember-Rimtouch Diagnostic And Consultation Centre, Mission Road, Chandpur
Dhaka, 1000
এমবিবিএস(আইএসএমসি) পিজিটি(মেডিসিন) এমডি গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি কোর্স ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
Uttara
Dhaka, 1230
Hi, I'm a doctor and entrepreneur working to improve public understanding of medical science.
শনির আখড়া, জিয়া স্মরণী রোড, পলাশপুড় ( ছাপড়া মসজিদের পাশে ) কদমতলী, ঢাকা।
Dhaka, 1362
�Dr. Mishu Official Page. � DHMS (Dhaka) �BHMC (Dhaka) �MCH(Dhaka shisu hospital) �Homeo Co
Dhaka
Dr. MOHAMMAD SAKHAWAT HOSSAIN MBBS (DU); CCD (BIRDEM) ICPPN (Singapore); PGPN (Boston) ENS (Germany)
House-19, Road-10B, Sector-11, Uttara
Dhaka, 1230
এখানে রোগীরা বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে Imo মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ ডাক্টার দেখাতে পারবেন।