AskUmmah.Com
মুসলিমদের স্বর্ণালি ইতিহাস ও গৌরবের ?
সূরা (আরবি: سورة) হচ্ছে ইসলামী পরিভাষায় মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কুরআনের এক একটি অধ্যায়ের নাম। তবে এটি সাধারণ পুস্তকের অধ্যায়ের মত নয় বরং বিশেষভাবে কেবল কুরআনের বৈশিষ্ট্যের জন্যই এর উৎপত্তি। তাই এটি প্রকৃত অর্থেই কুরআনের একটি পরিভাষা, যাকে কেবল কুরআনের দৃষ্টিকোণ থেকেই ব্যাখ্যা করা যায়। কুরআনের প্রথম সূরা হলো "আল ফাতিহা" এবং শেষ সূরার নাম "আন-নাস্"। দীর্ঘতম সূরা হলো "আল বাকারা" এবং ক্ষুদ্রতম সুরা "সুরা আল কাউসার" ।
সূরা : কোরআনের সব সূরার নাম ও অর্থ কোরআনের সূরা সমুহের নাম ও অর্থ। পবিত্র কুরআনের সব সূরার নামের তালিকা (অর্থ-সহ)
আল্লাহ তাআলা পূর্বে অন্যান্য কওমদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তোমরা সপ্তাহের শ্রেষ্ঠতম দিনে আমার জন্য বিশেষ একটি ইবাদত কর। কিন্তু তারা সেই শ্রেষ্ঠতর দিনটি নির্ণয় করতে ভুল করেছে। চিন্তা-ভাবনা করে ইহুদীরা আল্লাহর ইবাদতের জন্য শনিবারকে নির্বাচন করেছে আর নাসারারা নির্ধারণ করেছে রবিবারকে। অথচ সবচেয়ে সম্মানিত দিন হল জুমার দিন। এ দিনের অর্থাৎ জুমার দিনের ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য অনেক। আল্লাহ তাআলা মেহেরবানী করে সে দিনটি উম্মতে মুহাম্মদীকে দান করেছেন।
পৃথিবীতে আগমন করা ও আসমানী কিতাবের অধিকারী হওয়ার দিক থেকে আমার উম্মতে মুহাম্মদী অন্যান্য উম্মত থেকে পিছিয়ে আছি। কিন্তু যে দিনটিতে বিশেষ ইবাদতের জন্য আল্লাহ তাআলা অন্যান্য জাতিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সে দিনটি নির্ধারণের ক্ষেত্রে আমরা সবার চেয়ে অগ্রগামী। শ্রেষ্ঠ ও ফযীলতপূর্ণ দিন নির্ধারণের ব্যাপারে যেমন আমরা সবার থেকে এগিয়ে আছি তেমনি কিয়ামতের দিন মর্যাদা, শ্রেষ্ঠত্ব ও জান্নাতে দাখেল হওয়ার ক্ষেত্রেও উম্মতে মুহাম্মদী হবে সকল উম্মত থেকে অগ্রগামী। চলুন এক নজরে দেখে নেই জুমার দিনের ফজিলত ও এর বৈশিষ্ট্যসমুহ কি কি।
জুমার দিনের ফজিলত
১। জুমার দিন মুসলিম উম্মাহর জন্য উপহার
২। জুমার দিন কোরবানির সাওয়াব পাওয়ার দিন
৩। জুমার দিন গুনাহ মাফের দিন
৪। জুমার দিন দোয়া কবুলের দিন
৫। জুমার দিনে সুরা কাহফ তেলাওয়াতের আমল
৬। জুমার দিন দরুদের ফজিলত পাওয়ার দিন
৭। জুমার দিন সমস্ত দিনের সর্দার
৮। জুমার রাতে আল্লাহ তাআলার দরবারে বান্দার আমল পেশ করা হয়
৯। জান্নাতের ‘ইয়াউমুল মাযীদ’
১০। জুম্মার দিনে দশ দিনের গোনাহ মাফ হয়ে যায়
জুমার দিনের ফজিলত এর পাশাপাশি বিশেষ পাঁচটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ দিন আল্লাহ তাআলা আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করেছেন। এ দিন তাঁকে জান্নাত থেকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। এদিনেই আল্লাহ তাঁকে মৃত্যু দান করেছেন। জুমার দিন একটা সময় আছে, যাতে বান্দা আল্লাহর কাছে যা চাইবে আল্লাহ তাআলা তাকে তা-ই দান করবেন, যদি না সে হারাম কোনো বিষয়ের প্রার্থনা করে। তদ্রূপ, কিয়ামতও সংঘটিত হবে জুমার দিনেই। আর এইসব কারনেও জুমার দিনের ফজিলত অনেক বেশি।
বদরী সাহাবী আবু লুবাবা ইবনে আবদুল মুনযির রা. বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِنّ يَوْمَ الْجُمُعَةِ سَيِّدُ الْأَيّامِ وَأَعْظَمُهَا عِنْدَ اللهِ مِنْ يَوْمِ الْأَضْحَى وَيَوْمِ الْفِطْرِ، فِيهِ خَمْسُ خِلَالٍ: خَلَقَ اللهُ فِيهِ آدَمَ، وَأَهْبَطَ اللهُ فِيهِ آدَمَ، وَفِيهِ تَوَفّى اللهُ آدَمَ، وَفِيهِ سَاعَةٌ لَا يَسْأَلُ اللهَ الْعَبْدُ فِيهَا شَيْئًا إِلّا أَعْطَاهُ إِيّاهُ، مَا لَمْ يَسْأَلْ حَرَامًا، وَفِيهِ تَقُومُ السّاعَةُ، مَا مِنْ مَلَكٍ مُقَرّبٍ، وَلَا أَرْضٍ وَلَا سَمَاءٍ، وَلَا رِيَاحٍ وَلَا جِبَالٍ وَلَا بَحْرٍ، إِلّا وَهُنّ مُشْفِقُونَ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ.
নিশ্চয় জুমার দিন হল সমস্ত দিনের সর্দার। জুমার দিন আল্লাহ তাআলার নিকট সবচেয়ে মহান দিবস। এমনকি এই দিন আল্লাহ তাআলার কাছে ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর তথা ইসলামের দুই ঈদের দিন থেকেও মহান।
জুমার দিনের বিশেষ পাঁচটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ দিন আল্লাহ তাআলা আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করেছেন। এ দিন তাঁকে জান্নাত থেকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। এদিনেই আল্লাহ তাঁকে মৃত্যু দান করেছেন। জুমার দিন একটা সময় আছে, যাতে বান্দা আল্লাহর কাছে যা চাইবে আল্লাহ তাআলা তাকে তা-ই দান করবেন, যদি না সে হারাম কোনো বিষয়ের প্রার্থনা করে। তদ্রূপ, কিয়ামতও সংঘটিত হবে জুমার দিনেই।
নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতারা পর্যন্ত জুমার দিন (কিয়ামতের আশঙ্কায়) ভীত-সন্ত্রস্ত থাকে। পৃথিবী, আকাশ, বাতাস, পাহাড়, পর্বত, সাগর সবকিছু জুমার দিন (কিয়ামতের আশঙ্কায়) উদ্বিগ্ন থাকে। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ৫৫৫৯; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৫৫৪৮; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১০৮৪১
১। জুমার দিন মুসলিম উম্মাহর জন্য উপহার
আল্লাহ তাআলা পূর্বের জাতিবর্গকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তোমরা সপ্তাহের শ্রেষ্ঠতম দিনে আমার জন্য বিশেষ একটি ইবাদত কর। কিন্তু তারা সেই শ্রেষ্ঠতর দিনটি নির্ণয় করতে ভুল করেছে। চিন্তা-ভাবনা করে ইহুদীরা আল্লাহর ইবাদতের জন্য শনিবারকে নির্বাচন করেছে আর নাসারারা নির্ধারণ করেছে রবিবারকে। অথচ সবচেয়ে সম্মানিত দিন হল জুমাবার। এ দিনের অনেক ফযীলত, অনেক বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা মেহেরবানী করে সে দিনটি উম্মতে মুহাম্মদীকে দান করেছেন। আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
نَحْنُ الآخِرُونَ السّابِقُونَ يَوْمَ القِيَامَةِ، بَيْدَ أَنّهُمْ أُوتُوا الكِتَابَ مِنْ قَبْلِنَا، ثُمّ هَذَا يَوْمُهُمُ الّذِي فُرِضَ عَلَيْهِمْ، فَاخْتَلَفُوا فِيهِ، فَهَدَانَا اللهُ، فَالنّاسُ لَنَا فِيهِ تَبَعٌ: اليَهُودُ غَدًا، وَالنّصَارَى بَعْدَ غَدٍ.
আমরা পরে আগমনকারীরাই কিয়ামতের দিন অগ্রগামী হব। তবে অন্যদেরকে (আসমানী) কিতাব দেওয়া হয়েছে আমাদের পূর্বে। এই দিন (অর্থাৎ শ্রেষ্ঠতম একটি দিনে সকলে একত্র হয়ে বিশেষ ইবাদত করা) তাদের উপর ফরয করা হয়েছিল। কিন্তু তারা এতে মতবিরোধ করেছে। আর আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সঠিক দিনটির পথ দেখিয়েছেন। সুতরাং এক্ষেত্রে মানুষ আমাদের অনুগামী। ইহুদীদের শ্রেষ্ঠ দিন জুমার পরের দিন শনিবার আর খ্রিস্টানদের শ্রেষ্ঠ দিন এর পরের দিন রবিবার। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৮৭৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৮৫৫
২। জুমার দিন কোরবানির সাওয়াব পাওয়ার দিন
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জুম্মার দিনে ফেরেশতাগণ বিশেষ রেজিস্টার নিয়ে মসজিদের প্রতিটি দরজায় দাঁড়িয়ে যান। তাঁরা মসজিদে আগমনকারী মুসল্লিদের নাম ধারাবাহিকভাবে লিখতে থাকেন। এরপর যখন ইমাম (মিম্বারে) এসে যান, তখন তারা রেজিস্টার বন্ধ করে খুতবা শুনতে থাকেন।
যে সবার আগে মসজিদে প্রবেশ করেন, সে একটি উট আল্লাহর রাস্তায় কোরবানি করার সাওয়াব লাভ করে। যে দুই নম্বরে প্রবেশ করে, সে একটি গরু আল্লাহর রাস্তায় কোরবানি করার সাওয়াব পায়। যে তিন নম্বরে প্রবেশ করে, সে একটি দুম্বা কোরবানি করার সাওয়াব পায়। যে চার নম্বরে প্রবেশ করে, সে একটি মুরগি দান করার সাওয়াব লাভ করে। আর যে পাঁচ নম্বরে প্রবেশ করে, সে একটি ডিম আল্লাহর রাস্তায় দান করার সাওয়াব পায়।’ (বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে শাফি, মুসনাদে হুমাইদি)
৩। জুমার দিন গুনাহ মাফের দিন
আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
الْجُمْعَةُ إِلَى الْجُمْعَةِ، كَفّارَةٌ لِمَا بَيْنَهُنّ، مَا لَمْ تُغْشَ الْكَبَائِرُ.
এক জুমা থেকে আরেক জুমা মধ্যবর্তী সময়ের (গোনাহের) জন্য কাফ্ফারা (পাপমোচনকারী), যদি কাবীরা গোনাহ না করা হয়। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৩৩; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১০৮৬; জামে তিরমিযী, হাদীস ৪১৪; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হাদীস ১৮১৪
সালমান ফারসী রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
تَدْرُونَ مَا يَوْمُ الْجُمُعَةِتَدْرُونَ مَا يَوْمُ الْجُمُعَةِلَكِنِّي أُخْبِرُكَ بِخَبَرِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ، مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَتَطَهّرُ ثُمّ يَمْشِي إِلَى الْمَسْجِدِ، ثُمّ يُنْصِتُ، حَتّى يَقْضِيَ الْإِمَامُ صَلَاتَهُ، إِلّا كَانَتْ كَفّارَةَ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ يَوْمِ الْجُمُعَةِ الّتِي قَبْلَهَا، مَا اجْتُنِبَتِ الْمَقْتَلَةُ.
(قال الحاكم: هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحُ الْإِسْنَادِ. وقال الهيثمي: رواه الطبراني في الكبير وإسناده حسن.)
তুমি জানো, জুমার দিন কী?
উত্তর দিলাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল অধিক অবগত আছেন।
তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি জানো, জুমার দিন কী?
আমি একই জবাব দিলাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ভালো জানেন।
তিনি তৃতীয়বার প্রশ্ন করলেন, বল তো জুমার দিন কী?
আমি তৃতীয়বার বা চতুর্থবার বললাম, জুমা হল ঐ দিন, যাতে আদম আলাইহিস সালামকে জমা করা হয়েছে। (অর্থাৎ তাঁকে সৃষ্টি করা হয়েছে।)
তখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (এসব কিছু না।) বরং আমি তোমাকে জুমার দিনের খবর (জুমার দিনের ফজিলত) সম্পর্কে অবগত করছি। কোনো মুসলিম যদি পবিত্র হয়ে জামে মসজিদের দিকে হাঁটতে থাকে, এরপর ইমাম নামায শেষ করা পর্যন্ত নীরব থাকে তাহলে এ নামায এই জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত তার গোনাহসমূহের কাফ্ফারা (মোচনকারী) হয়ে যাবে, যদি ধ্বংসকারী তথা কবীরা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকে। -শারহু মুশকিলিল আছার, হাদীস ৩৮২৮; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হাদীস ১৭৩২; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৩৭২৯; সুনানে কুবরা, নাসাঈ, হাদীস ১৬৭৭: মুজামে কাবীর, তবারানী ৬/২৩৭ (৬০৮৯) মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস ১০২৮
আবু সাঈদ খুদরী রা. ও আবু হুরায়রা রা. থেকে জুমার দিনের ফজিলত সম্পর্কে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَنْ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَلَبِسَ مِنْ أَحْسَنِ ثِيَابِهِ، وَمَسّ مِنْ طِيبٍ إِنْ كَانَ عِنْدَهُ، ثُمّ أَتَى الْجُمُعَةَ، فَلَمْ يَتَخَطّ أَعْنَاقَ النّاسِ، ثُمّ صَلّى مَا كَتَبَ اللهُ لَهُ، ثُمّ أَنْصَتَ إِذَا خَرَجَ إِمَامُهُ، حَتّى يَفْرُغَ مِنْ صَلَاتِهِ، كَانَتْ كَفّارَةً لِمَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ جُمُعَتِهِ الّتِي قَبْلَهَا.
যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, তার কাছে থাকা সুন্দরতম জামাটি পরিধান করল এবং সংগ্রহে থাকলে সুগন্ধি ব্যবহার করল, এরপর জুমাতে উপস্থিত হল, কারো কাঁধ ডিঙ্গিয়ে গেল না, তারপর আল্লাহর তাওফীক অনুযায়ী সুন্নত-নফল পড়ল, অতঃপর খতীব (খুতবার জন্য) বের হওয়া থেকে নামায শেষ করা পর্যন্ত নিশ্চুপ থাকল, তার এই নামায এ জুমা থেকে সামনের জুমা পর্যন্ত (গোনাহের) কাফ্ফারা হবে। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৪৩; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১১৭৬৮; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ২৭৭৮; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হাদীস ১৭৬২; মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস ১০৪৬৫
৪। জুমার দিন দোয়া কবুলের দিন
জুমার দিনের ফজিলত সম্পর্কে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিকটি হলো এ দিনে এমন একটি সময় রয়েছে যখন দোয়া করলে তা কবুলের আশা করা যায়। হাদিসের একাধিক বর্ণনায় এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জুম্মার দিনে একটা এমন সময় আছে, যে সময়ে কোনো মুমিন বান্দা আল্লাহর কাছে ভালো কোনো কিছু প্রার্থনা করলে, অবশ্যই আল্লাহ তাঁকে তা দান করবেন। (মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ)
জুমার দিনে দোয়া কবুল হওয়ার সে মহামূল্যবান সময় কখন?
এ সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত পাওয়া যায়। তবে সর্বাধিক প্রসিদ্ধ মত হলো, আসরের নামাজের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময় দোয়া কবুলের সময়।
হজরত আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জুমার দিনের যে মুহুর্তে (দোয়া কুবুল হওয়ার) আশা করা যায় তা আসরের পর থেকে সূর্যাস্তের মধ্যে তালাশ করো।’ (তিরমিজি, মুসলিম, মিশকাত, তালিকুর রাগিব)
৫। জুমার দিনে সুরা কাহফ তেলাওয়াতের আমল
ক. হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি জুমআর দিন সুরা কাহাফ পাঠ করবে তার জন্য এক জুমআ থেকে অপর (পরবর্তী) জুমআ পর্যন্ত নূর হবে।
খ. হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমআর দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, সে আট দিন পর্যন্ত সর্বপ্রকার ফেতনা থেকে মুক্ত থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকেও মুক্ত থাকবে।
গ. অন্য রেওয়ায়েতে আছে এক জুমআ থেকে অপর জুমআ পর্যন্ত তার সব গোনাহ মাফ হয়ে যাবে। তবে উল্লিখিত গোনাহ মাফ হওয়ার দ্বারা সগিরা গুনাহ উদ্দেশ্য। কারণ ওলামায়ে কেরামের ঐকমত্য হচ্ছে যে, কবিরা গোনাহ তাওবা করা ছাড়া ক্ষমা হয় না।
৬। জুমার দিন দরুদের ফজিলত পাওয়ার দিন
হজরত আওস ইবনে আওস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের সব দিন অপেক্ষা জুমার দিনটিই হলো শ্রেষ্ঠ। জুম্মার দিনে হজরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ দিনেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এবং জুম্মার দিনেই বিশ্ব ধ্বংসের জন্য শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে এবং এ দিনেই পুনর্জীবিত করার জন্য দ্বিতীয়বার ফুঁক দেয়া হবে। জুম্মার দিনে তোমরা আমার প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠ কর। তোমাদের দরুদ নিশ্চয়ই আমার কাছে উপস্থিত করা হবে। সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের দরুদ আপনার কাছে কেমন করে উপস্থিত করা হবে অথচ আপনি তখন মাটি হয়ে যাবেন? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তরে বললেন, আল্লাহ তাআলা নবিদের শরীর জমিনের জন্য হারাম করে দিয়েছেন। (আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, বাইহাকি)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জুম্মার দিনে (শুক্রবার) এবং জুমুআ রাতে (বৃহস্পতিবার রাতে) তাঁর জন্য প্রচুর পরিমাণে দরুদ পাঠ কর। যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ তার প্রতি ১০টি রহমত নাজিল করন।’ (সহিহ জামে) সুতরাং জুমার দিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি বেশি বেশি দরুদ পড়ুন।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘আমার ওপর দরুদ পাঠ করা পুলসিরাত পার হওয়ার সময় আলো হবে। যে ব্যক্তি জুমার দিন ৮০ বার দরুদ পড়ে তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।’
অন্য রেওয়াতে নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর নিজ স্থান থেকে ওঠার আগে ৮০ বার এই দরুদ শরিফ পাঠ করে-
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ وَعَلَى آلِهِ وَسَلِّم تَسْلِيْمَا
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আ’লা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আ’লা আলিহি ওয়া সাল্লিমু তাসলিমা।’
তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হবে এবং ৮০ বছর ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হবে। সুবহানাল্লাহ! (আফজালুস সালাওয়াত)
হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর জুমার দিন ১০০ বার দরুদ পাঠ করে, সে কেয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উঠবে যে, তার চেহারায় নূরের জ্যোতি দেখে লোকেরা বলাবলি করতে থাকবে এই ব্যক্তি কী আমল করেছিল!’ (কানজুল উম্মাল)
৭। জুমার দিন সমস্ত দিনের সর্দার
জুমার দিনের ফজিলত ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হওয়ার আরেকটি কারন হলো, হযরত আবু লুবাবা রা.-এর হাদীসে উদ্ধৃত হয়েছে যে, নিশ্চয় জুমার দিন হল সমস্ত দিনের সর্দার। জুমার দিন আল্লাহ তাআলার নিকট সবচেয়ে মহান দিবস। আবু হুরায়রা রা.-এর হাদীসেও উল্লিখিত হয়েছে যে, সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হল জুমার দিন। বিষয়টি আরো একাধিক হাদীসে বিবৃত হয়েছে। আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত আরেক হাদীসে এসেছে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
خَيْرُ يَوْمٍ طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشّمْسُ يَوْمُ الْجُمُعَةِ، فِيهِ خُلِقَ آدَمُ، وَفِيهِ أُدْخِلَ الْجَنّةَ، وَفِيهِ أُخْرِجَ مِنْهَا، وَلَا تَقُومُ السّاعَةُ إِلّا فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ.
সূর্য যে সব দিন উদিত হয় অর্থাৎ দিনসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম দিন হল জুমার দিন। এই দিন আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিন তাকে জান্নাতে দাখেল করা হয়েছে। ঐ দিনই তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। কিয়ামতও সংঘটিত হবে এ দিনেই। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৮৫৪; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৯৪০৯; জামে তিরমিযী, হাদীস ৪৮৮
৮। জুমার রাতে আল্লাহ তাআলার দরবারে বান্দার আমল পেশ করা হয়
জুমার দিনের ফজিলত ও আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল, জুমারাতে আল্লাহ তাআলার কাছে বান্দাদের আলম পেশ করা হয়। আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِنَّ أَعْمَالَ بَنِي آدَمَ تُعْرَضُ كُلّ خَمِيسٍ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ، فَلَا يُقْبَلُ عَمَلُ قَاطِعِ رَحِمٍ.
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অর্থাৎ জুমারাতে আদম সন্তানের আমল (আল্লাহর সামনে) পেশ করা হয়। তখন আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীদের আমল কবুল করা হয় না। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১০২৭২; আলআদাবুল মুফরাদ, হাদীস ৬১২
৯। জান্নাতের ‘ইয়াউমুল মাযীদ’
জুমার দিনের একটি বিশেষ ফযীলত হল, জান্নাতবাসীদের জন্য এ দিনটি মহা আনন্দ ও বিশেষ প্রাপ্তির দিন। জান্নাতে প্রতি জুমার দিন বিপুল আনন্দ ও প্রাপ্তির সমাহার ঘটবে। আল্লাহ তাআলার বিশেষ ব্যাবস্থাপনায় নবী-রাসূল, নেককার বান্দাগণের মিলন-উৎসব হবে। সর্বোপরি জান্নাতীরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দীদার লাভে ধন্য হবে, যা হল জান্নাতের সর্বোচ্চ নিআমত। তাই ফিরিশতারা জুমার দিনকে স্মরণ করেন ‘ইয়াউমুল মাযীদ’ তথা অনন্য প্রাপ্তিদিবস নামে। আনাস ইবনে মালেক রা. বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
أَتَانِي جِبْرِيلُ بِمِثْلِ المِرْآةِ البَيْضَاءِ، فِيهَا نُكْتَةٌ سَوْدَاءُ، قُلْتُ: يَا جِبْرِيلُ! مَا هَذِهِ؟ قَالَ: هَذِهِ الجُمُعَةُ، جَعَلَهَا اللهُ عِيدًا لَكَ وَلأُمّتِكَ، فَأَنْتُمْ قَبْلَ اليَهُودِ وَالنّصَارَى، فِيهَا سَاعَةٌ لاَ يُوَافِقُهَا عَبدٌ يَسْأَلُ اللهَ فِيهَا خَيْرًا إِلاّ أَعْطَاهُ إِيّاهُ.
قَالَ: قُلْتُ: مَا هَذِهِ النّكْتَةُ السّوْدَاءُ؟
قَالَ: هَذَا يَوْمُ القِيَامَةِ، تَقُومُ فِي يَوْمِ الجُمُعَةِ، وَنَحْنُ نَدْعُوهُ عِنْدَنَا المَزِيدَ،
قَالَ: قُلْتُ: مَا يَوْمُ المَزِيدِ؟
قَالَ: إِنّ اللهَ جَعَلَ فِي الجَنّةِ وَادِيًا أَفْيَحَ، وَجَعَلَ فِيهِ كُثْبَانًا مِنَ المِسْكِ الأَبْيَضِ، فَإِذَا كَانَ يَوْمُ الجُمُعَةِ يَنْزِلُ اللهُ فِيهِ، فَوُضِعَتْ فِيهِ مَنَابِرُ مِنْ ذَهَبٍ لِلأَنْبِيَاءِ، وَكَرَاسِيّ مِنْ دُرٍّ لِلشّهَدَاءِ، وَيَنْزِلْنَ الحُورُ العِينُ مِنَ الغُرَفِ فَحَمِدُوا اللهَ وَمَجّدُوهُ.
قَالَ: ثُمَّ يَقُولُ اللهُ: اكْسُوا عِبَادِي، فَيُكْسَوْنَ، وَيَقُولُ: أَطْعِمُوا عِبَادِي، فَيُطْعَمُونَ، وَيَقُولُ: اسْقُوا عِبَادِي، فَيُسْقَوْنَ، وَيَقُولُ: طَيَّبُوا عِبَادِي فَيُطَيّبُونَ.
ثُمَّ يَقُولُ: مَاذَا تُرِيدُونَ؟ فَيَقُولُونَ: رَبَّنَا رِضْوَانَكَ، قَالَ: يَقُولُ: رَضِيتُ عَنْكُمْ،
ثُمَّ يَأْمُرُهُمْ فَيَنْطَلِقُونَ، وَتَصْعَدُ الحُورُ العِينُ الغُرَفَ، وَهِيَ مِنْ زُمُرُّدَةٍ خَضْرَاءَ، وَمِنْ يَاقُوتَةٍ حَمْرَاءَ.
জিবরীল আলাইহিস সালাম আমার কাছে এসেছেন শুভ্র আয়নার মত একটা জিনিস নিয়ে। আয়নাটিতে একটি কালো দাগ। আমি বললাম, এটা কী?
জিবরীল আলাইহিস সালাম বলেছেন, এটি হল জুমার দিন। এ দিনকে আল্লাহ তাআলা আপনার এবং আপনার উম্মতের জন্য ঈদের দিন বানিয়ে দিয়েছেন। সুতরাং আপনারা ইহুদী ও নাসারা থেকে অগ্রগামী। (তাদের বিশেষ ইবাদতের দিন যথাক্রমে শনিবার ও রবিবার, যা জুমার দিনের পরে আসে।) এই দিন একটা সময় আছে, যে সময় বান্দা আল্লাহর কাছে যে কল্যাণই প্রার্থনা করে আল্লাহ তাকে তা-ই দান করেন।
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, জুমার দিনকে কালো দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা হল কেন?
জিবরীল আলাইহিস সালাম জবাব দিয়েছেন, এই যে কিয়ামত দিবস তা এ দিনেই সংঘঠিত হবে। আখেরাতে৩ জুমার দিনকে আমরা ‘ইয়াউমুল মাযীদ’ নামে স্মরণ করব।
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি প্রশ্ন করলাম, ‘ইয়াউমুল মাযীদ’ কী?
জিবরীল আলাইহিস সালাম উত্তর দিয়েছেন, জান্নাতে আল্লাহ তাআলা প্রশস্ত ও সুগন্ধময় একটা উপত্যকা বানিয়েছেন এবং এতে তিনি শুভ্র মেশকের একাধিক টিলা স্থাপন করেছেন। জুমার দিন এলে আল্লাহ তাআলা এ উপত্যকায় অবতরণ করবেন। তখন সেখানে নবীগণের জন্য স্বর্ণের মিম্বরসমূহ রাখা হবে, শহীদগণের জন্য মুক্তার অনেক চেয়ার পাতা হবে এবং জান্নাতী হুরেরা আপন আপন কক্ষ থেকে অবতরণ করবে। এরপর সকলে মিলে আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও মাহাত্ম্যের স্তুতি গাইতে থাকবে।
জিবরীল আলাইহিস সালাম আরো বলেন, এরপর আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করবেন, (হে ফেরেশতারা!) আমার বান্দাদের (বিশেষ পোশাক) পরিধান করাও। সে অনুযায়ী তাদের সজ্জিত করা হবে।
তখন আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দেবেন, আমার বান্দাদের জন্য (বিশেষ) খাদ্য পরিবেশন কর। আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক তাদের জন্যই বিশেষ ভোজনের ব্যবস্থা করা হবে।
এরপর আল্লাহ তাআলা বলবেন, আমার বান্দাদের সামনে (বিশেষ) পানীয় উপস্থিত কর। সে হিসাবে তাদের সামনে পানীয় পরিবেশন করা হবে।
এরপর আল্লাহ তাআলার আদেশ, আমার বান্দাদের আতর-খোশবু লাগিয়ে দাও। তখন তাদেরকে সুরভিত করা হবে।
এবার আল্লাহ তাআলা জিজ্ঞেস করবেন, (হে আমার বান্দারা!) তোমরা আমার কাছে কী চাও?
তারা বলবে, হে আমাদের রব! আমরা কেবল আপনার রিযা ও সন্তুষ্টি কামনা করি।
আল্লাহ তাআলা উত্তর দেবেন, আমি তোমাদের প্রতি রাজি হয়ে গেছি। (তবারানীর বর্ণনায় আছে, অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য এমন এমন নিআমতের দ্বার উন্মুক্ত করবেন, যা কখনো কোনো চোখ দেখেনি এবং কোনো হৃদয় কল্পনা করেনি।)
তারপর সবাইকে নিজ নিজ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলা নির্দেশ করবেন। সকলে আপন আপন জান্নাতে চলে যাবে এবং হুরেরা ঐসব কক্ষে আরোহণ করবে, যার প্রত্যেকটিই সবুজ (মূল্যবান রত্ন) পান্না বা লাল ইয়াকুতের তৈরি। -মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদীস ৪২২৮; মুজামে আওসাত, তবারানী ৩/৫৫, হাদীস ২১০৫৪
১০। জুমার দিনে দশ দিনের গোনাহ মাফ হয়ে যায়
জুম্মার দিনে আল্লাহ তাআলা রহমত ও মাগফিরাতের পরিধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর রাসূলের যবানে ঘোষণা শুনিয়েছেন, জুমার নামাযের বদৌলতে দশ দিনের পাপরাশি ক্ষমা করে দেবেন। আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
إِذَا كَانَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ فَاغْتَسَلَ الرّجُلُ، وَغَسَلَ رَأْسَهُ، ثُمّ تَطَيّبَ مِنْ أَطْيَبِ طِيبِهِ، وَلَبِسَ مِنْ صَالِحِ ثِيَابِهِ، ثُمّ خَرَجَ إِلَى الصّلَاةِ، وَلَمْ يُفَرِّقْ بَيْنَ اثْنَيْنِ، ثُمّ اسْتَمَعَ لِلْإِمَامِ، غُفِرَ لَهُ مِنَ الْجُمُعَةِ إِلَى الْجُمُعَةِ، وَزِيَادَةُ ثَلَاثَةِ أَيّامٍ.
জুমার দিন যে ব্যক্তি মাথা ধুয়ে গোসল করে, এরপর উত্তম আতর ব্যবহার করে এবং তার জামাগুলো থেকে ভালো জামাটি পরিধান করে, তারপর নামাযের উদ্দেশে বের হয়, (মসজিদে গিয়ে একসাথে থাকা) দুইজনের মাঝে গিয়ে বসে না, অতঃপর মনোযোগের সাথে ইমামের খুতবা শোনে, ঐ ব্যক্তির এক জুমা থেকে আরেক জুমা এবং অতিরিক্ত আরো তিন দিনের গোনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। -সহীহ ইবনে খুযায়মা, হাদীস ১৪০৩
আরেক বর্ণনায় এসেছে, আবু হুরায়রা রা. বলেছেন, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
مَنْ تَوَضّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ، ثُمّ أَتَى الْجُمُعَةَ، فَاسْتَمَعَ وَأَنْصَتَ، غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ، وَزِيَادَةُ ثَلَاثَةِ أَيّامٍ، وَمَنْ مَسّ الْحَصَى فَقَدْ لَغَا.
যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযু করবে, এরপর জুমায় উপস্থিত হবে, তারপর মনোযোগ দিয়ে (খুতবা) শুনবে এবং চুপ থাকবে, তার দুই জুমার মধ্যবর্তী দিনগুলো এবং আরো তিন দিনের গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। আর যে কঙ্কর স্পর্শ করল সে অনর্থক কাজ করল। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৮৫৭; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১০৫০; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৯৪৮৪; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ১২৩১
জুমার দিনের ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য জুম্মার দিনের ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য অনেক। নিশ্চয় জুমার দিন হল সমস্ত দিনের সর্দার। জুমার দিন আল্লাহ তাআলার নিকট সবচেয়...
Eid Mobarak
এই সমাজে উলঙ্গ হওয়ার স্বাধীনতা আছে কিন্তু কাপড় পরার স্বাধীনতা নাই।
Hijab Protect Us. It's Not Oppression. How Can We Teach Them Who Think That Hijab Oppressed Woman?
আবু বকর রাঃ ছিলেন ইসলামের প্রথম খলিফা। তার অন্য নাম আব্দুল্লাহ। সিদ্দীক ও আতীক উপাধি, ডাকনাম বা কুনিয়াত আবু বকর । পিতার নাম ‘উসমান'। কুনিয়াত আবু কুহাফা। মাতার নাম সালমা এবং কুনিয়াত উম্মুল খায়ের। কুরাইশ বংশের উপর দিকে ষষ্ঠ পুরুষ 'মুররা'তে গিয়ে রাসূলুল্লাহর (সা) নসবের সাথে তাঁর নসব মিলিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহর জন্মের দু'বছরের কিছু বেশী সময় পর তিনি জন্মগ্রহণ করেন এবং অনুরূপ সময়ের ব্যবধানে তাঁরা উভয়ে ইনতিকাল করেন। তাই মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল রাসূলুল্লাহর (সা) বয়সের সমান।
তিনি ছিলেন উজ্জ্বল গৌরবর্ণ, পাতলা ছিপছিপে ও প্রশস্ত ললাট বিশিষ্ট। শেষ বয়সে চুল সাদা হয়ে গিয়েছিল। মেহেন্দীর খিজাব লাগাতেন। অত্যন্ত দয়ালু ও সহনশীল ছিলেন।
তিনি ছিলেন সম্মানিত কুরাইশ ব্যক্তিবর্গের অন্যতম। জ্ঞান, মেধা, অভিজ্ঞতা, বুদ্ধি, বিচক্ষণতা ও সচ্চরিত্রতার জন্য আপামর মক্কাবাসীর শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। জাহিলী যুগে মক্কাবাসীদের দিয়াত বা রক্তের ক্ষতিপূরণের সমুদয় অর্থ তাঁর কাছে জমা হতো। আরববাসীর নসব বা বংশ সংক্রান্ত জ্ঞানে তিনি ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ। কাব্য প্রতিভাও ছিল। অত্যন্ত বিশুদ্ধ ও প্রাঞ্জল-ভাষী ছিলেন। বক্তৃতা ও বাগ্মিতায় খোদাপ্রদত্ত যোগ্যতার অধিকারী ছিলেন।
আবু বকর রাঃ এর সংক্ষিপ্ত জীবনী : Abu Bakr al-Siddiq আবু বকর রাদিআল্লাহু আনহু ছিলেন ইসলামের প্রথম খলিফা। ইসলাম পরবর্তী তার প্রতিটি দিন ছিলে একেকটি নক্ষত্রের মতো উজ্....
ইসলামের ইতিহাস যুগে যুগে বিকৃতির চেষ্টা করা হয়েছে এবং হচ্ছে। ইসলামের ইতিহাস উজ্জ্বলকারী গৌরবময় ব্যক্তিবর্গ সবচয়ে বেশি এ বিকৃতির শিকার হচ্ছেন। আর তা হচ্ছে ইসলামের জানের দুশমন পশ্চিমাদের দ্বারা! সেরকমই একজন হলেন 'জ্যাক স্প্যারো'। পশ্চিমা ফিল্ম নির্মাতা 'জন ডেপ' যাকে বিভিন্ন নামকরা ফিল্মে 'পিরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান' নামে উপস্থাপন করেছেন। এই জ্যাক স্প্যারো আসলে মধ্যযুগের একজন নামজাদা মুসলিম বীর। জন্মগ্রহণ করেন ১৫৫৩ সালে ব্রিটেনে। মারা যান ১৬২২ সালে তিউনিসিয়ায়।
হাবাশা অর্থাৎ আবিসিনিয়াতে দু'বার হিজরত হয়েছিল। প্রথমবার বারো জন পুরুষ ও চার জন মহিলার একটি ছোট দল সেখানে হিজরত করে। নবুয়তের পঞ্চম বছরে প্রথম হাবশায় হিজরত করেন মুসলিমরা। আর দ্বিতীয়বার বেশ বড়সড় একটি দল হিজরত করে আবিসিনিয়ায়। সে দলে ছিল তিরাশি জন পুরুষ এবং আঠারো-উনিশ জন মহিলা।
মুসলিমদের প্রথম হিজরত : আবিসিনিয়া আবিসিনিয়াতে দু'বার হিজরত হয়েছিল। প্রথমবার বারো জন পুরুষ ও চার জন মহিলার একটি ছোট দল সেখানে হিজরত করে। নবুয়তের প....
আমরা ছেড়ে চলে এলাম আমাদের গিফার শহর। ছোট থেকে যেখানে বড়ো হয়েছি, শেষপর্যন্ত সেই গিফার ছাড়তে বাধ্য হলাম। মা আর ভাইকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম নতুন কোনো গন্তব্যের আশায়। গিফারের লোকেরা বড্ড বাড়াবাড়ি করছিল। পবিত্র মাসেও তাদের যুদ্ধবিগ্রহ লেগে থাকো আশহুরুল হারামের এই অপমান আর সহ্য করা আশহরূপ হারাম হলো সেই চার মাস, যেগুলোকে আরবের লোকেরা পবিত্র মাস বলে গণ্য করতো। এ সময় তারা যুদ্ধবির সুপ্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্য, এই চার মাসে কোনোপ্রকার হত্যা বা পুরোপুনি করা যাবে না। এই চার মাসের মর্যাদা কেউ ক্ষুন্য করবে না। তবে গিফারের লোকেরা ব্যতিক্রম। লুটপাট, হানাহানি করাই তাদের পেশা। এসব পবিত্র মাস বা প্রচলিত নিয়মনীতির ধার ধরতো না তারা। কাফেলা আক্রমণ, চুরি, হত্যা, এটি তাদের কাজ। তাদের অপকর্মের ফলে সারা আরব জুড়ে তাদের দুর্নাম ছড়িয়ে পড়ে।
আবু যার গিফারি রাদিআল্লাহু আনহুর ইসলাম গ্রহণের ঘটনা ইসলামের ইতিহাসের অনন্য এক নাম আবু যার গিফারী কী ছিল তাঁর ইসলামে আসার কাহিনি? ইমাম আহমেদ থেকে বর্ণিত হয় আবু যারের .....
খাব্বাব ইবনে আরাত রাদিআল্লাহু আনহুর জীবনের নিদারুণ কষ্টের মুহূর্তগুলোর একটি ঘটনা তিনি নিজের মুখেই বর্ননা করছিলেন খলিফা উমার রাদিআল্লাহু আনহুর সহিত। কাফির দের অত্যাচারে আরবের বেশিরভাগ মুসলমানদেরই ছিল একই অবস্থা।
হযরত খাব্বাব ইবনে আরাত (রাদি) : ক্ষতচিহ্নের গভীরতা ইসলামের জন্য সাহাবিদের ত্যাগ আর নির্যাতন সহ্যের ঘটনাগুলো গা শিউরে উঠার মতো৷ খাব্বার ইবনে আরাত রাদিআল্লাহু আনহু.....
হায়েজ একটি আরবি শব্দ। হায়েযের আভিধানিক অর্থ হলো প্রবাহিত হওয়া। শরীয়তের পরিভাষায় নির্দিষ্ট সময় নারীর জরায়ুর গভীর থেকে কোনো অসুখ ও আঘাত ব্যতীত যে রক্ত প্রবাহিত হয় তাকেই হায়েজ বলা হয় । হায়েজ মনুষের স্বভাব ও প্রকৃতির মধ্যে একটি সাধর্ণ স্বভাব; যার ওপর আল্লাহ আদমের মেয়েদের সৃষ্টি করেছেন। নারীদের গর্ভাশয়ে আল্লাহ এ রক্ত সৃষ্টি করেছেন এজন্যে যে, যেনো গর্ভে থাকা বাচ্চা তা খাবার হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। প্রসবের পর এ রক্তই নারীর স্তনের দুধ হিসেবে রূপান্তরিত হয়। নারী গর্ভবতী বা দুগ্ধ দানকারিণী না হলে গর্ভাশয়ে সৃষ্ট রক্ত ব্যবহৃত হওয়ার কোনো স্থান থাকে না, তাই তা নির্দিষ্ট সময় জরায়ু দিয়ে নির্গত হয়। হায়েজকে আমাদের দেশে ঋতু, রজঃস্রাব, মাসিক ও পিরিয়ড ইত্যাদি নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে।
বিস্তারিত পড়ুন-
হায়েজের মাসায়েল : করনীয় বর্জনীয় হায়েজের কি ও হায়েজের মাসায়েল অন্তর্ভুক্ত হায়েজের সময়কাল বা সময়সীমা, হায়েজের সময়ে রোজা, হায়েজের সময় নামাজ, সহবাস, ক...
ইতিহাস বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা জর্জ সার্টন আল-বিরুনিকে "ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠদের মধ্যে অন্যতম" বলে সংজ্ঞায়িত করেছেন। হাজার বছর আগে মধ্য এশিয়ায় বসবাসকারী একটি সর্বজনীন প্রতিভা, আল-বিরুনি। তার সময়ের এতদূর এগিয়ে ছিলেন যে তার সবচেয়ে উজ্জ্বল আবিষ্কারগুলি তার সময়ের অধিকাংশ পণ্ডিতের কাছে বোধগম্য ছিল না"।
আল-বিরুনির জীবনী : মুসলিম বিজ্ঞানীদের ইতিহাস মুসলিম বিজ্ঞানী আল-বিরুনি ছিলেন ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের একজন। যিনি ভারতবর্ষে গজনীর সুলতান মাহমুদ এর দর...
Holy Kaaba adorned with new Kiswa in Makkah .
সৌদি আরবের মক্কায় , পবিত্র কাবার আবরণ বা যাকে আরবিতে কিসওয়া বলা হয় সেটি প্রস্তুত করার চূড়ান্ত মূহুর্তে খাঁটি রূপার সুতো কিংবা সোনা বসানো রূপার সুতো দিয়ে ইসলামিক চারুলিপি আকাঁ হয়। প্রতিবছর মুসলমানদের হজ্বের সময়ে কাবা শরীফের এই আবরণটি বদলানো হয়। ছবিতে এবছরে পবিত্র কাবা শরীফের কিসওয়া বদলানো দেখতে পাচ্ছেন।বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক কারণে বিগত কয়েকবছরের ন্যায় এবারেও কাবা শরীফ, মক্কা, মদীনা সহ হাজীদের চলাচলের রাস্তায় সার্বিক নিরাপত্তা ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে।
The Srebrenica massacre, also known as the Srebrenica genocide, was the July 1995 genocide of more than 8,000 Bosniak Muslim men and boys in and around the town of Srebrenica, during the Bosnian War. The killings were perpetrated by units of the Bosnian Serb Army of Republika Srpska under the command of Ratko Mladić
Video Credit: TRT World
সেলজুক সাম্রাজ্যের উজির নিজামুল-মুলক তৈরিকৃত নিজামিয়া মাদ্রাসার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি ছিল, রাজ্যে ব্যাপকাকারে সুন্নি মতাদর্শের শক্ত অবস্থান তৈরি এবং বুদ্ধিবৃত্তিক অঙ্গনে শিয়া প্রভাবের মূলোৎপাটন। রাজ্যকে শিয়া প্রভাবমুক্ত করার লক্ষ্যে নিজামিয়া মাদ্রাসায় প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগ থেকে রচনা করা হতো অগণিত বই-পুস্তক। বাতিনি-ইসমাইলিদের বিরুদ্ধ বুদ্ধিবৃত্তিক ময়দানের অগ্রনায়ক, অকুতোভয় কলম-সৈনিক ছিলেন পণ্ডিত, বিদূষক, চিন্তাবিদ ইমাম গাজালি (রাহ:)। বাতিনিদের মুখোশ উন্মোচনে তিনি রচনা করেছিলেন অসংখ্য বই-কিতাব। বাগদাদের খলিফা মুসতাজহিরের অনুরোধে ইমাম গাজালি ৪৮৭ হিজরিতে বাতিনিদের বিরুদ্ধে বই লিখেন। বইয়ের নাম "ফাজায়িহুল বাতিনিয়া"। এই বইটি বাতিনিদের ঘুম নষ্ট করে দেয়।
১৮৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে বাংলার স্বাধীন নবাব সিরাজুদ্দৌলার পতনের পর গোটা ভারতবর্ষে কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। ১৮৫৭ সালের ১০ মে মিরাট শহরে বাহাদুর শাহ জাফরের নেতৃত্বে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে এক ঐতিহাসিক বিদ্রোহ সংঘটিত হয় যা সিপাহি বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সিপাহি বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ ও বলা হয়। বিদ্রোহ দমন করতে ব্রিটিশ কোম্পানি নির্বিচারে জেল-জুলুম, হত্যা চালায় আলেম-ওলামা ও সাধারণ বিদ্রোহীদের উপর৷ সাবেক ভিক্টোরিয়া পার্কের গাছে গাছে তখনকার সময়ে ঝুলিয়ে রাখা হতো বিদ্রোহীদের লাশ। সে থেকে পার্কের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বাহাদুর শাহ পার্ক।
ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ ওঠে ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে। বাংলা তথা সমগ্র ভারতের ইতিহাসে সিপাহি বিদ্রোহের গুরুত্ব অনেক। ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ ছিল প্রথম ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম। এই বিদ্রোহের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারতবর্ষকে স্বাধীন করা। বাংলায় শুরু হয়ে ইংরেজ অধিকৃত ভারতের অন্যান্য এলাকার সিপাহিদের মধ্যেও এই বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে। পশ্চিম বাংলার ব্যারাকপুরে সিপাহি 'মঙ্গল পাণ্ডের' নেতৃত্বে প্রথম বিদ্রোহ শুরু হয়। ইংরেজরা এই বিদ্রোহ কঠোরভাবে দমন করে। নিরপরাধ বহুজনকে এ সময় নির্বিচারে ফাঁসি দেওয়া হয়। ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে সে সময় বাংলার বিদ্রোহী সিপাহিদের ফাঁসি দেওয়া হয়। বিদ্রোহীরা পরাজিত হলেও এই বিদ্রোহের ফলেই কোম্পানির শাসনের অবসান হয়। শুরু হয় ব্রিটিশরাজ তথা রানী ভিক্টোরিয়ার শাসন।
পরবর্তী ইংরেজবিরোধী অনেক আন্দোলনেই সিপাহি বিদ্রোহের চেতনা কাজ করেছে।
Send us a message If you are a non Muslim and want to know about prophet Mohammed peace be upon him
Ask A Muslim Ask Ummah - মুসলিমদের গৌরবময় ইতিহাস
সমকামীদের প্রতি সমবেদনা দেখাবে না তুরস্ক 🇹🇷
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান ইস্তাম্বুল কনভেনশন থেকে তুরস্ককে বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১ জুলাই, ২০২১ থেকে তুরস্ক আর এই কনভেনশনে থাকবে না।
২০১১ সালে ইস্তাম্বুল কনভেনশন তৈরি হয়েছিল। তুরস্ক প্রথম এই কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছিল। ইউরোপ এবং তুরস্কের মানুষ, বিশেষত নারীরা যাতে আঘাতপ্রাপ্ত না হন, অসম্মানিত না হন, তার জন্য এই কনভেনশন তৈরি হয়েছিল।
গত মার্চ মাসে এরদোগান জানান, ওই কনভেনশন থেকে তারা বেরিয়ে আসবেন।
প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন জানান, ওই কনভেনশন সমকামীদের আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করছে। সমকামীদের প্রতি সহমর্মিতা দেখাচ্ছে। সমকামিতা কোনো ভাবেই তুরস্ক মেনে নিতে পারবে না। তুরস্কের সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের সঙ্গে সমকাম বিষয়টি যায় না। সে কারণেই কনভেনশন থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১ জুলাই থেকে তা কার্যকর হবে।
তুরস্কের পার্লামেন্টে এই কনভেনশনের উপর দাঁড়িয়ে ২০১২ সালে নারীদের সুরক্ষা সংক্রান্ত একটি আইন তৈরি হয়েছিল।
বিরোধীদের একাংশের বক্তব্য, কনভেনশন থেকে বেরিয়ে এলে ওই আইনেরও আর কোনো মূল্য থাকবে না। তাদের বক্তব্য, যেহেতু পার্লামেন্টে আইন তৈরি হয়েছিল, ফলে কনভেনশন থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্তও পার্লামেন্টে নিতে হবে।
তুরস্ক সরকার অবশ্য খুব স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছে, নারী অধিকার, নারী সুরক্ষার বিষয়টি তারা দেখবে। কিন্তু কোনো ভাবেই সমকামীদের গুরুত্ব দেওয়া হবে না। তাদের প্রতি কোনো রকম সমবেদনা দেখানো হবে না।
ক্রেডিটঃ এরদোয়ান বাংলা
মুহাম্মদ বিন কাসিম সিন্ধু বিজয়ের মহানায়ক।
মুহাম্মদ বিন কাসিম (সিন্ধু বিজয়) মুহাম্মদ বিন কাসিম ছিলেন ২১ বছর বয়সের একজন তরুণ যুবক। সিন্ধু বিজয় অভিযানে মুহাম্মদ বিন কাসিম
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট রুম্মান তাহমীদ চৌধুরী।
ছেলেটা অনেক উদ্যম ছিলো। বন্ধুরা মজা করে যখন বলতো ইজেকশনটা ভালো করে শিখে নে, ছেলেটা শুধু একটা কথাই বলতো,
"Whatever happen, I'll never abandon my aircraft"
যন্ত্রের উপর বিশ্বাস থাকলেও ভাগ্যের উপর বিশ্বাস নেই।
একটা এয়ারক্রাফট ক্রাশ করতেই পারে, তবে ছেলেটা বিশ্বাস করতো, কোটি মানুষের পরিশ্রমের টাকায় কেনা বিমান জনগণ ও রাস্ট্রের সম্পদ। তাই প্রাণ ছাড়লেও বিমান ছাড়বো না।
২০১৫ সালের ২৯ শে জুন রেগুলার এক্সারসাইজের সময় ছেলেটি F-7MB যুদ্ধবিমান নিয়ে বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ হয়।
ছেলেটা ইচ্ছে করলে ইজেক্ট করে নিজেকে রক্ষা করতে পারতো। কিন্তু তা না করে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিমান টিকে রক্ষার চেস্টা করেছিলো। আজও ছেলেটির ডেড বডি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ছেলেটি ছেলেটির কথা রেখেছে, প্রাণ ছেড়েছে, বিমান ছাড়েনি
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the place of worship
Website
Address
Sylhet Agricultural University
Sylhet
3100
Sylhet, 3100
If you claim yourself Muslim, but you do not pray five times a day. There is a very simple Question: Why don't you pray? You should know the answer.
Sylhet
My aim is to work against misculture for the sake of truth and religion. Joy Hindhu religion!
Sylhet
"What destroys a man more quickly than to work, think and feel without inner necessity."