DR M R Rahman Razib
Nearby clinics
Mohammadia Super Market 4 Sobhanbag Road Dhanmondi
Mirpur Road
"Laser Chain Skin Centre" Hussain Plaza
Sobhanbag Road
Navana Blueberry Place
Navana Newbury Place
Navana Newbury Place
Sobhanbag Road
Khilgaon
Dhanmondi
Navana Newbury Place, Mirpur
Mirpur Road
Road 14
Nilkhet Road
Mirpur Road
dr.razib ,paediatrician and social worker ,working for better bangladesh
Celebrating my 5th year on Facebook. Thank you for your continuing support. I could never have made it without you. 🙏🤗🎉
I got 1 reaction on my recent top post! Thank you all for your continued support. I could not have done it without you. 🙏🤗🎉
Dr Gilbert
Founder Of Bogura Mission Hospital
Dr Gilbert
Founder Of Bogura Mission Hospital
Happy New Year
Let’s do
Raw music….by Raem music kitchen
EMHE (DU)
Executive Masters in Health Economics
স্তন ক্যান্সার অন্যতম এক মারাত্নক মরনব্যাধী।আক্রান্তের পরিবারের বাইরে, আমরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা যারা এই Breast Carcinoma বা স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসার সাথে জড়িত শুধু তারাই বুঝতে পারি এর প্রকোপ, ভয়াবহতা এবং জটিলতা। অথচ, সামান্য একটু ব্যাক্তিগত এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি স্তন ক্যান্সারের মতো অসুখকেও সম্পুর্ন নিরাময় যোগ্য করে তুলতে পারে।
WHO এর হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৫ হাজারের বেশি মানুষ ব্রেস্ট ক্যান্সার বা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। এদের মধ্যে শতকরা ৯৮ শতাংশের বেশি নারী, তবে খুব অল্প সংখ্যক পুরুষও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, প্রত্যেক বছর প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ এ রোগে মারা যান।
প্রথমেই স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে একটু প্রাথমিক ধারনা দেই।স্তন হলো লক্ষ লক্ষ কোষের সমন্বয়ে গঠিত একটি অঙ্গ যার একটিমাত্র কোষের অনিয়ন্ত্রিত ও অস্বাভাবিক বিভাজন থেকে স্তন ক্যান্সার বা টিউমার এর উৎপত্তি।স্তনের কিছু কোষ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে, ওই অনিয়মিত ও অতিরিক্ত কোষগুলো বিভাজনের মাধ্যমে টিউমার বা পিণ্ডে পরিণত হয়।সেটি রক্তনালীর লসিকা (কোষ-রস) ও অন্যান্য মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এই ছড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতাই হলো ক্যান্সার।
সামাজিক অসচেতনতা, ধর্মীয় কুসংস্কার এবং অতিরিক্ত রক্ষণশীলতার কারণে স্তনে পরিবর্তনের কথা বেশিরভাগ সময়ই গোপন রাখেন আমাদের মায়েরা। আমাদের দেশে যেসব নারীরা ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে স্তন ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা সবার শীর্ষে। সামাজিক রক্ষণশীলতার কারণে বাংলাদেশের নারীরা প্রকাশ্যে স্তন শব্দটি উচ্চারণ পর্যন্ত করতেও লজ্জা বোধ করেন। একইভাবে শরীরে প্রাথমিক যে কোন লক্ষণ দেখা গেলেও তারা গোপন রাখেন, এমনকি নিজের পরিবার বা প্রিয়জনদের কাছ থেকেও। ফলে বেশিরভাগ রোগী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন অসুখের একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে।
অধিকাংশ সময় স্তন ক্যান্সারের রোগীরা, স্তনে একটি চাকা বা দলা নিয়ে আসেন। অনেকে স্তনের বোঁটায় ঘা বা ক্ষত বা বোঁটার চারপাশে কালো অংশে চুলকানির লক্ষণ নিয়ে আসেন।কারো স্তনের বোঁটা দিয়ে দুধের মত সাদা রস নিঃসৃত হতে থাকে। ব্যথা বা স্তন লাল রং হয়ে গেছে এমন লক্ষণ নিয়ে খুব কমই আসেন।
যেহেতু স্তন ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ প্রথমদিকে খুব অস্পষ্ট থাকে, ফলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে অনেক সচেতন মহিলারাও কিছুটা দেরি করে ফেলেন।
★কমবেশি সব মহিলাদের স্তনেই লাম্প বা দলা বা চাকা অথবা পিণ্ড থাকে। এর মধ্যে কয়েকটি ক্যানসারাস ও কয়েকটি নন-ক্যানসারাস। যে লাম্পগুলি টিপলে শক্ত লাগে এবং অবস্থান পরিবর্তন করে না, সেগুলি ক্যান্সারের উপসর্গ হতে পার। এ ছাড়াও আরো কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারেঃ
★বগলে লাম্প বা পিণ্ড।
★স্তনে ব্যথা অথচ তা মাসিক চক্র সম্পর্কিত নয়।
★স্তনের আকারে অস্বাভাবিক পরিবর্তন।
★স্তনের রং পরিবর্তন। স্তন হঠাৎ লাল কিংবা লালচে রঙের হয়ে যাওয়া।
★স্তনের ত্বক অস্বাভাবিক কুঁচকে যাওয়া।
★স্তন বৃন্ত থেকে তরল পদার্থের নির্গমন হওয়া।
★স্তনের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেওয়া।
স্তন ক্যান্সারের বিপদ থেকে বাঁচতে আমাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ হলো, প্রতি মাসে নির্দিষ্ট একটা সময় ভালভাবে স্তন পর্যবেক্ষণ করা উচিত। ২০ বছর বা তার থেকে বেশি বয়সের মহিলারা প্রত্যেক মাসিক চক্রের ৪-৫ দিন নিজেরাই স্তন পরীক্ষা করে দেখতে পারেন কোনও রকম লাম্প বা পিণ্ডর অস্তিত্ব টের পাচ্ছেন কিনা। তবে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই স্তনের লাম্প বা পিণ্ড ক্যান্সারের কারণে হয় না। মাত্র ১০ শতাংশ ক্ষেত্রেই লাম্প বা পিণ্ডের কারন ক্যান্সার। তাই অযথা ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে নিশ্চিত হতে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা জরুরি। উপরের লক্ষণগুলির যে কোনও একটি চোখে পড়লেই দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা করান।
বাংলাদেশে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি আশার কথা হলো সেই সঙ্গে সচেতনতাও কিছুটা বেড়েছে। এই সচেতনতা বাড়ার কারণে এখন মানুষ চিকিৎসকের কাছেও আগের তুলনায় বেশি যাচ্ছেন এবং সেজন্য আমরা জানতেও পারছি এ সম্পর্কে কিছুটা আগের চেয়ে অনেক বেশী।
স্তন ক্যান্সার এর ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার কারণ সমূহ:
#বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্তন ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়।
#পারিবারিক ইতিহাস: রক্ত সম্পর্কীয় কোনো আত্মীয় যদি স্তন বা জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তবে আপনার স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা কিছুটা বেড়ে যায়। এ ঝুঁকি আরো বৃদ্ধি পায় যদি অতি নিকট জন (যেমন- মা, বোন, খালা, ফুফু) ৫০ বছর বয়সের পূর্বে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন অথবা পরিবারে এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দুই এর অধিক হয়।অতএব পারিবারিক ইতিহাস থাকলে অতিসত্বর আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
#ঋতুস্রাব: অল্প বয়সে ঋতুস্রাব শুরু হওয়া এবং বেশি বয়সে স্রাব বন্ধ হলে শরীরে দীর্ঘদিন 'ইস্ট্রোজেন' হরমোনের প্রভাব থাকে যা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
#হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি: ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার সময় হলে অনেক মহিলারা দীর্ঘদিন হরমোন থেরাপি নিয়ে থাকেন, যা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তবে হরমোন থেরাপি বন্ধ করে দিলে এ ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসে।
#জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি গ্রহণ: দীর্ঘ সময় ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কিছুটা বাড়িয়ে দেয়। তবে বড়ি সেবন বন্ধ করে দিলে ধীরে ধীরে তা কমে যায়।
#স্থূলতা: শরীরে অতিরিক্ত ওজন বা স্থুলতার সাথে হরমোনের সম্পর্ক থাকায় তা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধির কারণ ঘটায়।অতএব ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন,স্বল্প চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন এবং নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করুন।
#মদ্যপান: মদ্যপানের ফলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়, অতএব তা পরিহার করুন।
পাকস্থলী, যকৃত,অগ্নাশয়, বৃহদান্ত্র, ফুসফুসের মতোই আপনার স্তন বা ব্রেস্টও শরীরেরই একটি অংগ। লজ্জা, সংকোচ পরিহার করে আপনি আপনার অসুস্থ্যতার কথা আপনার পরিবার এবং আপনার চিকিৎসকের সাথে শেয়ার করুন। জীবনের চেয়ে মুল্যবান কোন কিছুই নয়।
আমাদের নিম্নবিত্ত সমাজে যেসব নারীরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী নয়, তারা অনেক সময় সাংসারিক খরচ বেড়ে যাওয়ার ভয়ে কিংবা একমাত্র উপার্জনক্ষম পুরুষ ব্যাক্তিটির অসহযোগিতার ভয়ে নিজের অসুখের কথা গোপন রাখেন। কাজেই সমাজে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে নারীর পাশাপাশি পুরুষের ভুমিকাও অপরিসীম। পরিবারের উপার্জনক্ষম পুরুষ সদস্যদেরকেও সহানুভূতি, অর্থনৈতিক সাপোর্ট এবং সহমর্মিতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
উইনস্টন চার্চিল এর একটি বিখ্যাত উক্তি আছে , “Attitude is a little thing that can make a big difference.” সচেতন পুরুষ এবং নারী হিসেবে আপনার মানসিকতার সামান্য পরিবর্তন, আপনার একটু সচেতনতা আর সহযোগীতা আপনার নিজের,পরিবারের,বন্ধুর,সহকর্মীর,আত্মীয়ের এবং অতি প্রিয়জনের মরনব্যাধীর পথে শক্ত প্রতিবন্ধক হিসেবে পাহাড়সম প্রতিরোধ গড়তে পারে।
Collected
মাংকিপক্স:
যুক্তরাষ্ট্র, ক্যানাডা, ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ছে বিরল এই রোগ।আফ্রিকা থেকে ছড়ানো মাংকিপক্স রোগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ক্যানাডা, স্পেন, পর্তুগাল এবং ব্রিটেনে ছড়িয়ে পড়েছে।
মাংকিপক্স রোগ কী?
এই রোগ ছড়ায় মাংকিপক্স নামে এক ধরনের ভাইরাসের মাধ্যমে। বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে এটি অনেকটা জল বসন্তের ভাইরাসের মতো। তবে এর ক্ষতিকারক প্রভাব কম, এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর সংক্রমণের হারও কম।পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার নিরক্ষীয় বনাঞ্চলে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি।
মাংকিপক্স দু'ধরনের হয়ে থাকে - মধ্য আফ্রিকান এবং পশ্চিম আফ্রিকান।
মাংকিপক্সের উপসর্গ কী?
এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হচ্ছে জ্বর, মাথাব্যথা, হাড়ের জয়েন্ট এবং মাংসপেশিতে ব্যথা এবং দেহে অবসাদ।
জ্বর শুরু হওয়ার পর দেহে গুটি দেখা দেয়। এসব গুটি শুরুতে দেখা দেয় মুখে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে হাত এবং পায়ের পাতাসহ দেহের সব জায়গায়।
এই গুটির জন্য রোগী দেহে খুব চুলকানি হয়। পরে গুটি থেকে ক্ষত দেখা দেয়। গুটি বসন্তের মতোই রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠলেও দেহে এসব ক্ষত চিহ্ন রয়ে যায়।
রোগ দেখা দেয়ার ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে রোগী আরোগ্য হয়।
কীভাবে ছড়ায় মাংকিপক্স?
সংক্রমিত রোগীর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ থেকে এই ভাইরাস ছড়ায়। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে, ত্বকের ক্ষত থেকে এবং নাক, মুখ ও চোখের ভেতর দিয়ে এই ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বানর, ইঁদুর, কাঠবিড়ালি, এমনকি মাংকিপক্সে আক্রান্ত রোগীর ব্যবহৃত বিছানাপত্র থেকেও এই ভাইরাস অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে।
কতটা বিপজ্জনক এই মাংকিপক্স?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের প্রভাব বেশ মৃদু। এর বৈশিষ্ট্য জল বসন্তের মতোই, এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন।
কীভাবে মাংকিপক্সের প্রকোপ ঘটছে?
এই রোগ প্রথম ছড়িয়েছিল একটি বানর থেকে। এরপর ১৯৭০ সাল থেকে আফ্রিকার ১০টি দেশে মাংকিপক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম এই ভাইরাসে রোগী শনাক্ত হয় ২০০৩ সালে। সেটাই ছিল এই ভাইরাস আফ্রিকার বাইরে ছড়িয়ে পড়ার প্রথম কেস। যুক্তরাষ্ট্রে এপর্যন্ত ৮১টি কেস ধরা পড়েছে।
মাংকিপক্সের সবচেয়ে বড় প্রকোপ দেখা দেয় নাইজেরিয়াতে, ২০১৭ সালে। সে দেশে মাংকিপক্সের প্রথম কেস ধরা পড়ার ৪০ বছর পর। এতে ১৭২ জন আক্রান্ত হন।
মাংকিপক্সের চিকিৎসা কী?
এই ভাইরাসের কোন চিকিৎসা নেই। তবে যে কোন প্রাদুর্ভাবের মতোই উপযুক্ত পদক্ষেপ নিয়ে এর প্রকোপ রোধ করা যায়।গুটি বসন্তের টিকা ৮৫% কার্যকর বলে দেখা গেছে।মাংকিপক্সের জন্য এখন এই টিকাই ব্যবহার করা হচ্ছে।
মাংকিপক্স নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাপক হারে ছড়িয়ে না পড়লে এই ভাইরাস নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই।এটা বুঝতে হবে যে মাংকিপক্সের ভাইরাস খুব সহজে মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে না।
সে কারণেই এখন পর্যন্ত মাংকিপক্স নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।(সংগৃহীত)
২২/০৫/২০২২
Repost:
জনসমক্ষে বিনামূল্যে জ্ঞান বিতরণঃ
গ্যাস্ট্রিক আর গ্যাস এই দুইটা ব্যাপার এক নয়। গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ পেটের গ্যাস কমানোর ঔষধ না। গ্যাস্ট্রিক এর মানে গ্যাস এর কোনো ট্রিক না।
গ্যাস্ট্রিক শব্দের মানে "পাকস্থলীর সাথে সম্পর্কিত"। গ্রিক শব্দ " Gaster" অর্থ পাকস্থলী। যখন পাকস্থলী কোন কারনে ইরিটেটেড হয় তখন ব্যথা হলে সেটাকে বলা হয় "pain of gastric origin" অথবা "gastric pain". আর পেটের অধিকাংশ/অতিরিক্ত গ্যাস সাধারণত বৃহদান্ত্রে তৈরি হয়।
গতকাল পাকস্থলী জ্বালাপোড়ার রোগীকে গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ দেয়ায় তিনি খেতে অস্বীকৃতি জানান এবং উল্লেখ করেন যে উনার যেহেতু গ্যাস হয় নি সুতরাং তিনি গ্যাসের ঔষধ খাবেন না। এমন ভুল ধারণা যাদের আছে সেটা ভাংতেই এই স্ট্যাটাস লেখা।
শিশু এ্যাজমা এবং বড়দের এ্যাজমা চিকিৎসা কি ভিন্ন ভিন্ন?
এটি খুবই সাধারণ প্রশ্ন। বয়স ভেদে এবং একসাথে দেহে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর (Co- Morbid Conditions) উপস্থিতির কারনে একই বয়সের এবং একই রোগের চিকিৎসা দু'জন ব্যক্তির ক্ষেত্রে তারতম্য হতেই পারে। তদ্রূপ শিশু ও বয়স্কদের এ্যাজমা চিকিৎসায়ও কিছু পার্থক্য থাকবে। তবে মূলনীতি (Principle) কিন্তু একই থাকবে। সেজন্য বিশ্বের এ্যাজমা চিকিৎসা বিষয়ক সেরা সংগঠন GINA (GLOBAL INITIATIVE FOR ASTHMA) প্রতিনিয়ত এ্যাজমা চিকিৎসা বিষয়ে গাইডলাইন প্রকাশ করে থাকে। আগ্রহী যে কেউ সেটি দেখে নিতে পারেন। তবে মূল কথা চিকিৎসার মূলসূত্র একইরকম হবে শিশুও বয়স্ক এ্যাজমা চিকিৎসায়। আর এটি চিকিৎসকমাত্রই জানেন এ্যাজমা চিকিৎসার প্রধাণতম ওষুধ ইনহেলার এবং স্টেরয়েড (Inhaled Steroid)।
শুধু আমাদের দেশেই নয় বিশ্বের সর্বত্রই স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের প্রতি একধরণের ভীতি যেমন আছে তেমনি এর অপ্রয়োজনীয় ব্যবহারও খুব কম হয় না। যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার জন্য এই ভীতি সেটা কিন্তু মুখে সেব্য কিংবা ইনজেকশনের মাধ্যমে নেবার স্টেরয়েড। ইনহেলার স্টেরয়েডের মাত্রা এতই কম যে এটি শ্বাসনালী বা ফুসফুসের বাইরে তেমন একটা যায় না ফলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও দেখা দেয় না। সেদিক থেকে এটি যথেষ্ট নিরাপদ। তবে ওষুধ বলে কথা -- বিচার, বিশ্লেষণ, সতর্কতা অবলম্বন অবশ্যই থাকবে।
দ্বিতীয় বিষয় হলো সারা বিশ্বেই ইনহেলার ওষুধের একটা ভীতি আছে আমাদের দেশে আরও বেশি। ইনহেলার ওষুধ মানুষ সহজে গ্রহণ করতে চায় না।কেন -- তার ব্যাখ্যা যার যার নিজস্ব। কেউ কেউ মনে করেন এটি একবার নিলে আর ছাড়া যাবেনা- সারাজীবন নিতে হবে। কেউ মনে করেন এটিতে আসক্তি সৃষ্টি হবে, কেউ মনে করেন এটি একেবারে শেষ চিকিৎসা তাই আগে অন্য চেষ্টা করে দেখা যাক-- ইত্যাদি নানারকম অদ্ভুত ও কুসংস্কার অনেকের মনেই আছে, যার একটি সঠিক ও বিজ্ঞানসম্মত ধারণা নয়। এরও বড় কারন ইনহেলার ওষুধের প্রচলন খুব প্রাচীন নয় এবং অনেকেই এটা দেখেনও নাই। ফলতঃ অনেকেই এই নতুন ধরনের ইনহেলার ওষুধের চিকিৎসা গ্রহণ করতে গড়রাজি হন। বিশেষ করে শিশুদের বাবা-মা এব্যাপারে বেশ উৎকন্ঠিত থাকেন - না জানি কী হয়! ফলে তাঁদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন এবং শিশু চিকিৎসা দেওয়ার সময় বিষয়টি বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দিলে তাঁরা নিশ্চয়ই গ্রহনে রাজি হবেন।
পক্ষান্তরে --
শিশু এ্যাজমা চিকিৎসায় ইনহেলার এর চেয়ে নেবুলাইজারের প্রতি বিশেষ ঝোঁক লক্ষ্য করছি (ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ) যেটার মাধ্যমে শিশুরা Definitive বা আবশ্যকীয় ও প্রয়োজনীয় ওষুধটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং ফলাফল আশানুরূপ হচ্ছে না। কারন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি করা হয় এ্যাকিউট (Acute) বা তীব্র শ্বাসকষ্ট থাকা অবস্থায় এবং তখন যে ওষুধ দিয়ে নেবুলাইজ করা হয় তা সাময়িক উপসমকারী বা (Reliever) ওষুধ তাতে প্রতিরোধী বা Preventer ওষুধ থাকে না। ফলে বারবার নেবুলাইজ করছেন একটু রিলিভ পাচ্ছেন কিন্তু রোগটির জন্য নির্দিষ্ট করা চিকিৎসা বা Definitive Treatment দেয়া হচ্ছে না। ফলে বারবার তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে, কয়েকদিন পরপরই নেবুলাইজ করতে হচ্ছে। কিন্তু রোগটির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ Control/ Remission) আসছে না। এখানে উল্লেখ্য যে শিশুদের এ্যাজমা ২-৫ বছর সঠিকভাবে চিকিৎসা করলে ৬০-৮০% নিরাময় হয়।
কয়েকদিন পূর্বে আট বছর বয়সের একজন শিশুকে নিয়ে বাবা-মা এসেছেন যার এ্যাজমা আছে এবং দিনে ২-৩ বার বাসার কাছেই ফার্মেসী থেকে নেবুলাইজ করাচ্ছেন বিগত প্রায় পনের দিন যাবৎ। কিন্তু শিশুটি Inhaled Steroid বা অন্য কোন ওষুধ পাচ্ছেনা।অত্যন্ত হৃদয় বিদারক মনে হলো বিষয়টি। এখন পাড়ায় মহল্লায় প্রায় ফার্মেসীতে নেবুলাইজার মেশিন আছে এবং ফার্মেসীর লোকজন নেবুলাইজ করতে শিখে গেছেন এবং নেবুলাইজ করছেন। এটি আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অনুমোদন করে কিনা ভেবে দেখবার বিষয়। আবার অনেকেই ঘরে নেবুলাইজার মেশিন কিনে নিয়েছেন শুধু শিশু নয় বয়স্ক ব্যক্তিদেরও শ্বাসকস্ট হলে এ্যাজমা সিওপিডি (ASTHMA/COPD) যাইহোক নেবুলাইজ করছেন। করোনাকালে চিকিৎসকগন কোভিড বা অন্য কোন শ্বাসকষ্টের রোগীদের পরামর্শ দিয়েছেন তারাও অনেকে কিনে নিয়েছেন। চিকিৎসক এর ব্যবস্থা অনুযায়ী করা হলে সেটা ঠিকই আছে।
যাইহোক লেখার মূল বিষয়টি হচ্ছে শিশু এ্যাজমা চিকিৎসায় যেন গ্রামার মেনে দুই বছর থেকে তদূর্ধ্ব শিশুদের Inhaled Steroid দিয়ে নিয়মানুযায়ী সঠিক চিকিৎসা করা হয় তার উপর গুরুত্ব আরোপ করা এবং মুখে সেব্য কিংবা ইনজেকশন স্টেরয়েড যথাসম্ভব বর্জনের আহ্বান জানানো। পাঁচ বছরের বেশি বয়সের শিশুরা শিখিয়ে দিলে ইনহেলার টানতে পারে। তার চেয়ে কম বয়সীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের স্পেসার / মাস্কসহ স্পেসার SPACER with/ out Mask ফার্মেসীতে পাওয়া যায়। উপযুক্ত ক্ষেত্রে সেগুলো ব্যবহার করার আহ্বান জানাচ্ছি।
শিশুদের এ্যাজমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় কারন এটা সম্বন্ধে অনেক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে -- যেমন দাদি নানিরা বলবেন ছোটবেলায় একটু শ্বাস- কাশ, ঠান্ডার দোষ থাকেই, বয়স হলে ঠিক হয়ে যাবে। কথাটি আংশিক সত্য কেননা যে কোন সমাজে ১০-২০% শিশুর এ্যাজমা থাকে তবে সকলেই যে মারাত্মক তাতো নয়। কিন্তু যাদের মারাত্মক বা গুরুতর তাদের সঠিকভাবে চিকিৎসা না করা হলে যে জটিলতা দেখা দেয় তা কিন্তু মারাত্মক। বিশেষ করে BRONCHIECTASIS নামের একটি জটিলতা হতে পারে শিশু এ্যাজমা চিকিৎসা না করা হলে কিংবা সঠিকভাবে না করা হলে। এটি একবার হলে আর সারানো সম্ভব হয় না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফুসফুসের সার্জারী করে কেটে ফেলতে হয়। সবচেয়ে বড়কথা সকল শিশু এ্যাজমা রোগীরই স্কুল - খেলাধূলা - শারীরিক বৃদ্ধি - মানসিক স্বতঃস্ফূর্ততা এগুলোতে বিঘ্ন ঘটে। তাই সকলের উচিৎ শিশু এ্যাজমা অত্যন্ত যত্নের সাথে চিকিৎসা করানো এবং যেসকল কারনে এ্যাজমা বৃদ্ধি পায় যেমন অতিমাত্রায় ঠান্ডা / গরম,ধূলাবালি ও অ্যালার্জি সৃষ্টি করে এমন খাবার পরিহার করা।
সকল শিশুর কল্যাণ হোক।
ধন্যবাদ।(
Collected)
আজ ২রা এপ্রিল বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। এই দিবস উপলক্ষে আমরা অনেক আয়োজন করে থাকি। এবার বাংলাদেশে গৃহীত প্রতিপাদ্য
"এমন বিশ্ব গড়ি
অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তির প্রতিভা বিকশিত করি "প্রতি বছর ২ এপ্রিল খুব গুরুত্বের সাথে পালিত হয় অটিজম সচেতনতা দিবস। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার অটিজম নিয়ে খুব সচেতন এবং যত্নবান।
মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি তাঁরই সুযোগ্য উত্তরসূরি সায়মা ওয়াজেদ পুতুল শুধু বাংলাদেশ নয় সারাবিশ্বে অটিস্টিক শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি জাতীয় অটিজম উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান৷ এছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিশেষজ্ঞ প্যানেলের একজন সদস্য।
বাংলাদেশে সায়মা ওয়াজেদ পরিচালিত ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। তাঁর কারণেই অটিজম মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্য প্রশংসনীয়।
দেশে প্রতিবন্ধী শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশের পথে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি এক ইতিবাচক পরিবর্তনের বাতিঘর। তাই অটিজম, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং বাংলাদেশ এক সূত্রেগাঁথা।
এরই মধ্যে সায়মা বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সৃষ্টিশীল নারী নেতৃত্বের ১০০ জনের তালিকায় নিজের স্থান করে নিয়েছেন।
অটিস্টিক শিশুদের বিকাশে প্রয়োজন সচেতনতা ও সঠিক পরিচর্যা। আমরা সবাই মিলে উদ্যোগী হলে অটিস্টিক শিশুরাও দেশের সম্পদে পরিণত হতে পারে৷
আমি সকল অটিস্টিক বাচ্চার সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
[হুমায়ূন আহমেদের এই লেখাটি আমি কম করে হলেও প্রায় দশবার পড়েছি। আজকে আবারও পড়লাম। প্রতিবারের মত এবারো চোখে জল আসার ব্যতয় ঘটল না।]
ভোর চারটার সময় টেলিফোন বেজে উঠল, অসময়ে টেলিফোন মানেই রিসিভার না নেয়া পর্যন্ত বুক ধড়ফড়। নির্ঘাৎ বাংলাদেশের কল। একগাদা টাকা খরচ করে কেউ যখন বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় কল করে তখন ঘটনা খারাপ ধরেই নিতে হবে। নিশ্চয়ই কেউ মারা-টারা গেছে।
তিনবার রিং হবার পর আমি রিসিভার তুলে ভয়ে ভয়ে বললাম, হ্যালো।
ওপার থেকে ভারী গলা শোনা গেল, হুমায়ূন ভাই, খিচুড়ি কি করে রান্না করতে হয় জানেন?
আমি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। টেলিফোন করেছে মোরহেড স্টেট ইউনিভার্সিটির মিজানুল হক। সেখানকার একমাত্র বাঙালি ছাত্র। অ্যাকাউন্টিং-এ আন্ডার গ্রাজুয়েট কোর্স করছে।
হ্যালো হুমায়ূন ভাই, কথা বলছেন না কেন? খিচুড়ি কী করে রান্না করতে হয় জানেন?
না।
তাহলে তো বিগ প্রবলেম হয়ে গেল।
আমি চুপ করে রইলাম। মিজানুল হক হড়বড় করে বলল, কাচ্চি বিরিয়ানির প্রিপারেশন জানা আছে?
আমি শীতল গলায় বললাম, কটা বাজে জান?
ক’টা?
রাত চারটা।
বলেন কি? এতরাত হয়ে গেছে? সর্বনাশ।
করছিলে কি তুমি?
বাংলাদেশের ম্যাপ বানাচ্ছি। আপনি ঘুমিয়ে পড়ুন হুমায়ুন ভাই। সকালে টেলিফোন করব, বিরাট সমস্যায় পড়েছি।
মিজানুল হক খট করে টেলিফোন রেখে দিল। আমি বিছানা ছেড়ে উঠলাম। পার্কোলেটরে কফি বসিয়ে দিলাম। আমার ঘুমাবার চেষ্টা করা বৃথা। মিজানুল হকের মাথার ঠিক নেই, কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার টেলিফোন করবে। অন্য কোনও খাবারের রেসিপি জানতে চাইবে।
এ ব্যাপারটা গত তিন দিন ধরে চলছে। মোরহেড স্টেট ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক বর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে অন্যান্য দেশের সঙ্গে উদ্যাপিত হবে বাংলাদেশ নাইট। এই অঞ্চলে বাংলাদেশের একমাত্র ছাত্র হচ্ছে মিজান, আর আমি আছি নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। মিজানের একমাত্র পরামর্শদাতা। আশপাশে সাতশ মাইলের মধ্যে দ্বিতীয় বাঙালি নেই।
কফির পেয়ালা হাতে নেবার সঙ্গে সঙ্গে মিজানের টেলিফোন—
হ্যালো হুমায়ুন ভাই?
হ্যাঁ।
প্ল্যান-প্রোগ্রাম নিয়ে আপনার সঙ্গে আরেকবার বসা দরকার।
এখনো তো দেরি আছে।
দেরি আপনি কোথায় দেখলেন? এক সপ্তাহমাত্র। শালাদের একটা ভেলকি দেখিয়ে দেব। বাংলাদেশ বললে চিনতে পারে না, হা-করে তাকিয়ে থাকে। ইচ্ছা করে চড় মেরে মুখ বন্ধ করে দেই। এইবার শালারা বুঝবে বাংলাদেশ কি জিনিস। ঠিক না হুমায়ুন ভাই?
হ্যাঁ, ঠিক বলেছ।
শালাদের চোখ ট্যারা হয়ে যাবে দেখবেন। আমি আপনার এখানে চলে আসছি।
মিজান টেলিফোন নামিয়ে রাখলো। আমি আরেকটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললাম। এই ছেলেটিকে আমি খুবই পছন্দ করি। তার সমস্যা একটাই, সারাক্ষণ মুখে বাংলাদেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন একটা খোলার চেষ্টা করেছিল। একজন ছাত্র থাকলে এসোসিয়েশন হয় না বলে সেই চেষ্টা সফল হয়নি। অন্য স্টেট থেকে বাংলাদেশী ছাত্র আনার চেষ্টাও করেছে, লাভ হয়নি। এই প্রচণ্ড শীতের দেশে কেউ আসতে চায় না। শীতের সময় এখানকার তাপমাত্রা শূন্যের ত্রিশ ডিগ্রি নিচে নেমে যায়, কে আসবে এই রকম ভয়াবহ ঠাণ্ডা একটা জায়গায়?
মিজান এই ব্যাপারে বেশ মনমরা হয়েছিল। বাংলাদেশ নাইট-এর ব্যাপারটা এসে পড়ায় সেই দুঃখ খানিকটা কমেছে। এই বাংলাদেশ নাইট নিয়েও বিরাট কান্ড। মোরহেড স্টেট ইউনিভার্সিটির ফরেন স্টুডেন্ট অ্যাডভাইজার মিজানকে বলল, তুমি এক কাজ কর–তুমি বাংলাদেশ নাইট পাকিস্তানীদের সঙ্গে কর।
মিজান হুংকার দিয়ে বলল, কেন?
এতে তোমার সুবিধা হবে। ডবল ডেকোরেশন হবে না। এক খরচায় হয়ে যাবে। তুমি একা মানুষ।
তোমার এত বড় সাহস, তুমি পাকিস্তানীদের সঙ্গে আমাকে বাংলাদেশ নাইট করতে বলছ? তুমি কি জান, ওরা কী করেছে? তুমি কি জান ওরা আমাদের কতজনকে মেরেছে? তুমি কি জান…?
কী মুশকিল–তুমি এত উত্তেজিত হচ্ছ কেন?
তুমি আজেবাজে কথা বলবে, তুমি আমার দেশকে অপমান করবে, আর আমি তোমার সঙ্গে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলব?
মিজান ফরেন স্টুডেন্ট অ্যাডভাইজারের সামনের টেবিলে প্রকাণ্ড এক ঘুসি বসিয়ে দিল। টেবিলে রাখা কফির পেয়ালা উন্টে পড়ল। লোকজন ছুটে এল। প্রচণ্ড হৈচৈ।
এরকম মাথা গরম একটা ছেলেকে সব সময় সামলে-সুমলে রাখা মুশকিল। তবে ভরসা একটাই–সে আমাকে প্রায় দেবতার পর্যায়ে ফেলে রেখেছে। তার ধারণা আমার মতো জ্ঞানী-গুণী মানুষ শতাব্দীতে এক-আধটা জন্মায়। আমি যা বলি, শোনে।
মিজান তার ভাঙা মরিস মাইনর নিয়ে ঝড়ের গতিতে চলে এল। সঙ্গে বাংলাদেশের ম্যাপ নিয়ে এসেছে। সেই ম্যাপ দেখে আমার আক্কেল গুড়ুম। যে কটা রঙ পাওয়া গেছে সব কটাই সে লাগিয়েছে।
জিনিসটা দাঁড়িয়েছে কেমন বলুন তো?
রঙ একটু বেশি হয়ে গেল না?
ওরা রঙ-চঙ একটু বেশি পছন্দ করে হুমায়ূন ভাই।
তাহলে ঠিকই আছে।
এখন আসুন প্রোগ্রামটা ঠিক করে ফেলা যাক। বাংলাদেশী খাবারের নমুনা হিসাবে খিচুড়ি খাওয়ানো হবে। খিচুড়ির শেষে দেওয়া হবে পান-সুপারি।
পান-সুপারি পাবে কোথায়?
শিকাগো থেকে আসবে। ইন্ডিয়ান শপ আছে–ওরা পাঠাবে। ডলার পাঠিয়ে চিঠি দিয়ে দিয়েছি।
খুব ভালো।
দেশ সম্পর্কে একটা বক্তৃতা দেয়া হবে। বক্তৃতার শেষে প্রশ্ন-উত্তর পর্ব।
সবার শেষে জাতীয় সঙ্গীত।
জাতীয় সঙ্গীত গাইবে কে?
কেন, আমি আর আপনি।
তুমি পাগল হয়েছ? জীবনে আমি কোনোদিন গান গাইনি।
আর আমি বুঝি হেমন্ত? এইসব চলবে না, হুমায়ুন ভাই। আসুন গানটা একবার প্রাকটিস করি।
মিজান, মরে গেলেও আমাকে দিয়ে গান গাওয়াতে পারবে না। তাছাড়া এই গানটার আমি কথা জানি না, সুর জানি না।
কথা সুর তো আমিও জানি না হুমায়ূন ভাই। চিন্তা নেই, একটা ব্যবস্থা হবেই।
উৎসবের দিন ভোর বেলাতে আমরা প্রকাণ্ড সসপ্যানে খিচুড়ি বসিয়ে দিলাম। চাল, ডাল, আনাজপাতি সেদ্ধ হচ্ছে। দুটো মুরগি কুচি কুচি করে ছেড়ে দেয়া হলো। এক পাউন্ডের মতো কিমা ছিল তাও ঢেলে দিলাম। যত ধরনের গরম মসলা ছিল সবই দিয়ে দিলাম। জ্বাল হতে থাকল।
মিজান বলল, খিচুড়ির আসল রহস্য হলো মিক্সিং-এ। আপনি ভয় করবেন। জিনিস ভালোই দাঁড়াবে।
সে একটা খুন্তি দিয়ে প্রবল বেগে নাড়াতে শুরু করল। ঘণ্টা দুয়েক পর যা দাঁড়াল তা দেখে বুকে কাঁপন লাগে। ঘন সিরাপের মতো একটা তরল পদার্থ। উপরে আবার দুধের সরের মতো সর পড়েছে। জিনিসটার রঙ দাঁড়িয়েছে ঘন কৃষ্ণ। মিজান শুকনো গলায় বলল, কালো হলো কেন বলুন তো হুমায়ূন ভাই। কালো রঙের কিছুই তো দেইনি।
আমি সেই প্রশ্নের জবাব দিতে পারলাম না। মিজান বলল, টমেটো পেস্ট দিয়ে দেব নাকি?
দাও।
টমেটো পেস্ট দেয়ায় রঙ আরো কালচে মেরে গেল। মিজান বলল, লাল রঙয়ের কিছু পুড কালার কিনে এনে ছেড়ে দেব?
দাও।
তাও দেয়া হলো। এতে কালো রঙের কোনো হেরফের হলো না। তবে মাঝে মাঝে লাল রঙ ঝিলিক দিতে লাগলো। দুজনেই মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লাম। জাতীয় সংগীতেরও কোনো ব্যবস্থা হলো না। মিজানের গানের গলা আমার চেয়েও খারাপ। যখন গান ধরে মনে হয় গলায় সর্দি নিয়ে পাতিহাঁস ডাকছে। শিকাগো থেকে পানও এসে পৌঁছল না।
অনুষ্ঠান সন্ধ্যায়। বিকেলে এক অদ্ভুত ব্যাপার হলো। অবাক হয়ে দেখি দূর দূর থেকে গাড়ি নিয়ে বাঙালি ছাত্রছাত্রীরা আসতে শুরু করেছে। শুনলাম মিজান নাকি অশপাশের যত ইউনিভার্সিটি আছে সব ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশ নাইটের খবর দিয়ে চিঠি দিয়েছিল। দেড় হাজার মাইল দূরে মন্টানো স্টেট ইউনিভার্সিটি, সেখান থেকে একটি মেয়ে গ্রে হাউন্ড বাসে করে একা একা চলে এসেছে। মিনেসোটা থেকে এসেছে দশজনের একটা বিরাট দল। তারা সঙ্গে নানান রকম পিঠা নিয়ে এসেছে। গ্রান্ড ফোকস থেকে এসেছেন করিম সাহেব, তাঁর ছেলেমেয়ে এবং স্ত্রী! এই অসম্ভব কর্মঠ মহিলাটি এসেই আমাদের খিচুড়ি ফেলে দিয়ে নতুন খিচুড়ি বসালেন। সন্ধ্যার ঠিক আগে আগে সাউথ ডাকোটার ফলস স্প্রিং থেকে একদল ছেলেমেয়ে এসে উপস্থিত হল।
মিজান আনন্দে লাফাবে না চেচাবে কিছুই বুঝতে পারছে না। চুপচাপ বসে আছে, মাঝে মাঝে গম্ভীর গলায় বলছে–দেখ শালা বাংলাদেশ কী জিনিস। শালা দেখে যা।
অনুষ্ঠান শুরু হল দেশাত্মবোধক গান দিয়ে।
–এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি…।
অন্যান্য স্টেট থেকে মেয়েরা যারা এসেছে তারাই শুধু গাইছে। এত সুন্দর গাইছে। এই বিদেশ-বিভূইয়ে গান শুনে দেশের জন্যে আমার বুক হু-হু করতে লাগল। চোখে জল এসে গেল। কেউ যেন তা দেখতে না পায় সে জন্যে মাথা নিচু করে বসে রইলাম।
পরদিন ফার্গো ফোরাম পত্রিকায় বাংলাদেশ নাইট সম্পর্কে একটা খবর ছাপা হ’ল। খবরের অংশবিশেষ এ রকম–"...একটি অত্যন্ত আবেগপ্রবণ জাতির অনুষ্ঠান দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। অনুষ্ঠানটি শুরু হয় দেশের গান দিয়ে। আশ্চর্য হয়ে লক্ষ করলাম গান শুরু হবার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশী ছেলেমেয়েরা সব কাঁদতে শুরু করল। আমি আমার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা-জীবনে এমন মধুর দৃশ্য দেখি নাই..."
হোটেল গ্রেভার ইন
বাংলাদেশ নাইট
হুমায়ূন আহমেদ
পোস্ট টা সবাই একটু সময় করে পরবেন্...🙏🙏🙏
এটা একটা সাত বছর বয়সের বাচ্চার খাদ্যনালীর(Intestine) চিত্র। যা কৃমির দ্বারা ব্লক (Intestine obstruction) হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে পচন দরায় সার্জন কেটে ফেলতে বাধ্য হন।
এখন আসি মূল কথায়,আমরা অনেকেই কৃমিনাশক ওষুধ এর প্রতি উদাসীন। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না এই কৃমির জন্য ১০-১৫ টি মারাত্মক রোগ হয়ে থাকে এবং কি কৃমি শিশুদের প্রাণনাশের ও কারণ হতে পারে।
তাই আসুন আমরা সকলে সচেতন হই এবং ১ বছরের বাচ্চা থেকে শুরু করে আমরা রেজিষ্ট্রার্ড চিকিৎসক এর পরমর্শ অনুয়ায়ী নিয়মিত ৩ মাস পর পর কৃমিনাশক ঔষধ সেবন করি।
উল্লেখ্য যে, কৃমির ঔষধের সাথে গরম -ঠান্ডা, আকাশের মেঘ ও সময়ের সাথে কোন সম্পর্ক নেই, যা নিতান্তই কুসংস্কার।
ভালো থাকুক প্রতিটা নিষ্পাপ শিশু💗
ভালো থাকুক পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ
আর ভালো থাকুক পৃথিবীটা...
সবাইকে ধন্যবাদ.....
#কালেক্টেড
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the practice
Website
Address
Biomed Diagnostics Center, 4/A/1, Navana Newberry (8th Floor), Mirpur Road, Sobhanbagh, DHAKA
Dhaka
1207
Opening Hours
Monday | 03:00 - 18:00 |
Wednesday | 03:00 - 18:00 |
Saturday | 03:00 - 18:00 |
House 2 Road 17 Block C Banani, Kakoli, Behind UAE Market
Dhaka, 1213
Implant, Cosmetic Dentistry and orthodontics
Shaheed Suhrawardy Medical College Hospital
Dhaka, 1207
আমি ডাঃ রাজীব একজন জেনারেল ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জারী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
Resident Physician Dhaka Medical College And Hospital Dhaka. Chandpur Chember-Rimtouch Diagnostic And Consultation Centre, Mission Road, Chandpur
Dhaka, 1000
এমবিবিএস(আইএসএমসি) পিজিটি(মেডিসিন) এমডি গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি কোর্স ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
Uttara
Dhaka, 1230
Hi, I'm a doctor and entrepreneur working to improve public understanding of medical science.
শনির আখড়া, জিয়া স্মরণী রোড, পলাশপুড় ( ছাপড়া মসজিদের পাশে ) কদমতলী, ঢাকা।
Dhaka, 1362
�Dr. Mishu Official Page. � DHMS (Dhaka) �BHMC (Dhaka) �MCH(Dhaka shisu hospital) �Homeo Co
Dhaka
Dr. MOHAMMAD SAKHAWAT HOSSAIN MBBS (DU); CCD (BIRDEM) ICPPN (Singapore); PGPN (Boston) ENS (Germany)
House-19, Road-10B, Sector-11, Uttara
Dhaka, 1230
এখানে রোগীরা বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে Imo মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ ডাক্টার দেখাতে পারবেন।